ফোড়া হলে কি করনীয় - ফোড়ার ঘা শুকানোর উপায়

ফোড়া হলে কি করনীয় - ফোড়ার ঘা শুকানোর উপায় জেনে ফোড়ার ব্যথা নির্মূল করুন। ফোড়া রোগে পরিণত হওয়ার পূর্বেই ফোড়ার চিকিৎসা করুন এবং ঘরোয়া ভাবেই আপনি চিকিৎসা করতে পারবেন।
ফোড়া-হলে-কি-করনীয়-ফোড়ার-ঘা-শুকানোর-উপায়
সূচিপত্র:ফোড়া হলে কি করনীয় - ফোড়ার ঘা শুকানোর উপায় 

ফোড়া হলে কি করনীয় - ফোড়ার ঘা শুকানোর উপায়

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আমাদের ফোড়া বের হয়ে থাকে। এই ফোড়ার ব্যথা অনেক বেশি হয়ে থাকে যে কারণে আমাদের ফোড়া হলে কি করনীয় তা জানা খুবই জরুরী। ফোড়া মূলত আমাদের ত্বকের নিচে বের হয়ে থাকে। এবং ফোড়া বের হয়ে সেই স্থানে পুঁজ তৈরি এবং জমা করতে থাকে। 

পুঁজ সাথে থাকা জীবাণুর কারনে সেই স্থানটি ব্যথা করতে থাকে। যে কারণে আমাদের দ্রুতই ফোড়া হলে কি করনীয় সেই বিষয়ে জানা এবং সেই অনুযায়ী ফোড়ার চিকিৎসা করা প্রয়োজন। ফোড়া হলে আমাদের সেই স্থানকে অবশ্যই অনেক বেশি যত্ন নিতে হবে এবং সেই স্থান অনেক ভালোভাবে পরিষ্কার করে রাখতে হবে। 

করার স্থানটি নিয়ে বেশি সতর্ক থাকতে হবে। তাই চলুন জেনে নি ফোড়া হলে কি করনীয় - ফোড়ার ঘা শুকানোর উপায় হলো:
  • পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন অবশ্যই ফোড়ায় যে স্থানে বের সেই ত্বকের স্থানটি ভালোভাবে জীবাণু নাশক যে সকল সাবান রয়েছে সে সকল সাবান দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে ফোড়ার আক্রান্ত ত্বক। এইভাবে যদি আমরা জীবাণুনাশক সাবান দিয়ে ফোড়ার স্থানে ব্যবহার করি তবে সেই স্থানে. জীবাণু দূর হবে এবং ফোড়া আস্তে আস্তে কমে আসবে।
  • ফোড়ার মলম ফোড়া হলে আমরা যার মলম ব্যবহার করে ফোড়ার ব্যথা এবং জীবাণু ধ্বংস করতে পারি আমরা জীবাণু নাশক মলম ফোড়ার চারিপাশে এবং ফোঁড়ার উপরে ব্যবহার করতে পারি এতে করে আমাদের ফোড়া আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে আসবে।
  • আমরা যদি দ্রুত রা ঠিক করতে চাই তবে আমাদের গরম পানির শেখ দিতে হবে হয় তবে আমরা একটি সুন্দর পরিষ্কার কাপড় নিয়ে সেটি গরম পানিতে হালকা ভাবে ভিজিয়ে আমাদের ত্বকের ফোড়া হয়েছে হালকা ভাবে চেপে ধরে রাখতে পারি এতে করে আমাদের আসতে আসতে ১-২ দিনের মধ্যে ফোড়া গলে আসতে শুরু করবে।
  • ত্বকের যেই স্থানে ফোড়া হয়েছে সেই ফোঁড়া গলাবেন না, ফোড়া যখন নিজে থেকেই গলতে শুরু করবে তখন তার ভেতরকার পুঁজ হালকা কোন কাপড় অথবা টিস্যু অথবা তোলা দিয়ে পুজ বের করে ফেলুন। সেই টিস্যু অথবা কাপড় অবশ্যই পরিষ্কার হওয়া উচিত। এবং ফোড়ার পুঁজ বাহির করার পরে সেখানে হালকা হবে অ্যান্টিবায়োটিক মলম লাগিয়ে দিন।
  • ফোড়া ভালো হয়ে যাওয়ার পরে অবশ্যই আপনার জামা কাপড় এবং বিছানার চাঁদর সহ যে সকল কাপড় ব্যবহার করেছেন সেই সকল কিছু ভালভাবে ধুয়ে দিতে হবে কেননা না হলে ফোঁড়ার সংক্রমণ অন্যদের ছড়িয়ে যেতে পারে
  • পুরুষদের মুখের যেকোন অংশে ফোড়া হয় তবে দাড়ি কামানোর পরে অবশ্যই অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম ব্যবহার করবেন।
এ সকল নিয়ম অবলম্বন করার মাধ্যমে আপনার ফোড়ার ঠিক হয়ে যাবে এবং আপনার ফোড়ার ঘা শুকিয়ে আসবে। ছোট ফোড়া হলে সেটির ঘা শুকাতে এক থেকে দুই দিন এর মত সময় লাগে তবে এটি নিজে নিজেই ঠিক হয়ে যায়। 

যে কারণে আপনি ফোড়া শুকানোর জন্য কোন মলম অথবা ওষুধ ব্যবহার করতে পারেন চিকিৎসক এর পরামর্শ অনুযায়ী। অথবা নিচে আমরা আরও ফোড়ার বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়েছে। আপনি পড়ার বিষয়ে আরো বিস্তারিত যান তে চাইলে নিজের অংশ পড়ুন।

ফোড়া হলে কি খাওয়া যাবে না

আমরা অনেকে মনে করে ফোড়া হলে অনেক ধরনের খাবার খাওয়া উচিত নয়। তবে পড়ার সময় আমরা সকল ধরনের খাবারই খেতে পারি এতে আমাদের কোন ধরনের ফোড়ার সমস্যা হবে না। ফোড়া হলে কি খাবার খাওয়া যাবে না এই বিষয়ে ডাক্তারি কোন পরামর্শ নেই। 

তবে লোকমুখে শোনা যায় এমন ধরনের খাবার ফোড়া হলে খাওয়া উচিত নয় যেমন যে সকল খাবারে দুর্গন্ধ রয়েছে সেই সকল খাবার খাওয়া উচিত নয় ফোড়া হলে। আবার যে সকল খাবার রে চিনি যুক্ত রয়েছে সেই সকল খাবার খাওয়া উচিত নয় এ সকল খাবার খাওয়ার মাধ্যমে নাকি ফোড়া হলে যেই অংশটুকু ক্ষত হয় সেই অংশের ক্ষত টুকু বৃদ্ধি পায়।
যে কারণে চিনি যুক্ত খাবার এবং দুর্গন্ধযুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকার কথা বলা হয় লোকমুখে। যে কারণে আমাদের যদি ত্বকে ফোড়া হয় তবে আমরা এই সকল খাবার যেমন দুর্গন্ধযুক্ত এবং চিনিযুক্ত খাবার কয়েক দিনে চলার চেষ্টা করব এবং আমরা ফোড়া ঠিক হয়ে গেলে সেই খাবার খেতে পারবো তাতে কোন সমস্যা হবে না।

লোম ফোড়ার ওষুধ

আমাদের ত্বকে লোম ফোড়া বের হলে অনেক ব্যথা অনুভব হয় কেননা লম্বা ছোট হলেও এটি অনেক ব্যথা হয়। লোম ফোড়ার ফোঁড়া দেখতে ছোট তবে আপনি এটি যতই বেশি হাত দিয়ে টাচ করবেন ততই এটি বড় এবং ব্যথা বেশি হতে শুরু করবে। 

লোম ফোড়ার ব্যথার কারণে আপনার সাধারণত চর আসতে পারে এবং শরীর অনেক খারাপ করতে পারে। তাই লোম ফোড়া বের হলে ভয় করার কিছু নেই। কিছু ওষুধ খাওয়ার মাধ্যমেই লোম ধরা বসতে শুরু করে এবং সাধারণত লোম ফোড়া ৭ থেকে ১৪ দিনের মধ্যেই ঠিক হয়ে যায়। 

তাই আমরা সাধারণত ভাবে লোম ফোড়া বসানোর জন্য কোন ধরনের ওষুধ নাও খেতে পারে অথবা আপনি অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী যে ওষুধ লিখে দেয় আপনি সেই ওষুধ খেতে পারেন। তবে আমরা আপনাকে যেই ফোড়া হলে কি করনীয় এবং যে ওষুধ সেবনের জন্য পরামর্শ দিচ্ছি আপনি সেটি হওয়ার মাধ্যমে আপনার ব্যথা লোম ফোড়ার ব্যথা দূর হবে। 

ব্যথা কমানো লোম ফোড়ার ওষুধ হলো: ওভার-দ্য-কাউন্টার এই ওষুধ খাওয়ার মাধ্যমে আপনার লোম করার জন্য যে এই ব্যথা হচ্ছিল সেই ব্যথাটা ঠিক হয়ে যাবে।

দ্রুত ফোড়া পাকানোর উপায় -ঘরোয়া ভাবে

দ্রুত ফোড়া পাকানোর উপায় অবলম্বন করে আমরা খুব দ্রুত ফোড়া পাকাতে পারব এবং ফোড়া বসাতে পারবো। যে কারণে খুব দ্রুতই আমাদের ফোর র ঠিক হয়ে যাবে। এবং এই সকল উপায় আমরা ঘরোয়া ভাবে অবলম্বন করতে পারি। 

যেগুলো আমাদের ঘরে নিয়মিত থাকে এমন ধরনের কিছু দ্রব্য দিয়েই আমরা দ্রুত ফোড়া পাকাতে পারবো। এই উপায় অবলম্বন করে আপনি আপনার লোম ফোড়া এবং যে কোন সাধারণ ফোড়া ঠিক করতে পারবেন। 

ফোড়া হলে করণীয় কি তা আমরা উপরে জেনেছি এবং উপরে আরো ভালোভাবে ফোড়া ঠিক করার উপায় জানানো হয়েছে এবং এটি হল ঘরোয়াভাবে ঠিক করার উপায় আপনি দুটি উপায় অবলম্বন করে দেখতে পারেন। দ্রুত ফোড়া কমানোর উপায় হল:
  • হলুদ: হলুদ ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি ফোড়া যেই জীবাণু রয়েছে সেইখান থেকে মুক্তি পেতে পারেন। অথবা আপনি হলুদ খাওয়া এবং কাঁচা হলুদ লাগানোর মাধ্যমে ফোড়ার থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
  • টি ট্রি অয়েল: ক্যারিয়ার তেল নারকেল অথবা অলিভ অয়েল এর সাথে মিশিয়ে ফোড়ার চারপাশে লাগাতে পারেন এতে করে আপনার ফোড়া আস্তে আস্তে শুকিয়ে আসতে শুরু করবে।
  • নিম এর তেল ফোড়ার চারপাশে অথবা ফোড়াতে লাগানোর মাধ্যমে ফোড়া আস্তে আস্তে ঠিক হতে থাকে যে কারণে আপনি নিম তেল লাগাতে পারেন।
  • রসুন: রসুন এর মধ্যে যে আঠালো রস থাকে সেই রস খোঁড়ার স্থানে লাগাতে পারেন দিনের মধ্যে কয়েকবার এতে করে আপনার ফোড়া দ্রুত ঠিক হয়ে আসতে শুরু করবে।

লোম ফোড়া হলে কি করতে হবে

লোম ফোড়া হলে কি করনীয় তা জানবো এখন। লোম ফোড়া হলে আমাদের লোম ফোড়া যতদিন আমার আমাদের ত্বকে থাকে ততদিনে আমাদের সেই স্থান অনেক পরিমাণে ব্যথা করে এবং দেখতে অনেক খারাপ লাগে যে কারণে আমাদের একটি দ্রুত ঠিক করা উচিত। 
লোম-ফোড়া-হলে-কি-করতে-হবে
এর জন্য আমরা আটার রুটি দিয়ে এটি নির্মূল করতে পারে আটার রুটি গরম দুধ অথবা গরম পানির মধ্যে ভিজিয়ে রেখে কিছুক্ষণ পরে খোঁড়ার ওপরে লাগাতে পারি এতে করে ফোঁড়া আস্তে আস্তে মুখ বের করে আনবে এবং আস্তে আস্তে সেটির ভেতরে থাকা পোস্টগুলো বেরিয়ে আসতে শুরু করবে। 

আমরা কালো জিরার তেলের মাধ্যমে ফোড়া ঠিক করতে পারি এর জন্য আমরা সারা দিনে দুইবারের মতো কালো জিরার তেল পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারি এর জন্য আমরা অর্ধেক চামচ কালো জিরার তেল পানির মধ্যে মিশিয়ে খেতে। এবং কালোজিরা পেস্ট করে ত্বকের যে স্থানে লোম ফোড়া বের হয়েছে সেই স্থানে লাগাতে পারি এতে করে আমাদের লোম ফোড়া দ্রুতই ভালো হয়ে যাবে।

ফোড়ার মলম এর নাম

ফোড়ার মলম ব্যবহার করার মাধ্যমেও আমরা খুব দ্রুত ফোড়ার ঠিক করে আনতে পারি। ফোড়ার মলম ব্যবহার করলে সেই স্থান এর যে সকল জীবাণু রয়েছে সেই সকল জীবাণু ধ্বংস করে ফোড়ার মলম। আমাদের ত্বকের যে স্থানে ফোড়া হয় সেই স্থানে অনেক পরিমাণে জীবাণু থাকে যে কারণে পুঁজ জমা হয়।
তাই আমরা যদি প্রথম থেকেই ফোড়ার মলম ব্যবহার করি তবে আমাদের সেই স্থানে অল্প পরিমাণে পুঁজ হবে এবং আমাদের ত্বকের ক্ষতি কম হবে। তবে এই মহলম গুলো ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই অভিজ্ঞ চিকিৎসক এর পরামর্শ নেওয়া উচিত। এবং আপনি এই মলম লাগানোর পাশাপাশি ফোড়া হলে কি করণীয় সে সকল কিছু অবলম্বন করতে পারেন। ফোড়ার মলম এর নাম হল:
  1. Wokadine 5% Ointment.
  2. Unidine 5% Ointment.
  3. Piodin 5% Ointment.
  4. Pividine 5% Ointment.
  5. Intadine 5% Capsule.
আপনি উপরের যেকোনো একটি মলম ব্যবহার করতে পারেন তবে এই সকল মলম ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এবং আপনার ত্বকের ধরন বুঝে ব্যবহার করা উচিত এই সকল মলম।

ফোড়া থেকে কি ক্যান্সার হয়

একটি ফোঁড়া দীর্ঘ আপনার ত্বকের যেকোনো স্থান নিয়ে থাকার মাধ্যমে এটি ক্যান্সার এর রূপ নিতে পারে। কেননা আস্তে আস্তে ফোঁড়ার যেই জীবাণুগুলো রয়েছে সেখান থেকে ক্যান্সারের সৃষ্টি হতে। তবে ফোড়া হলে যে ক্যান্সার হবে এমনটি নয়। ক্যান্সারের আরো নানান ধরনের রোগ বৃদ্ধি রয়েছে। 

এবং ক্যান্সার নিশ্চিত করতে অভ্যাস হয়ে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পরীক্ষা করা উচিত। তবে দীর্ঘ সময় ধরে টিউমার অথবা দীর্ঘ সময়ের ফোড়া অনেক বড় হলে সেটি দীর্ঘ সময় থাকলে ক্যান্সারের রূপ নিতে পারে। তাই ফোড়া দ্রুত নির্মূল করে ফেলুন।

ফোড়ার এন্টিবায়োটিক ঔষধের নাম

ফোড়ার জন্য এন্টি বায়োটিক তখনই খেতে হয় যখন ফোড়া অনেক ব্যথা এবং অনেক বেশি বড় হয়ে থাকে। তবে এই অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ফোড়ার-এন্টিবায়োটিক-ঔষধের-নাম
আপনি নিজে থেকে কখনো এই এন্টি বায়োটিক খেতে যাবেন না। কেননা বয়স অনুযায়ী এই এন্টি বায়োটিক এর ধরনের এবং খাওয়ার নিয়ম পরিবর্তন হয়। এই এন্টি বায়োটিক টি হল:
  • Flucloxacillin sodio 500 mg.
খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই অভিজ্ঞ চিকিৎসক এর পরামর্শ নিন।   

আমাদের পরামর্শ

প্রিয় পাঠক উপরে ফোড়া হলে কি করনীয় - ফোড়ার ঘা শুকানোর উপায় জানানো হয়েছে যেগুলো যেগুলো অবলম্বন করে আপনি আপনার ফোড়া অথবা লোম ফোড়ার অনেক ভালোভাবে চিকিৎসা করতে পারবেন এই সকল কিছু শুধুমাত্র আমরা আপনাকে সাধারণ জ্ঞানের জন্য জানিয়েছি। 

আপনি আমাদের পরামর্শ অনুযায়ী আপনার ফোড়া ঠিক করতে পারেন। তবে ওষুধগুলো সেবনের পূর্বে অবশ্যই অভিজ্ঞ চিকিৎসক এর পরামর্শ নিন সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url