বিড়ালের নখের আচরে কি সমস্যা হয় বিস্তারিত জেনে নিন
বিড়াল কামড়ালে কি হয়আপনার বাসা বাড়িতে আশেপাশে অনেক বিড়াল থাকতে পারে যদি কোনদিন হঠাৎ করে বিড়ালটি আপনাকে আঁচড় বা কামড় বসিয়ে দেয় তাহলে আপনি কি করবেন আপনি যেসব কাজ করবেন সেগুলো নিচে দেওয়া হল। সূচিপত্র:বিড়ালের নখের আচরে কি সমস্যা হয়
বিড়ালের নখের আচরে কি সমস্যা হয় বিস্তারিত জেনে নিন
আপনাদের বাসা বাড়িতে বা আশেপাশে অনেক বিড়াল দেখতে পান মাঝে মাঝে আপনার বাসার
বিড়াল আপনাকে নখ দিয়ে আঁচড় দিল বা কামোর দিল তাহলে আপনি কি করবেন চলুন জেনে
নেওয়া যাক। বিড়ালের নখ খুব ধারালো হয়। আচর দিলে ত্বকে কেটে যায়, ফেটে যায় বা
গভীর ক্ষত হতে পারে।
আচরের জায়গায় ব্যথা, লালভাব, ফোলা, বা রক্তপাত হতে পারে। বিড়ালের নখে
অনেক ধরনের জীবাণু থাকে। আচরের মাধ্যমে এই জীবাণু শরীরে প্রবেশ করতে পারে।
সংক্রমণ হলে ক্ষতের চারপাশে লাল হয়ে যায়, ফুলে যায়, পুঁজ হতে
পারে। কখনো কখনো Cat Scratch Disease বা Cat Scratch Fever নামের একটি
বিশেষ ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ হতে পারে।
Cat Scratch Disease হলে জ্বর, ক্লান্তি, ক্ষতের চারপাশের লিম্ফ নোড ফোলা,
মাথা ব্যথা ইত্যাদি হতে পারে। রোগটি সাধারণত ছোট শিশু বা রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতা দুর্বল ব্যক্তির মধ্যে বেশি হয়। কারও কারও ত্বক অতিসংবেদনশীল হলে
আচরের পর ত্বক চুলকাতে পারে, ফুসকুড়ি বা র্যাশ হতে পারে।
আচরের জায়গায় অতিরিক্ত লাল, ফোলা, পুঁজ বা ব্যথা বাড়তে থাকলে। জ্বর বা
দুর্বলতা অনুভব করলে। আচরের চারপাশের গিঁটে (লিম্ফ নোডে) ফোলাভাব দেখা
দিলে। যদি ডায়াবেটিস, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল বা অন্য কোনো জটিল রোগ
থাকে। খুব দ্রুত ডাক্তারের সাথে পরামর্শ নিতে হবে।
বিড়াল যখন আচর দিবে সাথে সাথে সে ক্ষতস্থানটা সাবান বা কাপড় কাচা পাউডার
দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। যেখানে বিড়াল আঁচড় দিয়েছে সেই জায়গাটি
ব্যান্ডেজ করে রাখুন। বেশি সমস্যা হলে ব্যথা করলে দ্রুত ডাক্তারের সাথে
পরামর্শ নিন।
আমাদের অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে বিড়ালের নখের আঁচড়ে কি বিপদজনক হ্যাঁ
বিড়ালের নখের অনেক ধরনের জীবাণু থাকে তাই বিড়ালের নখ অনেক বিপজ্জনক বিড়াল
যেখানে আচর দিবে সেই জায়গাটি যদি লাল হয়ে যায় বা ফুলে যায় তাহলে মনে
করবেন বিড়ালের নখে থাকা জীবাণু সেই ব্যক্তির শরীরে প্রবেশ করতে পারে।
বিড়ালের নখে এক ধরনের ভাইরাস থাকে সেই ভাইরাসের নাম হলো
Cat Scratch Disease হলে জ্বর আসতে পারে, দুর্বলতা লাগে, এবং আচরের
কাছাকাছি থাকা লিম্ফ নোড (যেমন বগল, ঘাড়) ফুলে যায়, ব্যথা হয়।
যাদের ডায়াবেটিস, ক্যানসার, HIV, বা যারা স্টেরয়েড বা ইমিউন সাপ্রেসিভ
ওষুধ খাচ্ছেন তাদের জন্য এই আচড় আরও বেশি বিপজ্জনক।
যদি নখ অনেক গভীরে ঢুকে যায়, টিটানাসের আশঙ্কা দেখা দিতে পারে,
বিশেষ করে যদি টিটানাস ভ্যাকসিন আপডেট না থাকে। তাহলে বিপদজনক হতে পারে। ২৪
ঘন্টার ভিতরে যদি শরীর খারাপ বা আঁচড় রে জায়গাটা ফুলে যাওয়া বা ব্যথা
করা তাহলে দ্রুত ডাক্তারের সাথে দেখা করতে হবে।
সাধারণত সব আচড় বিপজ্জনক নয়, কিন্তু কিছু আচড় সংক্রমণ বা জটিলতার কারণে
বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। তাই সাবধানতা ও প্রাথমিক চিকিৎসা অত্যন্ত জরুরি।
বিড়াল আঁচড় দিলে করণীয় কি
বিড়াল আঁচড় দিলে সঠিকভাবে এবং দ্রুত প্রাথমিক পদক্ষেপ নেওয়া খুবই জরুরি,
যাতে সংক্রমণ বা জটিলতা এড়ানো যায়। তারপরে আঁচড়ের স্থানটি ভালোভাবে
ধুয়ে ফেলুন সাবান ও পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালো করে ধুতে হবে।
অন্তত ৫–১০ মিনিট ঘষে ঘষে ধুয়ে নিন, যেন জীবাণু বেরিয়ে যায়।
বিটাডিন, সাভলন, বা অন্য কোনো অ্যান্টিসেপ্টিক লোশন বা ক্রিম ব্যবহার
করুন। বিটাডিন, সাভলন, বা অন্য কোনো অ্যান্টিসেপ্টিক লোশন বা ক্রিম
ব্যবহার করুন। পরিষ্কার গজ বা ব্যান্ডেজ দিয়ে ঢেকে রাখুন।
যদি ক্ষত গভীর হয় বা রক্তপাত বেশি হয়, পরিষ্কার কাপড় দিয়ে চাপ দিয়ে
রক্ত বন্ধ করুন।
যদি আপনার টিটানাস টিকা ৫–১০ বছরের মধ্যে না নেওয়া থাকে, ডাক্তার দেখিয়ে
টিটানাস বুস্টার নেওয়া উচিত। আচড়ের চারপাশে লালভাব, ফোলা, ব্যথা, পুঁজ,
বা জ্বর হলে দ্রুত ডাক্তার দেখান। আচড়ের পাশে লিম্ফ নোড ফোলা, দুর্বল লাগা
বা কাঁপুনি দেখা দিলে অবহেলা করবেন না।
এটি থেকে যদি বাঁচতে চান তাহলে আপনার বাসার পোষা বিড়ালের নখ ছোট রাখুন
প্রতিদিন গোসল করিয়ে দিন। বিড়ালের সাথে খেলার সময় সতর্ক থাকুন। বিড়াল
যদি আঁচড় দেয় দ্রুত পরিষ্কার করুন।
দ্রুত ধুয়ে ফেলা, অ্যান্টিসেপ্টিক লাগানো, ঢেকে রাখা, পর্যবেক্ষণ করা এবং
প্রয়োজনে ডাক্তার দেখানো এটাই মূল।
বাচ্চা বিড়াল আচর দিলে কি হয়
আমাদের মধ্যে অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে বাচ্চার বিড়াল আঁচড় দিলে কিছু
হয়। অনেকে এটা এড়িয়ে চলেন যে বাচ্চা বিড়ালে আচর দিলে কোন রকম সমস্যা হয়
না। কিন্তু না বাচ্চা বিড়ালের ও নখের ভিতরে অনেক রকম জীবাণু থাকতে পারে এটা
এগিয়ে যাওয়ার ঠিক না। চলুন এটা ভালোভাবে আমরা জেনে নিন ।
বাচ্চা বিড়ালের আঁচড় তুলনামূলকভাবে কম ক্ষতিকর, কারণ তাদের নখ ও দাঁত
বড়দের মতো ধারালো হয় না।
তবে এর মধ্যেও জীবাণু থাকতে পারে। বিড়ালের মুখ এবং নখে অনেক ধরনের
ব্যাক্টেরিয়া থাকতে পারে।
বাচ্চা বিড়াল যদি কাম বা আঁচড় দেয় তাহলে যেখানে আচর দিয়েছে
সেখানে ক্ষতটি সাবান ও পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
- অ্যান্টিসেপ্টিক লাগান যেমন বেটাডিন বা স্যালাইন যদি ব্যথা, অতিরিক্ত ফোলা, লালচে ভাব বা জ্বর হয়, ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
- যদি আপনার ইমিউন সিস্টেম দুর্বল হয় যেমন ডায়াবেটিস, কিডনি রোগ, বা কোনো ইমিউনোথেরাপি নিচ্ছেন তখন বেশি সাবধান হতে হবে।
- খুব গভীর আঁচড় বা চোখের আশেপাশে আঁচড় পড়লে অবশ্যই দ্রুত চিকিৎসা নিতে হবে।
বিড়ালের নখের আঁচড়ে কোন রোগ হতে পারে?
বিড়ালের নখের আঁচড়ে কিছু সংক্রমণ বা রোগ হতে পারে, বিশেষ করে যদি
বিড়ালটি বাইরে ঘোরাফেরা করে বা নখে ময়লা থাকে। রোগের নাম হলো:
Scratch Disease (CSD) বা Cat Scratch Feve
এটি Bartonella henselae ব্যাকটেরিয়ার কারণে হয়।
এই সব রোগেটট
সাধারণত কামড়ে বেশি হয়, তবে যদি বিড়ালের লালা নখে লেগে থাকে এবং সেটি
আঁচড়ে যায়, তাতেও হতে পারে খুবই বিরল, তবে সতর্ক থাকা দরকার।
আঁচড়ে গেলে কী করবেন? এই সমাধান নিচে দেওয়া হল:
- প্রথমেই পানি ও সাবান দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
- অ্যান্টিসেপটিক বা জীবাণুনাশক (যেমন Dettol, Betadine) লাগান।
- গভীর হলে বা ফুলতে শুরু করলে বা জ্বর আসলে ডাক্তার দেখান।
- যদি আপনার টিটানাসের টিকা আপডেট না থাকে, টিকা নিন।
- রেবিসের সন্দেহ হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
বিড়ালের আঁচড়ে কি ভ্যাকসিন দিতে হয়
যদি বিড়ালটি টিকা না-পাওয়া, বন্য বা রাস্তার বিড়াল হয়, বা তার অবস্থা
নিশ্চিত না হয়, তখন র্যাবিস ভ্যাকসিন দিতে হয়। আঁচড় হালকা হলেও
র্যাবিসের ঝুঁকি থাকে, তাই সতর্কতা দরকার।
ডাক্তার সাধারণত ৫ ডোজ র্যাবিস ভ্যাকসিন দিয়ে থাকেন (শিডিউল: ০, ৩, ৭, ১৪
এবং ২৮তম দিন)।
খুব ঝুঁকিপূর্ণ হলে র্যাবিস ইমিউনোগ্লোবুলিন (RIG) ও দিতে হতে পারে।
যদি আঁচড় গভীর হয় বা ক্ষত ময়লা লেগে যায়, এবং আপনার শেষ টেটানাস টিকা
গত ৫-১০ বছরের মধ্যে না হয়ে থাকে, তাহলে টেটানাস বুস্টার দেওয়া হয়। যদি
বিড়াল আপনার বাসাতে আচর দেয় তাহলে এগুলো করবেন ।
- সঙ্গে সঙ্গে সাবান ও পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন (১৫ মিনিট পর্যন্ত ধুতে বলা হয়)।
- যেখানে বিড়াল আর চোর বা কামড় দিয়েছে সেখানে অ্যান্টিসেপ্টিক লাগান।
- ক্ষত যদি বেশি হয় বা বিড়াল যে জায়গাতে কামড়িয়েছে সেই জায়গাটা যদি ফুলে যায় বা ব্যথা করে দ্রুত ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।
ডাক্তার আপনার ঝুঁকি দেখে ঠিক করবেন ভ্যাকসিন দরকার কি না।
বিড়াল কামড়ালে কয়টি ভ্যাকসিন দিতে হয়
আমাদের অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে বিড়াল কামোর বা আঁচড় দিলে কয়টি
ডোজ দেওয়া লাগে বা কয়টি ভ্যাকসিন দেওয়া লাগে।
যদি বিড়াল কামড়ায়, তখন রেবিস (Rabies) ভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে,
তাই নিচের ধাপে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়:
- বিড়াল আঁচড় বা কামড়ানোর ডোজ দিন ১: প্রথম ডোজ (কামড়ের দিনই বা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব)
- বিড়াল আঁচড় কামড়ানোর ডোজ দিন ৩: দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়।
- বিড়াল আঁচড় বা কামড়ানোর ডোজ দিন ৭: তৃতীয় ডোজ দেওয়া হয়।
- বিড়াল আঁচড় বা কামড়ানোর ডোজ দিন ১৪: চতুর্থ ডোজ দেওয়া হয়।
- বিড়াল আঁচড় বা কামড়ানোর ডোজ দিন ২৮: পঞ্চম ডোজ দেওয়া হয়।
যদি কামড়টি গভীর বা মাথা, মুখ, হাতের দিকে হয়, তখন রেবিস
ইমিউনোগ্লোবুলিনও (RIG) দিতে হয়, যা একেবারে প্রথম ডোজের দিন (দিন ১)
দেয়া হয়।
যদি আপনার শেষ টিটানাস ভ্যাকসিন ১০ বছরের বেশি আগে দেওয়া হয়ে থাকে, তাহলে
টিটানাস টক্সয়েড (TT)-ও দিতে হয়।
বিড়াল কামুরবা আঁচড় দিলে কেন এত ডোজ দেয়
রেবিস ভাইরাসের ইনকিউবেশন সময় অনেক লম্বা হতে পারে, তাই পূর্ণ ডোজ কোর্স
সম্পূর্ণ করা জরুরি। যদি কেউ বিড়াল আঁচড় বা কামোর পেয়েও এই ডোজ দেয়নি
সেই ব্যক্তির সমস্যা হতে পারে তাই এত ডোজ দেওয়া হয়।
বিড়ালের আঁচড়ের পর কি জলাতঙ্কের টিকা নেওয়া উচিত?
বিড়ালের আঁচড়ের পর রেবিস (জলাতঙ্ক) টিকা লাগবে কি না, তা নির্ভর করে
কয়েকটি বিষয়ের ওপর:
যদি আঁচড়ের ক্ষত ত্বক ভেদ করে রক্ত বের হয় । তখন রেবিসের ভ্যাকসিন
নেওয়া উচিত, কারণ জলাতঙ্ক ভাইরাস লালা (saliva)-এর মাধ্যমে ছড়ায় এবং
আঁচড়ের মাধ্যমে ত্বকের ভেতর প্রবেশ করতে পারে।
যদি আঁচড় খুব হালকা হয়, ত্বকের উপরিভাগে সামান্য লাল দাগ হয়, রক্ত না বের
হয়: তখন ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে কম, তবে সতর্কতার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ
অনুযায়ী ভ্যাকসিন দেওয়া যেতে পারে।
বিশেষ করে যদি বিড়ালটি: বন্য বা অজানা হয়।
নিয়মিত ভ্যাকসিন দেওয়া না হয়ে থাকে অসুস্থ বা অস্বাভাবিক আচরণ করে।
রেবিসের ভ্যাকসিন (দিন ১, ৩, ৭, ১৪, ২৮ — মোট ৫ ডোজ)। প্রয়োজনে রেবিস
ইমিউনোগ্লোবুলিন (RIG) যদি আঁচড় গুরুতর হয়।
টিটানাস টক্সয়েড (TT), যদি শেষ টিটানাস ভ্যাকসিন ১০ বছরের বেশি আগে
নেওয়া হয়।
আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ক্ষতটি ভালোভাবে সাবান ও পানি দিয়ে অন্তত ১৫ মিনিট
ধুয়ে নিতে হবে।
এরপর অ্যান্টিসেপটিক বা পভিডন-আয়োডিন দিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
যত দ্রুত সম্ভব নিকটস্থ ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। না হলে কোন সমস্যা
হতে পারে।
বিড়াল কামড়ালে কি হয়
বিড়াল কামড়ালে ক্ষুদ্র আঘাত হতে পারে। প্রথমে, ওই স্থানে ভালো করে ধুয়ে ফেলো।
যদি কামড়ে থেকে ব্লিডিং হয়, তাহলে সেটা বন্ধ করতে চেষ্টা করেন। সাধারণত, এটি
খুব বেশি সমস্যার কারণ হয় না, তবে যদি কোনও সংক্রমণ বা অ্যালার্জির লক্ষণ দেখা
দেয়, তাহলে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।
বিড়াল কামড়ালে, প্রথমে ওই স্থানটা সাবান ও পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলতে
হবে। এরপর, যদি ব্লিডিং হয়, তাহলে পরিষ্কার গজ দিয়ে চাপ দিয়ে বন্ধ করতে হবে।
সাধারণত, এই ধরনের কামড়ে সংক্রমণের ঝুঁকি কম, কিন্তু যদি কামড়ের স্থান লাল হয়ে
যায়, ফুলে যায়, বা অনেক ব্যথা হয়, তবে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
এছাড়াও যদি জীবানু ভিতরে ঢুকে যায় তাহলে সে ক্ষতস্থানটা ভালোভাবে সেভ্লন
পানি বা ডেটল দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। এছাড়াও, যদি আপনি টিটেনাস
ভ্যাকসিন নেওয়া না হয়ে থাকে, তাহলে সেটা নেওয়া ভালো। সাধারণত, সময়মতো দেখভাল
বা যত্ন করলেই সমস্যা কমে যায়।
তবে যদি বিড়ালটি জলাতঙ্কে আক্রান্ত হয়, তবে কামড়ের মাধ্যমে এই ভাইরাস মানুষের
শরীরে ঢুকে যেতে পারে। যদিও পোষা বা টিকা দেওয়া বিড়ালে এই ঝুঁকি অনেক কম।
বিড়ালকে টিকা দেওয়া আছে বলে অবহেলা করা যাবে না ডাক্তারের কাছে পরামর্শ নিতে
হবে যে ইনফেকশন হয়েছে কি ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url