কাঁচা হলুদ মুখে দেওয়ার নিয়ম - ঘরোয়া রূপচর্চা
কাঁচা হলুদ মুখে দেওয়ার নিয়ম - ঘরোয়া রূপচর্চা করার মাধ্যমে আপনি হয়ে উঠবেন
রূপবতী। কেননা এখানে এমন ধরনের রূপচর্চার উপায় বলা হয়েছে যেগুলো সুন্দর হওয়া
থেকে আটকাতে পারে না।
সূচিপত্র: কাঁচা হলুদ মুখে দেওয়ার নিয়ম - ঘরোয়া রূপচর্চা
কাঁচা হলুদ মুখে দেওয়ার নিয়ম - ঘরোয়া রূপচর্চা
আমরা অনেকেই কাঁচা হলুদের সাথে পরিচয় কেননা কাঁচা হলুদ মুখে দিয়ে আমরা খুব সহজে
আমাদের ত্বকের রূপচর্চা করতে পারবো। কাঁচা হলুদ মুখে দেওয়ার মাধ্যমে আমাদের মুখে
যদি কোন ধরনের জীবাণু অথবা কোন ধরনের দাগ থাকে তবে সেটি আস্তে আস্তে ঠিক হতে শুরু
করে।
কাঁচা হলুদ মুখে দেওয়ার মাধ্যমে এর জন্য আমরা কাঁচা হলুদ মুখে দিতে পারি। কাঁচা
হলুদ মুখে দেওয়ার নিয়ম মেনে যদি আমরা কাঁচা হলুদ মুখে না দেই তবে এটি আমাদের
উপকারের চেয়ে ক্ষতি হতে পারে। যে কারণে আমাদের কাঁচা হলুদ আমাদের খুব সাবধানে
সাথে আমাদের মুখে ব্যবহার করতে হবে।
কাঁচা হলুদ আমাদের মুখে মাখার জন্য আমরা কাঁচা হলুদ এবং চন্দনের গোড়া একসাথে
পেস্ট করে তার মধ্যে লেবুর রস দিয়ে ভালোভাবে পেস্ট করে নিতে পারি। এবং তারপর
মুখে লাগাতে হবে ভালোভাবে। যখন সেটি শুকিয়ে যাবে মুখের মধ্যে তখন সেটি পানি
দিয়ে ধুয়ে ফেলতে পারবেন।
এবং এর মধ্যে আপনি খুব সহজেই দুধ অথবা মধু ব্যবহার করতে পারবেন। তবে একটি
প্রত্যেক দিন ব্যবহার না করলে সপ্তাহে ব্যবহার করুন। ওপরে কাঁচা হলুদ মুখে
দেওয়ার নিয়ম জানানো হয়েছে। যে নিয়মগুলো অনুষ্ঠান করে আপনি খুব সহজেই আপনার
মুখে কাঁচা হলুদ ব্যবহার করতে পারবেন। এবং ঘরোয়া রূপচর্চা করার জন্য আমরা যে
সব পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারি তা হল:
- আমরা মুখের যত্নে অথবা আমাদের রূপচর্চার জন্য কাঁচা হলুদ ব্যবহার করতে পারি কাঁচা হলুদ ব্যবহার করার মাধ্যমে আমাদের ত্বক অনেক ভালো থাকে। এবং সপ্তাহে সপ্তাহে যদি আমরা নিয়মিত কাঁচা হলুদ আমাদের মুখে লাগায় তবে আমাদের ত্বক ব্রণ মুক্ত হতে শুরু করবে।
- অ্যালোভেরা জেল: প্রাকৃতিকভাবে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য অ্যালোভেরা অনেক বেশি উপকারী একটি উপাদান। অ্যালোভেরা যদি আপনি ব্যবহার করেন তবে আস্তে আস্তে সেটি অনেক ভালো ফলাফল নিয়ে আসতে পারে। অ্যালোভেরা আপনি হাতে পায়ে মুখে এবং শরীরের যেকোনো স্থানে ব্যবহার করতে পারবেন। এটি শরীরের কালো দাগ দূর করতে অনেক বেশি উপকারী।
- চিনি ও অলিভ অয়েল: আমাদের শরীরের দাগ দূর করতে ঘরোয়া রূপচর্চা হিসাবে আমরা চিনি ও অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারি। তিনি ও আলীও অয়েল একসাথে ভালোভাবে মিশে আমরা আমাদের শরীরের যে কোন স্থানে লাগাতে পারি। এবং সেটি লাগানোর পরে আধা ঘন্টা শুকাতে সময় দিন এবং তারপরে সেটি আস্তে আস্তে হাত দিয়ে তুলে ফেলুন এবং তারপরে হালকা কুসুম কুসুম গরম পানিতে গোসল করে নিন।
- চালের গুড়া ও তরমুজ: চালের গুড়া ও তোর একসাথে মিশিয়ে আমরা খুব সহজে অনেক ভালো একটি রূপচর্চা করতে পারি। গ্রীষ্মকালে আমাদের ত্বক যদি রোদে পুড়ে যায় তবে সেই পুরে যাওয়া কালো ত্বক চালের গোড়া ও তরমুজের সাহায্যে আমরা খুব সহজেই দূর করতে পারবো। তরমুজ ব্লেন্ড করে এক চামচ চালের গুড়া একসাথে মিশিয়ে নিন এবং কালো স্থানে লাগিয়ে 15 মিনিট পরে হাত দিয়ে ডলে তুলে ফেলুন।
প্রিয় পাঠক ওপরে আমরা এতক্ষন কাঁচা হলুদ মুখে দেওয়ার নিয়ম - ঘরোয়া রূপচর্চা
বিষয়ে জানলাম। এবং অনেক ভালোভাবে এটি বর্ণ দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আপনি চাইলে
হলুদের রূপচর্চা নিয়ে আরো ভালোভাবে বিস্তারিত জানতে পারেন নিচে থেকে। নিজে আরো
ভালোভাবে কাঁচা হলুদ মুখে দেওয়ার নিয়ম ও আরো অনেক বিষয়ই জানানো হবে। আপনি
চাইলে সেগুলো পড়তে পারেন।
কাঁচা হলুদ দিয়ে রূপচর্চা
কাঁচা হলুদে আমরা অনেক ধরনের রূপচর্চা করতে পারি। কাঁচা হলুদ দিয়ে রূপচর্চা
করার জন্য আমাদের কাঁচা হলুদের সাথে আরও অন্যান্য অনেক উপাদান মিশিয়ে ব্যবহার
করা লাগতে পারে। কেননা আমরা যখন শুধু কাঁচা হলুদ ব্যবহার করব তখন সেটির ফলাফল
একটু কম হতে পারে।
তবে যখন আমরা কাঁচা হলুদের সাথে কোন কিছু একটি মিশিয়ে ব্যবহার করব তখন এটি আরো
অনেক বেশি কার্যকরী হবে। যে কারণে আমরা কাঁচা হলুদ ভালোভাবে পেস্ট করে নিয়ে এর
সাথে দুধ মধু অথবা বেসন মিশাতে পারি এবং তারপর আরো ভালোভাবে পেস্ট করতে
পারি।
আপনি চাইলে এর সাথে লেবু মেশাতে পারেন। এবং আপনি যদি কাঁচা হলুদের সাথে টক দই
ব্যবহার করেন তবেও আপনি এটির অনেক ভাল ফল পাবেন এবং আপনার মুখের সকল ধরনের দাগ
দূর হবে। এবং যদি আপনার ব্রণ সমস্যা থাকে তবেও এটি খুব দ্রুত দূর করতে সাহায্য
করবে।
আবার আপনি যদি মনে করেন আপনার চোখের নিচের কালো দাগ দূর করবেন তবেও আপনি কাঁচা
হলুদ ব্যবহার করে আপনার চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতে পারেন। এর জন্য আপনি জলপাই
অথবা মাখন এর তেল মিশিয়ে ভালোভাবে একসাথে পেস্ট করে চোখের নিজের অংশে লাগাতে
পারেন।
এটি শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলতে পারেন। আপনি খুব সহজেই এটি করার মাধ্যমে আপনার
চোখের নিচের কালো দাগ এবং উপরে যে সকল তথ্য দেওয়া হলো এটি দিয়ে খুব সহজেই
আপনি ঘরোয়া রূপচর্চা করতে পারবেন।
কাঁচা হলুদ খাওয়ার নিয়ম
আপনি যদি নিয়মিত সকল বেলায় কাঁচা হলুদ এর টুকরা খালি পেটে ক্ষান্ত হবে এটি
আপনার শরীরের জন্য অনেক উপকারী। এর জন্য আপনি আপনার শরীরে শরীর রাখার জন্য
নিয়মিত কাঁচা হলুদ খেতে পারেন। অনেক উপকার রয়েছে। এবং এই কাঁচা হল খাওয়ার
মাধ্যমে অনেক বড় বড় অসুখ থেকে আপনি মুক্তি পাবেনআবার অনেক বেশি শরীর ঠিক
রাখতে পারবেন।
কাঁচা হলুদ নিয়মিত খাওয়ার মাধ্যমে আপনার গ্যাসের সমস্যা দূর হয়ে যাবে। আবার
আপনি যদি কাঁচা হল নিয়মিত খান তবে আপনার ক্যান্সারের আশঙ্কা অনেক কমে যাবে। এবং
ছোট বয়সের যদি বা ছোট বাচ্চাদের যদি আপনি কাঁচা হলুদ খাওয়ান তবে তাদের
মস্তিষ্কের শক্তি বৃদ্ধি পাবে।
আরো অনেক উপকার রয়েছে কাঁচা হলুদে। যে কারণে আপনি নিয়মিত এ সকল উপকার পেতে হলে
আপনি নিয়মিত সকালবেলায় খালি পেটে এক টুকরা কাঁচা হলুদ খেতে পারেন। অথবা আপনি
কাঁচা হলুদ যে কোন জুস অথবা ছুপ এর সাথেও খেতে পারেন।
মুখে হলুদ দিলে জ্বলে কেন
আপনি যদি কাঁচা হলুদ মুখে দেওয়ার নিয়ম না জেনে এবং ভুল নিয়মে কাঁচা হলুদ
মুখে দেন তবে আপনার মুখ জলাটা স্বাভাবিক বিষয় হতে পারে। আবার অনেক সময় দেখা
দেয়। কিছু ব্যক্তিদের কাঁচা হলুদ মাখার বিষয়টি ভালো বিষয় নয়। যে কারণে
কাঁচা হলুদ মাখার ফলে তাদের মুখ জ্বালাপোড়া করে।
কাঁচা হলুদ মাখার নিয়ম অবলম্বন করলে মুখের জ্বলা পোড়া হতে পারে। আপনি যদি
নিয়মিত হলুদ ব্যবহার করেন তবে আপনার মুখ জ্বালা পোড়া করতে পারে। কেননা আপনি যখন
নিয়মিত হলেও ব্যবহার করবেন এবং হলুদ ব্যবহারের পরে যখন আপনি রোদে বের হবেন।
তখন এটি আপনার মুখ অনেক জ্বালাপোড়া করবে এবং কালো হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
যে কারণে সপ্তাহে একবার কাঁচা হলুদ ব্যবহার করুন। এবং কাঁচা হলুদ ব্যবহার যেই দিন
করবেন সেই দিন রোদে যাবেন না। এতে করে আপনার মুখের ক্ষতি হতে পারে।
আপনার যদি কোন ধরনের এলার্জি থেকে থাকে তবে এতে মোটেও কাঁচা হলুদ ব্যবহার করা
উচিত নয়। কেননা কাঁচা হলুদ ব্যবহারের ফলে এলার্জি আরো বেশি বাড়তে পারে। এবং
কাঁচা হলুদ পেস্ট করার পর যে কখনোই বিশ মিনিটের বেশি রাখবেন না।
আরো পড়ুন: সিরাম ব্যবহারের সঠিক নিয়ম -কোন সিরাম সব থেকে ভালো জেনে নিন
যেদিন কাঁচা হলুদ ব্যবহার করবেন সেই দিন ১০ ঘন্টার মধ্যে কোন ধরনের সাবান
ব্যবহার করবেন না। তাই আরো ভালোভাবে জানতে মুখে কাঁচা হলুদ মাখার নিয়ম গুলো
আরো ভালোভাবে বিস্তারিত জানুন।
কাঁচা হলুদ খেলে কি ক্ষতি হয়
কাঁচা হলুদ নিয়মিত খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের অনেক উপকার রয়েছে তবে এই কাঁচা
হলুদ যদি আমরা অনেক বেশি পরিমাণে খেয়ে ফেলি তবে আমাদের আরো অনেক খারাপ পরিণতি
হতে পারে উপকারের চেয়ে। যে কারণে আমাদের অতিরিক্ত কাঁচা হলুদ খাওয়া মোটেও ঠিক
নাই।
আমরা যদি অতিরিক্ত পরিমাণে কাঁচা হলুদ খেয়ে ফেলি তবে ঘটতে পারে নানান ধরনের
বিপত্তি। যে কারণে আমাদের কাঁচা হলুদ অল্প পরিমাণে খাওয়া উচিত। আমরা যদি কাঁচা
হলুদ বেশি পরিমাণে খেয়ে ফেলি তাহলে যা যা হবে তা হল:
- আমরা যদি কাঁচা হলুদ অনেক বেশি পরিমাণে খেয়ে ফেলি তবে এটি আমাদের হজম করতে অনেক অসুবিধা হবে যে কারণে আমরা বেশি কাঁচা হলুদ খাব না।
- এবং আমরা যদি বেশি কাঁচা হলুদ খেয়ে ফেলি তবে আমাদের ডায়রিয়ার সাথে বমি ভাব হতে পারে। কেননা আমাদের যখন খাবার হজম হবে না তখন আমাদের পেটের মধ্যে সেটি ডায়রিয়ার রূপ নিবে।
- কাঁচা হলুদ অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের লিভারের কার্যক্রমে সমস্যা দেখা দিতে পারে। যে কারণে আমাদের অতিরিক্ত কাঁচা হলুদ নিয়মিত খাওয়া উচিত নয়।
- কাঁচা হলুদ আমাদের রক্তকে পাতলা করতে থাকে। যে কারণে আমরা যদি অতিরিক্ত পরিমাণে কাঁচা হলুদ খেয়ে ফেলি তবে আমাদের রক্ত অনেক বেশি পাতলা হয়ে যাবে যে কারণে রক্তপাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে। তাই অতিরিক্ত কাঁচা হলুদ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
- যাদের পিত্ত থলিতে পাথর অথবা পিত্তথলিতে কোন ধরনের সমস্যা রয়েছে সেই ব্যক্তিদের কাঁচা হলুদ অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া কোনমতেই ঠিক নয়। না কাঁচা হলুদ অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে এটি অনেক বিপদজনক হতে পারে। এবং কাঁচা হলুদ অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।
- যারা জ`রায়ু ক্যান্সারে ভুগছেন তাদেরও অতিরিক্ত পরিমাণে কাঁচা হলুদ খাওয়া উচিত নয়। এতে করে জরা`য়ু ক্যান্সারের সমস্যা বৃদ্ধি পেতে পারে। যে কারণে কাঁচা হলুদ খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই আপনার অভিজ্ঞ চিকিৎসক এর পরামর্শ নিন।
ব্রণ দূর করতে কাঁচা হলুদ
কাঁচা হলুদ মুখে দেওয়ার নিয়ম জেনে আমরা যদি সঠিকভাবে কাঁচা হলুদ মুখে দেই তবে
ব্রণের দাগ দূর করতে কাঁচা হলুদ অনেক বেশি উপকারে আসবে। আমরা যদি নিয়মিত
সপ্তাহে একবার করলে এটি ব্যবহার করি তবে ব্রণের দাগ আস্তে আস্তে দূর হয়ে
যাবে।
যে কারণে আমরা কাঁচা হলুদ দেওয়ার পরে রোদে বের হবো না রোদে বের হলে ব্রণের দাগ
মিশবে না এবং তার সাথে আমাদের মুখে আরো বেশি কালো দাগ হয়ে যাবে। যে কারণে কাঁচা
হলুদ পেস্ট করে তার সঙ্গে চন্দন চন্দন ঘোড়া ও লেবুর রস মিশিয়ে ভালোভাবে মুখে
লাগাতে হবে।
সপ্তাহে এটি একবার মাধ্যমে আস্তে আস্তে আমাদের মুখের ব্রণের দাগ দূর হতে শুরু।
তবে কাঁচা হলুদ যদি আমরা ২০ মিনিট সময় বা তারও বেশি সময় ধরে পেস্ট করে রেখে দিই
তবে সেটি মাখা আমাদের জন্য মোটে উচিত নয়। এবং কাঁচা হলুদ মুখে দেওয়ার পরের ১০
ঘণ্টা কোন ধরনের সাবান ব্যবহার করা যাবে না নাহলে মুখের দাগ আরও বৃদ্ধি পেতে
পারে।
কাঁচা হলুদ দিয়ে কিভাবে ফর্সা হওয়া যায়
প্রাকৃতিকভাবে যদি আমরা ফর্সা হতে চাই তবে অবশ্যই আমাদের জানতে হবে কাঁচা হলুদ
মুখে দেওয়ার নিয়ম। এবং সেই নিয়ম অনুযায়ী যদি আমরা প্রাকৃতিক ভাবে ফর্সা হই
তবে সেটি আমাদের চিরস্থায়ী ভাবে আমরা ফর্সা হয়ে যাব।
আর যদি আমরা কোন ধরনের কেমিক্যাল ইউজ করে ফর্সা হইতে হবে সেটি বইয়ে আনতে পারে
আমাদের জন্য অনেক ভয়াবহ সমস্যা। যে কারণে আমাদের হলুদ দিয়ে কিভাবে ফর্সা হয়
সেটি ভালো হবে জেনে সে অনুযায়ী আমাদের ফর্সা হতে হবে। তো সর্বপ্রথম হলুদের ফর্সা
হওয়ার জন্য আমরা হলুদ এবং এক চামচ পরিমাণ লেবুর রস নিতে পারি।
আরো পড়ুন :মুখে ব্রণের দাগ দূর করার উপায় - ব্রণের ডাক্তারি চিকিৎসা
এবং তারপর সে এক চামচ ময়দার গুড়ার সাথে এক্স চামচ হলুদের গোড়া নিতে পারি। এবং
তার সাথে আমরা এক চামচ পরিমাণ কাঁচা দুধ নিয়ে সেটি ভালোভাবে সবগুলো একসাথে
মিশিয়ে একটি ফেসপ্যাক বানাতে পারি এবং সেই ফেসপ্যাক আমাদের ঘাড়ে এবং গলায় বা
এবং মুখে যে কোন স্থানে লাগাতে পারি।
এবং আস্তে আস্তে যখন সেটি শুকিয়ে যাবে তখন আমরা ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে
পারি এবং এটি সপ্তাহে একবার একবার করে করার মাধ্যমে অনেক ভালো ফলাফল পাবেন।
নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ মুখে দিলে কি হয়
নিম পাতা আমাদের মুখের সকল ধরনের জীবাণু এবং আমাদের ত্বকে যদি কোন ধরনের জীবাণু
থাকে তবে সে একটি দূর করতে অনেক ভালোভাবে সাহায্য করে থাকে। যে কারণে হলুদ এবং
নিম পাতা যদি আমরা একসাথে আমাদের মুখের মধ্যে দেই।
তবে এটি আমাদের মুখের মধ্যে দেওয়ার মাধ্যমে ব্রণের যে সকল জীবাণু রয়েছে সেটি
আস্তে আস্তে দূর হতে শুরু করবে এবং এটি অনেক ভালো ঘরোয়া রূপচর্চা হিসাবে বিবেচিত
হবে। যে কারণে আমাদের নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ একসাথে ভালোভাবে পেস্ট করে।
আমাদের মুখে অথবা আমাদের শরীরের যে কোন স্থানে ব্যবহার করার মাধ্যমে আমাদের
শরীরের ওই স্থানের জীবানু গুলো ধ্বংস করতে সাহায্য করবে নিম পাতা। এবং হলুদ
দেওয়ার মাধ্যমে সেই স্থানটি আরো ভালো হতে শুরু করবে। এবং ত্বক অনেক উজ্জ্বল হতে
থাকবে সেই স্থানের।
তাই কাঁচা হলুদ ও নিম পাতা একসাথে ভালোভাবে পেস্ট করে সেই স্থানে লাগান এবং
শুকিয়ে যাওয়ার পর যে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
আমাদের পরামর্শ
প্রিয় পাঠক ওপরে আমরা কাঁচা হলুদ মুখে দেওয়ার নিয়ম - ঘরোয়া রূপচর্চা করার
বিষয়ে অনেক ভালোভাবে বিস্তারিত জানিয়েছি। উপরের কোন কিছু যদি আপনি বুঝতে না
পারেন তবে অবশ্যই আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন আমরা ভালোভাবে আপনাকে বুঝিয়ে
দেওয়ার চেষ্টা করব।
উপরে তথ্যগুলো শুধুমাত্র আমরা আপনাকে সাধারণ জ্ঞান দেওয়ার জন্য লিখেছি। আপনি
চাইলে আপনার অভিজ্ঞ চিকিৎসক এর পরামর্শ অনুযায়ী আপনার রূপচর্চা করতে। এবং অবশ্যই
ওপরের রূপচর্চা গুলো করার পূর্বে আপনার অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সুস্থ
থাকুন ভালো থাকুন।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url