হেলথ ইন্সুরেন্স করতে কত টাকা লাগে
দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর উপায়প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলটি আমরা লিখেছি মূলত হেলথ ইন্সুরেন্স করতে কত টাকা
লাগে। বিষয়কে কেন্দ্র করে। সঙ্গে থাকছে বাংলাদেশের বীমা কোম্পানি কয়টি।
সম্পর্কিত অতিরিক্ত তথ্যও, যা পড়লে আপনি পুরো বিষয়টি সহজেই বুঝতে পারবেন, ইন শা
আল্লাহ।
সূচিপত্র:হেলথ ইন্সুরেন্স করতে কত টাকা লাগে
হেলথ ইন্সুরেন্স করতে কত টাকা লাগে
বর্তমানে স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের ব্যয় প্রতিনিয়ত বাড়ছে। অনেকেই চিকিৎসার খরচে
বিপাকে পড়েন, বিশেষ করে যারা মাসিক আয় সীমিত। এ কারণেই আজকাল হেলথ ইন্সুরেন্সের
দিকে মানুষের আগ্রহ বেড়েছে। কিন্তু অনেকেরই মনে প্রশ্ন Health ইন্সুরেন্স করতে কত
টাকা লাগে? এই প্রশ্নের উত্তর নির্ভর করে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর। প্রথমত,
প্রিমিয়াম নির্ধারিত হয় আপনার বয়স, স্বাস্থ্যগত অবস্থা, কোন বীমা কোম্পানির
পলিসি আপনি নিচ্ছেন এবং আপনি কত টাকা পর্যন্ত কভার চান তার উপর ভিত্তি করে।
সাধারণত, বাংলাদেশের বাজারে বেশিরভাগ হেলথ ইন্সুরেন্স করতে ৪০০০ থেকে ১৫,০০০
টাকার মধ্যে প্রিমিয়াম দিতে হয়। যেমন বাংলাদেশ জেনারেল ইন্সুরেন্স কোম্পানির একটি
ফ্যামিলি হেলথ পলিসি বছরে প্রায় ৪৬০০ টাকা থেকে শুরু হয়।অনেকে মনে করেন হেলথ
ইন্সুরেন্স কেবল বড়লোকদের জন্য, কিন্তু আসলে তা নয়। আজকাল অনেক কোম্পানি স্বল্প
আয়ের মানুষের জন্যও বিশেষ হেলথ প্যাকেজ অফার করে। আপনি চাইলে মাসিক কিস্তিতে বা
এককালীন প্রিমিয়াম দিয়ে পলিসি নিতে পারেন।
অনেক সময় কোম্পানির গ্রুপ হেলথ ইন্সুরেন্স সুবিধাও পাওয়া যায়, যেখানে আপনার নিজের
খরচ অনেক কমে আসে। তবে সেক্ষেত্রে জানতে হবে এই সুবিধায় ঠিক কী কী কভারেজ আছে এবং
Health ইন্সুরেন্স করতে কত টাকা লাগে সেই হিসাবটা আলাদা হয়। পরিবারের সদস্যসংখ্যা
বাড়লে বা বয়স বেড়ে গেলে প্রিমিয়ামও বাড়তে পারে। তাই আগে থেকেই একটু পরিকল্পনা করে
নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ। হেলথ ইন্সুরেন্স করতে কত টাকা লাগে ।
আরো পড়ুন: মাথা ব্যথার কারণ কি কি
এই বিষয়ে ভালোভাবে জানলে আপনি সহজেই আপনার উপযুক্ত পলিসি বেছে নিতে পারবেন।
স্মরণে রাখবেন, হঠাৎ একটি দুর্ঘটনা বা গুরুতর অসুস্থতা আপনার সঞ্চয়ের বড় অংশ কেটে
নিতে পারে। তাই একটু বুদ্ধি খাটিয়ে আগেভাগেই হেলথ ইন্সুরেন্স করে নেওয়া নিরাপদ।
অনেকেই ভাবেন এটা খরচ, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এটি একটি বিনিয়োগ আপনার ও আপনার
প্রিয়জনের সুস্থ জীবনের জন্য।
বাংলাদেশের বীমা কোম্পানি কয়টি
যখন আমরা আর্থিক নিরাপত্তার কথা বলি, তখন বীমা শব্দটা বারবার সামনে চলে আসে।
কিন্তু আপনি কি জানেন, Bangladesh এ বীমা কোম্পানি কয়টি আছে? এই প্রশ্নের উত্তর
শুধু সংখ্যা দিয়ে দিলে চলবে না এর পেছনে রয়েছে একটি বিস্তৃত বাস্তবতা। বর্তমানে
বাংলাদেশে মোট ৮২টি লাইসেন্সপ্রাপ্ত বীমা কোম্পানি রয়েছে। এর মধ্যে ৩৬টি জীবন
বীমা (Life Insurance) এবং ৪৬টি সাধারণ বীমা (General Insurance)
প্রতিষ্ঠান।
এই সংখ্যা শুনে অনেকেই অবাক হন, কারণ এত সংখ্যক বীমা কোম্পানি থাকার পরও দেশের
অনেক মানুষ এখনো বীমা থেকে বঞ্চিত। বাংলাদেশের বীমা কোম্পানি কয়টি এই প্রশ্নটা
শুধু তথ্য জানার জন্য নয়, বরং সচেতনতার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ প্রতিটি
কোম্পানি আলাদা আলাদা পলিসি, কভারেজ এবং প্রিমিয়াম রেট অফার করে। হেলথ ইন্সুরেন্স
করতে কত টাকা লাগে কেউ রোগব্যয় কভার করে, কেউ দুর্ঘটনা, আবার কেউ জীবন বীমার মতো
দীর্ঘমেয়াদী সুরক্ষা দেয়।
বাংলাদেশে যেসব বিখ্যাত বীমা কোম্পানি রয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছে:
- জীবন বীমা কর্পোরেশন (JBC)
- সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স
- ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স
- পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স
- গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স
- পায়োনিয়ার ইন্স্যুরেন্স
এই তালিকাগুলো দেখেই বোঝা যায়, বাংলাদেশের বীমা কোম্পানি কয়টি প্রশ্নের উত্তর
শুধু সংখ্যায় সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি একটি ব্যাপক বাজার ও সুযোগের চিত্র তুলে ধরে।
বীমা নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (IDRA) এর অধীনে এইসব কোম্পানি পরিচালিত হয়
এবং তাদের প্রত্যেকটির নির্দিষ্ট নীতিমালা ও রেগুলেশন রয়েছে।হেলথ ইন্সুরেন্স করতে
কত টাকা লাগে যারা হেলথ ইন্সুরেন্স বা জীবন বীমা নিতে চান, তাদের উচিত এই
কোম্পানিগুলো সম্পর্কে ধারণা রাখা।
কারণ প্রতিটি কোম্পানির রেটিং, সেবা, গ্রাহক সাপোর্ট এবং পলিসি কাভারেজ ভিন্ন।
সবশেষে বলতেই হয়, যদি কেউ প্রশ্ন করে বাংলাদেশের বীমা কোম্পানি কয়টি, আপনি শুধু
সংখ্যা বলবেন না। বলবেন এগুলোই আমাদের আর্থিক সুরক্ষার ভরসা, যেগুলোর মধ্য থেকে
বুঝে শুনে সঠিকটি নির্বাচন করাই হলো আসল কৌশল।
হেলথ ইন্সুরেন্স কি
হেলথ ইন্সুরেন্স বলতে বোঝায় এমন একটি আর্থিক চুক্তি, যেখানে একজন ব্যক্তি বা
পরিবার একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ প্রিমিয়াম প্রদান করে বীমা কোম্পানির কাছ থেকে
স্বাস্থ্যসেবা ব্যয়ের সুরক্ষা গ্রহণ করে। অসুস্থতা, দুর্ঘটনা বা হাসপাতালের খরচের
মতো জটিল সময়গুলোতে এই ইন্সুরেন্স প্রোগ্রাম চিকিৎসা ব্যয়ের বড় একটি অংশ বহন করে।
সহজভাবে বললে, হেলথ ইন্সুরেন্স কি? এটি হলো এমন একটি সেবা, যা স্বাস্থ্যগত
দুর্যোগের মুহূর্তে আপনাকে অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করে।
চিকিৎসা খরচ দিন দিন বেড়েই চলেছে। আজকাল সাধারণ একটি পরীক্ষা, কিছু ওষুধ কিংবা
ডাক্তারের কয়েকটি ভিজিট মিলিয়ে হাজার হাজার টাকা চলে যায়। এমন অবস্থায় যখন হঠাৎ
করে বড় কোনো অসুস্থতা দেখা দেয়, তখন পরিবারে নেমে আসে আর্থিক চাপ। ঠিক এই সময়েই
হেলথ ইন্সুরেন্স কাজ করে একজন সহায়ক বন্ধু হিসেবে।হেলথ ইন্সুরেন্স করতে কত টাকা
লাগে অনেকেই মনে করেন, এই ইন্সুরেন্স শুধু ধনীদের জন্য। কিন্তু এখন এমন অনেক
পলিসি রয়েছে, যেগুলো স্বল্প আয়ের মানুষের জন্যও সহজলভ্য।
আপনি চাইলে মাসিক ৩০০–৫০০ টাকা করে প্রিমিয়াম দিয়েও একটি ভালো হেলথ ইন্সুরেন্স
পলিসি নিতে পারেন। হেলথ ইন্সুরেন্স কি শুধুমাত্র ব্যয় মেটানো নয়, এটি একটি মানসিক
শান্তির উৎসও। আপনি জানেন, বিপদের সময় আপনি একা নন।
আপনার পেছনে আছে একটি অর্থনৈতিক সহায়তা ব্যবস্থা যা কেবল টাকার নয়, আস্থারও।
পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা দিতে চাইলে, আজই হেলথ ইন্সুরেন্স নিয়ে ভাবুন। আপনার
সামান্য পরিকল্পনা কাল আপনার বড় বিপদে কাজে লাগবে।
হেলথ ইন্সুরেন্স এর প্রয়োজনীয়তা
জীবনের সবচেয়ে অনিশ্চিত দিক হলো স্বাস্থ্য। কখন কার শরীর খারাপ হবে, দুর্ঘটনা
ঘটবে বা বড় কোনো রোগ ধরা পড়বে তা আমরা কেউই আগে থেকে বলতে পারি না। আর সমস্যা
হলো, এই অসুস্থতা যখন আসে, তখন শুধু শরীরেই আঘাত করে না, অর্থনীতিতেও ভয়ংকর
প্রভাব ফেলে। এখানেই বুঝা যায় হেলথ ইন্সুরেন্স এর প্রয়োজনীয়তা কতটা গভীর। ধরুন,
আপনি বা আপনার পরিবারের একজন সদস্য হঠাৎ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লেন।
হাসপাতালে ভর্তি, চিকিৎসা, টেস্ট, ওষুধ সব মিলে কয়েক লক্ষ টাকা খরচ হয়ে গেল। এই
অর্থ যদি আপনার সঞ্চয়ে না থাকে, তাহলে কী করবেন? বাড়ি বিক্রি করবেন? ধার নেবেন?
নাকি চিকিৎসা বন্ধ করে দেবেন?হেলথ ইন্সুরেন্স করতে কত টাকা লাগে এই সংকটের সমাধান
আগেই নিতে হয়, আর সেটাই হলো হেলথ ইন্সুরেন্স। হেলথ ইন্সুরেন্স এর প্রয়োজনীয়তা
শুধু অর্থনৈতিক সুরক্ষার জন্য নয়, এটি মানসিক শান্তির একটি উৎস।
আপনি যখন জানেন যে আপনার বা আপনার সন্তানের চিকিৎসা ব্যয় কোনো বীমা কোম্পানি কভার
করবে, তখন আপনি চিন্তামুক্ত থাকেন। আপনি ভালোভাবে নিজের ও পরিবারের যত্ন নিতে
পারেন। বাংলাদেশে আজকাল অনেক বীমা কোম্পানি আছে যারা কম খরচে ভালো কভারেজ দেয়।
শুধু কিছু কাগজপত্র আর নিয়মিত প্রিমিয়াম দিলেই আপনি এই সুবিধার অন্তর্ভুক্ত হতে
পারেন। আর সবচেয়ে বড় কথা, এটি আপনার জীবনকে নিরাপদ করে তোলে সার্বিকভাবে।
আজকাল অফিস, ব্যবসা, এমনকি অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকেও হেলথ ইন্সুরেন্স
দেওয়া হয়। যদি তা না হয়, তাহলে নিজেই উদ্যোগ নিয়ে একটি পলিসি নেওয়া বুদ্ধিমানের
কাজ। হেলথ ইন্সুরেন্স এর প্রয়োজনীয়তা এখন বিলাসিতা নয় এটা প্রয়োজন, এটি
দায়িত্ব, এটি ভালোবাসার এক ধরনের প্রকাশ, যেটা আপনি নিজের এবং প্রিয়জনদের জন্য
করেন।
বাংলাদেশের প্রথম বীমা কোম্পানির নাম কি
যখন আমরা বীমা নিয়ে ভাবি, তখন আমাদের মনে প্রথমেই আসে নিরাপত্তা, আস্থা আর
ভবিষ্যতের পরিকল্পনা। কিন্তু আপনি কি জানেন, বাংলাদেশের প্রথম বীমা কোম্পানির নাম
কি ছিল? এর পেছনে রয়েছে একটি দীর্ঘ ইতিহাস, যা আমাদের বর্তমান আর্থিক ব্যবস্থার
ভিত্তি গড়ে দিয়েছে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার আগে, অর্থাৎ পাকিস্তান ও ব্রিটিশ
আমলের সময় ভারতীয় উপমহাদেশে বেশ কিছু বীমা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছিল। হেলথ
ইন্সুরেন্স করতে কত টাকা লাগে।
আরো পড়ুন: মুখে ব্রণের দাগ দূর করার উপায়
এর মধ্যে ১৯১২ সালে প্রতিষ্ঠিত “The Oriental Life Insurance Company” ছিল ভারতীয়
উপমহাদেশে প্রথম জীবন বীমা প্রতিষ্ঠান। তবে আমাদের আলোচ্য বিষয় হলো বাংলাদেশের
প্রথম বীমা কোম্পানির নাম কি? স্বাধীনতার পরে ১৯৭৩ সালে সরকার “জীবন বীমা
কর্পোরেশন (Jiban Bima Corporation)” নামে দেশের প্রথম সরকারি জীবন বীমা
প্রতিষ্ঠান গঠন করে। এটি ছিল একধরনের ঐতিহাসিক পদক্ষেপ, যেটা স্বাধীন বাংলাদেশে
বীমা ব্যবস্থার নতুন অধ্যায় সূচনা করে।
এই প্রতিষ্ঠানটির মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষ প্রথমবারের মতো সরকারিভাবে নিরাপদ
বীমা সুবিধা পেতে শুরু করে। পরবর্তীতে অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান চালু হয়, কিন্তু
আজও জীবন বীমা কর্পোরেশন দেশের অন্যতম আস্থার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত। তাই যারা
জানতে চান বাংলাদেশের প্রথম বীমা কোম্পানির নাম কি।
তাদের জন্য উত্তর হলো সরকারের উদ্যোগে গঠিত “জীবন বীমা কর্পোরেশন”। এটি শুধু একটি
প্রতিষ্ঠান নয়, বরং বাংলাদেশের আর্থিক ইতিহাসের একটি মাইলফলক। এই প্রতিষ্ঠান
আমাদের বুঝিয়ে দেয়, নিরাপত্তা কেবল স্বপ্ন নয় সঠিক উদ্যোগের মাধ্যমে সেটি
বাস্তবেও গড়া যায়।
বর্তমানে দেশে মোট বীমা কোম্পানির সংখ্যা কতটি
বাংলাদেশের অর্থনীতি দিন দিন উন্নত হচ্ছে। মানুষের আয় বাড়ছে, সচেতনতা বাড়ছে আর
সেই সাথে বাড়ছে আর্থিক নিরাপত্তার প্রয়োজন।হেলথ ইন্সুরেন্স করতে কত টাকা লাগে এই
নিরাপত্তার অন্যতম প্রধান উপায় হচ্ছে বীমা। কিন্তু অনেকেরই প্রশ্ন, বর্তমানে দেশে
মোট বীমা কোম্পানির সংখ্যা কতটি? বাংলাদেশে বর্তমানে মোট ৮২টি অনুমোদিত বীমা
কোম্পানি রয়েছে।
এর মধ্যে ৩৬টি জীবন বীমা কোম্পানি এবং ৪৬টি সাধারণ বীমা কোম্পানি। এরা প্রত্যেকেই
বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (IDRA) এর অধীনে পরিচালিত হয়। এটি এক প্রকার
প্রমাণ যে, দেশের বীমা খাত একটি শক্তিশালী কাঠামোর মধ্যে পরিচালিত হচ্ছে।
এই ৮২টি কোম্পানির মধ্যে অনেকেই আন্তর্জাতিক মানের সেবা প্রদান করে থাকে।
যেমন:
- ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স
- গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স
- পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স
- সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স
- পায়োনিয়ার ইন্স্যুরেন্স
- জীবন বীমা কর্পোরেশন (সরকারি)
বর্তমানে দেশে মোট বীমা কোম্পানির সংখ্যা কতটি এই প্রশ্নটি শুধু সংখ্যার খেলা
নয়। এটি একটি নির্দেশক, যা বুঝিয়ে দেয়, দেশের মানুষ এখন অনেক বেশি সচেতন আর
ভবিষ্যত নিয়ে পরিকল্পনামুখী।
তবে সংখ্যার পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এই কোম্পানিগুলোর মান, গ্রাহকসেবা,
ক্লেইম সেটেলমেন্ট রেট এবং গ্রাহকের অভিজ্ঞতা কেমন। কারণ বীমা মানেই শুধু
চুক্তিপত্র নয়, এটি আস্থা, নির্ভরতা ও দ্রুত সহায়তা।
বাংলাদেশ সরকার বীমা খাতকে ডিজিটাল ও সহজলভ্য করার জন্য নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে।
নতুন নতুন প্রযুক্তির সহায়তায় গ্রাহকরা এখন ঘরে বসেই পলিসি কিনতে পারছেন।হেলথ
ইন্সুরেন্স করতে কত টাকা লাগে সুতরাং, যাঁরা জানতে চাচ্ছেন বর্তমানে দেশে মোট
বীমা কোম্পানির সংখ্যা কতটি, তাঁদের শুধু সংখ্যা নয়, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের মান
এবং দক্ষতাও বিবেচনায় রাখা উচিত।
জীবন বীমা কর্পোরেশন কোন মন্ত্রণালয়ের অধীনে
বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরনো ও সরকারি বীমা প্রতিষ্ঠান হলো জীবন বীমা কর্পোরেশন
(Jiban Bima Corporation)। অনেকেই এই প্রতিষ্ঠানটির নাম জানেন, কিন্তু প্রশ্ন
করতে দ্বিধা করেন জীবন বীমা কর্পোরেশন কোন মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত হয়? এর
উত্তর শুধু জানলেই হবে না, বরং বোঝা দরকার এর গুরুত্বও। সরকারি তথ্য অনুযায়ী,
জীবন বীমা কর্পোরেশন অর্থাৎ JBC পরিচালিত হয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে, বিশেষ করে
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এর তত্ত্বাবধানে।
অর্থাৎ এটি সরাসরি সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, যা
নির্দিষ্ট নীতিমালার মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এই সংস্থাটি ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়,
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরপরই। তখনকার দিনে দেশের সাধারণ মানুষ বীমা সম্পর্কে অনেক
কম জানতো। সরকার চাইলো, জনগণের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একটি বিশ্বাসযোগ্য
প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে। তাই গঠিত হয় জীবন বীমা কর্পোরেশন।
জীবন বীমা কর্পোরেশন কোন মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত হয় এই প্রশ্নের উত্তর
জানার মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারি এই প্রতিষ্ঠানের ওপর সরকারের সরাসরি নজরদারি
রয়েছে। এর কার্যক্রম, আর্থিক হিসাব, মানবসম্পদ all কিছুই নির্ধারিত হয় রাষ্ট্রীয়
নিয়ম-কানুন অনুসারে। যেহেতু এটি একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান, তাই এখানে গ্রাহকের
আস্থা অনেক বেশি।
ন্যায্য প্রিমিয়ামে দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা, সঠিক সময় ক্লেইম সেটেলমেন্ট এবং
দেশজুড়ে বিস্তৃত শাখা এই প্রতিষ্ঠানকে করে তুলেছে বাংলাদেশের বীমা খাতের ভিত্তি।
তাই যারা নিরাপদ ও দীর্ঘমেয়াদি একটি জীবন বীমা খুঁজছেন, তারা নিশ্চিন্তে জীবন
বীমা কর্পোরেশনকে বেছে নিতে পারেন। কারণ এটি কেবল একটি বীমা কোম্পানি নয়, এটি
সরকারের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে পরিচালিত জনগণের জন্য একটি আর্থিক সুরক্ষা দেয়াল।
লেখকের মন্তব্য
আশা করি, আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনারা হেলথ ইন্সুরেন্স করতে কত টাকা লাগে।
সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পেয়েছেন। যদি এই বিষয়ে আপনাদের কোনো প্রশ্ন থাকে বা
মূল্যবান মতামত জানাতে চান, তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আর আর্টিকেলটি
শেয়ার করে আপনার আত্মীয়স্বজন ও প্রিয়জনদেরও হেলথ ইন্সুরেন্স করতে কত টাকা লাগে।
জানার সুযোগ করে দিন। ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url