অপারেশন ছাড়া পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির উপায় জেনে নিন

অপারেশন ছাড়া পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির উপায় জেনে নিন। পাইলস থেকে মুক্তি পেতে যে সকল নিয়ম ও চিকিৎসা তার সম্পর্কে জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ সঠিক চিকিৎসা ও সঠিক নিয়ম না জানলে বাড়তে পারে সমস্যা।
অপারেশন-ছাড়া-পাইলস-থেকে-চিরতরে-মুক্তির-উপায়-জেনে-নিন
সূচিপত্র: অপারেশন ছাড়া পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির উপায় 

অপারেশন ছাড়া পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির উপায় জেনে নিন

অপারেশন ছাড়া পাইলস চিরতরে মুক্তি করার অনেক ধরনের নিয়ম ও উপায় রয়েছে যেগুলো আমরা যদি নিয়মিত ভাবে মেনে চলি এবং সেই পদ্ধতিতে জীবন যাপন করা আরম্ভ করি তবে আমাদের অপারেশন ছাড়াই পাইলস ঠিক হয়ে যাবে। 

এবং এটির জন্য আমাদের খুবই সতর্ক থাকতে হবে এবং যেগুলো নিষিদ্ধ খাবার তালিকা রয়েছে সেগুলো থেকে বিরত থাকতে হবে এবং আমাদের কিছু ধরনের খাবার নিয়মিত খেতে হবে। অনেকে মনে করে অপারেশন ছাড়া পাইলস ঠিক হওয়া সম্ভব নয়। 

তবে মানুষের এই ধারণা কে হার মানিয়েছে চিকিৎসা বিজ্ঞান। এখন অপারেশন ছাড়াও আপনি বেশ কিছু ধরনের চিকিৎসা করার মাধ্যমে পাইলস সারিয়ে আনতে পারেন। যেমন রাবার রিং লাইগেশন, ইনজেকশন এবং লেজার পদ্ধতিতে পাইলস এর চিকিৎসা করা সম্ভব এখন। 

যে সকল নিয়ম নীতি মেনে চলতে হবে তা সর্বপ্রথম আমাদের জানতে হবে। এর জন্য অপারেশন ছাড়া পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তি উপায়ে জেনে নিন:

  • খাদ্য তালিকা: আমাদের খাদ্য তালিকা পরিবর্তন এর মাধ্যমেও আমরা পাইলস এর অপারেশন ছাড়া চিকিৎসা করে ঠিক করতে পারি যেমন আমরা যদি ফাইবার যুক্ত খাবার যেমন ফল সবজি শস্য ইত্যাদি এমন ধরনের খাবার খাই তাহলে আমাদের পাইলসএর জন্য অনেক সুবিধা রয়েছে। যখনই আমরা মল নরম হওয়ার যে সকল খাবার রয়েছে সে সকল খাব তখন মলত্যাগ করার সময় আমাদের কোন ব্যথা হবে না এবং আমরা সেটি খুব সহজেই ত্যাগ করতে পারব।
  • বেশি পরিমাণে পানি পান করা: আমরা যখন পর্যাপ্ত পরিমাণেও বেশি পরিমাণে পানি পান করবো তখন আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্যর মত সমস্যা দূর হয়ে যাবে কেননা বেশি পানি পান করার মাধ্যমে আমাদের মল নরম হয়ে আসে যে কারণে মলত্যাগ করার সময় কোন ধরনের ব্যথা অনুভব হয় না। এবং আস্তে আস্তে পাইলসের সমস্যা কমে আসে।
  • নিয়মিত ব্যায়াম করা: ব্যায়াম করার মাধ্যমে আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্যর মত সমস্যা দূর হয়ে যায় এবং আমাদের খাবার হজম হতে এবং মল নরম হতে সাহায্য করে যে কারণে ব্যায়াম করার মাধ্যমে পাইলসের সমস্যা কমতে শুরু করে।
  • উষ্ণ জল ব্যবহার: আপনি যখন উষ্ণ উষ্ণ জল দিয়ে পাইলস এর জায়গায় ভিজে রাখবেন এবং সে ভিজিয়ে রাখার জন্য আপনার পাইলসের সেই জায়গাটির ব্যথা ও ফোলা কমে যাবে।
  • সাপোজিটর: সাপোজিট এর ব্যবহার করার মাধ্যমে যাদের পাইলস রয়েছে তাদের পাইলস এর ব্যথা এবং জ্বালাপোড়া যেটি রয়েছে সেটি কমে আসে যে কারণে আপনি সাপোজিটর ব্যবহার করতে পারেন।
  • রাবার রিং লাইগেশন: ব্যবহার করার মাধ্যমে পাইলস এর যে অংশ রয়েছে সেটি শুকিয়ে আনতে সাহায্য করে এবং এই রাবার ব্যান্ডটি পাইলসের চার পাশে ব্যবহার করতে হয়।
  • ইনজেকশন: আপনি চাইলে ইনজেকশন শুস করার মাধ্যমে পাইলসের স্থানটিকে এবং পাইলস এর ফোলা যে অংশ রয়েছে সেটিকে ছোট করে আনতে পারেন।
  • লেজার: লেজার করার মাধ্যমে যে কোন অংশের দাগ এবং যেকোনো অংশ শরীরের কেটে ফেলা সম্ভব। এর জন্য লেজার এর আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করে আপনি আপনার পাইলস টি কেটে বা ধ্বংস করে ফেলতে পারেন।
অপারেশন ছাড়া পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির উপায় জানানো হয়েছে উপরে। আমরা যদি ওপরে সকল নিয়ম-নীতি ও বিষয়গুলো মেনে চলি তাহলে আমাদের অপারেশন ছাড়াই চিকিৎসার মাধ্যমে পাইলস থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। 

এবং সকল বিষয় মেনে চললে অপারেশন ছাড়াই পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তি পাওয়া সম্ভব বলে সকল চিকিৎসক গ্রহন মতামত দিয়ে থাকেন। এবং আপনি মলত্যাগের সময় বেশি চাপ দেওয়া বা জোর দেওয়া থেকে সব সময় বিরত থাকবেন। 

আবার খাবার খাওয়ার আগে এবং পরে বেশি পরিমাণে পানি পান করুন এবং ডাক্তারের যে সকল নির্দেশনা রয়েছে এবং ওপরের নির্দেশনা মেনে চলুন। উপরে আমরা জানলাম অপারেশন ছাড়া পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির উপায় কি 

 এখন আমরা নিচে জানব পাইলসের সম্পর্কে আরো বিস্তারিত কিভাবে পাইলস হয় পাইলসের লক্ষণ এবং পাইলসের ভালো চিকিৎসক আপনি কোথায় পাবেন এমন সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানানো হবে।

পাইলস থেকে ক্যান্সার এর লক্ষণ

পাইলস থেকে ক্যান্সারের লক্ষণ এর বিষয়টি অনেকেই মনে করছে যে পাইলস হলে সেখান থেকে ক্যান্সারের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এই ধারণাটি ভুল, কেননা সব সময় পায়েস হলেই ক্যান্সার হয় না তবে সরাসরি ভাবে পাইলস থেকে ক্যান্সার হয় না। 

তবে পাইলস এর লক্ষণ এবং ক্যান্সারের লক্ষণ বেশ একই রকম এবং কাছাকাছি হওয়ার জন্য পাইলসের লক্ষণ ধরে ক্যান্সারের লক্ষণ বোঝা যায়। যে কারণে পাইলস থেকে ক্যান্সারের লক্ষণ গুলো যদি একই রকম ভাবে মিলে যায় তাহলে অবশ্যই ক্যান্সার টেস্ট বা পাইলস এর আরো ভালোভাবে টেস্ট করা উচিত। পাইলস থেকে ক্যান্সারের লক্ষণ গুলো হল:

  • রক্ত: মলত্যাগের সময় যদি দেখেন যে স্পষ্ট ভাবে বোঝা যাচ্ছে যে এটি লাল রং রক্ত তাহলে হতে পারে এটি আপনার পাইলস এর লক্ষণ বা ক্যান্সার এর লক্ষণ।
  • চুলকানি বা ফোলা: আপনার যদি মলদ্বারে চুলকানি বা ফোলার মতো দেখা দেয় তবে এটি পাইলসের লক্ষণ দ্রুত আপনার পায়েসের চিকিৎসা করা উচিত।
  • মলত্যাগ: মনত্যাগের সময় মলত্যাগের ধরন পরিবর্তন হয়ে যাওয়া যেমন ডায়রিয়া মলত্যাগের আকার পরিবর্তন বা কোষ্ঠকাঠিন্যর মত সমস্যা দেখা দিলে এবং এটির সাথে ব্যথা অনুভব হলে এটি ক্যান্সারের লক্ষণ বলে ধরা হয়।
  • পিগু বা চাকা: মলত্যাগের আশপাশে বা ভেতরের পিগু বা চাকার মতো দেখা দিলে এটি ক্যান্সারের লক্ষণ বলে ধরা হয়।
  • দুর্বল শরীর: ওজন কমে যাওয়া হঠাৎ করে আবার অনেক বেশি ক্লান্ত লাগা একটু কাজ করার মাধ্যমে অনেক বেশি ক্লান্ত এবং ক্ষুধা কমে যাওয়ার বিষয়ে তা কেউ ক্যান্সারের লক্ষণ বলে ধরা হয়।

উপরে পাইলস থেকে ক্যান্সার এর লক্ষণ গুলো জানানো হলো ওপরের লক্ষণগুলো পাইলস এর এবং ক্যান্সারের সমন্বয় করে দেয়া হয়েছে। উপরের লক্ষণগুলো শুধুমাত্র জানানোর জন্য বলা হয়েছে। আপনার সঠিক রোগ নির্ণয় করার জন্য অবশ্যই চিকিৎসক এর পরামর্শ নেয়া জরুরী এবং রোগ নির্ণয় করা জরুরী। 

এবং আপনি চাইলে অপারেশন ছাড়া পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির উপায় অবলম্বন করে দেখতে পারেন।

পাইলস এর চিকিৎসা কোথায় ভালো হয়

অপারেশন ছাড়া পাইল থেকে চিরতরে মুক্তির উপায় এর জন্য আমাদের চিকিৎসা নিতে হবে। এবং এই চিকিৎসা আমরা কোথায় নিব এই সিদ্ধান্ত নিতেই আমরা বিভ্রান্ত হয়ে পড়ি যে কারণে আমরা সঠিক চিকিৎসা পাই না। আজকে আমরা আপনাকে জানাবো পাইলস এর চিকিৎসা কোথায় ভালো হয়? 

যখনই আপনি একটি ভালো ও উন্নত ও অভিজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে থেকে চিকিৎসা নিবেন তখন আপনার সেই রোগটি ঠিক হতে বেশি সময় লাগবে না। যখনই আপনি ভুল চিকিৎসকের কাছে এবং অভিজ্ঞতা নেই

এমন ধরনের চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নিবেন তখনই আপনার চিকিৎসাটি এবং রোগটি ভালো হবে না। যে কারণে আমরা বাছাই করে পাইলস এর চিকিৎসা কোথায় করবেন সে সকল স্থান ও হাসপাতালের নাম তুলে ধরার চেষ্টা করছি। পায়েসের চিকিৎসা কোথায় হয় তা হলো:

  • প্রিস্টিন কেয়ার কলকাতা
  • যশোদা হাসপাতাল
  • হায়দ্রাবাদ
  • ঢাকা
  • রাজশাহী
  • বাংলাদেশের অনেক জায়গাতেই হয়।
আপনি চাইলে বাংলাদেশের যে কোন স্থান থেকে পাইলসের চিকিৎসা করাতে পারেন বাংলাদেশ এর পাইলসের চিকিৎসা ও অনেক উন্নতমানের হয়ে থাকে। আবার আপনি বিদেশেও যেকোনো স্থানেও গড়াতে পারেন। 

যেখানে আপনার বেশি সুবিধা হয় সেখানে আপনি পায়েসের চিকিৎসা করাতে পারেন। এবং অপারেশন ছাড়া পাইলস ভালো করে আনতে পারেন।

কি খেলে পাইলস ভালো হয়

আমাদের খাওয়া দাওয়ার নিয়ম ও অভ্যেস পরিবর্তন করার মাধ্যমেও আমরা অপারেশন ছাড়া পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির উপায় খুঁজে পেতে পারি। আমরা যখন নিয়মিত ভাবে খাওয়া-দাওয়া করব এবং সঠিক ও ফাইবার জাতীয় খাবার খাব তখন আমরা ঠিকই পাইলস এর সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসবো।
কি-খেলে-পাইলস-ভালো-হয়-জেনে-নিন
পায়েস হলে আমাদের সব সময় ফাইবার জাতীয় ও প্রোটিন জাতীয় খাবার গ্রহণ করা উচিত। এবং যে খাবারে অধিক পরিমাণে পানি এবং যেই খাবার নরম হয়ে থাকে সে ধরনের খাবার খাওয়া উচিত। বিশেষ করে আমাদের ফলমূল ও শাক-সবজি খাওয়া উচিত। এবং অধিক পরিমাণে শরবত খাওয়া উচিত

এবং ডাল সবজি যেমন ফুলকপি বাঁধাকপি শসা টমেটো মেথি শাক মুলা শাক ইত্যাদি অনেক ধরনের শাক রয়েছে এবং পেঁয়াজ আঙ্গুর কিসমিস ইত্যাদি অনেক বেশি পরিমাণে। এ সকল খাবার খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের মল নরম হয় এবং পেট ভালো থাকে। 

যে কারণে পাইলস এর ব্যথা বেশি অনুভব হয় না। এবং আস্তে আস্তে পাইলস কমতে। এ সকল খাবার খাওয়ার আমরা অপারেশন ছাড়াই পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তি পেতে পারি।

পাইলস হলে কোন কোন খাবার খাওয়া উচিত নয়?

আপনি যদি অপারেশন ছাড়াই পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির উপায় খুঁজে দেখেন তবে আপনি চিকিৎসা ছাড়াই পাইলস এর সমাধান করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে কিছু ধরনের খাবার এড়িয়ে চলতে হবে যে সকল খাবার খাওয়া পাইলস রোগীদের মোটেও সঠিক নয়। 

এবং এই সকল খাবার খাওয়ার মাধ্যমে আপনার পাইলসের আর দেখা দিতে পারে। এবং আরো বেশি ব্যথা হতে পারে। যে কারণে এ সকল খাবার থেকে আমাদের দূরে থাকতে হবে এবং এ সকল খাবার খাওয়া মোটেও চলবে না পাইলস রোগীর। 

যে সকল খাবার আপনি পাইলস হলে খাবেন না তার মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ খাবারগুলো তুলে ধরা হলো।

  • চা বা কফি খাওয়া মোটেও উচিত নয়।
  • খাবার খাওয়া উচিত নয় এটি খাওয়ার মাধ্যমে অন্তে প্রদাহ সৃষ্টি হয় যে কারণে পাইলসবেড়ে যেতে পারে।
  • আমি জাতীয় খাবার খাওয়ার মাধ্যমেও পাইলস বেড়ে যেতে পারে যেমন ডিম ও আমি জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত নয়।
  • কাঁচা মরিচ শুকনা মরিচ অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া মোটেও উচিত নয় পায়ের রোগের এটি হজম করতে সমস্যা হয় এবং মলত্যাগের সময় পাইলস রোগীদের জ্বালাপোড়া করে।
  • অতিরিক্ত পরিমাণে নোনতা খাবার খাওয়া পাইলস রোগীর উচিত নয় এটি খাওয়ার মাধ্যমে রক্ত লাল লীগের প্রভাবিত করে।
  • ফাস্ট ফুড বা অতিরিক্ত তেলেভাজা খাবার খাওয়া পায়েস রোগীর উচিত নয়। এটি খাওয়ার মাধ্যমে হজম এর সমস্যা দেখা দেয় আবার পায়েস বেড়ে যেতে পারে।
  • অতিরিক্ত চিনি যুক্ত খাবার খাওয়াও মোটেই উচিত নয় পাইলস রোগীদের যেমন অতিরিক্ত মিষ্টি খাবার খাওয়ার মাধ্যমে পায়েস রোগীর হজমে এর সমস্যা সৃষ্টি হয় যে কারণে পাইলসের সমস্যা বেজে যেতে পারে।

ওপরে যে সকল খাবার এর কথা বলা হয়েছে এবং আরো অন্যান্য খাবার রয়েছে যেগুলো খাওয়ার মাধ্যমে পায়েসের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে যে কারণে আপনার উচিত ওপরের সকল খাবার থেকে দূরে থাকা। এবং যে সকল খাবার পাইলস হলে খেতে হয় সে সফল খাবার ফাইবার যুক্ত খাবার খাওয়া উচিত। এবং এ সকল খাবার খাওয়ার মাধ্যমে আপনি অপারেশন ছাড়া চিরতরে পাইলস থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

পাইলস এর প্রাথমিক চিকিৎসা

অপারেশন ছাড়া পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির উপায় জানার পরে আমরা প্রাথমিকভাবে যে সকল চিকিৎসা গুলো পাইলস এর জন্য করতে পারি সে সফল চিকিৎসার বিষয়ে এখন আমরা। পাইলস এর ঘরোয়া চিকিৎসার মধ্যে সর্বপ্রথম যে চিকিৎসাটা আমাদের করতে হবে সেটি হল আমাদের খাদ্য অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে

 আমাদের ফাইবার যুক্ত খাদ্য গ্রহণ করতে হবে যে খাদ্য খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের বদহজম হবে না এবং আমাদের মলত্যাগ করতে সুবিধা হবে এ ধরনের খাদ্য খাওয়া উচিত। এবং এই খাদ্য অভ্যাস যদি আমরা পরিবর্তন না করি তাহলে আমাদের পায়েস আরো বেশি বৃদ্ধি পাবে

এই পায়ের থেকে আরও অন্যান্য সমস্যায় দেখা দিতে পারে। যে কারণে আমাদের অতিরিক্ত ও প্রতিদিন বেশি পরিমাণে পানি পান করা উচিত যেমন ছয় থেকে আট গ্লাস পর্যন্ত প্রতিদিন পানি পান করা উচিত একটি পায়েস রোগীর। 

এবং আপনি পাইলসের স্থানে নারিকেল তেল অ্যালোভেরা এ ধরনের নরম ও আরামদায়ক কিছু লাগে বা এমন কিছুর রস দিতে পারেন যেটি আরামদায়ক হবে এবং সেখানকার ফোলা কমিয়ে আনবে এবং ব্যথা কমিয়ে আনবে। অপারেশন ছাড়া পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির উপায় এগুলোই অবলম্বন করতে পারেন।

পাইলস এর চিকিৎসা ঔষধের নাম

পায়েসের চিকিৎসা ওষুধের মাধ্যমে সমাধান করা যেতে পারে। পাইলস এর চিকিৎসা গুলো করা হয় অনেক ভাবে। যে কারণে আপনি সর্ব প্রথম এটাই অভিজ্ঞ চিকিৎসক এর কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে তারপরে ওষুধ খাওয়ার দিকে সিদ্ধান্ত নিন।
পাইলস-এর-চিকিৎসা-ঔষধের-নাম

কোন সময়ই অভিজ্ঞ চিকিৎসক এর পরামর্শ ছাড়া কোন ধরনের ওষুধ খাওয়া সঠিক। এবং আপনি অপারেশন ছাড়া পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির উপায় এর মধ্যে আপনি ওষুধ খাওয়ার মাধ্যমেও এই রোগ থেকে আপনি বেরিয়ে আসতে পারেন। পাইলস এর চিকিৎসা ওষুধের নাম হলো:
  • Hemorrhoid pillow
  • Rectal suppositories
  • Daflon
  • Venalex

পাইলস এর মলম নাম

মলম ব্যবহার করার মাধ্যমে পাইলস এর সকল ধরনের সমস্যা দূর হতে সাহায্য। এবং অপারেশন ছাড়াই খুব সহজে মহরম ব্যবহার করার মাধ্যমে পাইলস এর সমস্যা দূর হয়ে যায়। অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আপনি যদি সঠিক মূল্য জায়গায় নিয়মিত ব্যবহার করেন

 তাহলে আপনি খুব সহজেই ফাইল থেকে মুক্তি পেয়ে যেতে পারেন। এই কারণে পাইলস এর মলম গুলো আপনাকে ভালোভাবে ও নিয়মিত ব্যবহার করতে হবে পাইলস এর মলম গুলো হলো:
  • Xylo 5% Ointment
  • Erian Ointment
  • Hemorrhoid cream
  • Rectal suppositories:

এখানে সকল ধরনের পরামর্শ শুধুমাত্র জ্ঞান অর্জনের জন্য দেওয়া হয়েছে। রোগ নির্ণয় করার জন্য চিকিৎসকের কাছে এবং রোগের সমাধানের জন্য অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত ও উত্তম।

আমাদের পরামর্শ

প্রিয় পাঠক ওপরে জানানো হয়েছে অপারেশন ছাড়া আপনি কিভাবে চিরতরে পাইলস দূর করতে পারেন। এবং ওপরের সকল তথ্য গুলো আপনি জ্ঞান অর্জনের জন্য ব্যবহার করতে পারবেন তবে একটি সুস্থ চিকিৎসার জন্য অভিজ্ঞ চিকিৎসক এর সাথে পরামর্শ ও যোগাযোগ করা জরুরী। 

যে কারণে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সকল ধরনের রোগ নির্ণয় করুন ও সমাধান করুন সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url