পায়খানা না হলে করণীয় - কি খেলে পায়খানা হবে জানুন
দীর্ঘসময় পায়খানা কষা হলে বাড়তে পারে রোগ তাই পায়খানা না হলে করণীয় - কি খেলে
পায়খানা হবে জেনে দ্রুত আপনার পায়খানা স্বাভাবিক করুন।
সূচিপত্র :পায়খানা না হলে করণীয় - কি খেলে পায়খানা হবে
পায়খানা না হলে করণীয় - কি খেলে পায়খানা হবে জানুন
আমাদের অস্বাস্থ্যকর জীবন যাত্রা এবং আমাদের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কারণে আমাদের
পায়খানা না হওয়ার মতন কারণ হয়ে থাকে। মূলত পায়খানা কষা হওয়ার এই বিষয়টিকেই
কোষ্ঠকাঠিন্য বলা হয়ে থাকে। এ যে কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য এবং পায়খানার না হওয়া
দুটো একই বিষয়।
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে মাঝে মাঝেই এই পায়খানা না হওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়।
যে কারণে আমাদের জানতে হবে পায়খানার না হলে করণীয় কি। আমরা যদি আমাদের কষা
পায়খানার সমস্যা ঠিক না করি তবে আমাদের এই কষা পায়খানা বা পায়খানা না হওয়ার
কারণে আমাদের নানান ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
যেমন কষা পায়খানা হলে পায়খানা করতে হলে আমাদের অনেক চাপ দিয়ে পায়খানা করতে
হয়। যে কারণে আমাদের পাইলসের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই আমাদের এই সমস্যাটি খুব
দ্রুতই দূর করা উচিত।পায়খানা না হলে করণীয় - কি খেলে পায়খানা হবে তাহলো:
- তরল: প্রত্যেকদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন এবং তরল খাবার খান যেগুলো খাওয়ার মাধ্যমে আপনার মল নরম হবে। এবং ও পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খাওয়ার মাধ্যমে আপনার মন নরম হতে শুরু করবে এবং নিয়মিত সঠিকভাবে পায়খানা হবে।
- মানসিক চাপ: মানসিক চাপের কারণে আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য বা পায়খানা না হওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়। যে কারণে আমাদের দুশ্চিন্তায় এবং মানসিক চাপ থেকে নিজেকে দূরে রাখতে হবে। কেননা আমরা যখন দুশ্চিন্তা করি তখন আমাদের মনোযোগ হারিয়ে ফেলি আমরা এবং আমাদের মলত্যাগের কথা মনে হয় না। যে কারণে মলত্যাগের সমস্যা হয়। তাই আমাদের দুশ্চিন্তা থেকে দূরে থাকতে হবে। তাহলে আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য অথবা পায়খানা না হওয়ার মত সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
- মল না চেপে থাকা: অনেক সময় আমরা মল চেপে থাকি যে কারণে আস্তে আস্তে আমাদের এই অভ্যাসটি সমস্যায় পরিণত হতে শুরু করে যে কারণে আমাদের যখনই মল চাপ আসবে তখনই আমাদের পায়খানা করা। এবং আমাদের মল চাপ এর সাথে সাথে যখন আমরা নিয়মিত মলত্যাগ করতে শুরু করব তখন আমাদের এই অভ্যাসটি গড়ে উঠবে চেয়ে মরতে চাপ হলেই আমরা তখনই পায়খানা করে নিব। যে কারণে মলত্যাগ ঠিক হয়ে যাবে।
- ব্যায়াম: নিয়মিত ব্যায়াম ও হাঁটাচলা করার মাধ্যমে আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য অথবা পায়খানার না হওয়ার সমস্যা গুলো ঠিক হয়ে যায়। যে কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য হলে নিয়মিত ব্যায়াম করুন। ব্যায়াম করার মাধ্যমে আপনার পেটের সকল খাদ্য ভালোভাবে হজম হবে এবং আপনার মলের জন্য চাপ আসবে। এবং সে সময় চাপ আটকিয়ে না রেখে দ্রুত পায়খানা করে ফেলুন।
- ইসবগুলের ভুষি, অ্যালোভেরার শরবত এমন ধরনের শরবত ও জুস খান যেগুলো তরল। এ সকল তরল কিছু খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের মল নরম হতে সাহায্য হয় যে কারণে আমরা এগুলো নিয়মিত খেতে পারি। এগুলো খাওয়ার মাধ্যমে আপনার পায়খানা না হলে পায়খানা হওয়াতে সাহায্য করে।
আমরা ওপরে পায়খানা না হলে করণীয় - কি খেলে পায়খানা হবে এই সম্পর্কে বিস্তারিত
জেনে নিয়েছি। এবং আমাদের এই সকল প্রক্রিয়া অবলম্বন করলেই আমাদের পায়খানা হতে
শুরু করবে। পায়খানা না হলে করণীয় বিষয়গুলো নিয়ে আমরা উপরে অনেক ভালোভাবে
আলোচনা করেছি।
এই বিষয়ে আরো তথ্য পেতে নিজের অংশগুলো। নিচে আরও ভালো এবং বিস্তারিতভাবে জানানো
হবে পায়খানার না হলে করণীয় কি। আরো জানতে নিজের অংশ পড়ুন।
পায়খানা না হলে করণীয় ঘরোয়া উপায়
পায়খানা না হলে করনীয় ঘরোয়া উপায় জেনে আমরা আমাদের পায়খানা না হলে এগুলো
কাজে লাগাতে পারি। এগুলো আমাদের বাসায় এবং আমাদের হাতের নাগালেই থাকে। যে কারণে
আমাদের এই সকল দ্রব্য দিয়ে চিকিৎসা করতে তেমন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে
না।
আমরা বাসাতেই নিজে নিজে আমাদের পায়খানা না হলে এই সকল পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারি।
যেমন লেবুর শরবত খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের পাতলা পায়খানা-সমস্যা দূর হতে পারে।
লেবু খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের গতিবিধি বাড়ে। এবং নিয়মিত লেবুর শরবত খাওয়ার
মাধ্যমে আমাদের মল নরম হতে সাহায্য করে।
যে কারণে পায়খানা না হলে আমাদের লেবুর পানি খাওয়ার মাধ্যমে আমরা আমাদের
পায়খানা সমস্যা ঠিক করতে পারব। এবং আমাদের পায়খানা না হলে করণীয় হিসাবে আমরা
অনেক বেশি বেশি শাক-সবজি খেতে পারি যেগুলো সবুজ শাক-সবজি সেগুলো খাওয়ার মাধ্যমে
পায়খানা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি বেড়ে যায়।
ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার মাধ্যমেও আমাদের পায়খানা হওয়ার সম্ভাবনা
বেড়ে যায়। যে কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য বা পায়খানা না হওয়ার মতো সমস্যা হলে অবশ্যই
বেশি পরিমাণে সবুজ শাকসবজি খান। অনেক সময় আমাদের পেটের মধ্যে গ্যাস হয়ে যাওয়ার
কারণে আমাদের পায়খানা হতে সমস্যা হয়।
তাই অতিরিক্ত পরিমাণে পানি পান করুন অতিরিক্ত পরিমাণে পানি পান করার মাধ্যমে
আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর হবে। পায়খানা না হলে ঘরোয়া করণীয় উপায় গুলো
মিলে চলার মাধ্যমেও আপনি আপনার পায়খানা নরম করে পায়খানা করতে পারবেন।
তবে কয়েকদিন যাবত যদি আপনার পায়খানা না হয় তবে অবশ্যই অভিজ্ঞ চিকিৎসক এর
পরামর্শ নিন।
পায়খানা না হওয়ার কারণ
আমরা যদি পায়খানার না হওয়ার কারণগুলো জেনে সেগুলো মোতাবেক জীবন যাপন করি এবং
সেই দ্রব্য এবং খাদ্য গুলো এড়িয়ে চলি তবে আমাদের পায়খানা না হওয়ার সমস্যা দেখা
দিবে না। এবং আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য হবে না যে কারণে আমাদের এই কারণগুলো অবশ্যই
এড়িয়ে চলা উচিত।
এতে করে আমাদের জীবন এবং স্বাস্থ্য দুইটি ভালো থাকবে। যখন আমাদের পায়খানা না হয়
তখন আমাদের জীবন যাত্রার মান অন্যরকম হয়ে যায় আমরা ঠিকমতো কোন কাজে মনোযোগ দিতে
পারি না। তাই আমাদের অবশ্যই পায়খানা না হওয়ার কারণ যেগুলো রয়েছে সেগুলো থেকে
বিরত থাকতে হবে।
পায়খানা না হলে আমাদের পায়খানা না হওয়ার করনীয় গুলো ভালোভাবে অনুসরণ করতে
হবে। পায়খানা আর না হওয়ার কারণগুলো হলো:
- মানসিক চাপের কারণে পায়খানা না হওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। যে কারণে আমাদের মানসিক চাপে থেকে দূরে থাকতে হবে মানসিক চাপ যদি আমরা না নিয়েই আমরা যদি বিষণ্নতায় তাই না ডুবে যায় তবে আমাদের পায়খানা না হওয়ার সমস্যা দেখা দিবে না।
- অনেক সময় আমরা খুব কম পরিমাণে পানি পান করে থাকে যে কারণে আমাদের মল অনেক শক্ত হয়ে যায় যে কারণে আমাদের অনেক বেশি পরিমাণে পানি এবং অন্যান্য তরল যে সকল কিছু আছে সেগুলো পান করতে হবে।
- আমরা যখন ঠিক মত নিয়মিত ফাইবার ও আর যুক্ত এবং শাক সবজি না খেয়ে পিজা বার্গার এবং ফাস্টফুড এর মত খাবার খাব তখন আমাদের পায়খানা না হওয়ার দেখা সমস্যা দিবে।
- ঠিক মতন না ঘুমানোর কারণে ও আমাদের পায়খানা হয় না। কেননা আমরা যখন ঘুমায় তখন আমাদের পেট আস্তে আস্তে ফাঁকা হতে শুরু করে তবে অতিরিক্ত পরিমাণে ও ঘুমানো উচিত নয়।
- অ্যান্টিবায়োটিক এবং অন্যান্য ক্যালসিয়াম ও ব্যথার নাশক ওষুধ খাওয়ার মাধ্যমে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দেখা দেয়। যে কারণে আমাদের বেশি বেশি অ্যান্টিবায়োটিক এবং ব্যথা নাশক যে সকল ওষুধ রয়েছে সে সকল ওষুধ থেকে বিরত থাকতে হবে। যদি বেশি প্রয়োজন না হয় তবে এ সকল ওষুধ থেকে দূরে থাকুন।
উপরের কারণগুলো এড়িয়ে চলার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা
অথবা পায়খানা না হওয়ার যে সকল সমস্যা রয়েছে সেই সকল সমস্যা থেকে দূরে থাকতে
পারবেন।
পায়খানা ক্লিয়ার করার উপায়
আমরা যদি ঠিক মতো জীবন যাপন করি তবে আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য অথবা পাতলা পায়খানা
সমস্যা দেখা দিবে না। এবং পায়খানা ক্লিয়ার করার জন্য আমরা অবলম্বন করতে পারি
উপরের নিয়ম গুলো। তবে আমরা পায়খানা ক্লিয়ার করার উপায় হিসাবে বেশি বেশি ফল
এবং সবজি খেতে।
আবার লেবু খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের পায়খানা ক্লিয়ার হওয়ার সমস্যা দূর। প্রত্যেক
বেলাতেই খাবারের সঙ্গে এবং অন্যান্য পানির সঙ্গে লেবু খেতে পারি। এবং পায়খানা
ক্লিয়ার করার জন্য আমাদের অবশ্যই অতিরিক্ত পরিমাণে তরল পান করতে হবে।
এবং অতিরিক্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে যেটির মাধ্যমে আমাদের শরীরের যেই শুষ্কতা
রয়েছে সেটি দূর হয়। এবং পায়খানা ক্লিয়ার করার জন্য পায়খানার না হওয়ার যে
সকল করণীয় রয়েছে এগুলোই অবলম্বন করতে পারি।
পায়খানার চাপ আসে না
এটি প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের নানান ধরনের কারণে পায়খানা চাপ আশা বন্ধ হয়ে। এবং
আসলেও ঠিকভাবে পায়খানা করতে পারে না। পায়খানা করার পরেও মনে হয় সঠিক ও পেট
থেকে সকল কিছু বের হয় নাই। এর নানান ধরনের কারণ রয়েছে সর্বপ্রথম কারণ হলো সঠিক
মাত্রায় জীবনযাপন না করা।
সঠিক খাদ্য না গ্রহণ করা। যে কারণে পায়খানায় চাপ আসে না। পায়খানায় চাপ নিয়ে
আসার জন্য আমাদের অধিক পরিমাণে তরল খাদ্য এবং ব্যায়াম করা লাগবে। ব্যায়াম ও
অতিরিক্ত পরিমাণে তরল খাবার খাওয়ার মাধ্যমে পায়খানায় চাপ আসবে এবং আমাদের
জীবনধারা উন্নত করতে হবে।
যদি একদমই পায়খানায় চাপ না আসে তবে আমরা কিছু ওষুধ সেবন করতে পারি তবে সেটি
অভিজ্ঞ চিকিৎসক এর পরামর্শ।
পায়খানা না হলে কি ঔষধ
আমাদের যদি অতিরিক্ত পরিমাণ নিয়ে মূলত্য। অথবা আমাদের কয়েকদিন যাবত মলত্যাগ না
হয়। তবে আমরা একটি ওষুধ খাওয়ার মাধ্যমে ঠিক করতে পারি। মাধ্যমে ৬ থেকে ১২
ঘণ্টার মধ্যে এটি আমাদের মলত্যাগ স্বাভাবিক করে তোলে।
আপনার যদি পেট ব্যথা বমি ভাব অথবা এলার্জি থাকে তবে আপনি এই ওষুধটি সেবন করা থেকে
বিরত থাকুন। এবং অবশ্যই এই ওষুধটি গ্রহণের পূর্বে আপনার স্বাস্থ্য বিধি অনুযায়ী
অভিজ্ঞ চিকিৎসক এর পরামর্শ নিন এবং তারপরেই এই ওষুধটি সেবন করুন।
চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করা উচিত। পায়খানার না হলে:
- Dulcolax
এই ওষুধটি আপনি তরল এবং ট্যাবলেট দুই ধরনেরই পাবেন। তবে সর্বপ্রথম পায়খানা না
হলে করণীয় যেগুলো রয়েছে সেগুলো অবলম্বন করুন তারপরেও যদি পায়খানা না হয় তবেই
এই ওষুধটি সেবন করুন।
পায়খানা নরম করার উপায়
পায়খানা নরম করার উপায় গুলো খুবই সহজ আমাদের নিয়মিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে
হবে এবং এই স্বাস্থ্যবিধির মেনে চলার মাধ্যমে আমাদের পায়খানা নরম হয়ে যাবে। এবং
আমাদের খাদ্য অভ্যাসগুলো পরিবর্তন করতে হবে। আমাদের খাদ্যে ভাজাপোড়া এবং
অতিরিক্ত গ্যাস করে এমন ধরনের খাদ্য গ্রহণ করা উচিত নয়।
এ সকল খাদ্য গ্রহণ করার মাধ্যমে পেটের মধ্যে গ্যাস হয়ে যায় এবং পায়খানা কষা
হয়ে যায় যে কারণে আমাদের এ সকল খাদ্য থেকে দূরে থাকতে হবে। এবং এর পাশাপাশি
আমরা অনেক ভালো এবং সবুজ শাকসবজি খেতে পারি সবুজ শাকসবজি খাওয়ার মাধ্যমে
পায়খানা নরম হবে।
বেশি বেশি পরিমাণে পানি পান করতে হবে। এতে করে আমাদের পায়খানা নরম হবে। এবং
তারপরেও যদি আপনার পায়খানা নরম না হয় তবেই আপনি ওষুধ সেবন করতে পারেন ডাক্তারের
পরামর্শ অনুযায়ী।
এবং ওপরে যে সকল নিয়ম ও পায়খানা না হলে করণীয় যে সকল কিছু রয়েছে সেগুলো আপনি
অবলম্বন করতে পারেন।
আমাদের পরামর্শ
প্রিয় পাঠক ওপরে পায়খানা না হলে করণীয় - কি খেলে পায়খানা হবে ভালোভাবে
বিস্তারিত জানানো হয়েছে। ওপরের পরামর্শ গুলো আমরা শুধু আপনাকে জ্ঞান অর্জনের
জন্য জানিয়েছি। আপনি অভিজ্ঞ চিকিৎসক এর পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে পারেন
এবং আমাদের পরামর্শ গুলো অবলম্বন করতে পারেন। এতে করে আপনার পায়খানা নরম হবে এবং
আপনার জীবন যাত্রা উন্নত হবে।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url