হোস্টিং কাকে বলে হোস্টিং কি এর কাজ কি-বিস্তারিত ধারণা
ডোমেইন কাকে বলে ডোমেইন এর কাজ কিপ্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলটি আমরা লিখেছি মূলত হোস্টিং কাকে বলে হোস্টিং
কি এর কাজ কি বিষয়কে কেন্দ্র করে। সঙ্গে থাকছে ওয়েব হোস্টিং কি? সম্পর্কিত
অতিরিক্ত তথ্যও, যা পড়লে আপনি পুরো বিষয়টি সহজেই বুঝতে পারবেন, ইন শা আল্লাহ।
সূচিপত্র: হোস্টিং কাকে বলে হোস্টিং কি এর কাজ কি হোস্টিং কাকে বলে হোস্টিং কি এর কাজ কি – বিস্তারিত ধারণা
একটি ওয়েবসাইট চালানো অনেকটা নিজের একটি দোকান খোলার মতো। কিন্তু বাস্তবে আমরা
যেমন দোকান খোলার আগে জায়গা খুঁজি, তেমনি অনলাইনে একটি ওয়েবসাইট দাঁড় করাতে হলেও
দরকার হয় এক ধরনের ভার্চুয়াল জায়গা। এই ভার্চুয়াল জায়গাকেই আমরা বলি
হোস্টিং।
কিন্তু অনেকেই জানেন না, হোস্টিং কাকে বলে হোস্টিং কি এর কাজ কি – অথচ এই বিষয়টি
না জানলে আপনি কখনোই ওয়েবসাইট তৈরি করে সফল হতে পারবেন না। চলুন একদম সাধারণভাবে
বুঝি আপনি একটি ওয়েবসাইট বানালেন, খুব সুন্দর করে ডিজাইন করলেন, তথ্য দিলেন, ছবিও
যুক্ত করলেন।
কিন্তু এই ওয়েবসাইটটা কোথায় থাকবে? আপনি তো এটাকে শুধু নিজের কম্পিউটারে রেখে
দিতে পারেন না। কারণ আপনি চাইবেন, পৃথিবীর যেকোনো জায়গা থেকে যে কেউ এই সাইট
দেখতে পারুক। আর সেজন্যেই দরকার হয় হোস্টিং।
হোস্টিং হচ্ছে এমন একটি ডিজিটাল জায়গা, যেখানে আপনার ওয়েবসাইটের সব ফাইল, লেখা,
ছবি ইত্যাদি সার্ভারে সংরক্ষিত থাকে। আপনি যখন হোস্টিং কিনেন, তখন মূলত আপনি একটা
সার্ভারের ভাড়া নিচ্ছেন, যেটা ইন্টারনেটে ২৪ ঘণ্টা সক্রিয় থাকে।
এবং ব্যবহারকারীদের আপনার সাইট দেখাতে সাহায্য করে। এখন যদি বলি হোস্টিং কি এর
কাজ কি, তাহলে সহজভাবে বলা যায় হোস্টিং কাজ করে আপনার ওয়েবসাইটকে ইন্টারনেটে
অ্যাক্টিভ রাখার জন্য। এটি নিশ্চিত করে যে, ব্যবহারকারী যখন আপনার ওয়েব ঠিকানায়
আসে,
তখন তার ব্রাউজারে আপনার ওয়েবসাইটটি দ্রুত এবং সঠিকভাবে লোড হয়। এছাড়াও হোস্টিং
বিভিন্ন ধরনের সুবিধা দেয়, যেমন: ওয়েবসাইট ব্যাকআপ রাখা, সিকিউরিটি সাপোর্ট
দেওয়া, ইমেইল হোস্টিং, ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট, সিপ্যানেল ইত্যাদি।
যারা অনলাইন বিজনেস শুরু করতে চাচ্ছেন, তাদের জন্য এটা অবশ্যই জানার বিষয় যে
হোস্টিং কাকে বলে হোস্টিং কি এর কাজ কি। অনেক সময় দেখা যায়, মানুষ শুধু একটা
ডোমেইন কিনে ভাবে কাজ শেষ। কিন্তু ডোমেইন তো কেবল আপনার সাইটের নাম মাত্র,
আপনি যদি হোস্টিং না কেনেন তাহলে সাইট চালু হবে না, কেউ দেখতে পারবে না। তাই
হোস্টিং মানে হচ্ছে আপনার ওয়েবসাইটের ঠিকানা নয়, বরং এর বাসস্থান। আর এই বাসস্থান
যত ভালো, আপনার সাইট তত দ্রুত লোড হবে, নিরাপদ থাকবে, আর গুগলেও ভালো র্যাঙ্ক
পাবে।
আরো পড়ুন: ওয়েবসাইট কি ওয়েবসাইট কাকে বলে
শুরুতে অনেকেই হয়তো সস্তা হোস্টিং বেছে নেয়, কিন্তু পরে সমস্যায় পড়ে যায় সাইট
স্লো হয়ে যায়, হ্যাং করে, সার্ভার ডাউন থাকে। তাই হোস্টিং নেওয়ার আগে ভালোভাবে
বুঝতে হবে এটি আসলে কী, কীভাবে কাজ করে। যদি আপনি ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান,
তাহলে অবশ্যই এই প্রশ্নের উত্তর আপনার জানা থাকা জরুরি হোস্টিং কাকে বলে হোস্টিং
কি এর কাজ কি। কারণ এটাই আপনার সাইটের প্রাণভোমরা। ভালো হোস্টিং না হলে, ভালো
ওয়েবসাইট থেকেও আপনি কোনো ফল পাবেন না।
ওয়েব হোস্টিং কি?
ওয়েব হোস্টিং নিয়ে অনেকেই বিভ্রান্তে থাকে। অনেকে ভাবে এটা বুঝি ওয়েবসাইট
বানানোর কোনো সফটওয়্যার, কেউ ভাবে এটা ডোমেইনের অন্য নাম। কিন্তু আসল সত্যিটা
হলো, ওয়েব হোস্টিং এমন একটি পরিষেবা যা ছাড়া আপনি ইন্টারনেটে কোনো ওয়েবসাইট
চালাতেই পারবেন না।
আসুন একেবারে মাটির কাছাকাছি ভাষায় বুঝে নিই ওয়েব হোস্টিং কি। ধরুন আপনি একটি
ওয়েবসাইট বানালেন। এখন আপনি তো চান সবাই যেন এটা দেখতে পারে। কিন্তু সেই সাইটটা
কোথায় থাকবে? যেমন একটা বই ছাপানোর আগে ছাপাখানায় যায়,
তেমনি ওয়েবসাইটকেও রাখতে হয় এক ধরনের সার্ভারে, যেটা সারাদিন চালু থাকে এবং
ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের আপনার ওয়েবসাইট দেখায়। এই সার্ভার পরিষেবাই
হলো ওয়েব হোস্টিং। ওয়েব হোস্টিং মূলত ইন্টারনেটে ফাইল সংরক্ষণের একটি
জায়গা।
এটা হতে পারে একটা ছোট ওয়েবসাইট থেকে শুরু করে বিশাল আকারের ই-কমার্স সাইট
পর্যন্ত সব কিছুর জন্যই প্রযোজ্য। আপনি যদি ছবি, ভিডিও, বা ব্লগ কনটেন্ট রাখেন
সবই থাকবে হোস্টিং সার্ভারে। আর ব্যবহারকারী যখন আপনার ওয়েবসাইটের ঠিকানা টাইপ
করে,
তখন সার্ভার থেকে সেই ফাইলগুলো তাদের ব্রাউজারে লোড হয়। এখানে বুঝে নেওয়া
দরকার, শুধু একটা ওয়েবসাইট বানালেই হবে না, সেই সাইটকে সার্বক্ষণিকভাবে চালু
রাখতে এবং ব্যবহারকারীর কাছে পৌঁছাতে হলে ওয়েব হোস্টিং ছাড়া কোনো উপায়
নেই।
এটাকে আপনি বলতে পারেন আপনার ওয়েবসাইটের বাসা আর আপনার কাজ হলো সেই বাসায় সব
কিছু গুছিয়ে রাখা, যাতে ভিজিটররা এসে আরাম করে ঘুরে যেতে পারে। ওয়েব
হোস্টিং-এর মাধ্যমে আপনি ইমেইল চালাতে পারেন, ব্যাকআপ রাখতে পারেন,
ডাটাবেস পরিচালনা করতে পারেন, এবং সার্ভারের স্পেস, ব্যান্ডউইথ, সিকিউরিটি
ইত্যাদি কনফিগার করতে পারেন। এখনকার যুগে একেবারে ছোটখাটো ব্লগ হোক কিংবা বড়
কোম্পানির সাইট সব কিছুর জন্যই ওয়েব হোস্টিং অপরিহার্য।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে, সঠিক হোস্টিং নির্বাচন না করলে আপনার
ওয়েবসাইটের গতি কমে যাবে, নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে এবং গুগলে র্যাঙ্ক করাও
কঠিন হয়ে পড়বে। তাই, শুরুতেই বুঝে নিতে হবে, আপনি কোন ধরনের হোস্টিং নিচ্ছেন
শেয়ার্ড, VPS, ডেডিকেটেড, না কি ক্লাউড।
ওয়েব হোস্টিং কি এই প্রশ্নের উত্তর হলো: এটি একটি পরিষেবা যা আপনার ওয়েবসাইটকে
ইন্টারনেটে দৃশ্যমান করে, দ্রুতগতির করে, নিরাপদ রাখে এবং ব্যবহারকারীদের জন্য
সবসময় উন্মুক্ত রাখে।
ডোমেইন হোস্টিং কেনার আগে যেগুলো জানা অত্যন্ত জরুরি
আপনি যখন একটি ওয়েবসাইট শুরু করার সিদ্ধান্ত নেন, তখন সবচেয়ে প্রথমে মাথায় আসে
ডোমেইন ও হোস্টিং কেনার ব্যাপারটি। অনেকেই ভাবেন ডোমেইন কিনলেই তো ওয়েবসাইট
তৈরি হয়ে যাবে। আবার কেউ কেউ মনে করেন, শুধু হোস্টিং হলেই যথেষ্ট।
কিন্তু বাস্তবতা হলো, এই দুটি বিষয় একে অপরের সাথে গভীরভাবে যুক্ত। আর সবচেয়ে
গুরুত্বপূর্ণ হলো, ডোমেইন হোস্টিং কেনার আগে যেগুলো জানা অত্যন্ত জরুরি, সেগুলো
ভালোভাবে না জানলে আপনি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন এবং আপনার ওয়েবসাইট
চালানোর পুরো প্রক্রিয়া ব্যর্থ হয়ে যেতে পারে।
প্রথমেই বলি, ডোমেইন হচ্ছে আপনার ওয়েবসাইটের ঠিকানা যেমন google.com বা
amarblog.com। আর হোস্টিং হচ্ছে সেই ডিজিটাল জায়গা যেখানে আপনার সাইটের সব কিছু
সংরক্ষিত থাকে। কিন্তু আপনি কেবল নাম ঠিকানাই জানেন, কিন্তু বাসা বানাননি তাহলে
কি কেউ সেখানে যেতে পারবে? যাবে না।
ঠিক তেমনি, ডোমেইন থাকলে হোস্টিং দরকার, আর হোস্টিং থাকলে একটা ভালো,
ব্র্যান্ডেড ডোমেইন দরকার। এবার চলুন জেনে নিই এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা
ডোমেইন হোস্টিং কেনার আগে জানা আপনার জন্য বাধ্যতামূলক প্রথমত, আপনার
ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য কী?
আপনি কি একটি ব্যক্তিগত ব্লগ তৈরি করতে চান, না কি একটি ই-কমার্স সাইট? আপনি
যদি শুধু তথ্যভিত্তিক কনটেন্ট শেয়ার করতে চান, তাহলে সাধারণ শেয়ার্ড হোস্টিং
যথেষ্ট। কিন্তু যদি ছবি, ভিডিও, প্রোডাক্ট, পেমেন্ট গেটওয়ের মত ফিচার থাকে, তবে
আপনাকে VPS বা ক্লাউড হোস্টিং বিবেচনা করতে হবে।
এই নির্ধারণ না করলে আপনি হয়তো ভুল প্যাকেজ নিয়ে ফেলবেন। দ্বিতীয়ত, ডোমেইন নাম
নির্বাচন করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ছোট, সহজে উচ্চারণযোগ্য, এবং ব্র্যান্ডযোগ্য
নাম হলে মানুষ সহজেই মনে রাখে। যেমন techspotbd.com বা
onlinebazar24.com এমন ডোমেইন সহজে মনে থাকে।
আপনি যদি ডোমেইন নামে ড্যাশ (-), সংখ্যা, বা কঠিন শব্দ ব্যবহার করেন, তাহলে
সেটি ভুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তৃতীয়ত, হোস্টিং কোম্পানি বেছে নেওয়ার সময় তাদের
স্পিড, আপটাইম, সাপোর্ট, এবং ইউজার রিভিউ দেখে নিন।
অনেক সময় সস্তা হোস্টিং কোম্পানি আপনাকে আকর্ষণীয় অফার দেয়, কিন্তু পরে দেখা
যায় সার্ভার ডাউন থাকে, সাইট স্লো হয়, সাপোর্ট দেয় না। তাই ব্র্যান্ডেড হোস্টিং
প্রোভাইডার যেমন Hostinger, Bluehost, Namecheap, অথবা Bangladeshi কোম্পানির
মধ্যে ExonHost, XeonBD এগুলোর মধ্যে যাচাই করে নির্বাচন করুন।
চতুর্থত, কোন ডোমেইন এক্সটেনশন নিবেন .com, .net, .org, না কি .xyz? সাধারণত
.com সবচেয়ে বেশি পরিচিত ও বিশ্বাসযোগ্য। তবে আপনার যদি দেশভিত্তিক সাইট হয়,
তাহলে .bd বা .in ব্যবহার করাও যেতে পারে। তবে চেষ্টা করবেন আপনার ব্যবসার ধরন
অনুযায়ী নির্ভুল এক্সটেনশন বেছে নিতে।
এছাড়া, অনেকে হোস্টিং কিনতে গিয়ে প্যাকেজে কত GB স্টোরেজ, কত ব্যান্ডউইথ, কত
Email Account, SSL সার্টিফিকেট ফ্রি দিচ্ছে কিনা এসব না দেখে কিনে বসেন। পরে
বুঝতে পারেন ভুল হোস্টিং নেওয়া হয়েছে। তাই এই বিষয়গুলো ভালোভাবে যাচাই না করে
সিদ্ধান্ত নিলে সমস্যা হতে পারে।
একটি বিষয় আপনি ডোমেইন এবং হোস্টিং একসাথে কিনবেন, না আলাদা কোম্পানি থেকে?
অনেকেই মনে করেন আলাদা ভালো, কেউ বলেন একসাথে ভালো। তবে আমার অভিজ্ঞতা বলছে,
একসাথে কিনলে ম্যানেজ করা সহজ হয়, DNS সেটিংসেও ঝামেলা কম হয়।
তবে সাপোর্ট সিস্টেম ভালো না হলে আলাদা প্রোভাইডারও নেওয়া যেতে পারে। শুধু আমি
একটা ওয়েবসাইট খুলব বললেই হয় না। তার আগে আপনাকে জানতে হবে ডোমেইন হোস্টিং
কেনার আগে যেগুলো জানা অত্যন্ত জরুরি না হলে আপনি শুধু সময়ই নষ্ট করবেন না,
অর্থও হারাতে পারেন।
একটু খোঁজ-খবর নিয়ে, ঠাণ্ডা মাথায় সিদ্ধান্ত নিলেই আপনি নিজের স্বপ্নের
ওয়েবসাইট গড়ে তুলতে পারবেন।
ওয়েবসাইট কিভাবে হোস্টিং করা হয়
অনেকেই যখন ওয়েবসাইট বানানোর কথা ভাবেন, তখন তাদের মাথায় আসে কেবল ডিজাইন,
ডোমেইন আর কন্টেন্টের কথা। কিন্তু একটি পূর্ণাঙ্গ ও কার্যকর ওয়েবসাইট তখনই
সম্পূর্ণ হয়, যখন তা সঠিকভাবে ইন্টারনেটে প্রকাশ করা যায়।
আর সেই প্রকাশের পেছনের মূল প্রক্রিয়াটি হচ্ছে ওয়েবসাইট হোস্টিং। অনেকেই জানতে
চান – ওয়েবসাইট কিভাবে হোস্টিং করা হয় – কিন্তু সহজভাবে কেউ ব্যাখ্যা দেয় না।
আমি আজ এই বিষয়টি একেবারে হাতে ধরে শেখানোর মতো করে ব্যাখ্যা করব যেন আপনি
নিজেই হোস্টিং করতে পারেন।
আসুন একটু বাস্তব উদাহরণে যাই। আপনি ধরুন একটি রেস্টুরেন্ট খুলতে যাচ্ছেন। আপনি
সুন্দর একটি নাম ঠিক করলেন (এটা ডোমেইন), তারপর জায়গা খুঁজলেন যেখানে দোকানটি
বসাবেন (এটা হোস্টিং)। এখন আপনি কিচেন সেটআপ করলেন, চেয়ার-টেবিল দিলেন, মেনু
বানালেন।
অর্থাৎ আপনার রেস্টুরেন্টে সব আছে, শুধু দরজাটা খুললেই কাস্টমার আসতে পারবে।
ওয়েবসাইট হোস্টিংও অনেকটা এরকম। ওয়েবসাইট হোস্টিং করার মূল উদ্দেশ্য হলো আপনার
তৈরি করা ওয়েব ফাইল, ছবি, লেখা, ভিডিও ইত্যাদি সার্ভারে আপলোড করা যাতে বিশ্বের
যেকোনো প্রান্ত থেকে কেউ তা দেখতে পারে।
চলুন ধাপে ধাপে দেখি কীভাবে একটি ওয়েবসাইট হোস্ট করতে হয়
ধাপ ১: হোস্টিং সার্ভিস নির্বাচন করা
প্রথমেই আপনাকে একটি ভালো মানের হোস্টিং কোম্পানি বেছে নিতে হবে। আপনি চাইলে
আন্তর্জাতিক প্রোভাইডার (যেমন: Hostinger, Bluehost, A2 Hosting) অথবা দেশীয়
প্রোভাইডার (যেমন: ExonHost, XeonBD) ব্যবহার করতে পারেন। এখানে খেয়াল রাখবেন
তাদের আপটাইম, স্পিড, কাস্টমার সাপোর্ট যেন ভালো হয়।
ধাপ ২: হোস্টিং প্ল্যান কেনা
সাধারণত ৩ ধরনের প্ল্যান থাকে: শেয়ার্ড, VPS, ডেডিকেটেড। যদি আপনি নতুন ব্লগ বা
ছোট বিজনেস সাইট তৈরি করতে চান, তাহলে শেয়ার্ড হোস্টিং যথেষ্ট। তবে ই-কমার্স,
নিউজ পোর্টাল বা হেভি ট্রাফিক সাইটের জন্য VPS বা ক্লাউড হোস্টিং উপযুক্ত।
ধাপ ৩: ডোমেইন যুক্ত করা
আপনার হোস্টিং প্যানেলে লগইন করে Add Domain বা Addon Domain অপশনে
গিয়ে আপনার কেনা ডোমেইনটি যুক্ত করুন। যদি হোস্টিং ও ডোমেইন এক জায়গা থেকে কেনা
হয়, তাহলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেট হয়ে যাবে। তবে আলাদা হলে আপনাকে Name Server
আপডেট করতে হবে।
ধাপ ৪: ফাইল আপলোড করা
এবার আপনার ওয়েবসাইটের HTML, CSS, PHP বা WordPress ফাইলগুলো হোস্টিং সার্ভারে
আপলোড করতে হবে। এটি আপনি File Manager (cPanel থেকে) অথবা FTP Client (যেমন:
FileZilla) দিয়ে করতে পারেন।
File Manager থেকে public_html ফোল্ডারে গিয়ে আপনার ফাইলগুলো আপলোড করুন।
WordPress হলে একদম নতুনভাবে ইনস্টল করুন অথবা ব্যাকআপ ফাইল রিপ্লোড করুন।
ধাপ ৫: ডাটাবেস তৈরি ও কনফিগার করা
যদি আপনার ওয়েবসাইট ডাইনামিক হয় (যেমন: WordPress, PHP site), তাহলে আপনাকে
একটি ডাটাবেস তৈরি করতে হবে। cPanel থেকে MySQL Database এ গিয়ে নতুন
ডেটাবেস, ইউজার ও পাসওয়ার্ড তৈরি করুন এবং config ফাইলে সেট করুন।
ধাপ ৬: SSL ইনস্টল ও সাইট চেক করা
সর্বশেষে, আপনার সাইটে SSL (https) ইনস্টল করুন যাতে ব্রাউজার নিরাপদ হিসেবে
ধরে। অনেক হোস্টিং প্রোভাইডার ফ্রি SSL দেয়। তারপর আপনার ডোমেইনে গিয়ে ব্রাউজার
দিয়ে দেখে নিন সব কিছু ঠিক আছে কি না।
এই হলো পুরো প্রক্রিয়া ওয়েবসাইট কিভাবে হোস্টিং করা হয় – একদম সহজভাবে, হাতে
কলমে শেখানোর মতো করে। অনেকেই ভাবে এটি জটিল কোনো কাজ, কিন্তু আপনি একবার বুঝে
গেলে, পুরো প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত সহজ।
ওয়েবসাইট তৈরি করে নিজের পোর্টফলিও, ব্যবসা, এমনকি ইনকামের পথ খুলে দেওয়া খুবই
সম্ভব – শুধু জানতে হবে কোথা থেকে শুরু করতে হবে। হোস্টিং মানে শুধু সার্ভারে
ফাইল রাখা না, বরং সেটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ যেটি আপনার স্বপ্নের অনলাইন
উপস্থিতিকে বাস্তব রূপ দেয়।
তাই যারা সত্যিকারের একটি প্রফেশনাল ওয়েবসাইট গড়তে চান, তাদের অবশ্যই জানা
দরকার ওয়েবসাইট কিভাবে হোস্টিং করা হয়।
ওয়েবসাইট হোস্টিং এর প্রকারভেদ
আপনি যখন কোনো ওয়েবসাইট তৈরি করেন, তখন সেটি ইন্টারনেটে লাইভ করার জন্য একটি
সার্ভারের প্রয়োজন হয়, যেটি আপনার ওয়েবসাইটের ফাইল, ডেটা ও কনটেন্ট গুলোকে ২৪
ঘণ্টা ইন্টারনেটে সক্রিয় রাখে। এই সার্ভিসটিকেই আমরা বলি হোস্টিং।
কিন্তু আপনি জানলে অবাক হবেন, হোস্টিং একটাই না এর অনেক ধরণ আছে। আর প্রতিটি
ধরনের হোস্টিং ভিন্ন ভিন্ন কাজের জন্য উপযুক্ত। তাই সঠিকভাবে হোস্টিং বেছে
নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আজ আমরা সহজভাবে জানবো,
আরো পড়ুন: শপিফাই ড্রপশিপিং কি - What is dropshipping
ওয়েবসাইট হোস্টিং এর প্রকারভেদ কেমন হয় এবং কোনটা আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো হবে।
এই বিষয়টা একদম হাতেকলমে শেখার মতো করে জানলে, আপনি ভবিষ্যতে নিজেই ঠিক করতে
পারবেন কী ধরনের হোস্টিং আপনার প্রয়োজন।
১. শেয়ার্ড হোস্টিং (Shared Hosting)
এটি সবচেয়ে সাধারণ ও সস্তা হোস্টিং প্রকার। এখানে অনেকগুলো ওয়েবসাইট একসাথে
একটি সার্ভারে হোস্ট করা হয়। অর্থাৎ আপনি একটি বাসায় আরও ১০ জনের সাথে থাকছেন,
এক রান্নাঘর, এক বাথরুম শেয়ার করে।
যারা নতুন ওয়েবসাইট শুরু করছেন বা ছোট ব্লগ, পোর্টফলিও, বিজনেস সাইট তৈরি
করছেন। কম খরচে ভালো পারফরম্যান্স পাওয়া যায়। যদি অন্য কারও সাইটে ট্রাফিক বেড়ে
যায়, আপনার সাইটও ধীর হয়ে যেতে পারে।
২. ভিপিএস হোস্টিং (VPS Hosting)
VPS মানে Virtual Private Server। এটি একটি ভার্চুয়াল সার্ভার, যেখানে আপনি
আপনার নির্দিষ্ট অংশ পেয়ে থাকেন এবং অন্যদের থেকে আলাদা ভাবে কাজ করতে পারেন।
এটা অনেকটা নিজের ফ্ল্যাট নেওয়ার মতো, যদিও একই বিল্ডিং-এ আরও অনেক ফ্ল্যাট
আছে।
মাঝারি ট্রাফিক ওয়েবসাইট, ই-কমার্স সাইট অথবা যাদের বেশি কাস্টমাইজেশন দরকার।
শেয়ার্ড হোস্টিং এর তুলনায় একটু বেশি খরচ হয়।
৩. ডেডিকেটেড হোস্টিং (Dedicated Hosting)
এটা একদম রাজকীয় হোস্টিং। এখানে আপনি পুরো একটি সার্ভার একাই ব্যবহার করেন,
অন্য কেউ নেই। নিজের মতো করে কনফিগার করতে পারবেন, পারফরম্যান্স হবে সর্বোচ্চ।
বড় কোম্পানি,
হেভি ট্রাফিক সাইট, ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম যারা একদম সর্বোচ্চ স্পিড,
কাস্টমাইজেশন ও নিরাপত্তা চায়। এটি সবচেয়ে ব্যয়বহুল হোস্টিং প্রকার। তবে সাইট
বড় হলে এটাই সেরা অপশন।
৪. ক্লাউড হোস্টিং (Cloud Hosting)
এটি এক নতুন ধরণের হোস্টিং যেখানে আপনার ওয়েবসাইট একটির পরিবর্তে একাধিক
সার্ভারে হোস্ট থাকে। যদি কোনো সার্ভার ডাউন হয়, আরেকটি সার্ভার সাথে সাথে কাজ
শুরু করে। অনেকটা লাইফ সাপোর্ট সিস্টেমের মতো, সাইট কখনো ডাউন হয় না।
বড় ই-কমার্স সাইট, নিউজ পোর্টাল, আন্তর্জাতিক ওয়েবসাইট – যারা ১০০% আপটাইম চায়
মাঝারি থেকে বেশি, তবে সাইট স্কেল করলে পয়সা উসুল।
৫. রিসেলার হোস্টিং (Reseller Hosting)
আপনি যদি হোস্টিং ব্যবসা করতে চান, তবে এটি আপনার জন্য। এখানে আপনি একটি
হোস্টিং প্ল্যান কিনে সেটি ভাগ করে অন্যদের কাছে বিক্রি করতে পারেন। প্রত্যেকটি
হোস্টিং এর প্রকারভেদই নিজস্ব বৈশিষ্ট্যে আলাদা।
আপনি যদি একেবারে নতুন হন, তাহলে শেয়ার্ড হোস্টিং দিয়েই শুরু করুন। কিছুদিন পর
ট্রাফিক বাড়লে VPS বা Cloud Hosting এ আপগ্রেড করুন। আর বড় কোম্পানি হলে একদম
শুরু থেকেই Dedicated Hosting নিন।
হোস্টিং মানে কেবল জায়গা না, বরং এটি আপনার সাইটের গতি, নিরাপত্তা, আপটাইম এবং
ইউজার এক্সপেরিয়েন্সের একটি বিশাল অংশ। তাই এই বিষয়ে ভালোভাবে বোঝা ও যাচাই করা
আপনার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
ওয়েবসাইট হোস্টিং এর ধারণা বর্ণনা করা হলো
বর্তমান ডিজিটাল যুগে ওয়েবসাইট শুধুই একটা বিলাসিতা নয়, বরং একটি প্রয়োজনীয়তা
হয়ে দাঁড়িয়েছে। আপনি যদি একটি অনলাইন ব্যবসা পরিচালনা করেন, একটি ব্লগ চালান,
অথবা নিজের পোর্টফোলিও প্রদর্শন করতে চান, তাহলে ওয়েবসাইট থাকা আবশ্যক।
কিন্তু কেবল একটি ওয়েবসাইট তৈরি করলেই হয় না, সেটিকে ইন্টারনেটে দৃশ্যমান করার
জন্য প্রয়োজন হয় একটি হোস্টিং প্ল্যাটফর্ম। আর এই হোস্টিংয়ের মাধ্যমেই একটি
ওয়েবসাইট সার্ভারে সংরক্ষিত থাকে এবং বিশ্বব্যাপী যেকোনো সময়, যেকোনো স্থান
থেকে এক্সেস করা যায়।
আরো পড়ুন: ad watching for money-Daily $100
ওয়েবসাইট হোস্টিং মূলত একটি পরিষেবা, যা ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদেরকে একটি
নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার সুযোগ দেয়। সহজভাবে বললে, এটি এমন একটি জায়গা,
যেখানে আপনার ওয়েবসাইটের সমস্ত তথ্য, ফাইল, ছবি, ভিডিও ইত্যাদি ইন্টারনেট
সার্ভারে সংরক্ষিত থাকে।
আর এই সার্ভারটি ২৪/৭ অনলাইনে থেকে সেই ডেটাগুলো ব্রাউজার ব্যবহারকারীদের
দেখায়। আপনি যখন একটি ওয়েবসাইট তৈরি করেন, তখন সেটির ডিজাইন, কনটেন্ট ইত্যাদি
আপনার কম্পিউটারে থাকে। কিন্তু সেই ওয়েবসাইট যদি আপনি শুধুমাত্র আপনার পিসিতে
রেখে দেন,
তাহলে কেউই তা দেখতে পারবে না। এক্ষেত্রে, হোস্টিং হলো সেই জায়গা যেখানে আপনি
আপনার ওয়েবসাইটকে 'আপলোড' করেন, এবং এটি তখন যেকোনো ব্যক্তি ইন্টারনেট ব্যবহার
করে দেখতে পারে। বিভিন্ন ধরণের হোস্টিং রয়েছে যেমন: শেয়ারড হোস্টিং, ভিপিএস
হোস্টিং, ক্লাউড হোস্টিং এবং ডেডিকেটেড সার্ভার।
প্রতিটি হোস্টিং এর আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য ও সুবিধা রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ,
শেয়ারড হোস্টিং নতুনদের জন্য সাশ্রয়ী ও সহজ, যেখানে একাধিক ওয়েবসাইট একটি
সার্ভার শেয়ার করে। আবার ডেডিকেটেড সার্ভার কেবলমাত্র আপনার ওয়েবসাইটের জন্য
নির্ধারিত একটি সম্পূর্ণ সার্ভার।
ওয়েবসাইট হোস্টিং এর ধারণা বুঝতে গেলে এটাও জানতে হবে, যে আপনার ওয়েবসাইট যত
বড় বা ট্রাফিক যত বেশি হবে, তত বেশি শক্তিশালী হোস্টিং প্ল্যান প্রয়োজন হবে।
তাই হোস্টিং কিনতে গেলে সবসময় নিজের প্রয়োজন এবং বাজেট বুঝে সিদ্ধান্ত নেয়া
জরুরি।
অনেক সময় ভুল হোস্টিং নির্বাচন করলে ওয়েবসাইট ধীরগতির হতে পারে বা হ্যাকিংয়ের
শিকার হতে পারে। ওয়েবসাইট সবসময় নিরাপদে থাকবে এবং বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে
ব্যবহারকারীরা সেটি দেখতে পারবে। এই ধারণাটি না বুঝে ওয়েবসাইট চালানো অনেকটা
এমন, যেন আপনি দোকান সাজিয়েছেন কিন্তু তার ঠিকানা বা পথ কেউ জানে না।
ওয়েব হোস্টিং গুরুত্বপূর্ণ ব্যাখ্যা করা হলো
আজকের অনলাইন ভিত্তিক পৃথিবীতে, আপনার নিজের একটি ওয়েবসাইট থাকা অনেকটা নিজের
একটি বাড়ি বা অফিস থাকার মতোই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সেই বাড়ি যদি ঠিক মতো
সংরক্ষিত না থাকে, নিরাপত্তা না থাকে, বা মানুষ যদি তার ঠিকানা না জানে, তাহলে
সেটি অর্থহীন হয়ে পড়ে।
এই জায়গায় এসে ওয়েব হোস্টিং-এর গুরুত্ব বোঝা যায়। ওয়েব হোস্টিং হল সেই ভিত্তি,
যার উপর আপনার সম্পূর্ণ ওয়েবসাইট দাঁড়িয়ে থাকে। এটি শুধুমাত্র একটি সার্ভারে
ফাইল সংরক্ষণ করা নয়, বরং এর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইট জীবন্ত হয়ে ওঠে, নিরবিচারে
ব্যবহারকারীদের সামনে ভেসে ওঠে,
আর আপনি অনলাইনে পরিচিতি লাভ করেন। ওয়েব হোস্টিং গুরুত্বপূর্ণ এই কারণে যে,
এটি আপনার ওয়েবসাইটের গতির ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। ধরা যাক, আপনার একটি
ই-কমার্স সাইট আছে যেখানে প্রতিদিন শত শত গ্রাহক প্রবেশ করে।
যদি আপনার হোস্টিং সার্ভার দুর্বল বা ধীরগতির হয়, তাহলে ওয়েবসাইট ধীরে লোড হবে,
এবং গ্রাহকরা বিরক্ত হয়ে সাইট ত্যাগ করবে। এতে আপনার বিক্রি কমে যাবে,
বিশ্বাসযোগ্যতাও নষ্ট হবে। একমাত্র ভালো মানের হোস্টিংই পারে দ্রুতগতির,
নিরবিচার সেবা নিশ্চিত করতে, যাতে ব্যবহারকারীরা সন্তুষ্ট থাকে। আরেকটি
বড় কারণ হলো নিরাপত্তা। ইন্টারনেটে প্রতিনিয়তই হ্যাকাররা সাইবার আক্রমণের
চেষ্টা করে। আপনার ওয়েবসাইট যদি ভালো ও নিরাপদ হোস্টিং সার্ভারে রাখা না হয়,
তাহলে এটি হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ভালো মানের হোস্টিং কোম্পানিগুলো নিয়মিত ব্যাকআপ, SSL সার্টিফিকেট, ফায়ারওয়াল
প্রটেকশনসহ নানা সুরক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে থাকে। এভাবে, হোস্টিং সরাসরি আপনার
সাইটের নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত। তাছাড়া, ওয়েব হোস্টিং এর মাধ্যমে আপনি পেতে
পারেন ইমেল সাপোর্ট,
কাস্টম ডোমেইন-সুবিধা, সিপ্যানেল বা কন্ট্রোল প্যানেল, এবং প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার
ইনস্টলেশন। অনেক সময় দেখা যায়, যারা ফ্রি হোস্টিং ব্যবহার করেন, তাদের
ওয়েবসাইটে নানা ধরনের বিজ্ঞাপন দেখানো হয় যা ব্যবহারকারীদের বিরক্ত করে।
আর প্রিমিয়াম হোস্টিং এর মাধ্যমে আপনি পাবেন একদম বিজ্ঞাপনমুক্ত, পেশাদার
সেবা।ওয়েব হোস্টিং এর গুরুত্ব আরও বোঝা যায় SEO এর দিক থেকে। গুগল পেজ স্পিডকে
একটি র্যাঙ্কিং ফ্যাক্টর হিসেবে বিবেচনা করে। অর্থাৎ, আপনার ওয়েবসাইট যত দ্রুত
লোড হবে,
তত বেশি গুগলে র্যাঙ্ক করার সম্ভাবনা থাকবে। তাই ভালো হোস্টিং আপনার ওয়েবসাইটের
সার্চ র্যাংকেও বড় ভূমিকা রাখে। একটি ওয়েবসাইট যদি হয় আপনার পরিচয়ের
প্রতিচ্ছবি, তবে হোস্টিং হলো তার প্রাণশক্তি। এটি ছাড়া আপনি যত সুন্দর
ওয়েবসাইটই বানান না কেন,
কেউই তা দেখতে পারবে না, ব্যবহার করতে পারবে না। তাই ওয়েব হোস্টিং কেবল একটি
প্রযুক্তিগত বিষয় নয়, এটি আপনার অনলাইন স্বপ্নকে বাস্তবে রূপান্তরের মূল
চাবিকাঠি।
হোস্টিং কিভাবে কিনবো
হোস্টিং কেনা অনেক সহজ চলুন সর্টকার্টে জেনে নিই আমরা :
- একটি হোস্টিং কোম্পানি সিলেক্ট করুন (যেমন: Hostinger, Bluehost, Namecheap)
- পছন্দের প্যাকেজ সিলেক্ট করুন
- অ্যাকাউন্ট তৈরি করে ডোমেইন যুক্ত করুন
- পেমেন্ট করুন
- আপনার হোস্টিং একটিভ হয়ে যাবে
হোস্টিং কেনার সময় এই ধাপগুলো অনুসরণ করলেই আপনি নিজের ওয়েবসাইট হোস্ট করতে
পারবেন। আবারো মনে করিয়ে দিই, হোস্টিং কাকে বলে হোস্টিং কি এর কাজ কি – এই
প্রশ্নের সঠিক উত্তর জানতে এই প্রক্রিয়াটিও বুঝে নিতে হবে।
ডোমেইন হোস্টিং এর দাম
বাংলাদেশে বা আন্তর্জাতিকভাবে ডোমেইন-হোস্টিং এর দাম অনেকটা কোম্পানির উপর
নির্ভর করে যেমন আমি .com ডোমেইন ব্যবহার করি চলুন আমরা ডোমেইন হোস্টিং এর দাম
জেনে নিই:
- .com ডোমেইন: $8 – $15 (BDT 1000-1500)
- শেয়ার্ড হোস্টিং: $2 – $5/month (BDT 200-500)
- VPS হোস্টিং: $10 – $30/month
- ডেডিকেটেড হোস্টিং: $50+/month
তবে ভালো মানের হোস্টিং নিলে ওয়েবসাইটের পারফর্মেন্স অনেক ভালো থাকে। তাই যখন
হোস্টিং কাকে বলে হোস্টিং কি এর কাজ কি জানতে চান, তখন এর দাম বিষয়টিও
গুরুত্বপূর্ণ।
ওয়েবসাইট পাবলিশিং এর ধাপ
আমরা যখন একটা ওয়েবসাইট শুন্য থেকে শুরু করে একদম শেষ পর্যন্ত যত ডিজাইন আছে
ডেভোলপিং আছে সব কম্প্লিট করে তারপরে আমরা ডোমেইন এর জন্য রেজিস্ট্রেশন করি
তারপর হোস্টিং কিনতে হয় ডিজাইন সেটা আগে করতে হয়।
তারপের সার্ভারে আপলোড করতে হয় এস এস এল সার্টিফিকেট অন করতে হয়। তারপরে গুগলে
সাবমিট করতে হয় চলুন নিচে এক নজরে দেখে নিই ওয়েবসাইট পাবলিশ করার ধাপগুলো :
- ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন
- হোস্টিং কেনা
- ওয়েবসাইট ডিজাইন করা
- সার্ভারে আপলোড করা
- SSL ইনস্টল করা
- Google এ Submit করা
এই ধাপগুলো ফলো করলেই আপনি সফলভাবে ওয়েবসাইট পাবলিশ করতে পারবেন। আর তখন আপনি
বাস্তবে উপলব্ধি করবেন হোস্টিং কাকে বলে হোস্টিং কি এর কাজ কি।
People Also Ask (প্রশ্ন ও উত্তর)
সবচেয়ে ব্যয়বহুল ওয়েব হোস্টিং কোনটি?
ডেডিকেটেড হোস্টিং এবং ক্লাউড হোস্টিং সবচেয়ে ব্যয়বহুল কারণ এটি সম্পূর্ণ একক
ব্যবহারকারীর জন্য নির্ধারিত হয়।
হোস্টিং কিনতে কি প্রয়োজন হয়?
আপনার একটি ইমেইল অ্যাকাউন্ট, একটি পেমেন্ট মেথড (বিকাশ, কার্ড, পেপাল) এবং
পছন্দমতো ডোমেইন নাম থাকতে হবে।
ওয়েবসাইট হোস্টিং করে কোথায় রাখা হয়?
ওয়েবসাইটের সব ফাইল রাখা হয় সার্ভারে, যা অনলাইনে ২৪ ঘণ্টা চালু থাকে এবং
ব্যবহারকারীরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে এক্সেস করে।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url