স্বামীকে ডিভোর্স দেওয়ার নিয়ম - যেভাবে দিবেন-আপডেট

মানসিক রোগের শারীরিক লক্ষণ  ১০টিখুব সহজেই স্বামীকে দিবস দেওয়ার নিয়ম এবং যেভাবে দিবেন এখনকার আপডেট নিয়মগুলো জানুন এইখানে থেকেই। খুব সহজেই আপনার স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে দিতে পারবেন।
স্বামীকে-ডিভোর্স-দেওয়ার-নিয়ম-যেভাবে-দিবেন
সূচিপত্র: স্বামীকে ডিভোর্স দেওয়ার নিয়ম 

স্বামীকে ডিভোর্স দেওয়ার নিয়ম - যেভাবে দিবেন-আপডেট

আমাদের জীবনে কখনো কখনো এমন ডিসিশন নেওয়ার প্রয়োজন চলে আসে যখন আমরা একে অপরকে ছেড়ে যেতে চাই। তবে এই ছেড়ে যাওয়ার বিষয়টি প্রেমিক-প্রেমিকাদের মধ্যে হয়তোবা কোন আইন প্রয়োগ করা প্রয়োজন হয় না। 

তবে একজন বিবাহিত নারী ও পুরুষের মধ্যে যদি বিচ্ছেদ এর সম্পর্ক তৈরি হয় তবে সেটি সামাজিক এবং আইন অর্থ বিষয়ের ওপর নির্ভর করে স্বামীকে ডিভোর্স দেওয়ার নিয়ম কানুন মানতে হয়। তবে ইসলামের দৃষ্টিতে বিবাহ বিচ্ছেদ হলো ইসলাম এর সব থেকে নিম্ন পর্যায়ের বৈধ কাজ, তবে ইসলাম বিবাহ বিচ্ছেদ চাই না। 
আরো পড়ুন: মাথা ব্যথার কারণ কি কি 
তাই আমাদেরও সজাগ থাকা উচিত যেন বিবাহ বিচ্ছেদ এর মত পর্যায়ে যেন আমাদের কোন কিছু না যেতে হয়। আমাদের জীবনের সিদ্ধান্তগুলো আমরা নিজেরাই নিতে বেশি পছন্দ করি তবে যদি আমাদের একটি সন্তান থেকে থাকে অথবা যে দম্পতি তালাক এর জন্য উঠে পড়ে লেগেছে

 তাদের যদি কোন সন্তান থেকে থাকে তবে সে সন্তান এর জীবনটি আস্তে আস্তে নষ্ট হয়ে যাওয়ার পথে চলে যাবে। যে কারণে কখনোই আমাদের উচিত নয় তালাক এর পথটি বেছে নেওয়া। তবে যদি আমরা তালাক এর অনেক কাছাকাছি চলে যায় এবং আমারা যদি তালাক দিতে বাধ্য হয় তবে আমরা সর্বপ্রথম যে কাজগুলো করব এবং স্বামীকে ডিভোর্স দেওয়ার নিয়ম জানব তাহলো:
  • যদি আমাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদের সম্পর্ক চলে আসে তবে স্বামী অথবা স্ত্রী যে কেউ চাইলে তালাক দিতে পারে তবে সত্য অনুযায়ী। সর্বপ্রথম তালাক দিতে হলে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ পৌরসভা সিটি কর্পোরেশন চেয়ারম্যান অথবা মেয়র সর্বস্তরের যে রয়েছে তাকে লিখিতভাবে তালাক দিবেন আপনি এটি লিখে পাঠাতে হবে। এবং আপনি যেই লিখিত নোটিশটি চেয়ারম্যান অথবা মেয়র এর কাছে জমা দিয়েছেন সেই লিখিত নোটিশটির একটি ফটোকপি অথবা নকল আপনি যাকে তালাক দিবেন তার কাছে পৌঁছে দিতে হবে।
  • গ্রাম অথবা শহরের মধ্যে এক ধরনের বৈঠক বসে যার নাম হলো সালিশ, যেটি কোন বিষয়ের আলোচনা অথবা সিদ্ধান্তের জন্য বসানো হয়। আপনার সেই চেয়ারম্যান অথবা মেয়র এর কাছে সেই তালাক লিখিত নোটিশ দেওয়ার পরে ৯০ দিনের মধ্যে এই সালিশ করার সুযোগ থাকে। এবং এই ৯০ দিনের মধ্যে যে কোন দিন আপনি অথবা আপনার স্বামী বসে উভয়ে সমঝোতা চেষ্টা করতে পারেন।
  • এবং তালাক ৯০ দিনের মধ্যে সম্পন্ন হওয়ার জন্য এটি অবশ্যই নিবন্ধন করা প্রয়োজন। তবে আপনার যদি কাবিননামা অথবা বিবাহ সনদ না থেকে থাকে আপনার কাছে। তবে আপনি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ পৌরসভা সিটি কর্পোরেশনের চেয়ারম্যানের কাছ থেকে সেই কাবিন নামা সংগ্রহ করতে পারেন। তবে আপনার বিবাহ এল যদি কোন কাবিননামা না থেকে থাকে তবে আপনি প্রমাণস্বরূপ একটি এফিডেফিট করতে পারেন সেটি ২০০০ টাকার স্ট্যাম্পে দাখিল করতে হবে। এবং সেটি কাবিননামা হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন।
  • যদি ৯০ দিনের মধ্যে মীমাংস না হয় তবে আপনি চাইলেই দেনমোহরের টাকা আদায়ের জন্য পারিবারিক আদালতে মামলা করতে পারেন এর জন্য আপনার মীমাংসের না ডিক্রির কপি প্রয়োজন হবে। এবং এরপরে দেনমোহরের টাকা পাওয়ার জন্য যত দ্রুত সম্ভব মামলাটি করতে হবে। তবে আপনি এটি যেকোনো সময় করতে পারবেন তবে দ্রুত করা ভালো।
  • তবে এই ৯০ দিনের মধ্যে যদি কোন নারী গর্ভবতী হয় তবে সেই তালাক কার্যকর হবে না যতদিন পর্যন্ত সে তার গর্ভস্থায় এই সময়টি পার করছে। এবং সে যতদিন পর্যন্ত গর্ভাবস্থায় থাকবে, ততদিন পর্যন্ত তালা কার্যকর হবে না। এবং গর্ভাবস্থায় এই সময়টি পার হলে আবার তালাক কার্যকর শুরু হবে। এর জন্য মুসলিম বিবাহ ও তালাক রেজিস্ট্রেশন আইন এর অনুযায়ী ১৯ ৭৪ এর ৬ ধারাতে বিয়ের তালাক ও রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এটি আপনি কাজী অফিসে ফি এর মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করতে পারেন।
ওপরে আমরা আপনাকে জানিয়েছি স্বামীকে দেওয়ার নিয়ম এই নিয়মগুলো অবলম্বন করে আপনি খুব সহজেই আপনার স্বামীকে ডিভোর্স দিতে পারবেন। তবে অবশ্যই উচিত একজন ভালো উকিল ধরা। যদি আপনি এটি কোট মাধ্যমে কার্যকর করতে চান। তবে আপনি যদি স্বামীকে দিবস দেওয়ার নিয়ম অনুযায়ী কোর্ট এর বাইরে এটি কার্যকর করতে চান তবে এই নিয়মগুলো অবলম্বন করতে পারেন।

কোর্টের মাধ্যমে তালাক দেওয়ার নিয়ম

কোর্টের মাধ্যমে তালাক দেওয়ার নিয়ম অবলম্বন করে আপনি খুব স্বামীকে ডিভোর্স দেওয়ার নিয়ম অনুযায়ী দিতে পারবেন। অনেক সময় স্থানীয় চেয়ারম্যান অথবা সালিশের মাধ্যমে তালাক দেওয়া সম্ভব হয়ে থাকে না। আবার অনেকেই চাই সরাসরি কোর্ট এর মাধ্যমে তালাক দেওয়ার জন্য। 

যে কারণে আপনি কোর্টের মাধ্যমে তালাক দেওয়ার বিষয়গুলো অবলম্বন করে খুব সহজে আপনি কোর্টের মাধ্যমে তালাক দিতে পারবেন। তবে স্বাভাবিকভাবে কোর্টে যেমন সময় প্রয়োজন হয় তালাক দেওয়ার জন্য ঠিক একইভাবে গ্রাম অথবা শহরের মধ্যে সালিশের মাধ্যমে তালাক দিতেও ঠিক একই সময় প্রয়োজন হয়। 

তবে গ্রামের মাধ্যমে তালাক দিতে গেলে কোন ধরনের উকিল প্রয়োজন হয় না। তবে কোর্টের মাধ্যমে তালাক দিতে অবশ্যই উকিল প্রয়োজন হয়। যে কারণে কোর্টের মাধ্যমে তালাক দেওয়ার বিষয়টি একটু জটিলতায় সমস্যা। কোর্টের মাধ্যমে তালাক দেওয়ার নিয়ম গুলো নিচে জানানো হলো:
  • কোর্টের মাধ্যমে তালাক দেওয়ার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে এ একজন আইনজীবী এর কাছে যেতে হবে এবং তার থেকে একটি তালাক এর নোটিশ পত্র তৈরি করে নিতে হবে। এবং সেই তালাক পত্র তারপরে আপনার স্বামীর কাছে পৌঁছে দিতে হবে ইউনিয়ন অথবা পৌরসভা অথবা আপনি যে স্থানে রয়েছেন সেই স্থান এর কর্পোরেশন এর মাধ্যমে।
  • এরপরে নোটিশ পেলে স্থানীয় সালিশ এর কাছে মীমাংসার চেষ্টা করা হবে। যদি একে অপরের দুজনেই তালাকের জন্য রাজি থাকে তবে সেখানেই তালাকের ব্যবস্থা করা হবে। আর যদি সালিশের মধ্যে কোন একজন তালাক এর জন্য রাজি না থাকে তবে যিনি তালাক দিতে চান তিনি আদালতে মামলা করতে পারেন। এবং এই মামলা করার ক্ষেত্রে আইনজীবীর মাধ্যমে পারিবারিক আদালতে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা দায়ের করতে হবে।
  • আদালত এর মাধ্যমে তালাক কার্যকর হওয়ার জন্য ৯০ দিন অথবা এর বেশি সময় লাগতে পারে। তালাক আবেদন করার পরে ৯০ দিন পর্যন্ত যদি দুজনের সিদ্ধান্ত একই থাকে যে তারা তালাক চায় তবে তারা তালাক এর কার্যকর সম্পন্ন করতে পারে বা তালাক হবে।
  • আপনার স্বামী যদি রাজি না থাকে আর যদি আপনার কাবিন নামায় ১৮ নাম্বার কলমে যদি স্বামী তালাক এর অনুমতি না দেওয়া থাকে, তবে আপনি তালাক কার্যকর করার জন্য আদালতে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করতে পারেন।
  • এবং আপনার কাবিননামার, ভরণ পোষণ এবং দেনমোহর আর সন্তানের হেফাজত ইত্যাদি এই সকল কিছু আদালতের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত এবং রায় দেওয়া হবে। এবং এই সকল কিছু আদালতেই আপনার মীমাংস করে দিবে।

স্ত্রী কি তালাক দিতে পারে?

স্ত্রী তালাক এ দিতে পারে তবে তালাকের শর্ত গুলো তার সমস্যার সাথে মিলে যায় তবে একজন স্ত্রী তাকে তালাক দিতে পারবে। তবে সাধারণভাবে তালাক এর ক্ষমতা স্ত্রীর হাতে দেওয়া থাকে না সাধারণভাবে তালাকে এর ক্ষমতা স্বামীর হাতে থাকে। 
মুখে-তালাক-দেওয়ার-নিয়ম
তবে তালাক এর ক্ষমতা যদি কাবিন নামায় স্ত্রীর হাতে দেওয়া হয় অথবা কাবিননামায় যদি স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার বিষয়ে অনুমতি দেওয়া হয় তবে সেই স্ত্রীর তার স্বামীকে তালাক দিতে পারবে। তবে কিছু কিছু কারণ এর কারণে এবং স্ত্রী তালাক এর শর্ত গুলো পূরণ হলে স্ত্রীর যদি তালাকের অনুমতি দেওয়া না থাকে কাবিননাতবে তবে স্ত্রী আদালত এর মাধ্যমে তালাক এর জন্য আবেদন করতে পারে। 

ইসলাম এর শরিয়া অনুযায়ী একজন স্ত্রী যদি তার স্বামীর কাছ থেকে তালাকের অনুমতি না পাই তবে সে স্ত্রী তার স্বামীকে তালাক দিতে পারবে না। তবে এখন কার কাবিননামা অনুযায়ী আপনার স্বামী যদি আপনাকে নির্যাতন করে অথবা আপনি যদি আপনার স্বামীর কাছ থেকে নির্যাতনের শিকার হয়ে থাকেন

তবে আপনি আদালতের মাধ্যমে তালাকের আবেদন করতে পারবেন। অথবা আপনি স্বামীকে ডিভোর্স দেওয়ার নিয়ম অনুসরণ করতে পারেন

মুখে তালাক দেওয়ার নিয়ম

আপনি মুখের মাধ্যমে শব্দ উচ্চারণ করার মাধ্যমেও স্বামী-স্ত্রীকে তালাক দিতে পারবে। একজন স্বামী যদি রাগের মাথায় অথবা সঠিক মনোভাব হবে তালাক শব্দটি তার স্ত্রীর জন্য উচ্চারণ করে তবে সেটি তালাক হয়ে যাবে। এবং তালাক এর সমার্থক শব্দ যদি তার স্ত্রীর জন্য উচ্চারণ করে তবে সেটি তালাক হয়ে যাবে। তালাক শব্দটির অর্থ হলো বিবাহ বিচ্ছেদ এর ঘোষণা করা। 

তালাকের অবশ্যই নিয়ম-নীতি রয়েছে ইসলাম শরীয়া অনুযায়ী। তালাক দেওয়ার জন্য একজন স্ত্রীকে পবিত্র অবস্থায় থাকতে হবে এবং সেই স্ত্রী যখন পবিত্র অবস্থায় থাকবে ঋতুচক্রের পূর্বে তাকে তালাক দিতে হবে অথবা ঋতুচক্রের পরে তাকে তালাক দিতে পারবে যখন তার স্ত্রী পবিত্র অবস্থায় থাকবে তখন সে তালাক দিতে পারবে। 
আরো পড়ুন: নেক সন্তান লাভের দোয়া
এবং তাকে সুস্পষ্ট ভাবে বলবে আমি তোমাকে তালাক দিলাম। এবং পুরোপুরি তালাক সম্পন্ন হওয়ার জন্য স্ত্রীকে ইদ্দত পালন করতে হয়। এই ইদ্দত ৯০ দিনের হয়ে থাকে। এই অবস্থায় যদি স্বামী তার স্ত্রীকে ফেরত নিতে চাই তবে তাকে আবার গ্রহণ করতে পারে। এবং দুজনেই যদি এই সিদ্ধান্তে অটুট থাকে যে তারা বিবাহ বিচ্ছেদ চাই

 তবে তাদের ৯০ দিনের পরে তারা সম্পূর্ণ তালাক নিয়ে নিতে পারবেন। তবে একসঙ্গে মুখ দিয়ে তিন তালাক দিলে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় কিনা সেটি নিয়ে অনেক মতভেদ রয়েছে। তবে একসঙ্গে তিন তালাক না দেওয়াই উত্তম এর জন্য আপনি একমাস পর পরে একটি করে তালাক দিতে পারেন। 

সম্পূর্ণ তালাক হয়ে গেলে আপনি আইনিভাবে সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারেন। আপনার স্বামী যদি আপনাকে তালাক দিতে না চাই তবে আপনি স্বামীকে ডিভোর্স দেওয়ার নিয়ম

ইসলামে স্ত্রী স্বামীকে তালাক দেওয়ার নিয়ম

ইসলাম এর আইন অনুযায়ী একজন স্ত্রী সরাসরি তার স্বামীকে মুখ দিয়ে তালাক দিতে পারে না। ইসলাম শুধুমাত্র স্বামীকেই কেই মুখ দিয়ে তালাক দেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন। তবে যদি স্ত্রী তালাক নিতে ইচ্ছুক হয় তবে তিনি তার স্বামীর সঙ্গে পরামর্শ করে তার তালাক নিতে পারে। 

এর জন্য তিনি তার স্বামীকে এমনভাবে বলতে পারে যে আমি তোমার থেকে কোন ধরনের দেনমোহর অথবা দিন উপায় না নিব না তুমি আমাকে তালাক দিয়ে দাও। এমন ধরনের আলোচনা করার মাধ্যমে তিনি তার স্বামীকে দিয়ে তালাক দিয়ে নিতে পারেন। এবং আপনার স্বামী থেকে তালাক নেওয়ার ক্ষেত্রে ইসলাম এর আইন মেনে চলতে হবে।

তালাক দিতে কত টাকা লাগে?

তালাক দেওয়ার কথা চিন্তা করলে সর্বপ্রথম মনে আসে তালাক দিতে কত টাকা লাগবে। আপনি যদি আদালতের মাধ্যমে তালাক দিতে চান তবে আপনার খরচ একটু বেশি পড়বে। কেননা আদালতের কিছু খরচ রয়েছে সেই খরচ গুলো আপনাকে বহন করতে হবে। 
তালাক-দিতে-কত-টাকা-লাগে?
তবে আপনি যদি গ্রাম অথবা শহরে সালিশের মাধ্যমে তালাক দেন তবে আপনার খরচ টা একটু কম হতে পারে। তালাক এর খরচের জন্য সর্বপ্রথম তালাকের জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে হয় এই রেজিস্ট্রেশন করার জন্য রেজিস্ট্রেশন ফি প্রয়োজন হয় ১০০০ টাকা। 

এবং অন্যান্য বিষয় বিবেচনা করে রেজিস্ট্রেশন করতে সর্বমোট খরচ হয়ে থাকে ১২০০ টাকার মত। তবে আপনি যদি কোন আইনজীবী এর সঙ্গে নিয়ে তালাকের ব্যবস্থা করেন তবে সেই আইনজীবী এবং তালাকের জন্য আরো অন্যান্য বিষয়ে খরচ হতে পারে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে এবং ভিন্ন ভিন্ন টাকা। 

তবে আপনার দেনমোহর যেটি রয়েছে সেটি যদি পরিশোধ করা না থাকে তবে তালাক দেওয়ার সময় অবশ্যই এটি আপনাকে পরিশোধ করা লাগবে। তবে আপনি যদি কোর্টের মাধ্যমে তালাকের ব্যবস্থা করেন তবে আপনি কোর্ট এর কাছ থেকে আপনার দেনমোহর পরিশোধ করার জন্য বিশেষ সময় নিতে পারেন। 

এবং তালাক এর জন্য রেজিস্ট্রেশন করার জন্য আপনি কাজী অফিসে যেতে পারেন। অথবা আদালতে যেতে পারেন।

তালাক কি মুখে উচ্চারণ করতে হয়?

আমরা যদি আমাদের স্ত্রীকে তালাক দিলাম এমন শব্দ ব্যবহার করি তবে এটি তালাক এর জন্য গণ্য করা হবে। অথবা তালাক এর মত অন্যান্য শব্দ যেটি তালাক শব্দ বহন করে এমন ধরনের শব্দ দিয়েও যদি কোন স্বামী তার স্ত্রীকে তালাক দেয় তবে ইসলাম শরিয়া অনুযায়ী সেটি তালাকের মৌলিক ঘোষণা হিসেবে গণ্য হবে। 
আরো পড়ুন: মেয়েদের চোখের নিচে কালো দাগ দূর করার ক্রিম
তবে অবশ্যই তালাক দেওয়ার সময় সেই স্বামীকে সাবালক হতে হবে এবং সে যদি সুষ্ঠু মস্তিষ্কের অধিকারী হয় তবেই সে তালাক দিতে পারবে। এবং তালাক দেওয়ার সময় স্বামীর মনে তালাক নিয়ে কোন ধরনের অসন্তুষ্টি বা দিব কি দিব না এমন ধরনের চিন্তা থাকা যাবে না। 

তাকে তালাক দেওয়ার জন্য অটুট এবং সঠিক চিন্তা করে তাকে পরে তারা দিতে হবে। এবং একসঙ্গে তিন তালাক দেওয়ার বিধানটি উত্তম নয় যে কারণে প্রত্যেক মাসে একটি করে তালাক দিতে পারে। এবং প্রত্যেক মাসে যদি একটা করে তালাক দেওয়া হয়

তবে স্বামী অথবা স্ত্রী দুজনে উভয়ে যদি আবার একসাথে থাকতে চাই তবে তারা একসাথে থাকতে পারবে ৯০ দিনের পূর্বে। যদি ৯০ দিন পার হয়ে যায় তবে এটি তালাকহিসেবে গণ্য করা হবে।

কোন কোন কারণে স্ত্রীকে তালাক দেওয়া যায়?

একজন স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার জন্য অনেক ধরনের কারণ থেকে থাকে। যে কারণগুলো যদি আপনার সঙ্গে ঘটে থাকে তবে আপনি তালাক দিতে পারবেন। তালাক দেওয়ার জন্য আপনার স্ত্রী যদি আপনার কথার অবাধ্য হয়ে থাকে আপনার প্রতি কোন দায়িত্ব পালন করে না তবে আপনি আপনার স্ত্রীকে তালাক দিতে পারবেন। 

আপনার স্ত্রী যদি আপনার নিষ্ঠুর আচরণ করে এবং আপনি এমন অবস্থায় রয়েছেন আপনি বাসায় থাকতে পারবেন না আপনাকে বাসা থেকে বেরিয়ে চলে যেতে হবে সেখান থেকে মুক্তি পেতে হলে। তবে আপনি তাকে তালাক দিতে পারেন। 

মানসিক অথবা শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হলে তালাক দেওয়া যায় অথবা আপনার স্ত্রী যদি আপনার দাম্পত্য জীবনে শারীরিক চাহিদা মেটাতে না পারে তবে তাকে তালাক দিতে পারবেন। আপনার স্ত্রীর যদি একাধিক সম্পর্ক থাকে তবে আপনি আপনার স্ত্রীকে তালাক দিতে পারেন।

আমাদের পরামর্শ

ওপরে আমরা আলোচনা করেছি স্বামীকে ডিভোর্স দেওয়ার নিয়ম এই নিয়ম অবলম্বন করে আপনি আপনার স্বামীকে ডিভোর্স দিতে পারবেন। তবে বিবাহ বিচ্ছেদ অনেক কষ্ট এবং অনেক বেদনার একটি বিষয়। তাই অবশ্যই চেষ্টা করবেন যেন এই বিচ্ছেদ না হয়। কেননা একটি বিচ্ছেদ শুধু একজন স্বামী এবং একজন স্ত্রীর মধ্যে হয়। 

যদি তাদের সন্তান থেকে থাকে তবে সেই সন্তানের মধ্যেও এই বিচ্ছেদ এর প্রভাব পড়ে। বিবাহ বিচ্ছেদের এর মানে হল দুইটি সংসার এবং দুইট পরিবার একসাথে একসাথে সম্পর্ক আলাদা হয়ে যাওয়া। তাই অবশ্যই চেষ্টা করবেন যেন একসাথে থাকা যায় যেন কখনোই না এমন সিদ্ধান্ত নিতে হয় যেন বিবাহ বিচ্ছেদ এর পথ বেছে নিতে হয়। 

এবং ওপরে আমরা শুধুমাত্র আপনাকে বিবাহ বিচ্ছেদ সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করেছি। তাই উপরে যদি কোন অংশ ভুল থেকে থাকে তবে সেটি অবশ্যই ভালোভাবে বিবেচনা করে দেখুন। আর যদি বিবাহ বিচ্ছেদ করতে হয় অথবা আপনার স্বামীকে দিবস দিতে হয় তবে স্বামীকে দিবস দেওয়ার নিয়ম অবলম্বন করতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url