ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা- সতর্ক হোন
গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবে নাআমরা অনেকেই জানিনা যে ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা । ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে দ্রুত সতর্ক হোন নিচে সকল বিষয়ের বিস্তারিত দেওয়া হলো:
সূচিপত্র: ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতাড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা- সতর্ক হোন
আমরা অনেকেই জানিনা যে ড্রাগন ফলের উপকারিতা কি চলুন জেনে নেওয়া যাক ড্রাগন ফলের উপকারিতা কি। এটা সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত ভালোভাবে জেনে নিই। ড্রাগন ফল (Dragon fruit), যাকে পিতায়া নামেও বলা হয়, এটি একটি খুবই পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যকর ফল। চলুন এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা:
- ভিটামিন ও খনিজ সমৃদ্ধ:এতে ভিটামিন C, বি কমপ্লেক্স, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম ইত্যাদি রয়েছে। ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে: ভিটামিন C এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
- হজমে সহায়ক: এতে উচ্চমাত্রায় ফাইবার (আঁশ) থাকায় পেটের সমস্যা যেমন কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং হজম প্রক্রিয়া ঠিক রাখে। ওজন কমাতে সহায়ক:এতে ক্যালোরি কম, কিন্তু ফাইবার বেশি, ফলে দ্রুত পেট ভরে এবং বেশি খিদে লাগে না।
- চামড়ার জন্য উপকারী: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং বার্ধক্যের ছাপ কমায়। হৃদযন্ত্রের জন্য ভালো: ড্রাগন ফলে থাকা ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোলেস্টেরল কমিয়ে হার্টকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক: নিয়মিত পরিমিত পরিমাণে খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করতে পারে। আয়রন সরবরাহ করে: আয়রন থাকায় এটি রক্তশূন্যতা বা অ্যানিমিয়া প্রতিরোধে সহায়ক। এইগুলাই হলো ড্রাগন ফলের উপকারিতা ।
- তোমরা অনেকেই জানিনা যে ড্রাগন ফল খাওয়ার কিছু অপকারিতা ও সতর্কতা আছে। সেগুলোও জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিচে বিস্তারিতভাবে দিচ্ছি:
- অতিরিক্ত খেলে হজমের সমস্যা: এতে উচ্চ মাত্রায় ফাইবার থাকে। অতিরিক্ত ফাইবার খেলে পেট ফাঁপা, গ্যাস, পেট ব্যথা বা ডায়রিয়া হতে পারে। অ্যালার্জি (অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া: কিছু মানুষের ড্রাগন ফলে অ্যালার্জি হতে পারে। যেমন চুলকানি, ফুসকুড়ি, মুখ বা জিভ ফোলা, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি।
- রক্তে শর্করার মাত্রা পরিবর্তন: ড্রাগন ফলে প্রাকৃতিক চিনি আছে। ডায়াবেটিস রোগীদের খুব বেশি না খাওয়াই ভালো, এবং খেলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়া উচিত। পেটে রঙ পরিবর্তন: বেশি ড্রাগন ফল (বিশেষ করে লাল জাতের) খেলে মলের বা প্রস্রাবের রঙ গোলাপি বা লাল হয়ে যেতে পারে, যা ভয়ের কিছু না হলেও অনেকেই চিন্তিত হয়ে পড়েন।
- কাদের সাবধান থাকা উচিত: যাদের পেটের সমস্যা বা সহজে গ্যাস হয়, তারা অল্প পরিমাণে খেতে হবে ডায়াবেটিস রোগী হলে নিয়মিত চিনি পরীক্ষা করে পরিমিতভাবে খেতে হবে। অ্যালার্জি প্রবণ ব্যক্তি প্রথমে এক বা দুই টুকরো খেয়ে দেখবেন, তারপরই বেশি খাবেন।
- কীভাবে খাবেন?: পরিমাণমতো (প্রতিদিন ১/২ কাপ বা মাঝারি আকারের ১/২ ফল যথেষ্ট)। সঠিকভাবে ধুয়ে খেতে হবে। নতুন ফল হিসেবে প্রথমবার খেলে সামান্য পরিমাণে খাবেন। এগুলো হলো ড্রাগন ফলের উপকারিতা।
ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম
আমরা অনেকেই জানি না যে ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম কি অনেকেই অনেক নিয়মে খেয়ে থাকি চলুন আমরা আজকে এটার বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেই। যে কিভাবে ড্রাগন ফল খেতে হয় ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম কি আজকে আমরা ভালোভাবে বিষয়গুলো জেনে নেব।ড্রাগন ফল খাওয়ার সঠিক নিয়ম ধাপে ধাপে সুন্দরভাবে নিচে দেওয়া হলো:
- ভালোভাবে ধুয়ে নিন: ফলের বাইরের অংশ ভালোভাবে পানি দিয়ে ধুয়ে নিন, যাতে ময়লা বা রাসায়নিক দূর হয়।কেটে ফেলুন: ফলটি মাঝ থেকে কেটে নিন। সাধারণত ড্রাগন ফলের ভেতরে সাদা বা লাল রঙের মাংসল অংশ থাকে, যাতে ছোট ছোট কালো বীজ থাকে।
- চামচ দিয়ে খাওয়া: আপনি চামচ দিয়ে ভেতরের অংশ বের করে সরাসরি খেতে পারেন। কিউব করে কেটে খেতে পারেন: ভেতরের অংশ ছোট ছোট টুকরো করে সালাদে, জুসে বা স্মুদি বানিয়ে খেতে পারেন।
- কখন খাবেন?: সকালে নাস্তার পর বা দুপুরে। বিকালের হালকা খাবার হিসেবে। খালি পেটে না খাওয়াই ভালো, বিশেষ করে যাদের পেটের সমস্যা আছে।
- কতটুকু খাবেন?: প্রতিদিন ১/২ কাপ বা একটি মাঝারি আকারের ফলের অর্ধেক খাওয়া নিরাপদ এবং যথেষ্ট। অতিরিক্ত না খাওয়াই ভালো, কারণ এতে ফাইবার বেশি থাকে যা হজমে সমস্যা করতে পারে।
- বিশেষ সতর্কতা: অতিরিক্ত খেলে পেটে গ্যাস, ডায়রিয়া বা অ্যালার্জির সমস্যা হতে পারে। ডায়াবেটিস থাকলে ডাক্তারের পরামর্শে খেতে হবে। কোনভাবে খেতে পারেন?: সরাসরি চামচ দিয়ে। ফলের সালাদে মিশিয়ে। দই বা ওটসের সাথে মিশিয়ে। জুস বা স্মুদি করে। এই গুলোই হলো ড্রাগন ফলের উপকারিতা।
- ড্রাগন ফল সালাদ: ড্রাগন ফল ১টি (কিউব করে কাটা) আপেল ১/২টি (কিউব করে কাটা) কলা ১টি (কাটা) লেবুর রস ১ টেবিল চামচ মধু ১ টেবিল চামচ (ইচ্ছে হলে) এক চিমটি লবণ।সব ফল একসাথে মিশিয়ে নিন। লেবুর রস, মধু এবং লবণ মিশিয়ে নাড়ুন।ফ্রিজে ৫-১০ মিনিট রেখে ঠান্ডা করে পরিবেশন করুন। এগুলোই হলো ড্রাগন ফলের উপকারিতা।
- ড্রাগন ফল ফ্রুট বোল: ড্রাগন ফল ১/২টি (স্কুপ করে নিন) টক দই ১/২ কাপ গ্র্যানোলা ২ টেবিল চামচ বাদাম, কাজু, কিশমিশ পরি মাণমতো। ড্রাগন ফলের ভিতরের অংশ বাটিতে নিন। দই, গ্র্যানোলা এবং বাদাম/কিশমিশ দিয়ে সুন্দর করে সাজান। চামচ দিয়ে মিশিয়ে ঠান্ডা ঠান্ডা খেয়ে ফেলুন।
ড্রাগন ফলের ক্ষতিকর দিক
আমাদের অনেকের মনে প্রশ্ন থাকতে পারে যে ড্রাগন ফলের ক্ষতিকর দিক কি চলুন আমরা এটার বিষয়ে বিস্তারিত ভালোভাবে জেনে নিই। ড্রাগন ফল (Dragon fruit), যা আমরা পিতায়া নামেও চিনি, সাধারণত খুবই স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিকর। তবে কিছু ক্ষতিকর দিক বা সতর্কতা আছে, সেগুলো জানা দরকার। নিচে বিস্তারিত দেওয়া হলো
- অতিরিক্ত খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে ড্রাগন ফলে ফাইবার (আঁশ) অনেক বেশি থাকে। বেশি খেলে ডায়রিয়া, পেট ফাঁপা, গ্যাস বা পেট ব্যথার সমস্যা হতে পারে।
- অ্যালার্জি বা এলার্জির প্রতিক্রিয়া কিছু মানুষের ক্ষেত্রে ড্রাগন ফল খাওয়ার পর ফুসকুড়ি, চুলকানি, ঠোঁট বা জিহ্বা ফুলে যাওয়া, গলা চুলকানো, বমি বা শ্বাসকষ্টের মতো অ্যালার্জির লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
- রক্তে শর্করার মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে ড্রাগন ফলে প্রাকৃতিক চিনির পরিমাণ থাকে। তবে কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, এটি রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে পারে, বিশেষ করে যদি কারো ডায়াবেটিসের ওষুধ চলতে থাকে। তাই ডায়াবেটিস রোগীরা সাবধানে খাবেন।
- রঙের কারণে মূত্র বা মল লালচে হতে পারে লাল ড্রাগন ফল খেলে অনেক সময় মল বা প্রস্রাবের রঙ লালচে বা গোলাপি হয়ে যেতে পারে। এটা ক্ষতিকর না হলেও অনেকেই ভয় পেতে পারেন।
- অতিরিক্ত পটাশিয়াম গ্রহণের ঝুঁকি যাদের কিডনির সমস্যা আছে, তাদের জন্য বেশি পটাশিয়াম ক্ষতিকর হতে পারে। ড্রাগন ফলে পটাশিয়াম থাকে, তাই কিডনি রোগীদের সতর্ক থাকতে হবে।
- কীভাবে নিরাপদে খাবেন?: প্রতিদিন ১/২ বা ১টি মাঝারি আকারের ফল যথেষ্ট। প্রথমবার খাওয়ার আগে অল্প পরিমাণে চেষ্টা করুন। যদি কোনো অ্যালার্জির লক্ষণ দেখা দেয়, সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করুন। দীর্ঘমেয়াদি রোগ (ডায়াবেটিস, কিডনি সমস্যা) থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। এইগুলাই হলো ড্রাগন ফলের উপকারিতা।
গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা
আমরা অনেকেই জানিনা যে গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা কি চলুন এটার বিষয়ে আমরা ভালোভাবে বিস্তারিত জেনে নেই। গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফল খাওয়া খুবই উপকারী, কারণ এতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান থাকে যা মায়ের ও শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য দরকার। নিচে বিস্তারিতভাবে দেওয়া হলো
- পুষ্টি ও শক্তি যোগায়: ড্রাগন ফলে ভিটামিন সি, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফাইবার, এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এগুলো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং মা ও শিশুর পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করে।
- রক্তশূন্যতা প্রতিরোধে সাহায্য করে: ড্রাগন ফলে আয়রন থাকে, যা রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। এতে গর্ভকালীন রক্তশূন্যতার ঝুঁকি কমে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: ভিটামিন সি এবং অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে। ফলে মা সহজে অসুস্থ হয় না।
- হাড় ও দাঁত মজবুত করে: ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস গর্ভাবস্থায় হাড় ও দাঁতের গঠন মজবুত রাখতে সাহায্য করে, যা মা ও শিশুর জন্য দরকারি। শিশুর সুস্থ বিকাশে সহায়ক: ফলটির ভেতরে থাকা বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ শিশুর মস্তিষ্ক ও অন্যান্য অঙ্গের সঠিক বিকাশে সহায়তা করে।
- সতর্কতা:বেশি খেলে পেটে গ্যাস বা ডায়রিয়া হতে পারে।প্রথমবার খাওয়ার আগে অল্প পরিমাণে খান।কোনো অ্যালার্জি থাকলে খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা
আমরা অনেকেই জানিনা যে ড্রাগন ফলের পুষ্টি গুণ ও উপকারিতা কি চলুন আমরা এটার বিষয়ে ভালোভাবে বুঝাইতে পারিনি যে ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা কি । নীচে ড্রাগন ফলের (Dragon fruit) পুষ্টিগুণ এবং উপকারিতা বিস্তারিতভাবে দেওয়া হলো
- ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ: প্রতি ১০০ গ্রাম ড্রাগন ফলে সাধারণত থাকে: ক্যালোরি: ৫০–৬০ ক্যালোরি কার্বোহাইড্রেট: ১১–১৩ গ্রাম ফাইবার (আঁশ): ৩ গ্রাম প্রোটিন: ১–২ গ্রাম ভিটামিন সি: ৩–৪০% দৈনিক চাহিদা ক্যালসিয়াম: ৮–১০ মি.গ্রা. আয়রন: ১–২ মি.গ্রা. ম্যাগনেশিয়াম: ১০ মি.গ্রা. অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট: বিটালাইন, ফ্ল্যাভোনয়েড, পলিফেনল ইত্যাদি।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে: ড্রাগন ফলে থাকা ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে, যা নানা ধরনের সংক্রমণ এবং রোগ থেকে রক্ষা করে। হজমে সহায়ক: উচ্চ পরিমাণ ফাইবার থাকার কারণে হজম ভালো হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য (constipation) কমায়।
- রক্তস্বল্পতা (অ্যানিমিয়া) প্রতিরোধে সহায়তা করে: ড্রাগন ফলে থাকা আয়রন রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়ায়, যা অ্যানিমিয়া প্রতিরোধে কার্যকর। হার্টের সুস্থতা রক্ষা করে: এতে থাকা ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) কমাতে সাহায্য করে এবং হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখে।
- ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়: ড্রাগন ফল খেলে ত্বক আরও উজ্জ্বল ও টানটান হয়। ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক: ক্যালোরি কম, ফাইবার বেশি ফলে এটি ক্ষুধা কমায় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভালো উৎস: শরীরে টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে এবং বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।হাড় ও দাঁত মজবুত করে: ম্যাগনেশিয়াম ও ক্যালসিয়াম থাকার কারণে হাড় ও দাঁত মজবুত হয়।
- কীভাবে খাবেন?: কাঁচা ফল কেটে সরাসরি খেতে পারেন। স্মুদি, সালাদ, জুস বা ডেজার্টের সাথে মিশিয়ে খাওয়া যায়। সতর্কতা: অতিরিক্ত খেলে পেট ফাঁপা বা ডায়রিয়া হতে পারে। তাই পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত।
বাচ্চাদের ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা
আমরা অনেকেই জানিনা যে বাচ্চাদের ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা কি চলুন এটার বিষয়ে আমরা ভালোভাবে বিস্তারিত জেনে নেই। যে বাচ্চাদের ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা। ড্রাগন ফল বাচ্চাদের জন্য একেবারেই নিরাপদ এবং খুবই পুষ্টিকর। নীচে বাচ্চাদের জন্য ড্রাগন ফলের উপকারিতা বিস্তারিত নিচে দেওয়া হলো:
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: ড্রাগন ফলে ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এগুলো বাচ্চাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে, ফলে সহজে সর্দি-কাশি বা ছোটখাটো ইনফেকশন হয় না।
- হজম ভালো রাখে: ড্রাগন ফলে ফাইবার (আঁশ) বেশি থাকে। এটি বাচ্চাদের হজম শক্তি বাড়ায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য (constipation) প্রতিরোধ করে।শক্তি ও পুষ্টি যোগায়: ড্রাগন ফলে কার্বোহাইড্রেট, প্রাকৃতিক চিনি ও বিভিন্ন ভিটামিন থাকে, যা বাচ্চাদের দৌড়ঝাঁপ, খেলা এবং দৈনন্দিন কাজে পর্যাপ্ত শক্তি দেয়। এগুলাই হলো ড্রাগন ফলের উপকারিতা।
- হাড় ও দাঁত মজবুত করে: এতে থাকা ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস বাচ্চাদের হাড় ও দাঁতের গঠন মজবুত রাখতে সাহায্য করে। ত্বক ও চোখের জন্য ভালো: ভিটামিন সি ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান বাচ্চাদের ত্বককে সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর রাখে, এবং চোখের স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। এগুলাই হলো ড্রাগন ফলের উপকারিতা।
- রক্তশূন্যতা প্রতিরোধে সহায়ক: ড্রাগন ফলে আয়রন থাকে, যা বাচ্চাদের রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। এইগুলাই হলো ড্রাগন ফলের উপকারিতা।
- কখন বাচ্চাদের ড্রাগন ফল খাওয়ানো উচিত?:৬–৮ মাসের পর বাচ্চাদের ছোট করে পেস্ট বা মিহি করে ড্রাগন ফলের রস খাওয়ানো যেতে পারে। ১ বছরের পর থেকে টুকরা করে খেতে দিতে পারেন, তবে প্রথমে অল্প পরিমাণে দিন। এগুলাই হলো ড্রাগন ফলের উপকারিতা।
ড্রাগন ফল খাওয়ার সঠিক সময়
আমরা অনেকেই জানিনা যে ড্রাগন ফল খাওয়ার সঠিক সময়। চলুন আমরা এটাই বিষয়ে ভালোভাবে বিস্তারিত জেনে নিন যে ড্রাগন ফল খাওয়ার সঠিক সময় কখন।ড্রাগন ফল খাওয়ার সঠিক সময় জানলে আপনি এর পুষ্টিগুণ আরও ভালোভাবে পেতে পারবেন। নিচে বিস্তারিতভাবে দেওয়া হলো:
- সকালে খালি পেটে (সবচেয়ে ভালো): সকালে খালি পেটে বা ব্রেকফাস্টের সময় ড্রাগন ফল খেলে এর ভিটামিন, মিনারেল ও ফাইবার সহজে শোষিত হয়।সকালে ফল খেলে সারাদিন সতেজ ও উদ্যমী বোধ হয়।
- দুপুরে বা দুপুরের খাবারের পর: দুপুরের খাবারের পর হালকা ডেজার্ট হিসেবে ড্রাগন ফল খেতে পারেন। এটি হজমে সহায়তা করে এবং অতিরিক্ত মিষ্টি খাবারের বদলে স্বাস্থ্যকর বিকল্প হিসেবে কাজ করে।
- বিকেলে স্ন্যাক্স হিসেবে: বিকেলে ক্ষুধা মেটানোর জন্য ড্রাগন ফল দারুণ একটি স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক্স। -বিস্কুট বা ফাস্ট ফুডের বদলে এটি অনেক ভালো বিকল্প।
- যখন না খাওয়াই ভালো: রাতে ঘুমানোর আগে বেশি ফল খেলে গ্যাস বা পেট ফাঁপা হতে পারে। রাতে ফল খেলে শরীরের শর্করার মাত্রা হঠাৎ বেড়ে যেতে পারে, যা কিছু মানুষের জন্য ঠিক নয়।
ড্রাগন ফল খেলে কি পায়খানা লাল হয়
আমরা অনেকেই মনে করি যে ড্রাগন ফল খেলে কি পায়খানা লাল হয় ।চলুন এটার বিষয়ে আমরা বিস্তারিত ভালো হবে জেনে নেই। ড্রাগন ফল খেলে পায়খানা (মল) এবং কখনও কখনও প্রস্রাবও লাল বা গোলাপি রঙের হতে পারে, বিশেষ করে লাল রঙের ড্রাগন ফল খেলে। কেন পায়খানা লাল হয় এটা নিচে দেওয়া হলো:
- লাল ড্রাগন ফলে বেটালাইন (betalain) নামের প্রাকৃতিক রঙের উপাদান থাকে। এই রঙ শরীর পুরোপুরি ভেঙে ফেলতে পারে না, তাই কিছু অংশ সরাসরি মলের সঙ্গে বেরিয়ে আসে। অনেক সময় প্রস্রাবেও হালকা লালচে বা গোলাপি রঙ দেখা দিতে পারে।
- ভয় পাওয়ার দরকার নেই: এটি একেবারেই স্বাভাবিক এবং কোনো ক্ষতিকর লক্ষণ নয়। কিছু মানুষ প্রথমবারে ভয় পেয়ে ভাবতে পারেন রক্ত এসেছে, আসলে তা নয়।
- কখন ডাক্তার দেখাবেন?: যদি নিচের কোনো সমস্যা দেখা দেয়, তখন অবশ্যই ডাক্তার দেখানো উচিত: পায়খানায় রক্তের মতো ঢেলা বা দাগ দেখা যায়। বারবার পেট ব্যথা বা বমি হয়। শরীর দুর্বল লাগে বা মাথা ঘোরে।
ড্রাগন ফল খেলে কি প্রস্রাব লাল হয়
আমাদের অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে যে ড্রাগন ফল খেলে কি প্রস্রাব লাল হয়। চলুন এটার বিষয়ে বিস্তারিত ভালোভাবে জেনে নিতে সত্যিই কি ড্রাগন ফল খেলে প্রস্রাব লাল হয়। হ্যাঁ, ড্রাগন ফল বিশেষ করে লাল বা গাঢ় গোলাপি ভেতরের ড্রাগন ফল খেলে অনেকের প্রস্রাব লালচে বা গোলাপি রঙের হতে পারে।
- কেন প্রস্রাব লাল হয়?: লাল ড্রাগন ফলে বেটালাইন (Betalain) নামের প্রাকৃতিক রঙের উপাদান থাকে। এই রঙ পুরোপুরি হজম হয় না, কিছু অংশ শরীর থেকে বেরিয়ে আসে। এটি প্রস্রাবের সঙ্গে মিশে গেলে প্রস্রাবের রঙ লালচে বা গোলাপি দেখা যায়।
- ভয় পাওয়ার দরকার আছে কি?: না, এতে কোনো ক্ষতি নেই। এটা একদম স্বাভাবিক, এবং শরীরের জন্য কোনো বিপদজনক লক্ষণ নয়। অনেকেই প্রথমবারে ভয় পান, ভাবেন রক্ত এসেছে। কিন্তু এটা শুধুই রঙের কারণে।
- কখন সাবধান হবেন?: যদি প্রস্রাবের রঙের পাশাপাশি নিচের লক্ষণগুলো থাকে, তখন অবশ্যই ডাক্তার দেখাবেন: প্রস্রাবে ব্যথা বা জ্বালাপোড়া প্রস্রাবের সাথে রক্তের ঢেলা,জ্বর,পেটের তীব্র ব্যথা তখন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ নিতে হয়।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url