ক্রিয়েটিনিন বেড়ে যাওয়ার লক্ষণ - ক্রিয়েটিনিন কমানোর উপায়

ক্রিয়েটিনি এগিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া - ক্রিয়েটিনি কমানোর উপায় দ্রুত আপনার ক্রিয়েটিনি এর নিয়ন্ত্রণ নিয়ন্ত্রণে। আপনার কিডনির বড় বড় এড়াতে দ্রুত এই চাপের পদক্ষেপ নিন।
ক্রিয়েটিনিন-বেড়ে-যাওয়ার-লক্ষণ-ক্রিয়েটিনিন-কমানোর-উপায়
সূচিপত্র: ক্রিয়েটিনিন বেড়ে যাওয়ার লক্ষণ - ক্রিয়েটিনিন কমানোর উপায় 

ক্রিয়েটিনিন বেড়ে যাওয়ার লক্ষণ - ক্রিয়েটিনিন কমানোর উপায়

আমাদের পেশির এনার্জি উৎস হিসেবে একপ্রকার বজ্র পদার্থ ব্যবহার হয় এই বজ্র পদার্থ কেই ক্রিয়েটিনিন বলা হয়। যেটি আমাদের পেশির শক্তি উৎপন্ন করে। এবং এই বজ্র পদার্থটি আমাদের কিডনি থেকে রক্ত থেকে আলাদা করে মূত্র দিয়ে বাইরে বের করে দেয়। 

কিন্তু যখন আমাদের কিডনি অসুস্থ হয়ে পড়ে তখন এই প্রক্রিয়া সঠিকভাবে হয় না। যে কারণে আমাদের রক্তে ক্রিয়েটিনিন বৃদ্ধি পায়। এবং ক্রিয়েটিনিন বৃদ্ধির কারণেই আমাদের কিডনির সমস্যা দেখা দেওয়ার মাত্রা বেড়ে যায় এবং এটি কিডনি বিকল হয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ। 

আমাদের পেশীতে যে সকল দূষিত পদার্থ রয়েছে সেগুলো আমাদের কিডনি যখন সঠিকভাবে থাকতে পারেনা তখনই এই ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে যায়। যে কারণে আমাদের কিডনির সমস্যা দেখা দেয়। এর জন্য আমাদের দ্রুতই ক্রিয়েটিনন এর চিকিৎসা করতে হবে। 

এর জন্য সর্বপ্রথম আমাদের ক্রিয়েটিনিন বেড়ে যাওয়ার লক্ষণ জানতে হবে। এবং ক্রিয়েটিনিন কমানোর উপায় ও আমাদের ভালোভাবে জানতে হবে। আমরা যখন ক্রিয়েটিনিন বেড়ে যাওয়ার লক্ষণ গুলো বুঝতে পারব তখনি আমরা সঠিক চিকিৎসা নিতে পারব। 

তাই ক্রিয়েটিনিন বেড়ে যাওয়ার লক্ষণ - ক্রিয়েটিনিন কমানোর উপায় জানানো হলো:

ক্রিয়েটিনিন বেড়ে যাওয়ার লক্ষণ

  • আমাদের শরীরে ক্রিয়েটিনিন এর মাত্রা বেড়ে গেলে আমাদের শ্বাসকষ্ট এর সমস্যা হতে পারে। এবং শ্বাসকষ্টের শুধু হলেই যে ক্রিয়েটিনিন হয়েছে তা নয় শ্বাসকষ্ট হলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা হতে পারে। তবে শ্বাসকষ্টের সাথে অন্যান্য নিজের সমস্যাগুলো দেখা দিলে বুঝবেন আপনার ক্রিয়েটিনিন বৃদ্ধি পেয়েছে। কেননা ক্রিয়েটিনিন বৃদ্ধি পেলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা বেড়ে যায়।
  • আপনার শরীরে যদি ক্রিয়েটিনিন বৃদ্ধি পায় তবে আপনি কোন কিছু না করেও অনেক ক্লান্ত বোধ করবেন। এবং আপনি যদি কোন কিছু করতে যান তবে অল্প একটু কাজ করাতেই অনেক বেশি ক্লান্ত অনুভব করবেন। কেননা ক্রিয়েটিনিন বৃদ্ধি পেলে মানুষ অনেক বেশি ক্লান্ত হয়ে যায়।
  • দৈনন্দিন জীবনে যেভাবে আপনার প্রস্রাব হয় ক্রিয়েটিনিন বৃদ্ধি পেলে প্রস্রাব এর বেগ বেশি হবে। তবে এটি কোন মুত্র রোগের কারণ নয়। আপনার শরীরে যদি ক্রিয়েটিনিন বৃদ্ধি পায় তবেই এমন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • ক্রিয়েটিনিন মাত্রা আমাদের শরীরে বৃদ্ধি পেলে আমাদের পা এর পাতা ফুলতে শুরু করে। কেননা কিডনির গোলমাল এর কারণে সঠিক মত কিডনি তার নিজের কার্যক্রম করতে পারে না যে কারণে আমাদের শরীরেই তরল জমাতে শুরু করে। তাই অনেকক্ষণ পা ঝুলিয়ে বসে থাকলে পায়ের পাতা ফুলে যেতে পারে।
  • ক্রিয়েটিনিন এর মাত্রা আমাদের শরীরের বৃদ্ধি পেলে আমাদের বমি বমি ভাব হয় এবং আমাদের গা গুলায় তবে এই সমস্যা কখনোই আপনি গ্যাস এর বা হজম হচ্ছে না এমন সমস্যা ধরে নিবেন না। ক্রিয়েটিনিন বেড়ে যাওয়ার লক্ষণ এর সাথে যদি এই লক্ষণ টিও মিলে যায় তবে এটি গ্যাসের সমস্যা হতে পারে না।
উপরের লক্ষণ গুলো ভালোভাবে আপনার অথবা রোগীর লক্ষ্য করলেই আপনি বুঝতে পারবেন। এবং ওপরের ক্রিয়েটিনিন বেড়ে যাওয়ার লক্ষণ গুলো যদি মিলে যায় তবে তার ক্রিয়েটিনিন বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই ব্যক্তির অবশ্যই খুব দ্রুত ক্রিয়েটিনিন কমানোর উপায় অবলম্বন করে তার চিকিৎসা করুন। 

অথবা অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। আমাদের শরীরে ক্রিয়েটিনিন বৃদ্ধি পেলে আমাদের কিছু অভ্যাস ও খাদ্য এবং জীবন যাত্রার মান পরিবর্তন করতে হবে। যে অভ্যাসগুলো পরিবর্তন করার মাধ্যমে আমরা আমাদের শরীর থেকে ক্রিয়েটিনিন মাত্রা কমিয়ে আনতে পারব। ক্রিয়েটিনিন কমানোর উপায় হল:
  • অনেক বেশি পরিমাণে পানি পান করুন অনেক বেশি পরিমাণে পানি পান করার মাধ্যমে কিডনি ভালো থাকেন।
  • ক্রিয়েটিনিন কমাতে চা-কফি এবং আরো অন্যান্য যে সকল সোডা ভেষজ চা রয়েছে সে সকল থেকে দূরে থাকুন।
  • ক্রিয়েটিনিন কমানোর জন্য আর্জিনিনযুক্ত খাবার খাওয়া থেকে এড়িয়ে চলুন। এই সকল খাবার খাওয়ার মাধ্যমে লিভারে ক্রিয়েটিনিন অনেক বেশি উৎপন্ন হয়। যে সকল খাবার গুলি খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন তা হলো: বাদাম, কুমড়ার বীজ, চিনা বাদাম, সোয়াবিন বিয়ার চকলেট ইত্যাদি এ সকল খাবার থেকে বিরত থাকুন।
  • কাঁচা লবণ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন যদি আপনার ক্রিয়েটিনিন বৃদ্ধি পাই তবে কাঁচা লবণ কাঁচা লবণ অনেক বেশি ক্ষতিকর হতে পারে।

ক্রিয়েটিনিন কমানোর ঘরোয়া উপায়

ক্রিয়েটিনিন কমানোর ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করে আমরা খুব সহজে ক্রিয়েটিনিন কমিয়ে আনতে পারি। ক্রিয়েটিনিন কমানোর ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করতে আমরা ঘরের এবং বাইরের কয়েকটি উপাদান ব্যবহার করব যে উপাদান গুলো আমরা যদি ব্যবহার করি 

তবে আমরা ঘরোয়া ভাবে চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে খুব সহজে ক্রিয়েটিনিন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পারবো। ক্রিয়েটিনিন কমানোর উপায় হল:
  • ক্যামোমাইল চা: ক্যামোমাইল চা পান করার মাধ্যমে ক্রিয়েটিনিন এর মাত্রা আস্তে আস্তে কমে আসে। যে কারণে আমাদের দৈনিক কয়েক কাপ ক্যামোমাইল চা পান করা উচিত।
  • দারচিনি: দারচিনি যদি আমরা গরম পানি অথবা অন্যান্য খাদ্যের সাথে যুক্ত করি তবে এটি আমাদের শরীরের রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসবে। এবং বৃক্ক ঘঠিত ক্ষতি হওয়া থেকে আমাদের শরীরকে প্রতিরোধ করতে সাহায্য করবে। তবে অতিরিক্ত পরিমাণে এটি গ্রহণ করা কিডনি ও লিভারের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
  • সাইবেরিয়ান জিনসেং: অতিরিক্ত ক্রিয়েটিনিন থেকে আমাদের শরীরকে প্রতিরোধ ও প্রতিকার করার জন্য আমরা এটি গ্রহণ করতে পারি। এটি গ্রহণ করার মাধ্যমে আমাদের কি নিয়ে পুনরুজ্জীবিত হবে এবং যে সকল ঘাটতি রয়েছে সে সকল ঘাটের উন্নয়ন হবে এবং আপনি চাপমুক্ত এবং ক্লান্তি দূর হওয়ার মতন আরাম পাবেন। তবে এটি গ্রহণের পূর্বে অবশ্যই আপনার অভিজ্ঞ চিকিৎসক এর পরামর্শ নিন।
  • করলা খাওয়া: করলা খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। এবং করলা খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের ক্রিয়েটিনিন মাত্রা কমে আসে। যে কারণে আমাদের করলা খেতে হবে এবং যদি পারা যায় তবে করলার রস আমরা পান করতে পারি এটি অনেক ভালো হয় ক্রিয়েটিনিন কমানোর জন্য।
  • ধুমপান ত্যাগ: ধুমপান করার মাধ্যমে আমাদের ক্রিয়েটিনিন এর মাত্রা বৃদ্ধি পায় যে কারণে ধূমপান ত্যাগ করতে হবে ক্রিয়েটিনিন এর মাত্রা কমানোর জন্য। এ ছাড়া আর ধূমপান আমাদের রক্তচাপ বৃদ্ধি করে এবং কিডনির ভিন্ন ধরনের ক্ষতির সৃষ্টি করে। তাই ক্রিয়েটিনিন কমানোর জন্য ধূমপান ত্যাগ করুন।
  • ফাইবার গ্রহণ করুন: ক্রিয়েটিনিন কমানোর জন্য আমাদের অতিরিক্ত পরিমাণে ফাইবার যুক্ত খাবার গ্রহণ করতে হবে অতীতের পরিমাণে যখন আমরা ফাইবার যুক্ত খাবার গ্রহণ করব তখন আমাদের আস্তে আস্তে ক্রিয়েটিনিন এর মাত্রা কমে আসবে আমাদের রক্ত থেকে।
  • প্রোটিন: প্রোটিন খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের শরীরে ক্রিয়েটিনিন এর মাত্রা বেড়ে যায় যে কারণে আমাদের যখন ক্রিয়েটিনিন বৃদ্ধি পাবে তখন আমাদের প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার এড়িয়ে চলতে হবে অথবা কম পরিমাণে খেতে হবে।

ক্রিয়েটিনিন কত হলে ডায়ালাইসিস করতে হয়

ক্রিয়েটিনিন কত হলে ডায়ালাইসিস করতে হয় তা আমরা জানবো এখন। একজন স্বাভাবিক স্বাভাবিক কিডনির ক্রিয়েটিনিন আলাদা হয়। এবং একজন অসুস্থ ব্যক্তির কিডনির ক্রিয়েটিনিন ভিন্ন হয়। আমরা ক্রিয়েটিনিন এর মান দেখলেই বুঝতে পারবো যে এই ব্যক্তি সুস্থ রয়েছে নাকি অসুস্থ রয়েছে। 

এর জন্য আমাদের কিডনির পরীক্ষা করতে হবে এই মান নির্ণয় করার জন্য। তবে একজন সুস্থ পুরুষ মানুষের যদি 1.65 থেকে 2.33 মিলি/সেকেন্ড হয়তো হবে সেই পুরুষ মানুষের কিডনি স্বাভাবিক রয়েছে তার কিডনিতে কোন ধরনের সমস্যা নেই। 

আর একটি মহিলা মানুষের 1.496 থেকে 2.18 মিলি/সেকেন্ড হয়ে থাকে তবে সেই মহিলার ক্রিয়েটিনিন স্বাভাবিক রয়েছে। তবে এর ওপরে যদি বৃদ্ধি পায় তবে অবশ্যই চিকিৎসক এর পরামর্শ নিতে হবে এবং ডায়ালাইসিস করতে হলে তখন অভিজ্ঞ চিকিৎসক এ আপনাকে পরামর্শ দিবে। 

এর জন্য অভিজ্ঞ চিকিৎসক এর পরামর্শ অনুযায়ী আপনার ক্রিয়েটিনিন এর চিকিৎসা করুন। এবং কোন রিপোর্ট করা ছাড়াই কোন সিদ্ধান্ত নিবেন না।

কি কি খাবারে ক্রিয়েটিনিন বাড়ে

আমাদের সমস্যা ক্রিয়েটিনিন এর কখনও কখনও তারা খাবার খাবেন না এমন খাবারের মাধ্যমে আপনার ক্রিয়েটিন বৃদ্ধি পায়। আমাদের সবসময়ই এমন একটি ধরনের পরামর্শ দেখতে হবে। যে সকল খাবার এ খেলার আয়োজন করা হয়েছে তার মধ্যে অনেক অনেক বেশি ভালো প্রোটিন রয়েছে

যেমন গরুর মাংস মুরগির মাংস বেশি এই খাদ্য গ্রহণের মধ্যে প্রোটিন রয়েছে নিয়ন্ত্রণ থেকে। এবং অনেক কঠিন অ্যান্টিবায়োটিক পুলিশ থেকেও টালিউটার অনেক বেশি ভালে অ্যান্টিবায়োটিক আমাদের ক্রিয়েটিন বৃদ্ধি পায়। 

আবার আমরা যদি অনেক বেশি তবে ধুমপান করি আমাদের ক্রিয়েটিন এর আন্দোলন বৃদ্ধি পায়। তাই আপনি যদি ক্রিয়েটিন এর সমস্যা থাকে তবে অবশ্যই আপনি আপনি যে আমাদের খাদ্যের পরামর্শ সেই সকল খাদ্যই খাবেন।

ক্রিয়েটিনিন কমানোর ঔষধ

ক্রিয়েটিনিন কমানোর ওষুধ সেবন করার মাধ্যমে আমরা ক্রিয়েটিনিন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পারি। এর জন্য আমাদের অবশ্যই সর্বপ্রথম অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে হবে। তবে আপনি যদি কেটে নিন কমানোর ওষুধ ব্যবহার করতে চান তবে আপনি এই ওষুধটি গ্রহণ করতে পারেন
ক্রিয়েটিনিন-কমানোর-ঔষধ
Astragalus এটি হলো একটি চিনা ওষুধ যেটির দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগের অগ্রগতি কমাতে সাহায্য করে। এবং এর পাশাপাশি কিডনির মধ্যে যে সকল তরল বজ্র থাকে সেই সকল বজ্র দূর করতেও এটি সাহায্য করে। এর জন্য ক্রিয়েটিনিন কমানোর ক্ষেত্রে আমরা এই ওষুধটি সেবন করতে পারি তবে অবশ্যই এটি সেবনের পূর্বে আপনার কিডনির মান অনুযায়ী এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এটি সেবন করা উচিত।

ক্রিয়েটিনিন কমানোর ব্যায়াম

ক্রিয়েটিন কমোন ব্যায়াম আমাদের ক্রিয়েটিনিন সমস্যা তাদের জন্য ব্যায়াম অনেক উপকারী। ব্যায়াম করার মাধ্যমে ক্রিয়েটিন কমাতে শুরু করে। তবে যদি কোন ভুল কোন ব্যায়াম করার মাধ্যমে এটি আরও বেশি বৃদ্ধি করতে পারে তা এই ব্যায়াম করার পূর্বে অবশ্যই প্রমাণের পরামর্শ নিয়ে ব্যায়াম করা উচিত।

আপনি সাধারণভাবে যে সকল ব্যায়াম করতে পারেন: হালকাভাবে ৩০ মিনিটের মত তা নিম্নোক্ত হাটাহাটি করা। আকাশ কোন আলো বা কোন কাজ করা। যোগআসন করার মাধ্যমে আমাদের চাপ যোগাড় করা যেতে পারে।

ক্রিয়েটিনিন কেন বাড়ে

আমাদের দৈনন্দিন জীবন এবং আমাদের শরীরের ওপর নির্ভর করে ক্রিয়েটিনিন বৃদ্ধি পায় এর জন্য আমাদের শরীর এবং আমাদের জীবনযাত্রার মান দুটোই নির্ভর করে ক্রিয়েটিনিন বৃদ্ধি ও কমার মাধ্যমে। আমরা যদি ক্রিয়েটিনিন কমানোর খাদ্য গ্রহণ করি তবে আমাদের ক্রিয়েটিনিন স্বাভাবিক থাকবে। 

আর আমরা যদি আমাদের খাদ্য অভ্যাস পরিবর্তন করে যে সকল খাদ্য গ্রহণের পরে ক্রিয়েটিনিন বৃদ্ধি পায় সে সকল খাদ্য গ্রহণ করি তবে আমাদের যেটি নিন বৃদ্ধি পাবে। তবে ক্রিয়েটিনিন বৃদ্ধি পাওয়ার মূল ও বড় কারণগুলো হলো:
  • ডায়াবেটিস বেশি হওয়ার মাধ্যমে আমাদেরকে মাত্রা বাড়তে পারে। ক্রিয়েটিনিন এর সাথে ডায়াবেটিসের একটি সম্পর্ক রয়েছে।
  • উচ্চ রক্তচাপ এর মাধ্যমেও আমাদের রক্তের ক্রিয়েটিনিন বৃদ্ধি পেতে পারেন। এর জন্য উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
  • আমাদের শরীরে ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস আক্রমণের ফলেও আমাদের ক্রিয়েটিনিন বৃদ্ধি পেতে পারে। এর মধ্যে অন্যতম ভাইরাল ও ব্যাকটেরিয়া হলো এইচআইভি।
  • মূত্রনালীতে বাধা হওয়ার মাধ্যমে ও আমাদের ক্রিয়েটিনিন বৃদ্ধি পেতে পারে আমাদের মূত্রনালীতে যদি কোন ধরনের সমস্যা থেকে থাকে তবে ক্রিয়েটিনিন বৃদ্ধি পাবে।
  • আমাদের শরীরে যদি ক্যান্সারের টিউমার থাকে তবে সেটির কারণেও আমাদের ক্রিয়েটিনিন বৃদ্ধি পেতে পারে।

ক্রিয়েটিনিন নরমাল কত

ক্রিয়েটিনিন নরমাল কত জানালেন আমাদের অনেক জরুরী। একটি মহিলার ক্ষেত্রে প্রতি বেশি লিটার রক্তে ০.৫ থেকে ১.১ মিলিগ্রাম ক্রিয়েটিন স্বাভাবিক। এবং একটি পুরুষের ক্ষেত্রে। ভিন্ন ডেসিলিটার রক্তে। ০.৬ থেকে ১.২ মিলিগ্রাম ক্রিয়েটিন নরমাল বা সাধারণ। তবে একটি কিডনি নেই তাদের জন্য এটি ভিন্ন।
ক্রিয়েটিনিন-নরমাল-কত
একটি কিডের জন্য তাদের জন্য রক্তের ক্রিয়েটিনিন এর ১ মিলিগ্রাম পর্যন্ত দেখা যায় না। এর যদি আমি ক্রিয়েটিন এর নির্দেশনা হয় তবে স্পষ্ট ওপরে ক্রিয়েটি হচ্ছে আপনার রক্তের নির্দেশ।

ক্রিয়েটিন 1.4

একজন পুরুষের ক্ষেত্রে ক্রিয়েটিন এর লেভেল যদি ১.৪ এর উপরে আসে এবং একটি মহিলার ক্ষেত্রে যদি ১.২ এর উপরে আসে তবে সেই ব্যক্তি এবং সেই মহিলা কিডনি সঠিক। কিডনি কাজ করছে না বলে সাধারণভাবে হয়। এবং কিডনি যদি কখনো GER 15 এর নিজের জন্য আসে তবে সেই কিডনি খারাপ হয়েছে। যে কারণে তখন কিডনি ডায়ালাইসিস করতে পারে।

আমাদের পরামর্শ

প্রিয় পাঠক উপরে আমরা ক্রিয়েটিনিন এতটা সম্ভব হয়েছে - ক্রিয়েটিন কমানোর উপায় ও আরো অন্যান্য সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা শুধু এই বিষয়ে সাধারণ জ্ঞানের চেষ্টা করেছি। তবে আপনার সঠিক ও সুষ্ঠু চিকিৎসা করার জন্য অবশ্যই পরামর্শ নিন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url