অনলাইন ফটো এডিটিং ওয়েবসাইট এ ফটো ইডিট করার গাইডলাইন
মোবাইল দিয়ে প্রফেশনাল ফটো এডিট করার নিয়মআমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে যারা অনলাইনে ফটো এডিটিং করতে চান এবং ফ্রিতে ফটো
এডিটিং এর ওয়েবসাইট খুজেন। অনলাইনে ফটো এডিটিং এর কোন সফটওয়্যার ইন্সটল
করার ঝামেলা নেই।আজকে আর্টিকেলে আমরা ফ্রিতে প্রফেশনাল অনলাইন ফটো এডিটিং
ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানব এবং প্রকার একটি গাইডলাইন শেয়ার করেছি আজকে আর্টিকেলে।
সূচিপত্র: অনলাইন ফটো এডিটিং ওয়েবসাইট এ ফটো ইডিট করার
অনলাইন ফটো এডিটিং ওয়েবসাইট এ ফটো ইডিট করার গাইডলাইন
এই বর্তমান সময়ে ২০২৫ সালে এসে আপনি যদি মনে করেন যে ফটো এডিটিং শিখার দরকার নাই
তাহলে আপনি ভুল ভাবছেন। কারণ বর্তমান সময়ে ছবি এডিটিং করা এবং ছবি রিডিং
করার পর ছবি সুন্দর করা আমাদের প্রতিদিনের একটি ডেইলি রুটিন হয়ে গিয়েছে।
আমরা যারা সোশ্যাল মিডিয়াতে ছবি আপলোড করি তারা প্রতিনিয়ত প্রিমিয়াম ভাবে ফটো
এডিট করি।যার জন্য দরকার হয় বিভিন্ন অ্যাপস বা সফটওয়্যার যেগুলো অ্যাপস বা
সফটওয়্যার দিয়ে আমরা ফটো এডিটিং করে থাকি। বিভিন্ন প্রফেশনাল কাজে ছবি এডিটিং
এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অনলাইনে ফটো এডিটিং ওয়েবসাইটে ফটো এডিট করার গাইডলাইন আপনি জানলে যে কেউ সহজে
নিজের ছবি বা কাজকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলতে পারবেন। আমাদের মধ্যে অনেকে
আছেন যারা ভাবেন ছবি এডিট করা খুব জটিল কাজ।
কিন্তু আসলে এখন আর সফটওয়্যার ইন্সটল করার ঝামেলা নেই এবং কোন দরকার
নেই। অনলাইনে অসংখ্য ফ্রী এবং প্রিমিয়াম অনলাইন টুলস হয়েছে
যেগুলোর মাধ্যমে ছবি এডিট করা যায় খুব সহজেই। অনলাইনে ফটো এডিটিং
ওয়েবসাইটে ফটো এডিট করার গাইডলাইন নতুনদের জন্য একটি সহজ উপায় এবং প্রোপার গাইড
লাইন।
এই গাইড লাইনে আপনি মূলত অনলাইন ফটো এডিটিং ওয়েবসাইটে ফটো এডিটিং করার উপায়
সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং আপনারা যাতে কোন হ্যাচেল ছাড়াই কোন প্রফেশনাল
সফটওয়্যার এর কাজ না শিখেই কয়েক মিনিটেই দারুন ছবি এডিট করতে পারবেন।
এইসব ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ধরনের ফিচার থাকে যেমন ব্রাইটনেস কালার ঠিক
করা, ফিল্টার ব্যবহার করা এবং ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ করা আরও থাকছে টেক্সট এড
করা এমনকি পাসপোর্ট সাইজের ছবিও তৈরি করা লাগে। এখানে সবচেয়ে বড় সুবিধা
হচ্ছে আপনি মোবাইল বা কম্পিউটার যেকোন জায়গা থেকে ইন্টারনেট কানেকশন থাকলেই
অনলাইনে ছবি এডিট করতে পারবেন।
যার ফলে আপনার মোবাইল বা কম্পিউটারে ভারী কোন সফটওয়্যার ইন্সটল করার প্রয়োজন
পড়ছে না। আর ডিভাইসের স্টোরেজ ও নষ্ট হবে না। তাই অনলাইনে
ফটো এডিটিং ওয়েবসাইটে ফটো এডিট করার গাইডলাইন আপনার জন্য অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ।
বিশেষ করে যারা নতুন শুরু করেছেন তাদের জন্য এটা আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তো আজকের
আর্টিকেলে আমরা এমন কিছু জানবো যেটি হচ্ছে অনলাইনে ফটো এডিটিং করতে পারব আমরা এবং
ফটো এডিটিং করার গাইডলাইন নিয়ে আর থাকতে আজকের আর্টিকেলে মূল আলোচনা।
অনলাইনে ফ্রি তে ফটো এডিট করার ওয়েবসাইট
ছবি এবং ফটো শুধু ব্যক্তিগত মেমোরিজ করে রেখে দিলেই হবে না এবং ব্যক্তিগত কোন
স্মৃতির জন্য নয়। বর্তমানে ছবি ব্যবসা শিক্ষা সোশ্যাল মিডিয়া সব ক্ষেত্রেই
সমান গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তবে সব সময় ছবি যেমন তোলা হয় তেমনটা রাখলে
তা হয়তো তেমন আকর্ষণীয় বা এট্রাক্টিভ দেখায় না।
ছবি সুন্দর করার জন্য প্রয়োজন প্রফেশনাল একটি এডিট। অনেকেই
ভাবেন ছবি এডিটিং করতে টাকা খরচ করতে হয় যেমন সফটওয়্যার কিনতে হবে
অথবা প্রফেশনাল ডিজাইনারের কাছ থেকে এডিটিং করে নিতে হবে এরকম অনেক কিছু ভেবে
থাকেন তারা।
কিন্তু বাস্তবে এখন এই ২০২৫ সালে এসে বিষয়টা আরো রকম নেই। প্রযুক্তির
কল্যাণে যে কেউ চাইলে অনলাইনে ফ্রি তে ফটো এডিটিং করতে পারবেন।এবং যেগুলো ফটো
এডিটিং ওয়েবসাইট রয়েছে সেগুলোতে আপনি ফটো এডিট করতে কোন টাকা পয়সা খরচ হবে
না।
ফ্রিতে আপনি এডিটিং করতে পারবেন। এই ওয়েবসাইটগুলো সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো
এগুলো সম্পূর্ণ ফ্রি। মানে কোনো টাকা খরচ ছাড়াই আপনি ছবি কাটাছেঁড়া থেকে শুরু করে
রঙ ঠিক করা, ফিল্টার দেওয়া, ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ, এমনকি প্রফেশনাল ডিজাইনও করতে
পারবেন। উদাহরণস্বরূপ Canva, Pixlr, Fotor, Photopea, iPiccy এগুলোই
সবচেয়ে জনপ্রিয়।
Canva
ডিজাইনিংয়ের জন্য Canva এখন সবচেয়ে জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম। শুধু ছবি এডিট নয়, বরং
পোস্টার, লোগো, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট, প্রেজেন্টেশন সবকিছু বানানো যায়। এর ফ্রি
ভার্সনেই অনেক দরকারি ফিচার আছে, যা দিয়ে একজন সাধারণ ইউজার সহজেই ছবি সুন্দর করে
তুলতে পারবেন।
canva ফ্রিতে আপনি অনেক ডিজাইন করতে পারবেন এবং খুবই কম বাজেটে আপনি কিন্তু
canva প্রিমিয়ামও কিনতে পারবেন। সামান্য ৫০ টাকা দিয়ে আপনি can বা
প্রিমিয়াম প্যাকেজটি ক্রয় করে এক বছরের জন্য সাবস্ক্রিপশন প্যাক নিতে
পারবেন।
আপনার যদি canva প্রিমিয়াম এর প্রয়োজন পড়ে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট
করবেন অথবা কন্টাক্ট সেকশনে গিয়ে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ এ মেসেজ
করবেন আমরাও আপনাকে canva প্রিমিয়াম প্যাকেজটি ক্রয় করে দিব।
Pixlr
এটি অনেকটা ফটোশপের মতো কাজ করে, তবে ফ্রি এবং সরাসরি ব্রাউজার থেকে ব্যবহার করা
যায়। Pixlr দিয়ে লেয়ার, ফিল্টার, ক্রপ, ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভসহ প্রফেশনাল কাজ করা
যায়।
Photopea
অনেকেরই প্রফেশনাল PSD ফাইল এডিট করার দরকার হয়। Photopea হলো সেই সমাধান। এটি
একদম ফটোশপের মতো ইন্টারফেসে কাজ করে, এবং সেটাও সম্পূর্ণ ফ্রি।
Fotor
ফটো এডিটিং, কোলাজ তৈরি, ফিল্টার, HDR ইফেক্টসহ নানা অপশন পাওয়া যায়। যারা দ্রুত
ছবিকে উন্নত করতে চান, তাদের জন্য এটি অসাধারণ।
iPiccy
এটি বিশেষভাবে জনপ্রিয় কারণ নতুনরা খুব সহজেই এর ফিচার ব্যবহার করতে পারে।
ব্যাকগ্রাউন্ড এডিট থেকে শুরু করে ফেস রিটাচিং পর্যন্ত কাজ করা যায়।
এখন প্রশ্ন আসতে পারে এসব অনলাইনে ফ্রি তে ফটো এডিট করার ওয়েবসাইট কাদের জন্য
সবচেয়ে বেশি উপকারী?
- শিক্ষার্থীরা যারা প্রজেক্টের জন্য ছবি এডিট করতে চান।
- ব্যবসায়ী বা ছোট উদ্যোক্তারা যারা প্রোডাক্ট ছবি সুন্দর করে অনলাইনে দিতে চান।
- সাধারণ ব্যবহারকারীরা যারা নিজের সেলফি বা ব্যক্তিগত ছবি আকর্ষণীয় করতে চান।
- ফ্রিল্যান্সাররা যারা নতুন শুরু করেছেন এবং পেইড সফটওয়্যার কেনার মতো বাজেট নেই।
সবচেয়ে ভালো বিষয় হলো, এগুলো ব্যবহার করার জন্য কোনো ডিভাইসে সফটওয়্যার ইনস্টল
করতে হয় না। শুধু ইন্টারনেট ব্রাউজার থাকলেই কাজ শেষ। ফলে আপনার ডিভাইসের স্টোরেজ
বাঁচে এবং যেকোনো জায়গা থেকে সহজে কাজ করা যায়।
তবে মনে রাখতে হবে, ফ্রি টুলসগুলো অনেক সুবিধা দিলেও কিছু সীমাবদ্ধতাও থাকে। যেমন
ওয়াটারমার্ক থাকতে পারে বা প্রিমিয়াম টেমপ্লেট ব্যবহার করতে গেলে পেমেন্ট লাগতে
পারে। তবে একজন সাধারণ ব্যবহারকারীর জন্য ফ্রি ফিচারই যথেষ্ট।
অনলাইনে ফ্রি তে ফটো এডিট করার ওয়েবসাইট হলো এমন এক সহজ সমাধান, যেখানে কোনো
টেকনিক্যাল জ্ঞান ছাড়াই অল্প সময়ে ছবিকে আকর্ষণীয় করে তোলা যায়। নতুনরা হোক কিংবা
প্রফেশনাল, সবার জন্য এগুলো ব্যবহার করা সহজ এবং কার্যকরী।
অনলাইনে সেরা ফটো এডিটিং ওয়েবসাইট দিয়ে ছবি সুন্দর করার উপায়
ছবিকে আকর্ষণীয় করার জন্য সঠিক টুল বেছে নেওয়া জরুরি। অনলাইনে সেরা ফটো এডিটিং
ওয়েবসাইট দিয়ে ছবি সুন্দর করার উপায় হলো প্রথমে ছবির ব্রাইটনেস, কনট্রাস্ট,
স্যাচুরেশন ইত্যাদি ঠিক করা। এরপর প্রয়োজন অনুযায়ী ফিল্টার ব্যবহার করে ছবিকে
ঝকঝকে করা যায়।
Fotor এবং BeFunky এমন দুটি টুল যেগুলো ব্যবহার করে যে কেউ খুব সহজেই ছবির মান
উন্নত করতে পারেন। এগুলোতে বিভিন্ন ফটো ইফেক্ট, ফ্রেম, টেক্সচার এবং রিটাচিং টুল
থাকে। অনেক সময় ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড ডার্ক হয় বা রঙের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায় ।
এসব অনলাইন টুল দিয়ে সহজেই ঠিক করা সম্ভব। যারা সেলফি বা প্রোফাইল ছবি সুন্দর
করতে চান তারা সহজেই রিটাচিং ফিচার ব্যবহার করতে পারেন। এখানে স্কিন স্মুথ, দাঁত
সাদা করা, চোখ উজ্জ্বল করার মতো টুলস থাকে। ফলে ছবিকে প্রফেশনাল লুক দেওয়া যায়
কয়েক মিনিটেই।
সবাই ফটোশপ বা জটিল সফটওয়্যার ব্যবহার করতে জানে না। এ জন্যই অনেকে খুঁজে নেন
অনলাইনে সেরা ফটো এডিটিং ওয়েবসাইট দিয়ে ছবি সুন্দর করার উপায়। এই ওয়েবসাইটগুলোর
মাধ্যমে ছবি এডিট করা যেমন সহজ, তেমনি দ্রুত। নিচে ধাপে ধাপে তুলে ধরা হলো কীভাবে
আপনি সহজেই ছবিকে আরও আকর্ষণীয় করতে পারেন
১. ছবির কালার ও লাইট ঠিক করা
সুন্দর ছবি তৈরি করার সবচেয়ে প্রথম ধাপ হলো সঠিক আলো বা লাইটিং। অনেক সময় ছবি
তোলার সময় লাইট যথাযথ হয় না। অনলাইনে সেরা ফটো এডিটিং ওয়েবসাইটগুলোতে এমন টুলস
থাকে যেগুলো দিয়ে ব্রাইটনেস, কনট্রাস্ট, স্যাচুরেশন এবং হোয়াইট ব্যালেন্স ঠিক করে
ছবিকে ন্যাচারাল ও উজ্জ্বল করে তোলা যায়।
২. ফিল্টার ও প্রিসেট ব্যবহার করা
অনলাইনে এডিটিং টুলসের সবচেয়ে জনপ্রিয় অংশ হলো ফিল্টার ও প্রিসেট। কয়েক সেকেন্ডেই
আপনি ছবিকে নতুন রূপ দিতে পারবেন। যেমন “ভিন্টেজ”, “ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট” অথবা
“ওয়ার্ম টোন” এই ধরনের ফিল্টার ব্যবহার করলে ছবি মুহূর্তেই আলাদা মাত্রা পায়। তবে
সবসময় খেয়াল রাখতে হবে যেন অতিরিক্ত ফিল্টার দিয়ে ছবির স্বাভাবিক সৌন্দর্য নষ্ট
না হয়।
৩. দাগ বা অপ্রয়োজনীয় অংশ মুছে ফেলা
একটি ছবিকে সুন্দর করার জন্য প্রয়োজনীয় বিষয়গুলোর একটি হলো ক্লিন এডিট। ছবিতে যদি
দাগ, ডার্ক স্পট, পিম্পল বা অপ্রয়োজনীয় কোনো অবজেক্ট থাকে, তবে অনলাইনে ফটো
এডিটিং ওয়েবসাইট দিয়ে সহজেই তা রিমুভ করা যায়। বিশেষ করে ফটোপিয়া (Photopea) বা
ফোটর (Fotor) এই ক্ষেত্রে দারুণ কার্যকর।
৪. ব্যাকগ্রাউন্ড পরিবর্তন করা
অনেক সময় ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড ছবিকে ভালোভাবে ফুটিয়ে তোলে না। এই ক্ষেত্রে অনলাইন
টুলস ব্যবহার করে ব্যাকগ্রাউন্ড পরিবর্তন করা যায়। চাইলে সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড,
কালারফুল ব্যাকগ্রাউন্ড অথবা নিজস্ব ডিজাইন অ্যাড করতে পারেন। এটি বিশেষ করে
প্রোডাক্ট ফটোগ্রাফির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
৫. টেক্সট ও ডিজাইন যোগ করা
সুন্দর ছবির আরেকটি দিক হলো সৃজনশীলতা। আপনি চাইলে অনলাইনে সেরা ফটো এডিটিং
ওয়েবসাইট ব্যবহার করে ছবিতে টেক্সট, লোগো, স্টিকার বা ফ্রেম যুক্ত করতে পারবেন।
এটি বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট বা বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে ছবিকে আরও আকর্ষণীয়
করে তোলে।
৬. ছবিকে সঠিক মাপ ও ফরম্যাটে সংরক্ষণ
ছবি সুন্দর করার পর সেটি কোথায় ব্যবহার করবেন, সেটিও গুরুত্বপূর্ণ। যেমন
ওয়েবসাইটে ব্যবহার করতে চাইলে লাইট ওয়েট JPEG দরকার হতে পারে, আবার প্রিন্ট করার
জন্য PNG বা হাই রেজোলিউশন ফাইল প্রয়োজন। অনলাইনে এসব ওয়েবসাইটে ফাইল এক্সপোর্ট
করার সুবিধা থাকে।
অনলাইনে ফটো এডিটিং ওয়েবসাইট দিয়ে পাসপোর্ট সাইজ ছবি তৈরি
অনেক সময় সরকারি কাজ বা চাকরির জন্য পাসপোর্ট সাইজ ছবি দরকার হয়। ফটো স্টুডিওতে
না গিয়েও এখন অনলাইনে ফটো এডিটিং ওয়েবসাইট দিয়ে পাসপোর্ট সাইজ ছবি তৈরি করা
সম্ভব।আগে এসব ছবি তৈরি করতে হলে ফটো স্টুডিওতে যেতে হতো,
যেখানে ছবি তুলতে এবং সঠিক মাপে কেটে দিতে টাকা খরচ করতে হতো। কিন্তু বর্তমানে
প্রযুক্তির কল্যাণে সহজেই অনলাইনে ফটো এডিটিং ওয়েবসাইট দিয়ে পাসপোর্ট সাইজ ছবি
তৈরি করা সম্ভব। এতে সময় যেমন বাঁচে, তেমনি খরচও অনেক কম হয়।
এখন এক নজরে দেখে নিন কীভাবে অনলাইনে এসব ওয়েবসাইট ব্যবহার করে আপনি পাসপোর্ট
সাইজ ছবি তৈরি করতে পারেন
১. ছবির সঠিক ব্যাকগ্রাউন্ড নির্বাচন করা
পাসপোর্ট সাইজ ছবির ক্ষেত্রে ব্যাকগ্রাউন্ড একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সাধারণত সাদা
বা হালকা নীল ব্যাকগ্রাউন্ড গ্রহণযোগ্য। অনলাইনে ফটো এডিটিং ওয়েবসাইট যেমন
Remove.bg বা Fotor ব্যবহার করে কয়েক সেকেন্ডেই ছবির পুরোনো ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ
করে নতুন ব্যাকগ্রাউন্ড যোগ করা যায়।
২. ছবির সাইজ নির্ধারণ করা
পাসপোর্ট সাইজ ছবি তৈরির জন্য নির্দিষ্ট ডাইমেনশন ব্যবহার করতে হয়। বাংলাদেশে
সাধারণত ২x২ ইঞ্চি বা 35x45 মিমি ব্যবহার করা হয়। অনলাইন এডিটিং টুলসে “Custom
Size” অপশন থেকে আপনি প্রয়োজনীয় মাপ বেছে নিয়ে ছবিকে ক্রপ করতে পারবেন।
৩. মুখমণ্ডলের সঠিক অবস্থান নিশ্চিত করা
পাসপোর্ট সাইজ ছবিতে মুখমণ্ডল কেন্দ্রস্থলে থাকতে হবে। অনলাইনে এডিট করার সময় ছবি
এমনভাবে অ্যাডজাস্ট করতে হয় যাতে মাথার উপরিভাগ ও কাঁধ সমানভাবে দেখা যায়। অনেক
ওয়েবসাইট এ জন্য গ্রিডলাইন ব্যবহার করে যাতে ছবি সঠিকভাবে বসানো যায়।
৪. কালার ও লাইট অ্যাডজাস্ট করা
অনেক সময় ছবিতে আলো কম বা বেশি থাকে। এডিটিং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ব্রাইটনেস,
কনট্রাস্ট ও কালার টেম্পারেচার ঠিক করে ছবিকে অফিসিয়াল ব্যবহারের উপযোগী করা যায়।
তবে অবশ্যই ছবিকে অতিরিক্ত ফিল্টার বা ইফেক্ট দেওয়া যাবে না, কারণ অফিসিয়াল কাজে
ন্যাচারাল লুক থাকা বাধ্যতামূলক।
৫. সঠিক পোশাক নির্বাচন করা
যদিও এটি সরাসরি এডিটিং-এর কাজ নয়, তবে অনলাইনে ছবি ঠিক করার সময় খেয়াল রাখতে হবে
আপনার পোশাক যেন ফরমাল হয়। বিশেষ করে অফিসিয়াল ডকুমেন্টের জন্য শার্ট বা পোলো
শার্ট পরা সর্বোত্তম।
৬. ফাইল ফরম্যাট ও রেজোলিউশন
পাসপোর্ট সাইজ ছবি সবসময় হাই রেজোলিউশনে (300 dpi) সেভ করা উচিত। অনলাইনে ফটো
এডিটিং ওয়েবসাইট থেকে JPEG বা PNG ফরম্যাটে ছবিকে ডাউনলোড করা যায়। প্রয়োজনে
একসাথে ৪–৬ কপি প্রিন্ট করার মতো ফরম্যাটও তৈরি করা সম্ভব।
জনপ্রিয় কিছু অনলাইন টুলস পাসপোর্ট সাইজ ছবি তৈরির জন্য:
- MakePassportPhoto.com – স্বয়ংক্রিয়ভাবে পাসপোর্ট সাইজ তৈরি করে দেয়।
- IDPhoto4You – ভিন্ন ভিন্ন দেশের নিয়ম অনুযায়ী ছবি রিসাইজ করার সুবিধা।
- PhotoAiD – AI-ভিত্তিক টুল যা অফিসিয়াল নিয়ম মেনে ছবি তৈরি করে।
- Fotor বা Canva – সাধারণ ছবি এডিটিংয়ের পাশাপাশি পাসপোর্ট সাইজ বানাতে কাজে লাগে।
অনলাইনে ফটো এডিটিং ওয়েবসাইট দিয়ে পাসপোর্ট সাইজ ছবি তৈরি একটি সহজ, সময় বাঁচানো
এবং সাশ্রয়ী উপায়। এতে আপনাকে স্টুডিওতে গিয়ে ঝামেলা করতে হবে না; বরং বাড়িতে
বসেই কয়েক মিনিটে অফিসিয়াল কাজের জন্য উপযুক্ত ছবি প্রস্তুত করতে পারবেন।
মোবাইল ও কম্পিউটারে অনলাইনে ফটো এডিটিং এর জন্য সেরা ওয়েবসাইট
ছবি এডিট করার জন্য আলাদা সফটওয়্যার ইনস্টল করার ঝামেলা অনেকটাই কমে গেছে। কারণ
এখন এমন অনেক অনলাইন টুলস আছে যেগুলো সরাসরি মোবাইল ও কম্পিউটার থেকে ব্যবহার করা
যায়। কোনো কিছু ডাউনলোড না করেই কেবলমাত্র ইন্টারনেট সংযোগ এবং ব্রাউজার থাকলেই
ছবি এডিট করা সম্ভব।
তাই যারা সবসময় চলাফেরার মধ্যে থাকেন কিংবা সফটওয়্যার ব্যবহার করতে চান না, তাদের
জন্য মোবাইল ও কম্পিউটারে অনলাইনে ফটো এডিটিং এর জন্য সেরা ওয়েবসাইট গুলো হয়ে
উঠতে পারে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য সমাধান। এখন দেখা যাক কোন কোন ওয়েবসাইট ব্যবহার করে
মোবাইল ও কম্পিউটার থেকে সহজে ছবি এডিট করা যায় এবং কেন এগুলো সেরা
Canva
Canva বর্তমানে অন্যতম জনপ্রিয় অনলাইন ফটো এডিটিং ওয়েবসাইট। এটি মোবাইল অ্যাপ এবং
ডেস্কটপ দুই জায়গাতেই ব্যবহার করা যায়। এখানে আপনি শুধু ছবি এডিটই করতে পারবেন
না, বরং পোস্টার, ব্যানার, প্রেজেন্টেশন এমনকি সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য কনটেন্টও
তৈরি করতে পারবেন। ফিল্টার, ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভাল, টেক্সট অ্যাড করা, লোগো
ডিজাইন সবকিছুই খুব সহজে করা যায়।
Pixlr
Pixlr হলো একটি লাইটওয়েট কিন্তু অত্যন্ত কার্যকর অনলাইন এডিটিং টুল। এর ওয়েব
ভার্সন মোবাইল এবং কম্পিউটার উভয় প্ল্যাটফর্মেই খুব ভালোভাবে কাজ করে। এখানে
রয়েছে Photoshop-এর মতো টুলস যেমন লেয়ার, ব্রাশ, ক্রপ, সিলেকশন ইত্যাদি। যারা
ফ্রি কিন্তু প্রফেশনাল লেভেলের এডিট চান, তাদের জন্য Pixlr দারুণ অপশন।
Fotor
Fotor একটি অল-ইন-ওয়ান ফটো এডিটর। এটি ডেস্কটপ ব্রাউজার থেকে ব্যবহার করা যায়,
আবার মোবাইল অ্যাপও রয়েছে। এখানে আপনি এক ক্লিকে ছবিকে এনহ্যান্স করতে পারবেন,
HDR ইফেক্ট ব্যবহার করতে পারবেন, কোলাজ বানাতে পারবেন, এমনকি ব্যাচ এডিটিংয়ের
মাধ্যমে একসাথে অনেকগুলো ছবি এডিট করা যায়।
BeFunky
BeFunky মূলত বিগেনারদের জন্য সবচেয়ে সহজ একটি টুল। এর ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেসের
কারণে যে কেউ সহজেই ছবি এডিট করতে পারবে। এখানে রয়েছে টেমপ্লেট, ফ্রেম, ফিল্টার,
আর্ট ইফেক্টস, এমনকি গ্রাফিক ডিজাইনের সুবিধাও। মোবাইল ও কম্পিউটার উভয় জায়গাতেই
একইভাবে কাজ করে।
Photopea
Photopea হলো একটি অনলাইন এডিটর যা মূলত Photoshop-এর বিকল্প হিসেবে কাজ করে। এতে
PSD ফাইলও ওপেন করা যায়। লেয়ার ম্যানেজমেন্ট, টেক্সট টুলস, ব্রাশ, ফিল্টার সবই
রয়েছে। যারা কম্পিউটারে জটিল ফিচার ব্যবহার করতে চান তাদের জন্য এটি সবচেয়ে ভালো।
যদিও মোবাইলেও কাজ করে, তবে বড় স্ক্রিনে Photopea বেশি কার্যকর।
মোবাইল ও কম্পিউটারে এডিটিংয়ের জন্য কেন এগুলো সেরা:
- সফটওয়্যার ইনস্টল করার ঝামেলা নেই।
- যেকোনো জায়গা থেকে ব্যবহারযোগ্য।
- একই সাথে মোবাইল ও কম্পিউটার দুই প্ল্যাটফর্মেই কাজ করে।
- ফ্রি ফিচারেই প্রায় সবকিছু করা সম্ভব।
- হাই রেজোলিউশনে ছবি সেভ করা যায়।
মোবাইল ও কম্পিউটারে অনলাইনে ফটো এডিটিং এর জন্য সেরা ওয়েবসাইট হচ্ছে Canva,
Pixlr, Fotor, BeFunky এবং Photopea। আপনার কাজ যদি সাধারণ লেভেলের হয় তবে Canva
বা BeFunky যথেষ্ট, আর যদি প্রফেশনাল লেভেলের এডিট করতে চান তবে Photopea এবং
Pixlr হতে পারে সেরা পছন্দ।
অনলাইনে বিগেনারদের জন্য সহজ ফটো এডিটিং ওয়েবসাইট
ছবি এডিটিং শুধু প্রফেশনাল ফটোগ্রাফারদের জন্য নয়, বরং সাধারণ ব্যবহারকারীরাও এটি
করে থাকেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি সুন্দরভাবে প্রকাশ করা থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত
কিংবা অফিসিয়াল কাজে ছবি ব্যবহার সবকিছুতেই এখন এডিটিং জরুরি হয়ে উঠেছে।কিন্তু
নতুনরা (বিগেনাররা) সাধারণত জটিল টুলস যেমন Photoshop ব্যবহার করতে পারেন
না।
তাদের জন্য সবচেয়ে ভালো সমাধান হলো অনলাইনে বিগেনারদের জন্য সহজ ফটো এডিটিং
ওয়েবসাইট। এগুলোতে কোনো জটিল ফিচার নেই, বরং ব্যবহারকারী-বান্ধব ইন্টারফেসের
কারণে নতুনরা সহজেই কাজ শিখে নিতে পারেন। নিচে এমন কিছু ওয়েবসাইট এবং তাদের
সুবিধা তুলে ধরা হলো
Canva
Canva হলো নতুনদের জন্য সবচেয়ে সহজ একটি অনলাইন ফটো এডিটিং ওয়েবসাইট। এটি ব্যবহার
করতে কোনো বিশেষ দক্ষতার প্রয়োজন নেই। ড্র্যাগ-এন্ড-ড্রপ সিস্টেমের মাধ্যমে ছবি
এডিট, টেক্সট যোগ, ব্যাকগ্রাউন্ড পরিবর্তন, এমনকি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট তৈরি করা
যায়। Canva-তে প্রচুর প্রি-মেড টেমপ্লেট থাকে যা দিয়ে কয়েক মিনিটে আকর্ষণীয়
ডিজাইন তৈরি করা সম্ভব।
BeFunky
BeFunky বিগেনারদের জন্য দুর্দান্ত একটি টুল। এখানে কোনো জটিলতা নেই শুধু ছবি
আপলোড করুন আর এডিটিং শুরু করুন। এক ক্লিকে ব্রাইটনেস অ্যাডজাস্ট করা, ফিল্টার
দেওয়া, ফ্রেম যোগ করা বা কোলাজ বানানো যায়। এ কারণেই যারা একেবারেই নতুন, তারা
BeFunky ব্যবহার করে সহজেই ফটো এডিট শিখে নিতে পারবেন।
Fotor
Fotor আরেকটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট যা বিগেনারদের জন্য তৈরি করা হয়েছে। এখানে রয়েছে
“One-Tap Enhance” ফিচার, যা এক ক্লিকেই ছবিকে সুন্দর করে তোলে। এছাড়া HDR
ইফেক্ট, ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভাল, টেক্সট অ্যাড করা সবকিছুই সহজভাবে করা যায়। এটি
মোবাইল ও কম্পিউটার উভয় ডিভাইসে কাজ করে।
Pixlr X
Pixlr X হলো Pixlr-এর সহজ সংস্করণ, যা বিশেষভাবে নতুন ব্যবহারকারীদের জন্য তৈরি।
এখানে প্রফেশনাল টুলস থাকলেও সেগুলো সহজভাবে সাজানো। এক ক্লিকে ক্রপ, ফিল্টার, রঙ
পরিবর্তন, ব্যাকগ্রাউন্ড ঠিক করা যায়। যারা একটু একটু করে শিখতে চান তাদের জন্য
এটি দারুণ কার্যকর।
FotoJet
FotoJet একটি হালকা-পাতলা ফটো এডিটর যেখানে কোলাজ বানানো, পোস্টার ডিজাইন এবং ছবি
এডিট করা খুব সহজ। বিগেনারদের জন্য এটি আকর্ষণীয় কারণ এর ইন্টারফেস অনেক সহজ এবং
প্রি-মেড ডিজাইনগুলো ছবি এডিটিংকে আরও আনন্দদায়ক করে তোলে।
বিগেনারদের জন্য এসব ওয়েবসাইট কেন সহজ?
- টুলস গুলো সহজ ও ইউজার-ফ্রেন্ডলি।
- কোনো সফটওয়্যার ইনস্টল করার প্রয়োজন নেই।
- ড্র্যাগ-এন্ড-ড্রপ সিস্টেমে সহজে এডিট করা যায়।
- প্রস্তুত টেমপ্লেট ও ফিল্টার থাকে।
- মোবাইল ও কম্পিউটার দুই প্ল্যাটফর্মেই ব্যবহার করা যায়।
যারা নতুন এবং ফটো এডিটিং শিখতে চান তাদের জন্য অনলাইনে বিগেনারদের জন্য সহজ ফটো
এডিটিং ওয়েবসাইট হচ্ছে Canva, BeFunky, Fotor, Pixlr X এবং FotoJet। এগুলো
ব্যবহার করে কোনো প্রফেশনাল জ্ঞান ছাড়াই সহজে সুন্দর ছবি তৈরি করা সম্ভব।
অনলাইনে ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ করার ফ্রি ফটো এডিটিং ওয়েবসাইট
ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ করার জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় টুল হলো Remove.bg। এছাড়া
Canva, Fotor, Pixlr-তেও ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ করার ফিচার আছে। ব্যাকগ্রাউন্ড
রিমুভ করা অনেক কাজে লাগে যেমন ই-কমার্স প্রোডাক্টের ছবি তৈরি করা, প্রোফেশনাল
রেজিউমে ব্যবহার করা বা গ্রাফিক্স ডিজাইন করার জন্য।
অনলাইনে ১০টি প্রফেশনাল ফটো এডিট করার ওয়েবসাইট
- Canva
- Pixlr
- Photopea
- Fotor
- BeFunky
- iPiccy
- Remove.bg
- Polarr
- Adobe Express
- Lunapic
নিচে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হলো ১০টি সেরা ওয়েবসাইট এবং তাদের বিশেষত্ব:
Canva
Canva শুধু সাধারণ ব্যবহারকারীর জন্য নয়, প্রফেশনালদের জন্যও চমৎকার। এখানে
প্রচুর টেমপ্লেট, প্রি-সেট ফিল্টার এবং ডিজাইন টুলস রয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া,
ব্যানার, প্রেজেন্টেশন এবং প্রমোশনাল কনটেন্ট তৈরি করার জন্য এটি প্রফেশনাল
লেভেলে কার্যকর।
Pixlr E
Pixlr E হলো Pixlr-এর প্রফেশনাল সংস্করণ। এটি ফটোশপের মতো টুলস সরবরাহ করে লেয়ার,
ব্রাশ, সিলেকশন টুল, ফিল্টার ইত্যাদি। এটি নতুনদের জন্য একটু কঠিন হতে পারে, তবে
যারা প্রফেশনাল লেভেলের এডিটিং করতে চান তাদের জন্য আদর্শ।
Photopea
Photopea সম্পূর্ণ অনলাইন ফটোশপ বিকল্প। PSD, XCF, Sketch, XD ফাইল ওপেন করা যায়।
লেয়ার, মাস্কিং, অ্যাডজাস্টমেন্ট, এবং কমপ্লেক্স ফিল্টার ব্যবহার করা সম্ভব।
Fotor
Fotor প্রফেশনাল লেভেলের HDR ইফেক্ট, ব্যাচ এডিটিং এবং রিটাচ টুলস দেয়। সোশ্যাল
মিডিয়া কনটেন্ট বা প্রোডাক্ট ফটো এডিটিংয়ের জন্য এটি খুব উপযোগী।
BeFunky
BeFunky একটি প্রফেশনাল লেভেলের ওয়েবসাইট যা কোলাজ, গ্রাফিক্স, ফিল্টার এবং
এফেক্ট দিয়ে প্রফেশনাল মানের ছবি তৈরি করতে সাহায্য করে।
Polarr
Polarr প্রফেশনাল লেভেলের ফটো এডিটিংয়ের জন্য বিখ্যাত। রঙের ব্যালেন্স, লাইটিং,
টেক্সচার, এবং ডিটেইল ঠিক করার জন্য এটি একেবারে কার্যকর।
Lunapic
Lunapic অনলাইন ফটো এডিটিং টুল যা প্রফেশনাল লেভেলের ফিচার যেমন অ্যানিমেশন,
ফিল্টার, এফেক্ট এবং ইমেজ ট্রান্সফরমেশন সরবরাহ করে।
iPiccy
iPiccy একটি সহজ কিন্তু প্রফেশনাল লেভেলের ওয়েবসাইট। এখানে রিটাচ, ক্রপ, লেয়ার,
ফিল্টার এবং প্রি-সেট এডজাস্টমেন্টের সুবিধা রয়েছে।
Ribbet
Ribbet প্রফেশনাল ফটো এডিটিং, রিটাচ, কোলাজ এবং প্রি-সেট ফিল্টার দিয়ে ছবিকে
আকর্ষণীয় করে তোলে। ব্যবহার করা সহজ এবং প্রফেশনাল মানের ছবি তৈরি করা যায়।
Snapseed (ওয়েব ভার্সন / মোবাইল অ্যাপ)
Snapseed গুগলের প্রফেশনাল টুল যা মোবাইল ও ওয়েব উভয় প্ল্যাটফর্মে প্রফেশনাল
মানের ছবি তৈরি করতে সাহায্য করে। লেয়ার, ব্রাশ, HDR, কনট্রাস্ট এবং কালার
অ্যাডজাস্টমেন্ট করা সম্ভব।
এই ১০টি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যেকোনো ব্যক্তি প্রফেশনাল লেভেলের ছবি এডিট করতে
পারবেন। Canva ও Fotor হালকা এবং দ্রুত, Photopea ও Pixlr E প্রফেশনাল টুলের জন্য
সেরা, আর Polarr, BeFunky ও iPiccy ব্যবহার করে ছবি আরও নিখুঁত করা যায়।
লেখকের শেষ মন্তব্য
আজকের আর্টিকেল থেকে আমরা জেনেছি অনলাইনে ফটো এডিটিং ওয়েবসাইটে ফটো
এডিট করার গাইডলাইন সম্পর্কে। আশা করি আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের অনেক হেল্প
হয়েছে। এরকম প্রতিনিয়ত আপডেট গাইডলাইন পেতে আমাদের ওয়েবসাইটির প্রতিনিয়ত
ভিজিট করুন।
এবং আমাদের আর্টিকেল থেকে যদি বিন্দু পরিমান উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই
আপনার বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে শেয়ার করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url