শরীর কাপে কেন - শরীর কাঁপা দূর করার উপায়
শরীর কাপে কেন - শরীর কাঁপা দূর করার উপায় জেনে চিকিৎসা করুন এই রোগের। সঠিক রোগ নির্ণয় না করে, ভুল চিকিৎসা করার পূর্বেই জেনে নিন।
সূচিপত্র: শরীর কাঁপা দূর করার উপায়
শরীর কাপে কেন - শরীর কাঁপা দূর করার উপায়
শরীর অথবা হাঁটু অথবা হাত-পা কাপার সমস্যা গুলি আমাদের মাঝে নিয়মিত অথবা মাঝে মাঝেই হয়ে থাকে। তবে আমরা যদি না জানি আমাদের শরীর কাছে কেন তাহলে আমরা কখনোই শরীর কাঁপা দূর করার উপায় জানতে পারবো না এবং জানলেও তা নিয়ে আমাদের শরীরের ওপর চর্চা করতে পারবো না।
শরীর কাপা অনেক ধরনের হতে পারে কোন সময় ঠান্ডার কারণে শরীর কাঁপতে পারে অন্য সময় শরীরের দুর্বলতার জন্য শরীর কাঁপতে পারে এবং আরো অন্যান্য কারণগুলির জন্য শরীর কাঁপতে পারে। তবে কোন রোগ কিসের জন্য শরীর কাঁপছে সেটি আমাদের সর্বপ্রথম জানতে হবে।
মাঝে মাঝে শরীর কাঁপে শরীর অনেক বেশি দুর্বল হয়ে গেলে অথবা অনেক বেশি ঠান্ডা লাগলে শরীর কাঁপতে শুরু করে। শরীর কাঁপে মূলত আপনার শরীরের তাপ বৃদ্ধি করার জন্য। এবং শরীরের কাঁপা আরও অন্যান্য কারণ রয়েছে যেগুলো ক্ষতিকর হতে পারে।
অনেক সময় দেখা যায় আমরা যখন দুশ্চিন্তা করি তখন আমাদের হাত-পা অথবা শরীরের যেকোন অংশ কাঁপতে থাকে। এই সকল সমস্যা দূর করার জন্য এবং শরীর কাঁপে কেন আরো বিস্তারিত জানতে হবে। এখন আমরা জানবো শরীর কাঁপে কেন শরীর কাঁপা দূর করার উপায়। শরীর কাঁপা দূর করার উপায় হল:
- অনেক সময় আমাদের জ্বর আসার কারণে আমাদের শরীর কাঁপতে থাকে যে কারণে আমাদের খুব দ্রুতই জ্বর সারিয়ে তুলতে হবে। এবং আমাদের যদি জ্বর আসার পরে শরীর কাপে তবে আমাদের কোনভাবে কোন ধরনের কাজ করা যাবে না আমাদের অবশ্যই বিশ্রাম নিতে হবে। এবং ঠিকমতো ওষুধ খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের জ্বর ভালো হলে আমাদের এই শরীর কাঁপার সমস্যা ঠিক হয়ে যাবে।
- অনেক সময় শীতের সময় আমাদের অনেক বেশি ঠান্ডা লাগার কারণে আমাদের শরীর কাঁপতে শুরু করে এবং আমাদের শরীর যখন কাঁপতে শুরু করে তখন আমাদের শরীরে তাপ উৎপন্ন হতে থাকে। আমাদের শরীরে যদি তাপ কমে যায় তবেই আমাদের শরীর কাঁপতে শুরু করে। যে কারণে আমাদের শীত অথবা ঠান্ডার সময় অবশ্যই গরম পোশাক করতে হবে টুপি মোটা স্তরের পোশাক। এবং আপনার শরীর যদিও অনেক বেশি কাপে শীতের সময় তবে হালকা গরম পানি খান।
- অনেক সময় আমাদের শরীরের রক্তের সরবরাহ আস্তে আস্তে কমতে শুরু করে এবং আমরা যখন সঠিকভাবে খাওয়া-দাওয়া না করি তখন আমাদের রক্তের শর্করা কমে যায়। যে কারণে আমাদের শরীর ঝাকুনি দেয় কারণ আমাদের বেশি পর্যাপ্ত পরিমাণে শর্করা সরবরাহ করতে পারে না। যে কারণে আমাদের শরীরে যদি রক্ত এর শর্করা কমে যায় তবে অবশ্যই আমাদের ভালো ফলমূল শাক সবজি দই অথবা ভালো প্রোটিন খেতে হবে। তবে আপনার যদি ডায়াবেটিস থাকে তবে অবশ্যই অভিজ্ঞ চিকিৎসক অথবা আপনার ডায়াবেটিসের চিকিৎসক এর কাছ থেকে পরামর্শ নিন।
- অনেক সময় মানসিক চাপের কারণে আমরা হঠাৎ করে যখন মানুষের চাপের মধ্যে চলে যাই তখন আমাদের শরীরের আস্তে আস্তে কাঁপতে থাকে। তবে অবশ্যই সেই মুহূর্তে ঠান্ডা পানি পান করুন এর মাধ্যমে আপনার শরীরের যেই ঝাঁকুনি রয়েছে সেটি আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে আসবে। এবং পারলে সেই সময় নিজেকে স্থির করতে থাকুন।
প্রিয় পাঠক উপর শরীর কাপে কেন - শরীর কাঁপা দূর করার উপায় জানানো হয়েছে যেগুলো একজন সাধারণ মানুষ এর হয় এর মধ্যে কিছু কিছু ক্ষতিকর রয়েছে আবার কিছু কিছু সময় বলতো পরিবেশের জন্য হয়ে থাকে। তবে শরীর কাঁপে কেন এই বিষয় নিয়ে আরো বিস্তারিত নিচে দেওয়া হয়েছে যেগুলো আপনার রোগ নির্ণয় করতে সাহায্য করবে।
শরীর ঝাকুনি দেয় কেন
শরীর ঝাকুনি দেয় কেন এটি নিয়ে আমাদের অনেক ভাবতে হয় কেননা এটি কোন রোগের লক্ষণ হতে পারে। এটি আমাদের অনেকেরই জানা নেই। তবে শরীর ঝাকুনি দেওয়ার তেমন কোন রোগের লক্ষণ দেখা যায় না। শরীর ঝাকুনি দেওয়ার অন্যতম কারণ হলো অনেক সময় প্রস্রাব করার সময় আমাদের শরীরের ঝাঁকুনি দেয়।
এর মূল ও অন্যতম কারণ হলো আমরা যখন প্রস্রাব করতে থাকি তখন আমাদের শরীরের হালকা ভাবে ঠান্ডা হতে শুরু করে এবং হঠাৎ করে যখন শরীর একটু বেশি ঠান্ডা হয়ে যায় তখন আমাদের শরীর সেটিকে গরম ও তাপমাত্রা বৃদ্ধি করার জন্য ঝাঁকুনি দেয়।
আমাদের শরীরের যখন সঠিকভাবে সমন্বয় থাকে না তখন আমাদের শরীর ঝাকুনি দেয় যদি আমাদের শরীরে কোন ধরনের সমস্যা থাকে তবে আমাদের শরীরের আস্তে আস্তে ঝাকুনি দিতে থাকে অথবা কাঁপতে থাকে। এটি শরীর ঝাকুনি দেয় কেন এর কারণ।
হঠাৎ শরীর কাঁপে কেন?
আমরা যখন হঠাৎ অনেক বেশি রেগে যায় তখন আমাদের হাত-পা অথবা শরীরের যে কোন অংশ কাঁপতে থাকে অথবা আমরা যদি হঠাৎ করে কোন কিছু দেখে ভয় পেয়ে যায় অথবা কোনভাবে আমরা ভয় পাই তবে আমাদের শরীর অনেক বেশি ঠান্ডা হতে শুরু করে।
আমাদের শরীর যখন ঠান্ডা হতে শুরু করে তখন আমাদের শরীরকে গরম করার চেষ্টা করে আমাদের শরীর যে কারণে আস্তে আস্তে হালকা হবে কাঁপতে শুরু করে কোন সময় কারো পা কাপে ভয় পাওয়ার কারণে আবার অনেক সময় দেখা যায় কারো ভয় পাওয়ার কারণে হঠাৎ করে হাত কাঁপা শুরু হয়ে যায়।
আবার কারো পুরো শরীরই কাঁপা শুরু হয়ে যায় ভয় পাওয়ার কারণে। তবে শুধু হাত-কাঁপা দের একটি রোগের লক্ষণ তাই এটি হলে সতর্ক হোন। এবং আমাদের শরীরে যদি পুষ্টির অভাব থাকে এবং আমাদের শরীর যদি ঠিকমতো সব ধরনের ভিটামিন প্রোটিন এবং আরো ইত্যাদি যে সকল কিছু আমাদের শরীরকে পরিচালনা করতে প্রয়োজন হয়।
সেই সকল কিছু যদি আমাদের শরীরে সংকট থাকে। তবে আমাদের শরীর কাঁপতে শুরু করে যে কারণে পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করুন। এবং সঠিক শরীর কাঁপে কেন শরীর কাঁপা দূর করার উপায় আমাদের ভালোভাবে বুঝে এবং জেনে এটির চিকিৎসা করতে হবে।
শরীর কাঁপা কিসের লক্ষণ
শরীর কাঁপা অনেক রোগের লক্ষণ লক্ষণ হতে পারে আপনার শরীর কাঁপছে কেন এটি জানার জন্য অবশ্যই অভিজ্ঞ চিকিৎসক এর পরামর্শ নেওয়া উচিত। এছাড়া আপনার শরীর কাপার সঙ্গে সঙ্গে আরও অন্যান্য কি ধরনের সমস্যা হচ্ছে এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আপনার রোগ নির্ণয়ের জন্য। 
অনেক সময় আমাদের শরীরকে গরম রাখার জন্য শরীরের হালকা ভাবে কাপে তবে সেটি অল্প সময়ের জন্য। অথবা আমরা যখন অনেক বেশি ভয় পেয়ে যাই তখন আমাদের শরীরের হালকা ভাবে কাঁপনি দেয় অথবা ঝাঁপনি দেয় অথবা আমাদের গায়ের মধ্যে একটি ঠান্ডা অনুভব হয়ে আসে।
সেটি গরম অথবা তাপে পরিণত করার জন্য আমাদের শরীর হালকাভাবে কাঁপে। তবে আপনার শরীরে যদি আরও অন্যান্য লক্ষণ থেকে থাকে তবে সেটি এবং সেই লক্ষণ অনুযায়ী আপনার রোগ নির্ণয় করতে হবে।
অনেক সময় যখন আমাদের ক্ষুধা লাগে তখন আমাদের শরীরের কাঁপার মতো সমস্যা হয়ে থাকে সাধারণত লো ব্লাড সুগার এর রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যাওয়ার কারণে তাদের এই শরীর কাপার সমস্যা হতে পারে।
তবে আপনি যদি ব্লাড সুগারের রোগী হয়ে থাকেন তবে অবশ্যই কোন পদক্ষেপ নেয়ার পূর্বে আপনার অভিজ্ঞ চিকিৎসক এর পরামর্শ নিন।
হাত কাঁপা রোগের ব্যায়াম
আমরা হাত কাপার রোগের ব্যায়াম কিভাবে করলে আমাদের আর হাত কাঁপবে না এবং হাত কাঁপা কমে আসবে সেটি জানবো। হাত কাঁপার রোগ ও অনেক সময় বয়স্ক লোকেরই ধীরে বেশি দেখা যায়। তবে কম বয়সী যদি আপনার এই হাত কাঁপা সমস্যা হয়ে থাকে।
তবে আপনি হাতের অনেক ধরনের ব্যায়াম করার মাধ্যমে আপনার হাত-পা রোগের সমস্যার সমাধান করতে পারেন। এরমধ্যে আপনি আপনার হাতের মালিশ এবং আঙ্গুল ফোটানো এবং আরো যে সকল হাতের ব্যায়াম রয়েছে সেই ব্যায়ামগুলো করার মাধ্যমে আপনি আপনার হাত কাঁপা কমিয়ে আনতে পারবেন।
অথবা হাতের মধ্যে একটি হাত দিয়েই রাবার বল চাপ দিয়ে বসিয়ে আবার তোলা এবং আবার চাপ দিয়ে আবার তোলা এমন ধরণের করার মাধ্যমে আপনি আপনার হাত কাপড় রোগের ব্যায়াম করতে পারবেন। আবার অন্য কাউকে আপনার হাত মালিশ করিয়ে নেওয়ার মাধ্যমেও হাত কাঁপার রোগের থেকে মুক্তি পাবেন এটিও আপনার হাত কাঁপার রোগের ব্যায়াম হয়ে যাবে।
শরীর কাঁপা রোগের নাম কি?
থাইরয়েড হরমোনের অভাবে এই রোগটি হয়ে থাকে। এটি মূলত একটি বংশগত রোগ হিসেবেই পরিচিত বেশি। এই রোগটি হলে রোগীর হাত-পা কাঁপতে থাকে। হাত-পা কাঁপলে যে শুধু আপনার এই রোগ হবে তা কিন্তু নয়।
এ রোগ হওয়ার জন্য আরও অনেক ধরনের উপসর্গ রয়েছে যে এমন হঠাৎ করে আপনার ওজন কমে যাবে এবং আরো অন্যান্য কারণে ও আপনার ওজন আস্তে আস্তে কমতে থাকতে পারে। আপনার ডায়রিয়া এর মত সমস্যা লেগেই থাকতে পারে এবং আপনার অনেক বেশি অথবা অতিরিক্ত গরম লাগা অথবা অতিরিক্ত পরিমাণে ঘেমে যাওয়া।
যেটি একটি সাধারণ ব্যক্তির চেয়ে অধিক পরিমাণে হতে পারে। এবং হাতপা কাপার রোগের আরও একটি অন্যতম লক্ষণ বা এই রোগের লক্ষণীয় বিষয় হল আপনার বুক ধরফর করবে আপনি কোন কিছু করছে শান্ত বা শান্তি অনুভব করবেন না। আপনার বুক অনেক জড়িয়ে ধরফর করবে।
এই রোগের সঙ্গে মাথা পা হাত এবং শরীরের আরো অন্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কাঁপতে পারে।
শরীর কাঁপা দূর করার ঔষধ
আপনার শরীরে যদি ভিটামিন এর অভাব থাকে অনেক সময় এই কারনেও আপনার শরীরের যে কোন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কম্পন করতে পারে। যে কারণে আমাদের যদি এই ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে তবে আমরা ভিটামিন খেতে পারি।B1,B6,B12 এই ধরনের ভিটামিন খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের শরীরের কম্পন আস্তে আস্তে কমে আসতে শুরু করবে। 
তবে আপনার এই রোগটি যদি বংশগতভাবে হয় তবে শুধুমাত্র উপরের এই ভিটামিন গুলো আপনার হাত-পা স্বাভাবিকভাবে যদি কাপে তবেই চিকিৎসা করতে পারবেন। যে কারণে আপনার যদি হঠাৎ এবং বংশগত নয় এমন ভাবে দুর্বল শরীরের জন্য শরীর অথবা হাত-পা কাঁপা মতো সমস্যা দেখা দেয়।
তবে আপনি ওপরের ভিটামিন গুলো গ্রহণ করতে পারেন। তবে এই বিষয় নিয়ে অভিজ্ঞ চিকিৎসক এর পরামর্শ নেওয়া অনেক জরুরী। আপনি অবশ্যই ওপরের ওষুধ অথবা ওপরের যে কোন পদক্ষেপ নেওয়ার পূর্বে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আমাদের পরামর্শ
প্রিয় পাঠক ওপরে আমরা শরীর কাপে কেন - শরীর কাঁপা দূর করার উপায় নিয়ে আলোচনা করেছি যেগুলোর মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই আপনার হাত-পা এর কম্পন ঠিক করতে পারবেন। এবং আপনার যদি এটি বংশগত রোগ হয় তবে অবশ্যই অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url