কিভাবে শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাবেন সহজ ও কার্যকরী পদ্ধতিপ্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলটি আমরা লিখেছি মূলত কিভাবে দ্রুত শরীরের ওজন
বাড়াবেন সঠিক উপাই জেনে নিন। বিষয়কে কেন্দ্র করে। সঙ্গে থাকছে ৭ দিনে ওজন
বাড়ানোর সহজ উপায় ও গুরুত্বপূর্ণ টিপস। সম্পর্কিত অতিরিক্ত তথ্যও, যা পড়লে আপনি
পুরো বিষয়টি সহজেই বুঝতে পারবেন, ইন শা আল্লাহ।
সূচিপত্র: কিভাবে দ্রুত শরীরের ওজন বাড়াবেন সঠিক উপাই জেনে নিন
কিভাবে দ্রুত শরীরের ওজন বাড়াবেন সঠিক উপাই জেনে নিন
আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে যারা শরীরের ওজন বাড়ানোর সঠিক উপায় খুঁজে পান না
যার ফলে গুগল ইউটিউব এ সার্চ করেন কিভাবে দ্রুত শরীরের ওজন বাড়াবেন এর সঠিক
উপায় জেনে নিন এটি লিখে। তো অনেকেই ওজন কমানোর চেষ্টা করেন।
কিন্তু তার বিপরীতে এমন অনেক মানুষ আছে যারা যতই খাবার খান না কেন শরীরের ওজন
বাড়ে না এক্সাম্পল হিসেবে যেমন আমি। হালকা-পাতলা গঠন দুর্বলতা কম এনার্জি এসব
শুধু বাহিক সৌন্দর্য কমিয়ে দেয় না বরং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও দুর্বল করে
ফেলে।
তাই সঠিক উপায়ে কিভাবে দ্রুত ওজন বাড়াবেন এর সঠিক উপায় নিয়ে আজকে আমরা এই
আর্টিকেলে সম্পূর্ণ তুলে ধরেছি ইনশাল্লাহ তো এই সম্পূর্ণ গাইড পেতে হলে আপনাকে
আমাদের পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
তো চলুন মূল আলোচনা শুরু করা যাক। ওজন বাড়াতে হলে প্রথমেই বুঝতে হবে, শরীর
প্রতিদিন যত ক্যালোরি খরচ করছে তার চেয়ে বেশি ক্যালোরি গ্রহণ করা দরকার। কিন্তু
এখানে অনেকেই ভুল করেন তারা ভাবেন, বেশি তেল-চর্বিযুক্ত খাবার খেলেই হবে।
আসলে সঠিকভাবে ওজন বাড়াতে হলে প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট,
ভিটামিন ও মিনারেলের সুষম সমন্বয় জরুরি। প্রতিদিন অন্তত ৫–৬ বেলা খাবার খাওয়ার
অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। সকালের নাশতা পুষ্টিকর হতে হবে, দুপুর ও রাতের খাবারে
যথেষ্ট পরিমাণ প্রোটিন থাকতে হবে।
আর মাঝেমাঝে স্ন্যাকসে বাদাম, দুধ, ফল, স্মুদি রাখা ভালো। পর্যাপ্ত পানি পান করতে
হবে, কারণ ডিহাইড্রেশন শরীরের পুষ্টি শোষণে বাধা দেয়। শুধু খাওয়াই নয়, নিয়মিত
ব্যায়ামও ওজন বাড়ানোর জন্য সমান গুরুত্বপূর্ণ। শক্তি-ভিত্তিক ব্যায়াম (Strength
training) করলে পেশী বাড়ে, যা ওজন বৃদ্ধিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে।
দ্রুত শরীরের ওজন বাড়ানোর উপায়। এ ছাড়া প্রতিদিন অন্তত ৮ ঘণ্টা ঘুম এবং স্ট্রেস
নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। ধৈর্য এখানে মূল চাবিকাঠি ওজন বাড়ানো ধীরে ধীরে হয়, কিন্তু
সঠিক নিয়মে চললে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই দৃশ্যমান পরিবর্তন আসবে। অনেকেই মনে করেন
ওজন বাড়ানো খুব সহজ যা খুশি খান, বেশি খান, আর মোটা হয়ে যান।
কিন্তু বাস্তবে বিষয়টা এত সরল নয়। সঠিক উপায়ে, সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে, এবং
স্বাস্থ্য বজায় রেখে ওজন বাড়ানোই আসল লক্ষ্য হওয়া উচিত। অস্বাস্থ্যকর পদ্ধতিতে
বা শুধু জাঙ্ক ফুড খেয়ে ওজন বাড়ানো আপনার শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
তাই কিভাবে দ্রুত শরীরের ওজন বাড়াবেন সঠিক উপাই , সেটা জানাটা অত্যন্ত জরুরি।
আপনাদের সুবিধার্থে আমি নিচে সবগুলা পয়েন্ট আকারে স্টেপ আকারে এবং ধাপে ধাপে আরো
সুন্দর করে বুঝিয়ে দিচ্ছি আপনি শুধু এগুলো মেনে চলবেন তাহলে ইনশাআল্লাহ আপনার
শরীরের ওজন দ্রুত বাড়াতে সক্ষম হবেন তো চলুন দেখে নেইঃ
পুষ্টিকর খাবার আপনার শরীরের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ
আপনার শরীরের ওজন বাড়ানোর জন্য আপনার সর্বপ্রথম দরকার হচ্ছে বেশি ক্যালরি ও
পুষ্টি। তবে ক্যালারি মানে শুধু তেল অথবা চর্বি নয় বরং প্রোটিন কার্বোহাইড্রেট
স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
যেমনঃ
- প্রোটিন জাতীয় খাবার : ডিম, মাছ, মুরগি, ডাল, দুধ, দই, বাদাম
- কার্বোহাইড্রেট: ভাত, আলু, মিষ্টি আলু, গমের রুটি, ওটস
- ফ্যাট: অলিভ অয়েল, পিনাট বাটার, কাজুবাদাম, আখরোট
এই খাবারগুলো প্রতিদিনের ডায়েটে যুক্ত করলে ধীরে ধীরে ওজন বাড়বে এবং শরীর গঠনও
সুন্দর হবে।
খাবারের ফ্রিকোয়েন্সি বাড়ান
আপনি যদি দিনে মাত্র দুই তিনবার খাবার খান তাহলে আপনার শরীরের ওজন বাড়ানো অনেক
কঠিন হয়ে যাবে। আপনাকে দিনে ৫-৬ বার ছোট ছোট মিল গ্রহণ করা ভালো। এতে আপনার শরীর
সারাদিন পর্যাপ্ত ক্যালরি পাবে এবং বেশি বৃদ্ধিতেও সহায়ক হবে। প্রতিটি মিলের
সাথে প্রোটিন যুক্ত খাবার যোগ করতে কখনোই ভুলবেন না।
ব্যায়ামকে অবহেলা করবেন না
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা মনে করে যে ওজন বাড়ানোর জন্য ব্যায়াম করার দরকার
নেই মানে অলসতা করে । কিন্তু সঠিকভাবে ব্যায়াম করলে বেশি বেড়ে যায় এবং শরীরের
গঠন ও সুন্দর হয় মাশাল্লাহ। ওজন তোলার ব্যায়াম (Weight Training) বিশেষভাবে
কার্যকর, কারণ এটি আপনার অতিরিক্ত ক্যালোরিকে চর্বিতে না পাঠিয়ে পেশিতে
রূপান্তরিত করে।
পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও ঘুম
শরীরের ওজন বাড়ানোর ক্ষেত্রে আরও একটি বিষয়ে আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে সেটি
হচ্ছে শরীরের বৃদ্ধি ও মেটাবলিজম ঠিক রাখতে অন্তত ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমানো
প্রয়োজন। ঘুমের সময় শরীর পূর্ণ গঠন হয় এবং বেশি বৃদ্ধি পায় যে স্বাস্থ্যকর
ভাবে ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।
যেগুলো এড়িয়ে চলবেন
- অতিরিক্ত ফাস্ট ফুড খাবেন না
- কোল্ড ড্রিংকস ও অতিরিক্ত চিনি খাবেন না
- অস্বাভাবিক মাত্রায় তেল-চর্বি কখনোই খাবেন না
এগুলো সাময়িকভাবে ওজন বাড়ালেও দীর্ঘমেয়াদে স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে।
আশা করি আপনাদের কনসেপ্ট গুলো ক্লিয়ার হয়েছে। আমি যেগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি
আপনার শরীরের ওজন বাড়ানোর জন্য আশা করি এগুলো নিয়ম অবলম্বন করলে অবশ্যই ভালো
একটি রেজাল্ট পাবেন ইনশাআল্লাহ।
৭ দিনে ওজন বাড়ানোর সহজ উপায় ও গুরুত্বপূর্ণ টিপস
৭দিনে ওজন বাড়ানোর জন্য সহজ উপায় এর থেকে আর কোথাও আছে মনে হয় না আমার। তবে
আমাদের দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ টিপস আপনি মেনে চললে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই শরীরের
পরিবর্তন দেখতে পারবেন ইনশাল্লাহ। তবে আপনাকে মনে রাখতে হবে এই পরিবর্তন হবে
স্বাস্থ্যকর। চর্বি নয় বরং বেশি বৃদ্ধির মাধ্যমে। তো চলুন নিচে আমরা ধাপে ধাপে
জেনে নেইঃ
১. ক্যালোরি সারপ্লাস তৈরি করুন
ওজন বাড়ানোর মূল নিয়ম হচ্ছে আপনার শরীর যত ক্যালোরি খরচ করে তার থেকে বেশি
ক্যালরি গ্রহণ করা। আপনি যদি প্রতিদিন আপনার শরীর দুই হাজার গ্যালারি খরচ করে
তাহলে অন্তত ২৫০০ থেকে ২৭০০ ক্যালোরি খাবারের মাধ্যমে গ্রহণ করে নিতে হবে।
এ জন্য দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন:
- সাদা ভাত বা ব্রাউন রাইস
- পাস্তা ও নুডলস
- আলু, মিষ্টি আলু
- ডাল ও শিমজাতীয় খাবার
২. প্রোটিনকে প্রাধান্য দিন
শুধু কার্বোহাইড্রেট বাড়ালে চর্বি জমে যাবে, কিন্তু প্রোটিন বাড়ালে পেশি বৃদ্ধি
হবে। ৭ দিনের মধ্যে ওজন বাড়াতে হলে প্রতিদিন শরীরের ওজন প্রতি কেজিতে অন্তত
১.৫–২ গ্রাম প্রোটিন গ্রহণ করতে হবে।
প্রোটিনের উৎস:
- ডিম (বিশেষ করে সেদ্ধ ডিম)
- মুরগির মাংস
- মাছ
- দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার
- বাদাম ও বীজজাতীয় খাবার
৩. দিনে অন্তত ৫–৬ বার খান
সকালের নাশতা, ব্রাঞ্চ, দুপুরের খাবার, বিকেলের নাস্তা, রাতের খাবার এভাবে দিনের
মধ্যে একাধিকবার খাবার গ্রহণ করলে শরীর দ্রুত ক্যালোরি পায় এবং ওজন বাড়াতে
সহায়তা করে। প্রতিটি মিলের সাথে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট যোগ করলে আরও ভালো ফল পাবেন।
৪. উচ্চ-ক্যালোরি স্ন্যাকস যুক্ত করুন
৭ দিনের মধ্যে ফলাফল দেখতে চাইলে খাবারের মাঝে হেলদি স্ন্যাকস যোগ করুন:
- পিনাট বাটার টোস্ট
- স্মুদি (দুধ, কলা, পিনাট বাটার, ওটস)
- দইয়ের সাথে বাদাম
- চিজ স্যান্ডউইচ
৫. ব্যায়ামকে পরিকল্পনার অংশ করুন
দ্রুত শরীরের ওজন বাড়ানোর উপায়। ওজন বাড়াতে শুধু খাওয়া যথেষ্ট নয় পেশি
বৃদ্ধির জন্য ওজন তোলার ব্যায়াম (weight training) অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
সপ্তাহে অন্তত ৩–৪ দিন জিম বা বাসায় পুশ-আপ, স্কোয়াট, ডাম্বেল এক্সারসাইজ করুন।
৬. পর্যাপ্ত পানি ও ঘুম
পানি শরীরের মেটাবলিজম ঠিক রাখে এবং হজমে সাহায্য করে। একইসাথে প্রতিদিন অন্তত
৭–৮ ঘণ্টা ঘুমালে শরীরের হরমোন ব্যালান্স থাকে, যা পেশি বৃদ্ধিতে সহায়ক।
৭. জাঙ্ক ফুড এড়িয়ে চলুন
দ্রুত ফল পাওয়ার জন্য অনেকেই পিৎজা, বার্গার, সফট ড্রিঙ্কে ভরসা করেন, কিন্তু
এগুলো শুধু অস্বাস্থ্যকর ফ্যাট বাড়ায়। পরিবর্তে প্রাকৃতিক, পুষ্টিকর খাবার বেছে
নিন।
এই অংশে জেনেছি আমরা কিভাবে আমরা ৭ দিনে ওজন বাড়াবো এবং এর গুরুত্বপূর্ণ টিপস
নিয়ে। তো আমাদের দেওয়া নিয়ম অনুযায়ী আমাদের দেওয়া টিপস গুলো মেনে চললে
ইনশাআল্লাহ আপনার শরীরের ওজন ৭ দিনে বাড়িয়ে ফেলতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।
৭ দিনে ওজন বাড়ানোর ডায়েট চার্ট
সুপ্রিয় পাঠক আমাদের শরীরের ওজন বাড়ানোর সবচেয়ে কার্যকরী একটি উপায় হল
নির্দিষ্টভাবে আমাদের ডায়েটের প্ল্যান গুলো মেনে চলতে হবে। আমরা যদি ডায়েট না
করে ওজন বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করি তাহলে এটি ভুল হবে।
আমাদের ডায়েট করতে হবে এবং আমাদের খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে হবে। ওজন বাড়ানোর
ক্ষেত্রে সঠিক খাদ্যাভ্যাস সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে, আর তাই ৭ দিনে ওজন
বাড়ানোর ডায়েট চার্টের পরিকল্পনা অবশ্যই এমন হওয়া উচিত।
যা শরীরকে পর্যাপ্ত ক্যালোরি এবং পুষ্টি সরবরাহ করতে পারে। এক্ষেত্রে শুধু মাত্র
বেশি খাওয়াই যথেষ্ট নয়, বরং সঠিক সময়ে সঠিক ধরনের খাবার খাওয়া জরুরি।
প্রতিদিনের শুরুতেই ফুল ক্রিম দুধের এক গ্লাস পান করা উচিত, কারণ এতে উচ্চ
মাত্রার ক্যালসিয়াম এবং প্রোটিন থাকে।
যা পেশী বৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য। সাথে সেদ্ধ ডিম বা পনির যোগ করলে প্রোটিনের
যোগান নিশ্চিত হয়, যা শরীরের মাংসপেশী গঠনে সাহায্য করে। সকালবেলায় এমন
পুষ্টিকর খাবার খাওয়া শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে এবং ওজন বাড়ানোর পথে প্রথম ধাপ
গড়ে তোলে। দ্রুত শরীরের ওজন বাড়ানোর উপায়।।
দিনের মাঝামাঝি সময়ে, যেমন মধ্যাহ্নভোজের আগে বা বিকেলের নাস্তার সময়, কলা বা
আমের মতো ফল এবং বাদাম, বিশেষ করে কাঠবাদাম খাওয়া ভালো। এগুলো উচ্চ ক্যালোরি এবং
স্বাস্থ্যকর ফ্যাট সরবরাহ করে, যা দ্রুত ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।
এই সময় স্মুদি হিসেবে দুধ, কলা এবং পিনাট বাটার মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে, যা
শরীরের জন্য সহজপাচ্য এবং শক্তির উৎস। দুপুরের খাবারে ভাত বা পোলাওয়ের সঙ্গে মাছ
বা মুরগির মাংস রাখতে হবে, কারণ এগুলো প্রোটিনের ভালো উৎস।
সঙ্গে ডাল, শাকসবজি এবং তাজা সালাদ ওখানেই রাখতে হবে যাতে ভিটামিন ও মিনারেল শরীর
পায়। খাবারে ভারসাম্য বজায় রাখা দরকার যাতে শরীর সব ধরনের পুষ্টি পেতে পারে।
বিকেলের নাস্তার সময় দই ও মধু মিশিয়ে খাওয়া হলে তা হজমে সাহায্য করে এবং
শরীরকে সতেজ রাখে।
মৌসুমি ফলও অবশ্যই তালিকায় রাখতে হবে কারণ এগুলোতে রয়েছে ফাইবার ও প্রাকৃতিক
শর্করা যা শরীরের ক্ষুধা বাড়ায়। রাতে ওজন বাড়ানোর ডায়েট চার্ট অনুসারে ভাত বা
রুটির সঙ্গে মাছ বা মাংস, ডাল এবং সবজি খেতে হবে।
রাতে খাবার হালকা হলেও পুষ্টিকর হওয়া উচিত যাতে শরীর ঘুমের সময় পেশী মেরামত
করতে পারে। ঘুমানোর আগে এক গ্লাস দুধ ও কয়েকটি খেজুর খেলে শরীরের ওজন বাড়ানোর
প্রক্রিয়া আরো ত্বরান্বিত হয়। প্রতিদিন এই ধরণের ডায়েট মেনে চললে শরীর দ্রুত
ওজন বাড়ায়।
বিশেষ করে পেশী গঠন ভাল হয় এবং চেহারা সতেজ দেখায়। এই ডায়েট চার্ট শুধু ওজন
বাড়ানোর জন্য নয়, স্বাস্থ্যবান থাকার জন্যও খুবই উপযোগী। শরীরের ওজন বাড়াতে
চাইলে এই ধরণের সুষম ও পুষ্টিকর খাদ্য তালিকা মেনে চলা সবচেয়ে নিরাপদ এবং
ফলপ্রসূ উপায়।
এতে শরীরের সব ধরনের পুষ্টির ঘাটতি পূরণ হয়, পেশী গঠন হয়, এবং অতিরিক্ত চর্বি
জমার সম্ভাবনা কমে। তাই ৭ দিনে ওজন বাড়ানোর ডায়েট চার্টের মাধ্যমে সঠিক পথে
এগিয়ে গেলে শরীরের ওজন বৃদ্ধি স্বাভাবিক ও স্বাস্থ্যকরভাবে ঘটে।দ্রুত শরীরের ওজন
বাড়ানোর উপায়।।
ওজন বাড়ানোর জন্য কখন ব্যায়াম করা উচিত - কখন ব্যায়াম করলে ওজন বাড়ে
আমাদের শরীরের ওজন বাড়ানোর ক্ষেত্রে শুধুমাত্র খাওয়ার উপর নির্ভর করলেই হবে না
কারণ বেশি গঠন এবং শরীরের সঠিক গঠন বজায় রাখতে হলে নিয়মিত ব্যায়াম করা অত্যন্ত
একটি জরুরী বিষয়। বিশেষ করে জানতে হবে ওজন বাড়ানোর জন্য কখন আমাদের ব্যায়াম
করা উচিত হবে।
কখন ব্যায়াম করলে ওজন বাড়বে। অনেকেই হয়তো ভাববেন যে খালি পেটে ব্যায়াম করলে
বেশি ওজন বাড়বে বা ওজন কমবে, কিন্তু এই ধারণা একদমই ভুল। বেশি বাড়ানোর জন্য
খাবারের সাথে ব্যায়ামের সঠিক সময় এবং পদ্ধতি মেনে চলা অত্যন্ত জরুরী।
সাধারণত, খাবারের প্রায় এক থেকে দুই ঘণ্টা পর ব্যায়াম শুরু করাই উত্তম, কারণ
তখন শরীরে পর্যাপ্ত এনার্জি থাকে যা ব্যায়ামে কাজে লাগে। খাবারের পর যদি খুব
দ্রুত ব্যায়াম করা হয়, তবে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং শরীর ক্লান্ত হয়ে
পড়ে।
একইভাবে, খালি পেটে ব্যায়াম করলে শরীর শক্তি খুঁজে পায় না, যার ফলে পেশী বৃদ্ধি
বাধাগ্রস্ত হয়। তাই ওজন বাড়াতে হলে একটি সঠিক সময়সূচি তৈরি করা উচিত যেখানে
খাবারের পর বিশ্রাম নিয়ে তারপর ব্যায়াম করা হবে। ওজন বাড়ানোর জন্য যেসব
ব্যায়াম সবচেয়ে উপযোগী।
তা হলো শক্তি ওজন তোলা বা ওজন-ভিত্তিক ব্যায়াম, যেমন স্কোয়াট, পুশ-আপ, ডাম্বেল
লিফট, বেঞ্চ প্রেস ইত্যাদি। এই ধরনের ব্যায়াম শরীরের পেশী গঠনকে উৎসাহ দেয় এবং
অতিরিক্ত ক্যালোরিকে পেশীতে রূপান্তরিত করে, যা স্বাস্থ্যকরভাবে ওজন বাড়াতে
সাহায্য করে।
সপ্তাহে কমপক্ষে তিন থেকে চার দিন এই ব্যায়ামগুলো করলে শরীরের গঠন দৃঢ় হয় এবং
ওজন বৃদ্ধি হয়। তবে ব্যায়াম শেষে পর্যাপ্ত প্রোটিন গ্রহণ করাও অপরিহার্য। কারণ
ব্যায়ামের মাধ্যমে পেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং প্রোটিন শরীরকে তা মেরামত করতে
সাহায্য করে।
খাবারের মাধ্যমে প্রোটিনের সঠিক সরবরাহ না থাকলে পেশী বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হয়, যার
কারণে ওজন বৃদ্ধি কম হয়। এছাড়া পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও ঘুম ব্যায়ামের সুফল পেতে
প্রয়োজনীয়। ঘুমের সময় শরীর নতুন কোষ তৈরি করে, যা পেশী বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ। দ্রুত শরীরের ওজন বাড়ানোর উপায়।।
শরীরের ওজন বাড়াতে চাইলে স্ট্রেচিং এবং কার্ডিও ব্যায়াম কমিয়ে বেশি করে ওজন
তোলা ব্যায়াম করতে হবে। অনেকেই কার্ডিও বেশি করলে ওজন কমে যায় এমন ধারণা পোষণ
করেন, যা সঠিক নয়; তবে অতিরিক্ত কার্ডিও ওজন বাড়ানোকে বাধাগ্রস্ত করতে
পারে।
তাই ব্যায়াম পরিকল্পনায় ভারোত্তোলন এবং পেশী গঠন মূল ব্যায়াম রাখা উচিত। ওজন
বাড়ানোর জন্য কখন ব্যায়াম করা উচিত - কখন ব্যায়াম করলে ওজন বাড়ে এটি হলো,
খাবারের পর ১-২ ঘণ্টা বিশ্রাম নিয়ে শক্তি-ভিত্তিক ব্যায়াম করলে।
শরীরের পেশী গঠন বেশি হবে এবং স্বাস্থ্যকরভাবে ওজন বাড়ানো সম্ভব হবে। এই নিয়ম
মেনে চললে শরীর সুস্থ ও পরিপূর্ণ হবে, আর শরীরের ওজন স্বাভাবিক মাত্রায় পৌঁছাবে।
১৫ দিনে মোটা হওয়ার উপায় ও গুরুত্বপূর্ণ টিপস জেনে নিন
আমরা এর আগের অংশে জানলাম যে কিভাবে আমরা সাত দিনে শরীরের ওজন বাড়াবো এবং মোটা
হব। তো এখন আমরা জানবো যে কিভাবে আমরা ১৫ দিনে মোটা হব এবং এটা নিয়ে আজকে আমাদের
আর্টিকেলের মধ্য বিষয় আলোচনা করেছি।
মাত্র দুই সপ্তাহে ওজন বৃদ্ধি। অনেকটা আপনার জন্য চ্যালেঞ্জিং হলেও এটি অসম্ভব
কিছু নয়। 15 দিনে মোটা হওয়ার উপায় গুরুত্বপূর্ণ টিপস নিয়ে আজকে আমরা আলোচনা
করেছি এর মূল মন্ত্র হলো পর্যাপ্ত ক্যালরি সঠিক ব্যায়াম এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম
এবং ঘুম।
প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০০–৫০০ ক্যালোরি বেশি খান। প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট,
স্বাস্থ্যকর ফ্যাট সমানভাবে রাখুন। দিনে ৬ বেলা খাবার খান। সপ্তাহে ৪ দিন হালকা
ওজন তোলা ব্যায়াম করুন। পানীয় হিসেবে জুস, স্মুদি, দুধ, লাসি বেছে নিন। চিপস,
কোলা বাদ দিয়ে স্বাস্থ্যকর খাবার খান।
বিশেষ করে যদি আপনি চান কম সময়ের মধ্যে, যেমন মাত্র ১৫ দিনে মোটা হওয়ার উপায় ও
গুরুত্বপূর্ণ টিপস জেনে নিন, তাহলে আপনাকে কিছু মৌলিক নিয়ম মেনে চলতে হবে যা
শরীরকে দ্রুত এবং স্বাস্থ্যকরভাবে ওজন বাড়াতে সাহায্য করবে। দ্রুত শরীরের ওজন
বাড়ানোর উপায়।
১৫ দিনের মধ্যে মোটা হওয়ার কথা ভাবলে প্রথমেই বুঝতে হবে, এটি হবে সম্পূর্ণ
স্বাস্থ্যকর প্রক্রিয়া, যার মধ্যে থাকবে সুষম খাদ্য, নিয়মিত ব্যায়াম, এবং
যথেষ্ট বিশ্রাম। প্রথমত, আপনার খাবারের পরিমাণ বাড়ানো দরকার।
শরীরের দৈনিক ক্যালোরি চাহিদা জানার পর এর থেকে অন্তত ৩০০ থেকে ৫০০ ক্যালোরি বেশি
গ্রহণ করতে হবে। এর জন্য সাধারণ খাবারের সঙ্গে স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস যুক্ত করুন
যেমন বাদাম, পিনাট বাটার, দুধ বা স্মুদি। এ ধরনের খাবার শরীরে দ্রুত ক্যালোরি
বাড়ায় এবং পেশী গঠনেও সাহায্য করে।
তবে শুধু বেশি খাওয়া নয়, খাবারের গুণগত মান ও পুষ্টিগুণও খেয়াল রাখতে হবে।
প্রোটিনের ঘাটতি থাকলে পেশী বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হয়, তাই ডিম, মুরগি, মাছ, ডাল,
পনির ইত্যাদি প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার নিয়মিত খাবেন। দ্বিতীয়ত, ব্যায়াম ১৫ দিনে
মোটা হওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
শুধু খেয়ে বসে থাকলেই শরীরে মোটা ভাব আসবে না, বরং শক্তি ভিত্তিক ওজন তোলা
ব্যায়াম করলে শরীরের পেশী বৃদ্ধি পায় যা ওজন বাড়াতে সহায়ক। সপ্তাহে অন্তত তিন
থেকে চার দিন এমন ব্যায়াম করলে শরীরের গঠন বদলাবে এবং মোটা হওয়ার লক্ষণ দেখা
দেবে।
কার্ডিও ব্যায়াম এ পর্যায়ে কম খেলা উচিত কারণ অতিরিক্ত কার্ডিও ক্যালোরি
পোড়াতে সাহায্য করে যা ওজন বৃদ্ধির বিপরীতে কাজ করে। তৃতীয়ত, ঘুম এবং বিশ্রাম
১৫ দিনে মোটা হওয়ার উপায়ের অন্যতম অংশ। প্রতিদিন অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ভালো ঘুম
শরীরকে পুনরুজ্জীবিত করে।
এবং পেশী গঠনে সাহায্য করে। ঘুমের অভাবে শরীরের হরমোন ব্যালান্স বিঘ্নিত হয় যা
ওজন বাড়ানোর প্রক্রিয়া ধীর করে দেয়। তাই ঘুমের প্রতি যত্ন নেয়া জরুরি।
চতুর্থত, জলপান নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। পর্যাপ্ত পানি পান শরীরের মেটাবলিজম ঠিক
রাখে, দ্রুত শরীরের ওজন বাড়ানোর উপায়।
কিন্তু অতিরিক্ত পানি খাওয়া খিদের অনুভূতি কমিয়ে দিতে পারে, তাই খাবারের আগে ও
পরে জলপান সীমিত পরিমাণে রাখা উচিত। ৫ দিনে মোটা হওয়ার উপায় ও গুরুত্বপূর্ণ
টিপস জেনে নিলে বুঝতে পারবেন যে এটি কোনো অলৌকিক কাজ নয়।
এটি হলো সঠিক খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম এবং পর্যাপ্ত বিশ্রামের সংমিশ্রণ। এই
তিনটি বিষয়ের প্রতি নিয়মিত মনোযোগ দিলে আপনি স্বল্প সময়ে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে
মোটা হতে পারবেন। আর এই পদ্ধতি অনুসরণ করেই শরীরের ওজন বৃদ্ধি হবে, শুধু ফ্যাট
নয়, বরং স্বাস্থ্যকর পেশী গঠনও নিশ্চিত হবে।
১৫ দিনে মোটা হওয়ার ডায়েট চার্ট
আমরা জানলাম যে কিভাবে 15 দিনে আমরা শরীরের ওজন বৃদ্ধি করবো এবং আমরা এখন প্রপার
ভাবে জানব যে কিভাবে আমরা ১৫ দিনে মোটা হওয়ার একটি ডায়েট চার্ট তৈরি করব এবং
কিভাবে এই চার্ট দেখে আমরা নিয়মিত আমাদের শরীরের ওজন বাড়াবো।
নিয়মিত বলতে ১৫ দিনে। ১৫ দিনে মোটা হওয়ার জন্য সঠিক ডায়েট চার্ট অনুসরণ করলে
এবং আপনার খাদ্যের গুণগতমান এবং সময়মতো খাবার খাওয়া শরীর ওজন বাড়াতে সহায়তা
করবে। এই সময়ে আপনাকে এমন খাবার গ্রহণ করতে হবে।
যা উচ্চ ক্যালোরি এবং পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ, যাতে শরীর প্রয়োজনীয় শক্তি পায় এবং
পেশী গঠন ভালো হয়। দিনের শুরুতেই একটি গ্লাস ফুল ক্রিম দুধ খাওয়া উচিত, কারণ
এতে রয়েছে প্রচুর প্রোটিন এবং ক্যালসিয়াম যা পেশী বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
দুধের সঙ্গে ওটস বা মুগডাল মিশিয়ে খেলে শরীরের জন্য অতিরিক্ত শক্তি পাওয়া যায়।
দুপুরের খাবারে ভাত বা পোলাওয়ের সঙ্গে মাছ বা মুরগির মাংস রাখা উচিত, কারণ এগুলো
প্রোটিনের ভালো উৎস। সঙ্গে ডাল, সবজি ও সালাদ থাকলে ভিটামিন এবং ফাইবারের যোগান
হয়,
যা শরীরকে সুস্থ রাখে। বিকেলের নাস্তার সময় বাদাম, পিনাট বাটারসহ ব্রেড বা
স্মুদি খাওয়া যেতে পারে, যা দ্রুত শক্তি দেয় এবং শরীরের ক্ষুধা বাড়ায়। রাতে
ওজন বাড়ানোর জন্য ভাত বা রুটির সঙ্গে মাছ, মাংস এবং ডালের মতো প্রোটিন সমৃদ্ধ
খাবার খেতে হবে।
ঘুমানোর আগে এক গ্লাস দুধ ও কয়েকটি খেজুর খেলে শরীরের ওজন বাড়ানোর প্রক্রিয়া
আরো ত্বরান্বিত হয়। এই ডায়েট চার্টে ক্যালোরির সঠিক যোগান থাকায় শরীরের ওজন
বাড়ে দ্রুত এবং স্বাস্থ্যকরভাবে। ১৫ দিনে মোটা হওয়ার ডায়েট চার্টের মাধ্যমে
শরীরকে পর্যাপ্ত পুষ্টি দেয়া সম্ভব হয়।দ্রুত শরীরের ওজন বাড়ানোর উপায়।
যা পেশী গঠন এবং শক্তি বৃদ্ধি করে। পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়ামের সঙ্গে এই ডায়েট
মেনে চললে শরীরের গঠন সুন্দর হয় এবং মোটা হওয়ার লক্ষণ স্পষ্ট হয়। তাই
স্বাস্থ্যসম্মত ওজন বৃদ্ধির জন্য এই ডায়েট চার্ট অনুসরণ করাই শ্রেয়।
শরীরের ওজন বাড়াতে কি খাওয়া উচিত
শরীরের ওজন বাড়াতে হলে প্রথমেই বুঝতে হবে, এটি একটি সুস্থ ও পরিকল্পিত
প্রক্রিয়া যা শুধুমাত্র বেশি খাওয়ার মাধ্যমে অর্জন হয় না। শরীরের ওজন বাড়ানোর
জন্য কী খাওয়া উচিত তা জেনে নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ সঠিক খাবার পেশী গঠন
ও শরীরের বৃদ্ধি নিশ্চিত করে।
এমন খাবার বেছে নিতে হবে যা উচ্চ ক্যালোরি এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর। প্রথমেই দুধ ও
দুগ্ধজাত খাবার ওজন বাড়ানোর জন্য অপরিহার্য। দুধে থাকে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম এবং
ভিটামিন যা পেশী গঠনে সাহায্য করে এবং শরীরের ওজন বাড়ায়। এছাড়া দই, পনিরও
শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
দ্বিতীয়ত, প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন ডিম, মুরগির মাংস, মাছ, ডাল ও সয়াবিন
শরীরের পেশী গঠন এবং শক্তি বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই ধরনের
খাবার নিয়মিত খেলে শরীরের ওজন দ্রুত বাড়ে এবং পেশী গঠনও ভালো হয়। তৃতীয়ত,
কার্বোহাইড্রেটও ওজন বৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য।
ভাত, রুটি, আলু, মিষ্টি আলু ও ওটসের মতো খাবার শরীরকে শক্তি জোগায় এবং অতিরিক্ত
ক্যালোরি সরবরাহ করে, যা ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের উৎসও
শরীরের ওজন বাড়াতে সহায়ক। অলিভ অয়েল, কাঠবাদাম, আখরোট, পিনাট বাটার ও
অ্যাভোকাডো থেকে পাওয়া ফ্যাট শরীরকে অতিরিক্ত শক্তি দেয় এবং পেশী বৃদ্ধিতে
সাহায্য করে।
তবে এসব ফ্যাট গ্রহণের ক্ষেত্রে পরিমাণ অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে যাতে শরীর
অতিরিক্ত চর্বি না জমায়। শরীরের ওজন বাড়ানোর জন্য আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক
হলো নিয়মিত খাবার খাওয়া। দিনে অন্তত ৫–৬ বার ছোট ছোট মিল খেলে শরীর সারাদিন
পর্যাপ্ত পুষ্টি পায় এবং ওজন বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হয়।
এছাড়া পর্যাপ্ত পানি পান এবং ঘুমের ওপরও খেয়াল রাখা জরুরি, কারণ পানি শরীরের
পুষ্টি শোষণে সাহায্য করে এবং ঘুম পেশী বৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য। শরীরের ওজন
বাড়াতে কী খাওয়া উচিত এর উত্তরে বলা যায়, উচ্চ ক্যালোরি ও পুষ্টিকর দুধ,
প্রোটিনসমৃদ্ধ মাংস, ডাল, শস্য, স্বাস্থ্যকর ফ্যাটযুক্ত বাদাম, এবং শক্তি সম্পন্ন
কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ করাই সবচেয়ে কার্যকর উপায়। এই খাবারগুলো নিয়মিত খেলে
স্বাস্থ্যকর ওজন বৃদ্ধি নিশ্চিত করা সম্ভব।দ্রুত শরীরের ওজন বাড়ানোর উপায়।
শরীরের ওজন বাড়ানোর জন্য যেগুলো ভিটামিন খাওয়া প্রয়োজন
আমাদের শরীরের ওজন বাড়ানোর জন্য শুধু ভিটামিন খেলেই হবে না আমরা অনেকেই ভাবি যে
আসলে কোন ওষুধের ফাইল অথবা ভিটামিন জাতীয় কোন ওষুধ খেলে আমাদের শরীরের ওজন
বাড়ানো সম্ভব। হ্যাঁ সম্ভব সম্ভব তবে আপনাকে আমাদের উপরে দেখানোর নিয়ম অনুযায়ী
ডায়েট এবং চাট খাদ্যাভ্যাস এগুলো সব কিছু পরিবর্তন করতে হবে।
আপনাকে সঠিকভাবে পরিবর্তন এনে সঠিকভাবে খাদ্য গ্রহণ করতে হবে এবং ডায়েট চাট মেনে
চলতে হবে। এবং আপনি যদি চান যে আপনার ওজন বাড়ানোর জন্য আপনি ভিটামিন খেতে চান
তাহলেও হবে তো চলুন আমরা বিস্তারিত পড়ে জেনে নেই।
শরীরের ওজন বাড়ানোর জন্য যেগুলো ভিটামিন খাওয়া প্রয়োজন তা জানা খুবই
গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমেই কথা বলতে হয় ভিটামিন ডি-এর। এই ভিটামিন শরীরের
ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য করে এবং হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখে, যা ওজন বাড়ানোর
সময় অত্যন্ত প্রয়োজন।
ভিটামিন ডি ঘাম, মাছ, ডিমের কুসুম, এবং সূর্যালোকে বেরিয়ে আসার মাধ্যমে পাওয়া
যায়। অনেক সময় ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি থাকলে শরীরের ওজন বাড়ানো কঠিন হয়। পরবর্তী
গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন হলো ভিটামিন বি কমপ্লেক্স।
ভিটামিন বি৬, বি১২, নাইয়াসিন এবং ফোলেট শরীরের মেটাবলিজম বাড়ায় এবং খাদ্য থেকে
শক্তি উৎপাদনে সহায়তা করে। এগুলো মাংস, ডিম, দুধ, সবুজ শাক-সবজি এবং বাদামে
পাওয়া যায়। ভিটামিন বি শরীরের কোষগুলোর পুনর্গঠন এবং পেশী বৃদ্ধিতে সহায়ক, তাই
ওজন বাড়াতে চাইলে এই ভিটামিনগুলোর যথাযথ গ্রহণ জরুরি।
ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং শরীরের টিস্যুগুলোকে সুস্থ
রাখতে সাহায্য করে। এটি শর্করা, ভিটামিন এবং লোহা শোষণে সাহায্য করে যা শরীরের
ওজন বাড়ানোর জন্য অপরিহার্য। ভিটামিন সি পেয়ারা, কমলা, লেবু, স্ট্রবেরি এবং
সবুজ শাক-সবজিতে পাওয়া যায়।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যের কারণে ভিটামিন ই পেশী ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং
শরীরের সেল গুলোকে পুনরুজ্জীবিত করে। এটি বাদাম, সূর্যমুখী বীজ এবং শাকসবজিতে
প্রচুর থাকে। এই ভিটামিন শরীরের দ্রুত সুস্থতা ও পেশী বৃদ্ধিতে সাহায্য
করে।
আরো পড়ুন: daily watch video and earn money without investment
শরীরের ওজন বাড়ানোর জন্য জিঙ্ক, ম্যাগনেশিয়াম, এবং আয়রন-এর মতো খনিজ উপাদানও
গুরুত্বপূর্ণ। তবে এগুলো পুষ্টি সম্পূরক হিসেবে ভিটামিনের সঙ্গে নিয়মিত গ্রহণ
করলে ফল পাওয়া যায়। শরীরের ওজন বাড়ানোর জন্য যেগুলো ভিটামিন খাওয়া
প্রয়োজন।
সেগুলো হলো ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই এবং
প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদান। এই ভিটামিনগুলো সঠিক মাত্রায় গ্রহণ করলে শরীরের পেশী
গঠন ভালো হয়, মেটাবলিজম ঠিক থাকে এবং স্বাস্থ্যকরভাবে ওজন বাড়ানো সম্ভব
হয়।দ্রুত শরীরের ওজন বাড়ানোর উপায়।
People also ask
প্রাকৃতিকভাবে
শরীরের
ওজন
বাড়ানোর
কিছু
উপায়
কী
কী?
নিয়মিত
খাবার, প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর
ফ্যাট, ব্যায়াম
ও
ঘুম।
দ্রুত
ওজন
বাড়ে
কি
খেলে?
দুধ, ডিম, বাদাম, মাছ, পনির, ভাত, আলু।
ভিটামিন
খেলে
কি
মোটা
হয়?
হ্যাঁ, কিছু
ভিটামিন
পেশী
বৃদ্ধি
ও
ক্ষুধা
বাড়ায়।
কিভাবে দ্রুত শরীরের ওজন বাড়াবেন সঠিক উপাই জেনে নিন সম্পর্কে শেষ কথা
আপনার শরীরের ওজন বাড়ানোর জন্য আপনাকে এগুলো প্রক্রিয়া ধীরে ধীরে আপনার
শরীরে কাজ করবে তো আপনি সঠিকভাবে ডায়েট ব্যায়াম এবং হোম তারপর ভিটামিন
গ্রহণ করলে ইনশাল্লাহ কয়েক সপ্তাহের মধ্যে শরীরের দৃশ্যমান পরিবর্তন
আসবে।
আশা করছি আপনারা এই আর্টিকেলটি পড়ে পুরোপুরি কনসেপটি ক্লিয়ার করতে
পেরেছেন। যদি আপনাদের কোথাও বুঝতে সমস্যা হয়ে থাকে অবশ্যই আমাদের
কমেন্ট সেকশনে কমেন্ট করে জানাবেন।
এবং আমাদের কন্টাক্ট পেজে গিয়ে আপনারা আমাদের সঙ্গে ডিরেক্ট হোয়াটসঅ্যাপে
যোগাযোগ করতে পারবেন যেকোন ইনফরমেশন জানতে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন
ইনশাল্লাহ আপনাদের পাশে আছি।
লেখকের মন্তব্য
আশা করি, আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনারা কিভাবে দ্রুত শরীরের ওজন বাড়াবেন
সঠিক উপাই জেনে নিন। সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পেয়েছেন। যদি এই বিষয়ে আপনাদের
কোনো প্রশ্ন থাকে বা মূল্যবান মতামত জানাতে চান, তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে
জানাবেন। আর আর্টিকেলটি শেয়ার করে আপনার আত্মীয়স্বজন ও প্রিয়জনদেরও কিভাবে
দ্রুত শরীরের ওজন বাড়াবেন সঠিক সম্পর্কে। জানার সুযোগ করে দিন। ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url