বিদেশে উচ্চশিক্ষা ও স্কলারশিপ পাওয়ার যোগ্যতা সম্পর্কে জানুন

ফাইবার মার্কেটপ্লেস থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায়আপনি যদি বিদেশে উচ্চশিক্ষা ও স্কলারশিপ পাওয়ার যোগ্যতা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্যই। আজকের আর্টিকেলে বিদেশে পড়াশোনা নিয়ে আমাদের যত ভুল ধারণা এবং সরকারি স্কলারশিপ পাওয়ার এ টু জেড গাইডলাইন এ সকল বিষয় নিয়ে থাকছে আজকের আর্টিকেলের মূল আলোচনা।
বিদেশে-উচ্চশিক্ষা-ও-স্কলারশিপ-পাওয়ার-যোগ্যতা-সম্পর্কে-জানুন
সূচিপত্র: বিদেশে উচ্চশিক্ষা ও স্কলারশিপ পাওয়ার যোগ্যতা সম্পর্কে জানুন  

বিদেশে উচ্চশিক্ষা ও স্কলারশিপ পাওয়ার যোগ্যতা সম্পর্কে জানুন

আপনি কি বৃত্তি নিয়ে বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী? বিদেশের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা ফুলব্রাইট স্কলারশিপ নিয়ে পড়াশোনা করছেন, তারা কীভাবে আবেদন করেছেন, কী প্রক্রিয়া অনুসরণ করেছেন তা জানতে চান? তাহলে এই আর্টিকেল আপনার জন্য। 

উচ্চশিক্ষার জন্য বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের প্রথম পাঁচটি পছন্দের দেশ হলো যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি এবং কানাডা। এছাড়া পৃথিবীর অনেক দেশ রাষ্ট্রীয়ভাবে বৃত্তি প্রদান করে থাকে। হাঙ্গেরি, চায়না, জাপান কিংবা কমনওয়েলথ স্কলারশিপের মতো রাষ্ট্রীয় বৃত্তির অনেকগুলিই বাংলাদেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আবেদন করা যায়। 

স্কলারশিপ নিয়ে বাইরে পড়াশোনা করতে আগ্রহী এমন শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাংলাদেশে দিনদিন বাড়লেও দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশের তুলনায় তা খুবই কম। এর একটি বড় কারণ আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণার অভাব। এই প্রক্রিয়া সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকলেই আপনি কোনো এজেন্সির সাহায্য ছাড়াই নিজের চেষ্টায় একটি ভালো বৃত্তি পেতে পারেন। 
একেক দেশে বৃত্তির জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতার ধরন একেক রকম। তাই প্রথমেই জেনে নিতে হবে কোন দেশে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তির জন্য আপনি আবেদন করতে চান। এক্ষেত্রে আপনার একটি বড় তথ্যকেন্দ্র হলো বিভিন্ন দেশের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট। নানা দেশের বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোর ওয়েব সাইটেও প্রতি বছরের বৃত্তির তথ্য দেয়া থাকে। 

আপনি চাইলে সরাসরি এসব দূতাবাসে যোগাযোগ করেও তাদের রাষ্ট্রীয় বৃত্তি গুলো সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন। আরেকটি বড় তথ্যভান্ডার হলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের ওয়েব সাইট। প্রত্যেকটি বৃত্তির জন্যই আবেদন করার একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা থাকে। 

তাই আগে থেকেই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করে রাখলে ঐ সময়সীমার মধ্যে সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সহজ হয়। মেয়াদ সম্পন্ন পাসপোর্ট। আগের সব পরিক্ষার ট্রান্সক্রিপ্ট ও সার্টিফিকেট। ভাষাগত দক্ষতার সার্টিফিকেট। অনেক দেশে এসব ডকুমেন্টসের নোটারি করা কাগজপত্র চায়। 

আবার যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে নোটারি করার দরকার নেই। পাঁচটি বিষয়। যে দেশে যাবেন সে দেশের ভাষা জানা থাকলে এটি আপনার বৃত্তি পাবার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। আয়েল্টস বা টোফেলের মতো পরীক্ষাগুলোতে ভালো স্কোর থাকাটা একটা প্লাস পয়েন্ট। 

ইউরোপের বিভিন্ন দেশ যেমন জার্মানি বা ফ্রান্সের মতো দেশে ওই দেশের ভাষা দক্ষতা সংশ্লিষ্ট পরীক্ষায় ভালো স্কোর থাকতে হবে। এমন নয় যে বাইরের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃত্তি গুলো শুধু ক্লাসের রোল নম্বর এক রাই পায়। সর্বোচ্চ নম্বরধারী না হলেও সব পরীক্ষায় মোটামুটি ভালো সিজিপিএ থাকলে বৃত্তি পাবার সম্ভাবনা বেশি থাকে। 

যারা বৃত্তি পেয়েছেন তারা কিন্তু এ বিষয়টির ওপর বেশ জোর দিচ্ছেন। ভালো কোনো জার্নালে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নিজের লেখা ছাপানো কিংবা পড়াশোনার পাশাপাশি কোনো গঠনমূলক কাজ করার অভিজ্ঞতা। এগুলোকে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও খুব গুরুত্বের সাথে দেখে। আপনি যে বিষয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য আবেদন করছেন, সেই বিষয় সংক্রান্ত কোন কাজের অভিজ্ঞতা কিংবা পাবলিকেশন্স এক্ষেত্রে আপনার বৃত্তি পাবার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেবে। 

বিদেশে উচ্চশিক্ষা ও স্কলারশিপ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃত্তি পাবার জন্য স্টেটমেন্ট অফ পারপাস বা কেন আমি ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চাই তা ব্যাখ্যা করে একটি চিঠি লিখতে হয়। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যারা ইতোমধ্যে বৃত্তি পেয়েছেন তারা এই লেটারটি লেখার ক্ষেত্রে যথেষ্ট সৃজনশীল হবার পরামর্শ দিচ্ছেন। 

বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এ লেটার লেখার স্যাম্পল এবং নির্দেশনা দেয়া থাকে। হুবহু সেই স্যাম্পল না লিখে নিজের পড়াশোনার ইতিহাস। কাজের অভিজ্ঞতা অনুসারে আপনার স্বল্পমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গুছিয়ে লিখুন। অনেক ক্ষেত্রেই বিদেশে ভর্তির জন্য আগের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের রিকমেন্ডেশন লেটার দরকার হয়। 

এই লেটারের ভাষা যদি আর দশজন আবেদনকারীর মতোই হয় তাহলে কিন্তু আপনার বৃত্তি পাবার সম্ভাবনা কমে যাবে। তাই আপনি যে শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে পড়েছেন তাকে যথেষ্ট সময় দিয়ে একটি ভালো রিকমেন্ডেশন লেটার লিখিয়ে নিন। 

আপনার মতো হাজার শিক্ষার্থী একই সঙ্গে একই বৃত্তির জন্য আবেদন করছে। তাই আবেদনের প্রতিটি ধাপে নিজের সৃজনশীলতাকে কাজে লাগান। আপনি যত ভালোভাবে আপনার কাঙ্ক্ষিত বিশ্ববিদ্যালয়ে আপনার সাবজেক্টে ফান্ডিং এর পরিমাণ ও যারা পড়াচ্ছেন এসব সম্পর্কে বিস্তারিত জানবেন ততই ভালোভাবে বৃত্তির আবেদন করতে পারবেন। 

তাই ভালোভাবে সময় নিয়ে গুছিয়ে পরিকল্পনা করুন। আর যারা আগে আপনার কাঙ্ক্ষিত বৃত্তির জন্য আবেদন করেছেন বা সফল হয়েছেন তাদের অভিজ্ঞতা জেনে নিন। বৃত্তির আবেদন থেকে শুরু করে ভর্তি প্রক্রিয়া এটি বেশ দীর্ঘ ও ক্লান্তিকর প্রক্রিয়া। তবে ধৈর্য নিয়ে ঠিক সময়ের মধ্যে সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করলে আপনিও পেতে পারেন আপনার কাঙ্ক্ষিত বিশ্ববিদ্যালয়ে বিনামূল্যে পড়ার সুযোগ।

বিদেশে পড়াশোনা নিয়ে আমাদের যত ভুল ধারণা

অনেক স্টুডেন্টদের বিদেশে পড়াশোনা করা নিয়ে নানা ধরনের কনফিউশন থাকে। যেমনঃ বিদেশে পড়াশোনার খরচ কত? আয়েল্টস-এ কত স্কোর লাগবে? সিজিপিএ কতটা গুরুত্বপূর্ণ? বিদেশে গিয়ে কী ধরনের সমস্যা ফেস করতে হয়? এসব বিষয় নিয়েই আজকের আর্টিকেল।

বিদেশে পড়াশোনার খরচ কি অনেক বেশি?

উত্তর হবে- হ্যাঁ এবং না দুটোই।

যদি ফুল স্কলারশিপ পাওয়া যায়, তাহলে অনেক ক্ষেত্রেই টিউশন ফি দিতে হয় না, এমনকি কিছু ক্ষেত্রে স্কলারশিপের টাকাই বাড়তি থেকে যায়। যদি স্কলারশিপ ছাড়া পড়াশোনা করা হয়, তবে খরচ অনেক বেড়ে যায়। যেমন
  • একটি মাস্টার্স প্রোগ্রামে ৪০-৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।
  • কিছু দেশে খরচ ১-১.৫ কোটি টাকা পর্যন্তও যেতে পারে।
  • আন্ডারগ্র্যাড প্রোগ্রামে ২০-৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।
খরচ নির্ভর করে কোন দেশে যাচ্ছেন, কোন ইউনিভার্সিটিতে পড়ছেন, কোন প্রোগ্রামে ভর্তি হচ্ছেন এবং স্কলারশিপ পাচ্ছেন কিনা তার উপর। ইউরোপের অনেক দেশে (যেমন সুইডেন, ফিনল্যান্ড) ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টদের জন্য ভালো স্কলারশিপ পাওয়া যায়। 

বিশেষ করে STEM ফিল্ডে (Science, Technology, Engineering, Math) স্কলারশিপের সুযোগ তুলনামূলক বেশি। তবে Arts বা Humanities-এ সুযোগ তুলনামূলক কম।
তাই রিসার্চ করে জানতে হবে
  • কোন দেশে কী ধরনের স্কলারশিপ আছে
  • ইউনিভার্সিটি লেভেলে কী সুবিধা দেওয়া হয়
  • সরকারি স্কলারশিপ আছে কিনা
  • প্রোগ্রামভিত্তিক কী সুযোগ পাওয়া যায়
সঠিক রিসার্চ করলে খরচ অনেকটাই কমানো সম্ভব।

বিদেশে পড়তে গেলে সিজিপিএ কতটা গুরুত্বপূর্ণ?

সিজিপিএ অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। যত বেশি CGPA থাকবে, একাডেমিক প্রোফাইল তত শক্তিশালী হবে। তবে কম CGPA থাকলেও বিদেশে পড়াশোনা সম্ভব।
  • অনেকে ২.২-২.৩ CGPA নিয়েও বিদেশে পড়তে গেছেন।
  • আবার অনেকের উচ্চ CGPA থেকেও স্কলারশিপ বা ভর্তি হয়নি।
Safe CGPA: কমপক্ষে ৩.০ থাকলে ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। তবে কোন CGPA নিয়ে কোন দেশে ও কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করবেন সেটা বুঝে নিতে হবে।বিদেশে উচ্চশিক্ষা ও স্কলারশিপ।

শুধু IELTS থাকলেই হবে কি?

IELTS মূলত একটা এন্ট্রি রিকোয়ারমেন্ট। বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যূনতম IELTS স্কোর থাকে। সেটা পূরণ করলেই যথেষ্ট।

তবে অ্যাপ্লিকেশন প্রসেসে শুধু IELTS না, আরও অনেক কিছু জরুরি:
  • Statement of Purpose (SOP)
  • Recommendation Letters
  • Academic Transcripts
  • Research Experience (Masters/PhD-এর জন্য)
  • CV / Job Experience
IELTS একা আপনার ভর্তি বা স্কলারশিপ নির্ধারণ করে না, বরং পুরো প্রোফাইল গুরুত্বপূর্ণ।

বিদেশে একা গিয়ে জীবন কতটা সহজ বা কঠিন?

বিদেশে থাকা মোটেও সহজ না, বিশেষ করে প্রথম দিকে।
  • একা একা সব কাজ নিজে করতে হয় (কেনাকাটা, রান্না, ব্যাংকের কাজ ইত্যাদি)।
  • নতুন দেশের নিয়ম-কানুন, সংস্কৃতি, ভাষা মানিয়ে নিতে সময় লাগে।
তবে এর অনেক পজিটিভ দিকও আছে
  • স্বাধীনভাবে চলতে শেখা
  • নতুন সংস্কৃতি ও মানুষের সাথে পরিচয়
  • নিজেকে অলরাউন্ডার ও ইনডিপেনডেন্ট হিসেবে গড়ে তোলা
শুরুতে চ্যালেঞ্জিং হলেও পরবর্তীতে এটা অনেক বড় শেখার অভিজ্ঞতা হয়ে দাঁড়ায়।

ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিং কতটা গুরুত্বপূর্ণ?

র‍্যাঙ্কিং গুরুত্বপূর্ণ হলেও এটা একমাত্র বিষয় না।
  • হ্যাঁ, টপ র‍্যাঙ্কড ইউনিভার্সিটিতে পড়লে মানসম্পন্ন শিক্ষা ও রিসার্চ সুবিধা পাওয়া যায়।
  • তবে শুধু র‍্যাঙ্ক দেখে সিদ্ধান্ত নিলে ভুল হতে পারে। যেমন হয়তো ক্যাম্পাস পরিবেশ বা ফ্যাকাল্টি সাপোর্ট আপনার ভালো লাগবে না।
সঠিক কৌশল:
  • কয়েকটা টপ র‍্যাঙ্কড (Top 100) ইউনিভার্সিটিতে আবেদন করুন।
  • কয়েকটা মিড র‍্যাঙ্কড (Top 500 পর্যন্ত) ইউনিভার্সিটিতে আবেদন করুন।
  • কয়েকটা লো র‍্যাঙ্কড ইউনিভার্সিটিতেও আবেদন রাখুন, যাতে সিলেক্ট হওয়ার সুযোগ নিশ্চিত থাকে।

পার্ট টাইম কাজ করা যায় কি?

হ্যাঁ, তবে সীমিতভাবে।
  • সাধারণত সপ্তাহে ২০ ঘণ্টার বেশি কাজ করার অনুমতি দেওয়া হয় না।
  • এর বেশি করলে স্টুডেন্ট ভিসার কাজের পারমিট বাতিল হতে পারে।
  • পড়াশোনার পাশাপাশি অতিরিক্ত কাজ করলে একাডেমিক পারফরম্যান্স ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

বিদেশি ডিগ্রি দেশে জব প্রস্পেক্ট বাড়ায় কি?

এটা নির্ভর করে ফিল্ড অনুযায়ী।
  • একাডেমিক ফিল্ডে (যেমন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা) বিদেশি ডিগ্রি খুবই জরুরি।
  • BBA/MBA-এর মতো ফিল্ডে দেশে পড়েও ভালো চাকরি পাওয়া সম্ভব।
  • সামগ্রিকভাবে বিদেশি ডিগ্রি দেশে জব মার্কেটে একটা বাড়তি সুবিধা দেয়।
লোকাল ভাষা জানা কতটা দরকার?
দেশভেদে আলাদা।
  • জার্মানি, চায়না, কোরিয়ার মতো দেশে লোকাল ভাষা জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
  • ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ালেও বাইরে দৈনন্দিন কাজে লোকাল ভাষা জানা দরকার হয়।
  • কমপক্ষে ইন্টারমিডিয়েট লেভেল শেখা ভালো।
নতুন কালচারের সাথে মানিয়ে নেওয়া
  • বিদেশি দেশের ভালো দিকগুলো শেখা ও গ্রহণ করা উচিত।
  • তবে যেগুলো আপনার সাথে মানায় না, সেটা জোর করে মানতে হবে না।
  • সবসময় রেসপেক্টফুল, ইনক্লুসিভ হয়ে চলা জরুরি।
  • মনে রাখতে হবে, আপনি দেশের প্রতিনিধি হিসেবে যাচ্ছেন।
ক্রেডিট ট্রান্সফার করলে কি সময় নষ্ট হয়?
বাংলাদেশের ইউনিভার্সিটি থেকে খুব বেশি ক্রেডিট সাধারণত অ্যাকসেপ্ট করা হয় না। ফলে অনেক সময় একটা বছর বা তার বেশি লস হয়ে যায়।
  • ফার্স্ট/সেকেন্ড ইয়ারে হলে ক্রেডিট ট্রান্সফার কিছুটা কাজের হতে পারে।
  • থার্ড ইয়ার বা ফাইনাল ইয়ারে এটা করলে বড় ক্ষতি হতে পারে।
তাই ক্রেডিট ট্রান্সফার করার আগে অবশ্যই বুঝে নিতে হবে কত ক্রেডিট অ্যাকসেপ্ট হচ্ছে।

অনার্স নাকি মাস্টার্সের জন্য যাওয়া ভালো?
  • অনার্সের জন্য ইউএসএ, ইউকে, মালয়েশিয়া ইত্যাদি দেশে ভালো প্রোগ্রাম পাওয়া যায়।
  • মালয়েশিয়ায় অনেক ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ব্রাঞ্চ আছে, যেখানে অনেক বাংলাদেশি পড়তে যায়।
  • মাস্টার্স বা পিএইচডির জন্যও ব্যাপক সুযোগ আছে।
তবে কোন লেভেলে যাওয়া আপনার জন্য ভালো হবে, সেটা নির্ভর করবে আপনার ব্যাকগ্রাউন্ড ও ক্যারিয়ার প্ল্যানের উপর।বিদেশে উচ্চশিক্ষা ও স্কলারশিপ।

বিদেশে সরকারি স্কলারশিপ পাওয়ার A to Z গাইডলাইন

অনেকেই সরকারি স্কলারশিপ পাওয়ার স্বপ্ন দেখেন এবং এর জন্য চেষ্টা করেন। কিন্তু প্রপার গাইডলাইন না থাকার কারণে অনেকের স্বপ্নভঙ্গ হয়। কেউ কেউ আবার স্কলারশিপ পাওয়ার দ্বারপ্রান্তে গিয়ে হোচট খান। যেহেতু আমি একজন সরকারি স্কলার, তাই ভাবলাম একটা প্রপার গাইডলাইন শেয়ার করি। 
বিদেশে-সরকারি-স্কলারশিপ-পাওয়ার-A to Z-গাইডলাইন
যার মাধ্যমে আপনারা হতে পারেন নেক্সট সরকারি স্কলার। এই আর্টিকেলে আমি পাঁচটি ধাপে কিভাবে একদম স্ক্র্যাচ থেকে শুরু করে স্কলারশিপ পাওয়ার আগ পর্যন্ত আপনার জার্নি হবে তা তুলে ধরার চেষ্টা করব।

ধাপ ১: মাইন্ডসেট তৈরি

প্রথম ধাপ হচ্ছে মাইন্ডসেট।
  • আপনার মাইন্ডসেট করতে হবে যে আপনি বিদেশে পড়াশোনা করবেন এবং সেটা হবে ফুল ফ্রি স্কলারশিপে।
  • এই মাইন্ডসেট আপনাকে এনর্জেটিক ও মোটিভেটেড রাখবে।
  • তাই চিন্তা করতে হবে SSC, HSC কিংবা অনার্স লেভেলে যেন আপনার রেজাল্ট ভালো হয়।
স্কলারশিপের জন্য ন্যূনতম শর্ত:
  • একাডেমিক রেজাল্ট কোনোভাবেই 70% এর নিচে নামা যাবে না।
  • অন্তত 70% এর উপরে থাকলে সম্ভাবনা অনেক বেশি।
  • ভবিষ্যতের জন্য IELTS পরীক্ষার প্রস্তুতি রাখবেন। বর্তমানে কয়েকটি সরকারি স্কলারশিপে IELTS ছাড়া আবেদন করা যায়, তবে আগামী কয়েক বছরে সেটা সম্ভব নাও হতে পারে।

ধাপ ২: ডকুমেন্ট সংগ্রহ ও সত্যায়ন

বিদেশে পড়াশোনার জন্য ডকুমেন্ট সংগ্রহ করতে হবে।
  • পাসপোর্ট: স্কলারশিপের জন্য আবেদন করার অন্তত এক বছর আগে পাসপোর্ট তৈরি করুন।
  • একাডেমিক ডকুমেন্টস: SSC, HSC বা অনার্সের সার্টিফিকেট, মার্কশিট ও টেস্টিমোনিয়াল সংগ্রহ করুন।
  • রিকমেন্ডেশন লেটার: কলেজ/ইউনিভার্সিটির ২-৩ জন প্রফেসরের কাছ থেকে নিন।
  • লোকাল আইডি: জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) ও জন্ম সনদ (Birth Certificate) সংগ্রহ করুন।
  • অতিরিক্ত ডকুমেন্টস: পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের মতো কাগজপত্র কিছু ক্ষেত্রে দরকার হয় (যেমন চায়নিজ স্কলারশিপের জন্য)।
সত্যায়ন প্রক্রিয়া:
  • প্রথমে বোর্ড থেকে সত্যায়ন করুন।
  • এরপর শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে অ্যাটেস্ট করান।
  • কিছু ক্ষেত্রে শুধু নোটারি করলেই হয়।
প্রস্তুতি:
  • মূল সার্টিফিকেট ও মার্কশিটের ৪-৫ কপি অ্যাটেস্টেড রাখুন।
  • নোটারির জন্য অন্তত ২ কপি রাখুন।
  • কিছু দেশে (যেমন রাশিয়া) ডকুমেন্টস ট্রান্সলেট করতে হয়।

ধাপ ৩: এক্সট্রা কারিকুলার এক্টিভিটিস

স্কলারশিপ পাওয়ার ক্ষেত্রে এক্সট্রা কারিকুলার কার্যক্রম খুবই সহায়ক।

  • বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করুন (বই পড়া, রচনা, কবিতা আবৃত্তি, ডিবেট, অলিম্পিয়াড ইত্যাদি)।
  • স্পোর্টস রিলেটেড কার্যক্রমও যোগ করতে পারেন।
  • নন-পলিটিক্যাল সংগঠনগুলোর মেম্বারশিপ নিন।
  • অনলাইন কোর্স করে সার্টিফিকেশন অর্জন করুন (অনেক কোর্স ফ্রি থাকে)।

ধাপ ৪: স্কলারশিপ রিসার্চ

স্কলারশিপ সম্পর্কে রিসার্চ করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।
  • আমি ব্যক্তিগতভাবে একটি এক্সেল শীট বানিয়েছিলাম যেখানে ছিল
  1. স্কলারশিপের নাম
  2. হোস্ট কান্ট্রি
  3. সুবিধা-অসুবিধা
  4. ডেডলাইন
  5. প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস
গুগল সার্চ করে প্রতিটি স্কলারশিপ সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করুন। তথ্য হাতের নাগালে থাকলে আবেদন করার সময় দৌড়াদৌড়ি কম হবে।

ধাপ ৫: ডকুমেন্ট অর্গানাইজেশন ও আবেদন

শেষ ধাপে সব ডকুমেন্টস সঠিকভাবে সাজিয়ে রাখতে হবে।
  • ল্যাপটপ/মোবাইলে আলাদা ফোল্ডার তৈরি করুন।
  • ফাইলগুলোর নাম পরিষ্কারভাবে লিখুন যাতে সহজে খুঁজে পান।
  • এক্সেল শীট দেখে নিশ্চিত করুন কোন ডকুমেন্ট মিস হয়নি।
  • স্কলারশিপ সার্কুলার অনুযায়ী আবেদন করুন।
অনেক সময় আবেদন করতে হতে পারে
  • শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে
  • সংশ্লিষ্ট দেশের এম্বাসিতে
আবেদনের পর নিয়মিত ইমেইল চেক করুন এবং দ্রুত রেসপন্স দিন। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতি বছরই ১০-১৫টি দেশ ফুল ফ্রি সরকারি স্কলারশিপ দেয়। তাই যত বেশি স্কলারশিপে আবেদন করবেন, সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা তত বাড়বে। যদি এই ধাপগুলো নিয়ম মেনে অনুসরণ করেন, তাহলে সরকারি স্কলারশিপ পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকবে।

এইচএসসি শেষ করে বিনামূল্যে বিদেশে উচ্চশিক্ষা গাইডলাইন

উচ্চশিক্ষার জন্য প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হয় প্রায় সব শিক্ষার্থী। কিন্তু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সৌভাগ্য সবার হয় না। কারণ আসন সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম এবং প্রতিযোগিতাও অনেক বেশি। ভর্তি কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী থাকা সত্ত্বেও চান্স পায় না।
এইচএসসি-শেষ-করে-বিনামূল্যে-বিদেশে-উচ্চশিক্ষা-গাইডলাইন
ফলে অনেকেই বাধ্য হয়ে সাত কলেজ, প্রযুক্তি কলেজ, বা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজে ভর্তি হয়। এছাড়া অনেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পড়াশোনা শুরু করে এবং পরে সেকেন্ড টাইমার হিসেবে ভর্তি পরীক্ষার চেষ্টা করে। অনেক শিক্ষার্থী দ্বিতীয়বারও চান্স না পেয়ে শেষ পর্যন্ত প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে লাখ টাকা খরচ করে পড়াশোনা করতে বাধ্য হয়। বিদেশে উচ্চশিক্ষা ও স্কলারশিপ।

কিন্তু সবার আর্থিক সামর্থ্য একরকম নয়। তাই বিদেশে উচ্চশিক্ষা একটি বড় সুযোগ হতে পারে। অনেকেই মনে করেন বিদেশে পড়াশোনার খরচ বেশি। কিন্তু স্কলারশিপে আবেদন করলে বিনামূল্যেই পড়াশোনা করা সম্ভব বাংলাদেশে একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে লাখ টাকা খরচ করার চেয়ে বিদেশে র‌্যাঙ্কড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করা অনেক ভালো। 

বিদেশে পড়াশোনার সুবিধার মধ্যে রয়েছে পার্ট টাইম কাজের সুযোগ, আন্তর্জাতিক পরিবেশে থাকা এবং ভবিষ্যতে সেটেলমেন্টের সুযোগ।

স্কলারশিপের সুযোগ

এইচএসসির পরেই বিভিন্ন স্কলারশিপের সুযোগ রয়েছে। এগুলো অনার্স, মাস্টার্স এবং পিএইচডি লেভেলে আবেদন করার সুযোগ দেয়। এখন কিছু জনপ্রিয় স্কলারশিপ উল্লেখ করা হলো

১. তুরস্ক সরকার স্কলারশিপ

  • এইচএসসির পরে অনার্স, মাস্টার্স, পিএইচডিতে আবেদন করা যায়।
  • প্রতিমাসে স্টাইপেন্ড, এয়ার টিকিট, হেলথ ইন্স্যুরেন্স, আবাসনসহ সব খরচ বহন করে।
  • বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর অনেক শিক্ষার্থী এই স্কলারশিপে যায়।

২. ব্রুনাই সরকার স্কলারশিপ

  • অনার্স ও মাস্টার্সে আবেদন করার সুযোগ।
  • ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনা।
  • মাসিক স্টাইপেন্ড, হেলথ ইন্স্যুরেন্স ও আবাসন সুবিধা পাওয়া যায়।

৩. চায়না সরকার স্কলারশিপ

  • অনার্স, মাস্টার্স, পিএইচডি ও ফেলোশিপের সুযোগ।
  • টিউশন ফি, আবাসন, এয়ার টিকিট ও হেলথ ইন্স্যুরেন্স সুবিধা থাকে।
  • প্রতি বছর ডিসেম্বর মাসে আবেদন কার্যক্রম শুরু হয়।

৪. রোমানিয়া সরকার স্কলারশিপ

  • অনার্স, মাস্টার্স, পিএইচডি লেভেলে আবেদন করা যায়।
  • কোন এজ লিমিট নেই।
  • টিউশন ফি, হেলথ ইন্স্যুরেন্স, মাসিক ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা দেওয়া হয়।

৫. মরক্কো সরকার স্কলারশিপ

  • অনার্স, মাস্টার্স ও পিএইচডি লেভেলে আবেদন করা যায়।
  • টিউশন ফি, স্টাইপেন্ড, হেলথ ইন্স্যুরেন্স ও আবাসন সুবিধা পাওয়া যায়।

৬. মিশর সরকার স্কলারশিপ

  • আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনার সুযোগ।
  • বাংলাদেশ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে অফার করা হয়।

৭. জাপান সরকার মেক্সট স্কলারশিপ

  • এইচএসসির পর অনার্স, মাস্টার্স ও পিএইচডি লেভেলে আবেদন করার সুযোগ।
  • মাসিক স্টাইপেন্ড প্রায় ৯০ হাজার টাকার সমপরিমাণ।
  • টিউশন ফি, হেলথ ইন্স্যুরেন্স, আবাসন ও অন্যান্য সুবিধা থাকে।

৮. আজারবাইজান সরকার স্কলারশিপ

  • অনার্স ও মাস্টার্সে আবেদন করার সুযোগ।
  • স্টাইপেন্ড, হেলথ ইন্স্যুরেন্স ও আবাসন সুবিধা রয়েছে।

৯. ভারত সরকার আইসিসিআর (সুবর্ণ জয়ন্তী) স্কলারশিপ

  • শুধু বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য।
  • মাসিক ভাতা, আবাসন, হেলথ ইন্স্যুরেন্স ও অন্যান্য সুবিধা দেয়।

অন্যান্য স্কলারশিপ

  • প্রতি বছর শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড ও সাইপ্রাস থেকেও স্কলারশিপ অফার করা হয়।

আবেদন প্রস্তুতি

স্কলারশিপে আবেদন করার আগে কিছু ডকুমেন্ট প্রস্তুত রাখতে হবে 
  • এসএসসি ও এইচএসসি সার্টিফিকেট, মার্কশিট ও টেস্টিমোনিয়াল।
  • নাম বা তথ্যের কোন ভুল থাকলে সংশোধন করা।
  • বৈধ পাসপোর্ট (১০ বছরের জন্য)।
  • পূর্ববর্তী প্রতিষ্ঠানের দুইজন শিক্ষকের রিকমেন্ডেশন লেটার।
  • সম্ভব হলে আইএলটিএস স্কোর সংগ্রহ করা। 
  এই প্রস্তুতি নিয়ে আবেদন করলে স্কলারশিপ পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে।

বিদেশে উচ্চশিক্ষা ও স্কলারশিপ পাওয়ার যোগ্যতা সম্পর্কে জানুন - FAQ

এইচএসসির পরে কি বিদেশে স্কলারশিপ পাওয়া সম্ভব?

উত্তর: হ্যাঁ, এইচএসসির পরেই অনার্স, মাস্টার্স এবং পিএইচডি লেভেলে অনেক দেশের স্কলারশিপে আবেদন করা যায়।

তুরস্ক সরকার স্কলারশিপে কোন কোন সাবজেক্টে পড়া যায়?

উত্তর: সাইন্স, আর্টস, কমার্স, সোশ্যাল সায়েন্স এমনকি মেডিসিনসহ বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনা করা যায়।

ব্রুনাই স্কলারশিপে আবেদন করতে কী যোগ্যতা দরকার?

উত্তর: অনার্স ও মাস্টার্স লেভেলের জন্য নির্দিষ্ট জিপিএ রিকোয়ারমেন্ট থাকে এবং পড়াশোনা ইংরেজি মাধ্যমে হয়।

চায়না সরকার স্কলারশিপ কবে থেকে আবেদন করা যায়?

উত্তর: সাধারণত ডিসেম্বর মাসে আবেদন কার্যক্রম শুরু হয় এবং প্রায় এক মাস সময় দেওয়া হয়।

রোমানিয়া সরকার স্কলারশিপে কি এজ লিমিট আছে?

উত্তর: না, এখানে কোন এজ লিমিট নেই। অনার্স, মাস্টার্স বা পিএইচডি লেভেলের জন্য আবেদন করা যায়।

মরক্কো সরকার স্কলারশিপের আবেদন কবে হয়?

উত্তর: সাধারণত মে মাসে সার্কুলার প্রকাশিত হয় এবং অনার্স, মাস্টার্স ও পিএইচডিতে আবেদন করার সুযোগ থাকে।

মেক্সট (জাপান) স্কলারশিপে কত টাকা স্টাইপেন্ড দেওয়া হয়?

উত্তর: মাসিক প্রায় নব্বই হাজার টাকার সমপরিমাণ স্টাইপেন্ড দেওয়া হয়।

আজারবাইজান সরকার স্কলারশিপে কোন সুবিধা পাওয়া যায়?

উত্তর: স্টাইপেন্ড, হেলথ ইন্স্যুরেন্স, আবাসন এবং অন্যান্য সুবিধা দেওয়া হয়।

ভারত সরকার আইসিসিআর (সুবর্ণ জয়ন্তী) স্কলারশিপ কারা পায়?

উত্তর: এটি শুধুমাত্র বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ করা হয়।

স্কলারশিপের জন্য কী কী ডকুমেন্ট দরকার হয়?

উত্তর: এসএসসি ও এইচএসসি সার্টিফিকেট, মার্কশিট, টেস্টিমোনিয়াল, বৈধ পাসপোর্ট, দুইজন শিক্ষকের রিকমেন্ডেশন লেটার এবং সম্ভব হলে আইএলটিএস স্কোর।

বিদেশে উচ্চশিক্ষা ও স্কলারশিপ পাওয়ার যোগ্যতা সম্পর্কে জানুন - লেখকের শেষ মন্তব্য

আজকের আর্টিকেলে আমরা বিদেশে উচ্চশিক্ষা ও স্কলারশিপ পাওয়ার যোগ্যতা সম্পর্কে জেনেছি।এবং আজকের আর্টিকেল থেকে প্রপার একটি গাইডলাইন পেয়েছি। আশা করছি আজকের আর্টিকেল থেকে আপনারা উপকৃত হয়েছেন।  এরকম ইনফরমেটিভ ইনফরমেশন পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে প্রতিনিয়ত ভিজিট করুন। 

কারণ আমাদের ওয়েবসাইটে এরকম ইনফরমেটিভ আর্টিকেল প্রকাশ করা হয়। আজকের আর্টিকেল থেকে আপনার যদি বিন্দু পরিমান উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয়-স্বজনদের মাঝে শেয়ার করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url