এই বছরের ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার প্রশ্ন - উত্তরপ্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলটি আমরা লিখেছি মূলত অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স
আবেদন করার নিয়ম, এই বিষয়কে কেন্দ্র করে। সঙ্গে থাকছে অনলাইনে লার্নার ড্রাইভিং
লাইসেন্স করার নিয়ম। সম্পর্কিত অতিরিক্ত তথ্যও, যা পড়লে আপনি পুরো বিষয়টি সহজেই
বুঝতে পারবেন, ইন শা আল্লাহ।
সূচিপত্র: অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন করার নিয়ম
অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন করার নিয়ম
বর্তমান প্রযুক্তি নির্ভর এই সময়ে অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন করার নিয়ম
অনেকটা সহজ হয়ে গিয়েছে। যারা এই প্রযুক্তি নির্ভর বাংলাদেশে এই সময়টাতে
এসে অনলাইনে নতুন ভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে চান অথবা পুরাতন লাইসেন্স নবায়ন
করতে চান।
তাদের জন্য অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়াটি একটি যুগান্তকারী পরিবর্তন। একসময় এই
কাজের জন্য মানে অনলাইন ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য বিআরটিএ অফিসের দীর্ঘ এক লাইনে
দাঁড়িয়ে থাকতে হতো।এমনকি সিরিয়াল শেষ হতো না প্রথম দিন গিয়ে ঘুরেও আসতে
হতো।
অনেক ঝামেলার মুখাপেক্ষী হতে হয়। আর বর্তমান সময়ে ওই একই কাজ
একই ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন এখন ঘরে বসে মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে নিজে
নিজেই করে ফেলা যাচ্ছে। তো কিভাবে শুরু করব আমরা।
শুরু করার জন্য প্রথমে আমাদের একটি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে সেটা
হচ্ছে বি আর টি এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এটা হচ্ছে বি আর টি এর
অফিশিয়াল ওয়েবসাইটের লিংক (
https://bsp.brta.gov.bd/)।
এই লিংকে প্রবেশ করে তারপর ওয়েবসাইটে ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন বিভাগে গিয়ে
সর্বপ্রথম রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন করার সময় প্রথমত আপনাদের
দিতে হবে আবেদনকারীর নাম, তারপর ঠিকানা, এনআইডি নম্বর, মোবাইল
নম্বর, ও ইমেইল ঠিকানা দিতে হবে।
তারপর আপনাদেরকে সাবমিট বাটনে ক্লিক করে সাবমিট করতে হবে
আবেদনটি। এখন আমরা মূল পয়েন্টে আশি সেটি হচ্ছে যে ড্রাইভিং
লাইসেন্স আবেদন করার আগে আমাদের প্রথমে যে কাজটি করতে হয় সেটি হচ্ছে
লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন করতে হবে সর্বপ্রথম।
ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন করার জন্য প্রথমত তিনটি ধাপ রয়েছে এক নম্বর
হচ্ছে লার্নার পারমিট গ্রহণ করা, তারপর ট্রেনিং ও ফাইনাল পরীক্ষা
দেওয়া, তৃতীয় নম্বর ধাপ হচ্ছে মূল ড্রাইভিং লাইসেন্স সংগ্রহ
করা। এছাড়াও ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও ছবি তোলার জন্য নির্ধারিত তারিখে অফিসে যেতে
হবে ।
মেইন কথা বলতে অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন করার নিয়ম জানার মাধ্যমে আপনি
অনেক ঝামেলায় যেতে পারেন। এই পদ্ধতি শুধু আপনার সময় বাচাই না আপনার
হয়রানি থেকে মুক্ত দেয় এবং দুর্নীতিমুক্ত সেবা বা নিশ্চয়তা দেয়।
অনলাইনে লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম
ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন করার আগে আমাদের যেই কাজটি করতে হবে সেটি হচ্ছে আমাদের
জানতে হবে লার্নার কি আসলে লার্নার লাইসেন্সটা আসলে কি? লার্নার ড্রাইভিং
লাইসেন্স হল ড্রাইভিং লাইসেন্স ফর একটি প্রাথমিক একটা পর্যায়।
আপনি যদি মনে করেন যে লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে আপনি আপনার গাড়ি নিয়ে
যেখানে সেখানে ঘুরে বেড়াবেন সেটা কিন্তু কখনোই সম্ভব না। যদি আপনি এই কাজটি
করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে ট্রাফিকের সম্মুখীন হতে হবে ট্রাফিক আপনাকে মামলাও
দিয়ে দিতে পারে।
এই লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স শুধু আপনি প্রশিক্ষণ নেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে
পারবেন তাছাড়া আপনি কখনোই নিজের স্বাধীন মত গাড়ি নিয়ে যেখানে সেখানে যেতে
পারবেন না। লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য আপনার সর্বপ্রথম কমপক্ষে 18
বছর বয়স হতে হবে।
আরো পড়ুন: এই বছরের ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার প্রশ্ন - উত্তর
এবং আপনার এনআইডি থাকতে হবে। প্রথমত আপনাকে ওয়েব সাইটে প্রবেশ করে নতুন
একটি একাউন্ট খুলে নিতে হবে মানে নিবন্ধন করতে হবে এক কথায়।
এখানে আপনি আপনার জন্ম তারিখ এবং এনআইডি নাম্বার দেওয়ার পর ফোন নাম্বার দিতে
হবে ফোন নাম্বার দেওয়ার পর অনুসন্ধান বাটনে ক্লিক করবেন।
অনুসন্ধান বাটনে ক্লিক করার পর আপনার ফোন নাম্বারে একটি ওটিপি কোড পাঠানো
হবে ওটিপি কোড বসানোর পর ওটিপি যাচাই করুন বাটনে ক্লিক করতে হবে। তো
চলুন স্ক্রিনশটে আমরা দেখে নেই।
ওটিপি দিয়ে যাচাই করার পর আপনাদের পরবর্তী স্টেপে দেখাবে উপরে মোবাইল
নাম্বার দেওয়া থাকবে তার নিচে আপনার নাম দেওয়া থাকবে সেখানে ইমেইল দিতে বলবে
এগুলো সব ঠিকঠাক থাকলে আপনাকে পরবর্তী তে ক্লিক করতে হবে।
ক্লিক করার পর আরো একটি ইন্টারফেস আপনাদের সামনে আসবে সেটি হচ্ছে আপনার মোবাইল
নাম্বার উপরে দেওয়া থাকবে তার নিচে বলবে ক্রিয়েট এ পাসওয়ার্ড আপনাকে আপনার
মত করে স্ট্রং একটি পাসওয়ার্ড বেছে নিতে হবে তারপর সেখানে পাসওয়ার্ড বসাতে
হবে।
পাসওয়ার্ড বেছে নেওয়ার পর নেক্সট অপশন বাটনে ক্লিক করবেন মানে সাবমিট বাটনে
ক্লিক করবেন করার পর আপনারা অফিশিয়াল ওয়েবসাইটের ড্যাশবোর্ডে প্রবেশ
করবেন। কাঙ্খিত অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের ড্যাশবোর্ড এর ছবি আমরা নিচে
দিয়েছি আপনারা দেখে নিতে পারেন।
আপনাদের অ্যাকাউন্ট খোলা সম্পূর্ণ হয়ে যাওয়ার পর আপনারা এই ইন্টারফেসে চলে
যাবেন তারপর আপনারা এখান থেকে সকল ধরনের সুবিধা ভোগ করতে পারবেন এ টু জেড
ড্রাইভিং লাইসেন্স থেকে শুরু করে রাইট শেয়ারিং এর যত ধরনের সেবা আছে আপনার
এখান থেকে পেয়ে যাবেন আশা করি বুঝাতে পেরেছি।
ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তির শর্তাবলী ২০২৫
ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন করার জন্য প্রথমে আমাদের যেসব বিষয় জানার জরুরী তার
মধ্যে এক নম্বর বিষয় হচ্ছে তাদের ওয়েবসাইটে গিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে হলে
আমাদের কি কি শর্তাবলী মানতে হবে।
এবং তাদের ওয়েবসাইটে কি কি শর্তাবলী দেওয়া থাকে তো চলুন আমরা দেখে নেই তাদের
ওয়েবসাইটে কি কি শর্তাবলী দেওয়া আছে , প্রথমত ড্রাইভিং লাইসেন্স বা শিক্ষা
নবিশ লাইসেন্স আবেদনের পূর্ব শর্ত ,
-
রেজিস্টার্ড ডাক্তার কর্তৃক মেডিকেল সার্টিফিকেট সর্বোচ্চ ৬০০ কেবি মেডিকেল
সার্টিফিকেটের ফার্মের জন্য
এখানে ক্লিক করুন।
-
জাতীয় পরিচয় পত্র স্ক্যান কপি সর্বোচ্চ ৬০০ কেবি
-
ইউটিলিটি বিল এর স্ক্যান কপি সর্বোচ্চ ৬০০ কেবি { আবেদনকারীর বর্তমান
ঠিকানা এবং জাতীয় পরিচয় পত্রের ঠিকানা যদি ভিন্ন হয় তবে বর্তমান
ঠিকানার ইউটিলিটি বিল সংযুক্ত করতে হবে}
-
শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদের স্ক্যান কপি সর্বোচ্চ ৬০০ কেবি{ কমপক্ষে অষ্টম
শ্রেণী পাস হতে হবে}
-
একজন গ্রাহক বা বিএসপি ব্যবহারকারী একবার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য
আবেদন করতে পারবে।
-
গ্রাহকের বর্তমান ঠিকানায় উল্লেখিত থানার উপর ভিত্তি করে ড্রাইভিং লাইসেন্স
আবেদন সংশ্লিষ্ট বি আর টি এ সার্কেল অফিসের আওতাধীন হবে।
-
গ্রাহক অনলাইনে আবেদনের বাংলা ও ইংরেজিতে নির্ভুলভাবে তথ্য যথাযথভাবে পূরণ
করতে হবে।
-
অনলাইনে আবেদন দাখিলের সময় ভুয়া তথ্য প্রদান করা হলে তার স্মার্ট ড্রাইভিং
লাইসেন্স বাতিলসহ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এগুলো শর্ত যদি আপনি মেনে নিতে পারেন তাহলে নিচে দেখবেন আমি সম্মত নামে
একটি বাটন পেয়ে যাবেন সেখানে ক্লিক করে দিবেন। তো চলুন আমরা
স্ক্রিনশটে দেখে নিই।
এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে আমি সম্মত বাটনে ক্লিক করার পর অনেক সময়
দেখা যায়। উপরে নোটিফিকেশন চলে আসে যে আপনার অ্যাকাউন্টটি পরিপূর্ণ হয়নি
এনআইডি ভেরিফাই সম্পন্ন করতে হবে।
তো আপনি একাউন্টের মধ্যে ঘেটে দেখবেন যে একাউন্ট কোথায় বা প্রোফাইল
কোথায় প্রোফাইলে প্রবেশ করার পর সেখানে আপনার এনআইডি অনুসারে তথ্য দিয়ে
একাউন্টটি ভেরিফাই করে নিতে হবে তারপর আপনি পরবর্তী কাজগুলো এখানে করতে পারবেন
কোন সমস্যা হবে না।
ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে যে সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগবে
ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে হলে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র অবশ্যই
জমা দিতে হয়। প্রথমত, জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধন সনদ অত্যাবশ্যক।
দ্বিতীয়ত, পাসপোর্ট সাইজের ছবি, রক্তের গ্রুপ সংবলিত মেডিকেল সার্টিফিকেট, এবং
ঠিকানা প্রমাণের দলিল দিতে হয়।
যদি আপনি মোটরসাইকেলের জন্য আবেদন করেন তবে বাইক চালানোর সক্ষমতা দেখানোর জন্য
প্রশিক্ষণ সনদও প্রয়োজন হতে পারে। অনেক সময় বিআরটিএ নির্দিষ্ট শিক্ষাকেন্দ্র
থেকে প্রশিক্ষণ নেওয়ার পরামর্শ দেয়।
অনলাইনে আবেদন করার সময় এইসব ডকুমেন্ট স্ক্যান করে আপলোড করতে হয়। তাই কাগজপত্র
আগে থেকেই প্রস্তুত রাখা গুরুত্বপূর্ণ। ভুল বা অসত্য তথ্য দিলে আবেদন বাতিল হতে
পারে।
মোটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন করার নিয়ম
এখন আসি মোটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন করার নিয়ম এ বিষয় নিয়ে কথা বলতে
গেলে প্রথমে যে বিষয়টি আমাদের লক্ষ্য করতে হবে সেটি হচ্ছে মোটরসাইকেল ড্রাইভিং
লাইসেন্স আবেদন করা অন্যান্য যানবাহনের তুলনায় সহজ হলেও কিছু বিশেষ শর্ত
থাকে।
আপনাকে অবশ্যই কমপক্ষে ১৮ বছর বয়স হতে হবে এবং একটি বৈধ এনআইডি থাকতে হবে
বাধ্যতামূলক। তারপর অনলাইনে গিয়ে মোটরসাইকেল অপশন বেছে নিয়ে ফরম পূরণ করে
প্রাথমিক আবেদন করতে হয়।
এরপর আপনাকে ট্রেনিং নিয়ে একটি প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে।পরীক্ষায়
উত্তীর্ণ হয়ে গেলে আপনি একটি লার্নার পারমিট পাবেন এবং পরে লাইসেন্সের জন্য
ফাইনাল পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন।
এটি উল্লেখ খুঁজে মোটরসাইকেল চালানোর জন্য হেলমেট বাধ্যতামূলক এবং লাইসেন্স না
থাকলে আইন অনুযায়ী জরিমান দিতে হবে।
অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন ফি কত
অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন করতে চাই এবং করার আগে তারা কনফিউজ থাকে যে
অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন করতে কত টাকা লাগতে পারে তো আমরা সরকারি
ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা অনলাইন ড্রাইভিং লাইসেন্স এর আবেদন ফি কত।
এটা নিয়ে নিচে কয়েকটি স্ক্রিনশট এর উপর দেখিয়ে দেবো তো কোন টেনশন নেই চলুন
আমরা স্ক্রিনশট ফলো করে দেখে নেই যে অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন করতে কত
টাকা ফ্রি লাগবে।
উপরেতে স্ক্রিনশটে অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স এর আবেদন ফ্রি কত এগুলো সব কিছু
দেখানো আছে আপনারা উপরে স্ক্রিনশট ফলো করে দেখে নিতে পারেন।
ড্রাইভিং লাইসেন্স অনলাইন আবেদন
বর্তমানে ড্রাইভিং লাইসেন্স অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া বাংলাদেশে একটি যুগান্তকারী
ডিজিটাল উদ্যোগ হিসেবে পরিচিত। বিআরটিএ (বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি) এখন
প্রায় সব ধরনের ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য অনলাইন আবেদন গ্রহণ করছে।
ফলে আপনি ঘরে বসেই আবেদন করতে পারেন, সময় ও খরচ দুটোই বাঁচে। এই অনলাইন আবেদন
প্রক্রিয়ার জন্য প্রথমে আপনাকে যেতে হবে বিআরটিএর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে (
https://bsp.brta.gov.bd)।
ওয়েবসাইটে গিয়ে ‘Driving Licence Application’ সেকশনে ক্লিক করে আপনি
রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। রেজিস্ট্রেশনের সময় আপনাকে আপনার নাম, এনআইডি নম্বর,
জন্মতারিখ, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, ও ইমেইল ঠিকানা প্রদান করতে হবে।
এরপর আবেদন ফর্ম পূরণ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যেমনঃ ছবি, মেডিকেল ফিটনেস
সার্টিফিকেট, এনআইডি স্ক্যান কপি ইত্যাদি আপলোড করতে হয়। আবেদন করার সময় আপনি
লাইসেন্স ক্যাটাগরি (যেমনঃ মোটরসাইকেল, প্রাইভেট কার, হেভি ট্রাক ইত্যাদি)
নির্বাচন করতে পারবেন।
ফি অনলাইনে বিকাশ, নগদ, রকেট বা ব্যাংক কার্ডের মাধ্যমে সহজেই প্রদান করা যায়।
আবেদন জমা দেওয়ার পর আপনি ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও ছবি তোলার জন্য নির্দিষ্ট তারিখে
বিআরটিএ অফিসে যাবেন। এরপর একটি লিখিত ও ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে আপনি
মূল ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে পারবেন।
আরো পড়ুন: জরুরী লোন - সহজ কিস্তিতে লোন - ৫ লক্ষ পর্যন্ত
ড্রাইভিং লাইসেন্স অনলাইন আবেদন শুধু সময় সাশ্রয় করে না, বরং দুর্নীতি ও
দালালের ঝামেলা থেকেও আপনাকে রক্ষা করে। সঠিকভাবে নিয়ম মেনে আবেদন করলে আপনি
সহজেই ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে পারবেন।
ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন ফর্ম
অনলাইনে আবেদন করতে হলে প্রথম যে বিষয়টি প্রয়োজন হয় তা হলো ড্রাইভিং লাইসেন্স
আবেদন ফর্ম। এই ফর্মটি হল মূল ডেটা এন্ট্রি পোর্টাল যেখানে আপনি আপনার সকল
প্রয়োজনীয় তথ্য সাবমিট করেন। ফর্মটি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে পূরণ করতে হয় কারণ
এখানে দেওয়া প্রতিটি তথ্যই লাইসেন্স প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত হয়।
ফর্মে প্রথমেই প্রার্থীর ব্যক্তিগত তথ্য যেমনঃ নাম, পিতার নাম, মাতার নাম,
জন্মতারিখ, লিঙ্গ ও রক্তের গ্রুপ দিতে হয়। এরপর যোগাযোগের ঠিকানা ও স্থায়ী
ঠিকানা দিতে হয়। তারপর যানবাহনের ধরণ নির্বাচন করতে হয় – আপনি কোন ক্যাটাগরির
লাইসেন্স চাচ্ছেন সেটা নির্ধারণ করা গুরুত্বপূর্ণ।
(যেমনঃ মোটরসাইকেল, প্রাইভেট কার, হেভি ভেহিকেল ইত্যাদি)। ড্রাইভিং লাইসেন্স
আবেদন ফর্ম এ ছবি, এনআইডি নম্বর, মেডিকেল ফিটনেস তথ্য, এবং আবেদনকারীর
স্বাক্ষরও দিতে হয়। কিছু ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতার তথ্য বা প্রশিক্ষণ সনদপত্র
দিতে বলা হতে পারে।
ফর্ম পূরণের সময় খুব সতর্ক থাকা দরকার। যেকোনো ভুল তথ্য ভবিষ্যতে জটিলতা সৃষ্টি
করতে পারে। সিস্টেমে সাবমিট করার আগে প্রিভিউ দেখে নিশ্চিত হয়ে নেওয়াই ভালো।
আবেদন জমা দেওয়ার পর আপনি একটি Tracking ID পাবেন যার মাধ্যমে আপনার আবেদন
স্ট্যাটাস চেক করতে পারবেন।
অনলাইনে এই ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন ফর্ম পূরণ করে আপনি সহজেই বিআরটিএ এর
ডিজিটাল সেবার সুবিধা নিতে পারেন, যা সময় বাঁচায় এবং প্রক্রিয়া স্বচ্ছ রাখে।
অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন করার নিয়ম ২০২৫ নিয়ে শেষ কথা
আজকের আর্টিকেল থেকে নিশ্চয়ই আপনি অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পেয়েছেন। প্রযুক্তির বদৌলতে এখন এই প্রক্রিয়া অনেক সহজ ও স্বচ্ছ হয়েছে।
যারা নতুন আবেদন করতে যাচ্ছেন, তারা অবশ্যই নির্দেশনাগুলো ভালোভাবে অনুসরণ করুন এবং নির্ভুল তথ্য প্রদান করুন। সঠিকভাবে আবেদন করলে আপনি দ্রুত এবং সহজে লাইসেন্স পেয়ে যাবেন।
People Also Ask
অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার নিয়ম কী?
brta.gov.bd ওয়েবসাইটে
গিয়ে ‘DL Search’
অপশনে
গিয়ে
লাইসেন্স
নম্বর
লিখলেই
চেক
করা
যায়।
ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে কত দিন লাগে?
সাধারণত
২০-৩০
কার্যদিবসের
মধ্যে
পেতে
পারেন,
তবে
সময়
অফিসভেদে
ভিন্ন
হতে
পারে।
বাংলাদেশে ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফি কত?
মোটরসাইকেল
ও
প্রাইভেট
গাড়ির
জন্য
মোট
ফি
৩০০০
টাকার
মতো
হতে
পারে।
প্রশ্ন-উত্তর
সেকশন
প্রশ্ন: অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন করলে কি দালালের প্রয়োজন নেই?
উত্তর:
না,
সম্পূর্ণ
প্রক্রিয়া
এখন
অনলাইনে
হওয়ায়
দালালের
কোনো
প্রয়োজন
নেই।
প্রশ্ন: মেডিকেল ফিটনেস কিভাবে দিতে হয়?
উত্তর:
সরকার
অনুমোদিত
চিকিৎসকের
কাছ
থেকে
মেডিকেল
সার্টিফিকেট
নিয়ে
স্ক্যান
করে
আবেদন
ফর্মের
সাথে
যুক্ত
করতে
হয়।
প্রশ্ন: আবেদন বাতিল হলে কী করবো?
উত্তর:
ভুল
সংশোধন
করে
পুনরায়
আবেদন
করতে
পারবেন
অথবা
বিআরটিএ
অফিসে
সরাসরি
যোগাযোগ
করতে
পারেন।
লেখকের মন্তব্য
আশা করি, আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনারা অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন
করার নিয়ম সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পেয়েছেন। যদি এই বিষয়ে আপনাদের কোনো
প্রশ্ন থাকে বা মূল্যবান মতামত জানাতে চান, তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
আর আর্টিকেলটি শেয়ার করে আপনার আত্মীয়স্বজন ও প্রিয়জনদেরও অনলাইনে ড্রাইভিং
লাইসেন্স আবেদন করার নিয়ম জানার সুযোগ করে দিন। ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url