কিভাবে বয়স্ক ভাতা আবেদন করবেন নিজে
১৩৫+ ম দিয়ে সাহাবীদের নাম অর্থসহ ছেলেদেপ্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলটি আমরা লিখেছি মূলত কিভাবে বয়স্ক ভাতা আবেদন
করবেন নিজে বিষয়কে কেন্দ্র করে। সঙ্গে থাকছে বয়স্ক ভাতা আবেদন অনলাইন ২০২৫
সম্পর্কিত অতিরিক্ত তথ্যও, যা পড়লে আপনি পুরো বিষয়টি সহজেই বুঝতে পারবেন, ইন শা
আল্লাহ।
সূচিপত্র: কিভাবে বয়স্ক ভাতা আবেদন করবেন নিজে
কিভাবে বয়স্ক ভাতা আবেদন করবেন নিজে
অনেকেই আছেন যাদের বাসায় দাদা দাদি রয়েছে, তাদের মধ্যে সবার পরিবার ওইরকম আর্থিক
দিক দিয়ে স্বচ্ছল না । অনেকের পরিবার নিম্ন ও গরিব এদের মধ্যে অনেকেই চান যে
কিভাবে বয়স্ক ভাতার আবেদন করা যায়?
আজকে আমরা সব গুলো বিষয় এই একটি আর্টিকেলের মাধ্যমে ক্লিয়ার করে দিবো আপনাদের।
বাংলাদেশে বয়স্ক নাগরিকদের জন্য সরকার যে সহায়তা প্রদান করে, তার মধ্যে বয়স্ক
ভাতা একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কিন্তু আজও অনেকেই জানেন না কিভাবে বয়স্ক ভাতা
আবেদন করবেন নিজে।
সাধারণ মানুষ ভাবেন, হয়ত সরকারি অফিসে গিয়ে অনেক ঝামেলা করে, দালালের মাধ্যমে
টাকা খরচ করে আবেদন করতে হবে। কিন্তু বর্তমান ডিজিটাল বাংলাদেশে আপনি চাইলে ঘরে
বসেই নিজের মোবাইল বা কম্পিউটার ব্যবহার করে আবেদন করতে পারেন তাও কোনো দালাল
ছাড়াই।
শুধু দরকার একটু সচেতনতা ও ধৈর্য। প্রথমেই আপনাকে জানতে হবে আপনি এই ভাতার জন্য
যোগ্য কি না। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, পুরুষদের ক্ষেত্রে বয়স হতে হবে কমপক্ষে ৬২ বছর
এবং নারীদের ক্ষেত্রে ৬০ বছর।
পাশাপাশি মাসিক আয় ৩০০০ টাকার নিচে হলে আপনি এই সুবিধার আওতাভুক্ত হতে পারেন।
এরপর প্রয়োজন জাতীয় পরিচয়পত্র (NID), জন্ম নিবন্ধন সনদ এবং একটি বৈধ মোবাইল
নম্বর। এইসব ডকুমেন্ট আপনার নিজের কাছে থাকলেই আপনি নিজেই আবেদন করতে পারবেন।
এখন আপনি যেতে পারেন সরকার নির্ধারিত ওয়েবসাইটে:
mis.lgd.gov.bd। সেখানে গিয়ে বয়স্ক ভাতা
বিভাগে প্রবেশ করে অনলাইনে আবেদন ফর্ম পূরণ করতে হবে। প্রতিটি তথ্য সতর্কতার
সঙ্গে দিতে হবে আপনার নাম, ঠিকানা, বয়স, আর্থিক অবস্থা, পরিবারের সদস্যসংখ্যা
ইত্যাদি।
আরো পড়ুন: ক্রিয়েটিনিন বেড়ে যাওয়ার লক্ষণ
ফর্ম পূরণ করে সাবমিট করলেই আপনি একটি Tracking ID পাবেন, যার মাধ্যমে আপনি
ভবিষ্যতে জানতে পারবেন আপনার আবেদনটি মঞ্জুর হয়েছে কিনা। নিজে নিজে আবেদন করলে
যেমন টাকা সাশ্রয় হয়, তেমনি হয়রানি থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।
তাই এখন আর দালালের প্রয়োজন নেই, শুধু ইচ্ছা ও কিছু দরকারি তথ্য থাকলেই যথেষ্ট।
যারা বলছেন কিভাবে বয়স্ক ভাতা আবেদন করবেন নিজে, তাদের জন্য উত্তরটা খুবই সহজ
একটু সচেতন হলেই আপনি নিজেই পারবেন নিজের ভাগ্য গড়তে।
বয়স্ক ভাতা আবেদন অনলাইন ২০২৫
বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে উঠেছে এবং সামাজিক নিরাপত্তা
কর্মসূচি বাস্তবায়নে ডিজিটাল ব্যবস্থাকে গুরুত্ব দিচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় চালু
হয়েছে বয়স্ক ভাতা আবেদন অনলাইন ২০২৫সিস্টেম,
যার মাধ্যমে আবেদনকারীরা আর আগের মতো ইউনিয়ন পরিষদের সামনে লাইন ধরতে বাধ্য
হচ্ছেন না। এখন ঘরে বসেই আবেদন করা সম্ভব, যা অনেক বেশি সুবিধাজনক ও সময় বাঁচানো
একটি পদক্ষেপ।
এই প্রক্রিয়ায় আবেদন করতে প্রথমেই আপনার দরকার একটি ইন্টারনেট সংযোগ ও
স্মার্টফোন বা কম্পিউটার। এরপর প্রবেশ করতে হবে সরকার নির্ধারিত ওয়েবসাইটে (mis.lgd.gov.bd)। সেখানে নির্ধারিত অপশন থেকে বয়স্ক ভাতা নির্বাচন করুন এবং প্রয়োজনীয়
তথ্য পূরণ শুরু করুন।
আবেদন ফর্মে নাম, ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, জন্মতারিখ, মাসিক আয়, বৈবাহিক
অবস্থা ইত্যাদি প্রশ্ন থাকে। আপনি একে একে সবগুলো তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করুন।
এছাড়া, কিছু কাগজপত্র স্ক্যান করে সাবমিট করতে হয়, যেমন: জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি,
পাসপোর্ট সাইজ ছবি, জন্ম নিবন্ধনের স্ক্যান কপি।
সব তথ্য পূরণের পর সাবমিট বাটনে ক্লিক করলে একটি ট্র্যাকিং নম্বর পাবেন। এই নম্বর
দিয়েই আপনি জানতে পারবেন আপনার আবেদনটি গৃহীত হয়েছে কি না। বয়স্ক ভাতা আবেদন
অনলাইন ২০২৫ এমন একটি উদ্যোগ, যা গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে প্রশাসনিক দুর্নীতি ও
হয়রানির হাত থেকে রক্ষা করছে।
দালালদের দৌরাত্ম্যও এখন অনেকটাই কমে গেছে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, এই ডিজিটাল
ব্যবস্থা গ্রামীণ জনগণকেও প্রযুক্তি ব্যবহারে আগ্রহী করে তুলছে। তাই বলতেই হয়
২০২৫ সালে আপনি চাইলে ঘরে বসেই আপনার পরিবারের বয়স্ক সদস্যের জন্য বয়স্ক ভাতার
আবেদন করতে পারবেন, শুধু জানা থাকা চাই প্রক্রিয়াটি কীভাবে সম্পন্ন করতে হয়।
অনলাইনে আবেদন করতে হলে আপনার দরকার হবে:
- জাতীয় পরিচয়পত্র
- জন্ম নিবন্ধন
- ছবি (পাসপোর্ট সাইজ)
- মোবাইল নম্বর
- পরিবার ও আর্থিক তথ্য
অনলাইনে আবেদন করলে রেফারেন্স আইডি বা Tracking Number পাওয়া যায়, যা দিয়ে পরে
তালিকায় নিজের নাম খুঁজে পাওয়া যায়। ২০২৫ সালের জন্য বয়স্ক ভাতা আবেদন অনলাইন
২০২৫পদ্ধতিতে আবেদন আরও সহজ এবং স্বচ্ছ হয়েছে। যেকোনো ভুয়া তথ্য দিলে আবেদন বাতিল
হয়ে যেতে পারে, তাই সাবধানতা জরুরি।
নতুন বয়স্ক ভাতার আবেদন ২০২৫ কবে থেকে শুরু হবে
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা যানতে চান নতুন বয়স্ক ভাতার আবেদন কবে শুরু হবে?
তো প্যারা নাই আজকে আপনাদের জানিয়ে দিবো আবেদন কবে থেকে শুরু হবে? বাংলাদেশে
সামাজিক সুরক্ষা খাতে সরকারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হলো বয়স্ক ভাতা
কর্মসূচি।
প্রতি বছর নতুন আবেদন গ্রহণ করা হয়, এবং এই ভাতার জন্য যারা উপযুক্ত, তারা নিয়ম
মেনে আবেদন করে থাকেন। কিন্তু অনেকেই এখনো জানেন না নতুন বয়স্ক ভাতার আবেদন ২০২৫
কবে থেকে শুরু হবে।
আরো পড়ুন: জরুরী লোন - সহজ কিস্তিতে লোন
এই প্রশ্নটি সাধারণত বছরের শুরুতেই বেশি ঘুরে ফিরে আসে যারা বয়সের নির্ধারিত
সীমা অতিক্রম করেছেন কিংবা যাদের পরিবারের বয়স্ক সদস্য রয়েছেন, তাদের জন্য এটি
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি তথ্য প্রতিবারের মতোই, ২০২৫ সালের জন্য বয়স্ক ভাতার
নতুন আবেদন শুরুর প্রক্রিয়া জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে শুরু হয়েছে।
তবে সরকারিভাবে এটি ঘোষণা করা হয় সমাজসেবা অধিদপ্তর, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ এবং
জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে। এবার জানানো হয়েছে যে, ২০২৫ সালের নতুন আবেদন গ্রহণ শুরু
হয়েছে ৫ জানুয়ারি থেকে এবং এটি চলবে ৩১ মার্চ পর্যন্ত।
এই সময়ের মধ্যে আপনি নিজে কিংবা পরিবারের কাউকে নিয়ে আবেদন করতে পারেন। এখন
প্রশ্ন আসতে পারেএই ঘোষণা কোথায় পাওয়া যায়? এটি সাধারণত ইউনিয়ন পরিষদে নোটিশ
আকারে লাগানো হয়,
জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে প্রদর্শিত হয় এবং সরকার কর্তৃক অনুমোদিত ওয়েবসাইট যেমন
mis.lgd.gov.bd অথবা
dss.gov.bd তেও প্রকাশিত হয়। আপনি চাইলে
ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে গিয়েও এ বিষয়ে সর্বশেষ আপডেট জানতে পারেন।
কিভাবে বয়স্ক ভাতা আবেদন করবেন নিজে, ২০২৫ সালে নতুনভাবে অনেক সুবিধা যুক্ত
হয়েছে আবেদন প্রক্রিয়ায়। উদাহরণস্বরূপ, এবার আবেদনকারীরা সরাসরি অনলাইন
পোর্টালে গিয়ে আবেদন করতে পারবেন, এবং আগের মতো ম্যানুয়াল ফর্মের প্রয়োজন
নেই।
ফলে যারা জানেন নতুন বয়স্ক ভাতার আবেদন ২০২৫ কবে থেকে শুরু হবে, তারা আগেভাগেই
প্রস্তুতি নিতে পারেন এবং আবেদন জমা দিয়ে অপেক্ষায় থাকতে পারেন তালিকায় নাম
ওঠার। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, সরকার এবার গরিব, অবহেলিত ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর
প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে।
যদি আপনি পাহাড়ি অঞ্চল, চরাঞ্চল, বা দুর্গম গ্রামে বসবাস করেন, তাহলে আপনার আবেদন
গ্রহণের অগ্রাধিকার থাকতে পারে বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে সবচেয়ে জরুরি বিষয় হলো
সময়মতো আবেদন জমা দেওয়া। কারণ সময়সীমা পেরিয়ে গেলে আর আবেদন গ্রহণ করা হয়
না।
তাই যাদের কাছে প্রশ্ন ছিল নতুন বয়স্ক ভাতার আবেদন ২০২৫ কবে থেকে শুরু হবে, তারা
জেনে রাখুন ২০২৫ সালের জানুয়ারির ৫ তারিখ থেকে শুরু হয়েছে এবং মার্চের শেষ
সপ্তাহের মধ্যেই আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
আসুন, নিজে সচেতন হই, অন্যকেও সচেতন করি এবং সময়মতো আবেদন করে এই গুরুত্বপূর্ণ
সরকারি সহায়তা নিশ্চিত করি।
এক নজরে দেখে নিন বয়স্ক ভাতা তালিকা ২০২৫
বয়স্ক ভাতার জন্য আবেদন করার পর অনেকেই চিন্তায় পড়ে যান আমার নাম কি তালিকায়
এসেছে? বা ভাতার টাকা কি আমি পাবো?এই প্রশ্নগুলোর উত্তর পেতে হলে আপনাকে জানতে
হবে এক নজরে দেখে নিন বয়স্ক ভাতা তালিকা ২০২৫–এই প্রক্রিয়াটি কেমন।
যারা নতুন আবেদন করেছেন অথবা পুরোনো ভাতা প্রাপকদের তালিকায় নাম এসেছে কিনা জানতে
চান, তাদের জন্য এই তালিকাটি দেখার পদ্ধতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমেই বলি,
বয়স্ক ভাতা তালিকা মানে হচ্ছে যেসব নাগরিক সরকারিভাবে ভাতা পাওয়ার জন্য
নির্বাচিত হয়েছেন,
তাদের নামের একটি প্রকাশিত তালিকা। সরকার প্রতি বছর এই তালিকা হালনাগাদ করে এবং
ইউনিয়ন পরিষদ থেকে শুরু করে জেলা সমাজসেবা অফিস পর্যন্ত তা প্রকাশ করে। ২০২৫
সালের জন্য যে নতুন আবেদনগুলো গ্রহণ করা হয়েছে, তার তালিকা সরকার নির্ধারিত
ওয়েবসাইটে ও স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে।
আপনি যদি নিজে জানতে চান এক নজরে দেখে নিন বয়স্ক ভাতা তালিকা ২০২৫, তাহলে প্রথমে
প্রবেশ করুন https://mis.lgd.gov.bd বা
https://dss.gov.bd ওয়েবসাইটে। এরপর ভাতা
তালিকা বা সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রম নামে একটি বিভাগে গেলে সেখানে
তালিকাগুলো পাওয়া যাবে।
সেখানে জেলা ও উপজেলার নাম সিলেক্ট করে আপনি আপনার ইউনিয়নের তালিকা দেখতে পারবেন।
তালিকায় আপনার নাম খুঁজে পেতে দরকার হবে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) নম্বর বা
আবেদনকৃত Tracking ID।
আপনি যদি আবেদন সঠিকভাবে জমা দিয়ে থাকেন এবং যাচাই-বাছাইয়ে উত্তীর্ণ হন, তবে
আপনার নাম অবশ্যই তালিকায় থাকবে। এছাড়াও, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ অফিসেও প্রিন্ট
কপি আকারে এই তালিকা টানানো হয়।
বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে ইন্টারনেট সুবিধা কম থাকায় অনেকেই সেখানে গিয়ে সরাসরি
তালিকাটি দেখে থাকেন। আপনি চাইলে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারেও গিয়ে কর্মচারীদের
সহযোগিতায় তালিকাটি দেখতে পারেন। তবে মনে রাখবেন, তালিকায় নাম না থাকলেও হতাশ
হওয়ার কিছু নেই।
অনেক সময় তথ্য ভুল থাকলে আবেদন বাতিল হতে পারে, কিংবা আবেদন প্রক্রিয়াধীন
থাকায় নাম প্রকাশ পায়নি। সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদে যোগাযোগ করে
বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া বুদ্ধিমানের কাজ।
২০২৫ সালের জন্য এক নজরে দেখে নিন বয়স্ক ভাতা তালিকা ২০২৫এই তথ্যটি শুধু নাম
দেখার জন্য না, বরং এটি একটি আত্মবিশ্বাসের জায়গাও। কারণ, তালিকায় নাম থাকা মানেই
আপনি সরকারি স্বীকৃত একটি সহায়তার অংশ হতে যাচ্ছেন।
কিভাবে বয়স্ক ভাতা আবেদন করবেন নিজে, এটি শুধু টাকার সাহায্য নয়, বরং একজন
প্রবীণ নাগরিক হিসেবে আপনাকে দেশের পক্ষ থেকে সম্মান প্রদর্শনও। তাই বলতেই হয়
আবেদন করেছেন তো ঠিক আছে, এবার সময় এসেছে আপনার নাম তালিকায় আছে কিনা তা নিশ্চিত
করার।
নিজে দেখুন, অন্যদেরও সাহায্য করুন। একসাথে মিলেই গড়ি সচেতন ও ডিজিটাল বাংলাদেশ।
আবেদন জমা দেয়ার পর প্রার্থীদের নাম এক নজরে দেখে নিন বয়স্ক ভাতা তালিকা ২০২৫–এই
তালিকায় প্রকাশ করা হয়। এই তালিকাটি প্রকাশিত হয় ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে, ওয়েবসাইটে
বা ডিজিটাল সেন্টারে।
যেভাবে অনলাইনে তালিকা দেখতে পারবেন:
- https://mis.lgd.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন
- ভাতা তালিকা বিভাগে ক্লিক করুন
- আপনার NID বা Tracking ID দিয়ে অনুসন্ধান করুন
এভাবে আপনি ঘরে বসেই এক নজরে দেখে নিন বয়স্ক ভাতা তালিকা ২০২৫–এর মাধ্যমে নিজের
নাম খুঁজে নিতে পারবেন।
জেনে নিন বয়স্ক ভাতা কত টাকা করে দেয়
আজকে আমরা জানবো বয়স্ক ভাতার টাকা কত করে দেয় অন্যান্য ওয়েবসাইটে প্রতি মাসের
হিসেব দেওয়া আছে আমরা আপনাদের জানাবো একবারে কত টাকা করে দেয় সরকার। বাংলাদেশে
সরকার পরিচালিত সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও গুরুত্বপূর্ণ
একটি হলো বয়স্ক ভাতা।
এই ভাতাটি প্রতি মাসে দেশের নির্দিষ্ট বয়স অতিক্রম করা প্রবীণ নাগরিকদেরকে আর্থিক
সহায়তা হিসেবে দেওয়া হয়। তবে প্রশ্ন থাকে জেনে নিন বয়স্ক ভাতা কত টাকা করে দেয়?
অনেকেই এই ভাতার পরিমাণ সম্পর্কে বিভ্রান্ত, কেউ ভাবে ৫০০ টাকা, কেউ ভাবে ১৫০০
টাকা।
আরো পড়ুন: পায়খানা না হলে করণীয়
তাই আজ আমরা বিস্তারিত জানবো এই বিষয়ে, যেন আপনি একেবারে নির্ভুল ও পরিষ্কার
ধারণা পান। ২০২৫ সাল পর্যন্ত সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, একজন যোগ্য নাগরিককে প্রতি
মাসে ২,২৫০ টাকা (দুই হাজার দুই শত পঞ্চাশ) টাকা করে বয়স্ক ভাতা দেওয়া
হচ্ছে।
এই পরিমাণ টাকা আগে ছিল ২,০০০ টাকা, ২০২৪ সালের মাঝামাঝি থেকে তা বাড়ানো হয়েছে।
মূলত সরকারের বাজেট বৃদ্ধির ফলে এই সহায়তার পরিমাণেও বৃদ্ধি এসেছে। এই অর্থ
সাধারণত মাসের শুরুতেই দেওয়া হয়,
এবং সরাসরি প্রাপকের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (যেমন
নগদ, বিকাশ, রকেট)-এ পাঠিয়ে দেওয়া হয়। আগে এটি হাতে হাতে বিতরণ করা হতো, কিন্তু
এখন ডিজিটাল লেনদেনের মাধ্যমে টাকা দেওয়া হয়।
এতে করে একদিকে দুর্নীতি কমেছে, অন্যদিকে প্রবীণরা সহজেই ঘরে বসে টাকা পেয়ে
যাচ্ছেন। তবে মনে রাখবেন, কারো কারো ক্ষেত্রে ভাতার পরিমাণ ভিন্ন হতে পারে। যেমন
কেউ যদি বিশেষ কোনো ক্যাটাগরিতে পড়েন (অতিদরিদ্র, অবহেলিত নারী, অনগ্রসর
জনগোষ্ঠী),
তাহলে স্থানীয় প্রশাসনের বিবেচনায় এককালীন অতিরিক্ত সহায়তা বা উৎসব ভাতাও পাওয়া
যায়। এছাড়া কিছু কিছু ক্ষেত্রে নতুন তালিকাভুক্তদের প্রথম মাসে ২ মাসের অর্থ
একত্রে প্রদান করা হয়। এখন অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন এই টাকা দিয়ে কি চলে?
উত্তর হলো, না চলে না, কিন্তু এটা এক ধরনের সামাজিক স্বীকৃতি। রাষ্ট্র প্রবীণ
নাগরিকদের প্রতি যে সহমর্মিতা দেখাচ্ছে, তা এই ভাতার মাধ্যমে প্রকাশ পায়। অনেকে
এই অর্থ দিয়ে ওষুধ কেনেন, কেউ বা নাতি-নাতনিদের জন্য কিছু ছোট উপহার কিনে
দেন।
সবচেয়ে বড় কথা হলো এটি একটি সম্মান, একটি মূল্যায়ন, একজন মানুষের জীবনের শেষ সময়ে
একটু সহানুভূতির হাত। এছাড়া ২০২৫ সালে সরকার বিশেষ ঘোষণা দিয়েছে যে, ভবিষ্যতে
বয়স্ক ভাতার পরিমাণ আরও বাড়ানো হতে পারে।
বাজেট প্রস্তাবে এই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে ২০২৬ সাল নাগাদ তা হয়তো ২৫০০ বা তার
বেশি হতে পারে। তাই, যারা এখনো জানেন না জেনে নিন বয়স্ক ভাতা কত টাকা করে দেয়,
তাদের জন্য সংক্ষেপে বলি এটি বর্তমানে ২,২৫০ টাকা এবং সরাসরি ব্যাংক বা মোবাইলে
আসে, যার পেছনে আছে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সম্মান ও দায়িত্ববোধ।কিভাবে বয়স্ক ভাতা
আবেদন করবেন নিজে।
বয়স্ক ভাতা আবেদনের শেষ তারিখ ২০২৫
বয়স্ক ভাতা পাওয়া যতটা গুরুত্বপূর্ণ, ঠিক ততটাই গুরুত্বপূর্ণ হলো সঠিক সময়ের
মধ্যে আবেদন জমা দেওয়া। কারণ অনেকেই যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও কেবলমাত্র সময়মতো আবেদন
না করায় এই সরকারি সহায়তা থেকে বঞ্চিত হন।
তাই আজ আমরা বিস্তারিত জানবো বয়স্ক ভাতা আবেদনের শেষ তারিখ ২০২৫ সম্পর্কে, যেন
আপনি বা আপনার পরিবারের কেউই আর ভুল না করেন। বাংলাদেশ সরকারের সমাজসেবা অধিদপ্তর
প্রতিবছর জানুয়ারি মাসে নতুন আবেদন গ্রহণ শুরু করে।
২০২৫ সালের জন্যও এর ব্যতিক্রম হয়নি। এবার ৫ জানুয়ারি ২০২৫ থেকে নতুন আবেদন
গ্রহণ শুরু হয়েছে এবং চলবে ৩১ মার্চ ২০২৫ পর্যন্ত। অর্থাৎ আবেদন জমা দেওয়ার জন্য
রয়েছে প্রায় তিন মাসের সময়সীমা। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে যদি আপনি আবেদন না
করেন,
তাহলে আর ঐ বছরের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়া সম্ভব নয়। বয়স্ক ভাতা আবেদনের শেষ
তারিখ ২০২৫ জানার জন্য সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হচ্ছে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ,
উপজেলা সমাজসেবা অফিস, অথবা সরকারের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট dss.gov.bd ও
mis.lgd.gov.bd।
আপনি চাইলে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার থেকেও এই তারিখ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেন।
অনেক সময় স্থানীয় প্রশাসন বিজ্ঞপ্তি আকারে এলাকাবাসীকে জানিয়ে দেয়, বিশেষ করে
যেসব এলাকায় ইন্টারনেট ব্যবহার সীমিত।
এবার আবেদন প্রক্রিয়া হয়েছে সম্পূর্ণ ডিজিটাল। তাই অনলাইনে ফর্ম পূরণ ও স্ক্যান
ডকুমেন্ট আপলোড করে সাবমিট করতে হয়। কিন্তু অনেকে এতোদিন অপেক্ষা করে করেন না বা
ভাবেন সময় তো আছে , অথচ শেষ সপ্তাহে গিয়ে ইন্টারনেট সমস্যা, সার্ভার ডাউন,
বা কাগজপত্র অসম্পূর্ণ থাকার কারণে আবেদন করতে পারেন না। তখন আর কিছু করার থাকে
না। আরও একটি বিষয় খুব গুরুত্বপূর্ণ অনেক সময় সরকার বিশেষ পরিস্থিতিতে সময়সীমা
বাড়িয়ে দেয়। যেমন প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা প্রশাসনিক জটিলতা থাকলে মার্চের পরেও এক
বা দুই সপ্তাহ সময় বাড়ানো হতে পারে।
তবে এসব ক্ষেত্রে অফিসিয়াল ঘোষণা ছাড়া নিজে অনুমান করে বসে থাকা ভুল হবে। বরং
সময়মতো দরকারি কাগজপত্র প্রস্তুত করে আবেদন সম্পন্ন করাই বুদ্ধিমানের কাজ। বয়স্ক
ভাতা শুধু একটি আর্থিক সহায়তা নয়, এটি রাষ্ট্রের তরফ থেকে প্রবীণ নাগরিকদের প্রতি
সম্মানের প্রতীক।
তাই যারা জানেন না বয়স্ক ভাতা আবেদনের শেষ তারিখ ২০২৫, তাদের জন্য বলবো ৩১ মার্চ
২০২৫ এই তারিখটি আপনার ডায়েরি বা ফোন ক্যালেন্ডারে লিখে রাখুন। দেরি না করে
সময়মতো আবেদন জমা দিন। এই ভাতাটি আপনার অধিকার।
আর সেই অধিকার সময়মতো দাবি করতে না পারলে তা অধিকারই থাকে না। সময় থাকতেই নিজে
সচেতন হোন, পরিবারের প্রবীণ সদস্যদের বলুন, প্রয়োজনে তাঁদের হয়ে আপনি নিজে আবেদন
করে দিন।
লেখকের মন্তব্য
আশা করি, আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাদেরকে কিভাবে বয়স্ক ভাতা আবেদন করবেন নিজে
সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা দিতে পেরেছে। যদি এই বিষয়ে আপনাদের কোনো প্রশ্ন থাকে
বা মূল্যবান মতামত জানাতে চান, তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আর আর্টিকেলটি
শেয়ার করে আপনার আত্মীয়স্বজন ও প্রিয়জনদেরও কিভাবে বয়স্ক ভাতা আবেদন করবেন
নিজে বিষয়ে যানার সুযোগ করে দিন। ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url