ওয়ার্ডপ্রেস কি - ওয়ার্ডপ্রেস এর সুবিধা
গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখুন - ক্যারিয়ার গড়ুনপ্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলটি আমরা লিখেছি মূলত ওয়ার্ডপ্রেস কি -
ওয়ার্ডপ্রেস এর সুবিধা বিষয়কে কেন্দ্র করে। সঙ্গে থাকছে ওয়ার্ডপ্রেস শিখে
ওয়েবসাইট বানিয়ে আয় করুন। সম্পর্কিত অতিরিক্ত তথ্যও, যা পড়লে আপনি পুরো বিষয়টি
সহজেই বুঝতে পারবেন, ইন শা আল্লাহ।
সূচিপত্র: ওয়ার্ডপ্রেস কি - ওয়ার্ডপ্রেস এর সুবিধা
ওয়ার্ডপ্রেস কি - ওয়ার্ডপ্রেস এর সুবিধা
আমরা অনেকেই ওয়ার্ডপ্রেস কি এ বিষয়ে ততটাও জানিনা, বর্তমান অনলাইন দুনিয়ায় একটি
প্রশ্ন খুব সাধারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ওয়ার্ডপ্রেস কি? এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজেন
তারা, যারা অনলাইনে নিজস্ব একটি ওয়েবসাইট বানাতে চান, কিন্তু প্রোগ্রামিং ভাষা বা
কোডিং সম্পর্কে বিশেষ কোনো জ্ঞান নেই।
একদম সহজভাবে বললে, ওয়ার্ডপ্রেস হলো একটি ওপেন সোর্স কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট
সিস্টেম (CMS), যার মাধ্যমে আপনি খুব সহজে, কোডিং না জেনেও, একটি প্রফেশনাল
ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন।ওয়ার্ডপ্রেস মূলত PHP এবং MySQL ভিত্তিক একটি
সফটওয়্যার প্ল্যাটফর্ম।
এটি প্রথমে ব্লগিংয়ের জন্য তৈরি হয়েছিল ২০০৩ সালে, কিন্তু আজকের দিনে এটি দিয়ে
তৈরি হচ্ছে ই-কমার্স, নিউজ পোর্টাল, কোম্পানি প্রোফাইল, অনলাইন শিক্ষা সাইটসহ সব
ধরনের ওয়েবসাইট। এমনকি NASA, BBC, এবং TechCrunch-এর মতো বড় বড় প্রতিষ্ঠানের
ওয়েবসাইটও ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে তৈরি।
আপনি যদি নিজে থেকে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান এবং সেটা নিয়ন্ত্রণ করতে চান,
তাহলে ওয়ার্ডপ্রেস আপনাকে সে স্বাধীনতা দেয়। এতে রয়েছে অসংখ্য থিম এবং প্লাগইন,
যেগুলোর মাধ্যমে আপনি একদম পছন্দ অনুযায়ী ডিজাইন ও ফিচার যোগ করতে পারবেন।
আরো পড়ুন: What is affiliate marketing amazon
ওয়ার্ডপ্রেস কি - ওয়ার্ডপ্রেস এর সুবিধা। চাইলে ফর্ম তৈরি করতে পারেন, চাইলে
গ্যালারি বা ভিডিও সেকশন তৈরি করতে পারেন সবই একদম সহজ ক্লিকে। ওয়ার্ডপ্রেস কি
শুধু ডেভেলপারদের জন্য? একদম না। একজন সাধারণ ব্যবহারকারী, যিনি কম্পিউটারে শুধু
ইন্টারনেট চালাতে জানেন, সেও ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট বানাতে পারবেন। এই
কারণেই এটি এত জনপ্রিয়।
আর একটা বিষয় এখানে গুরুত্বপূর্ণ WordPress দুটি জায়গায় পাওয়া যায়:
১. WordPress.com: এটা হোস্টেড সেবা, যেখানে আপনি ফ্রি বা পেইড প্ল্যান
ব্যবহার করে ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন।
২. WordPress.org: এটি হচ্ছে মূল ওপেন সোর্স সফটওয়্যার, যেটা আপনাকে নিজে
হোস্টিং নিয়ে ইনস্টল করে ব্যবহার করতে হয়।
সব মিলিয়ে যদি বলা হয়, ওয়ার্ডপ্রেস কি, তাহলে বলা যায় এটি হলো এমন একটি ডিজিটাল
হাতিয়ার যার সাহায্যে আপনি নিজের স্বপ্নের ওয়েবসাইটটি তৈরি করতে পারেন একদম নিজের
মতো করে, নিজের নিয়ন্ত্রণে।
ওয়ার্ডপ্রেস এর সুবিধা আপনি যখন জানলেন ওয়ার্ডপ্রেস কি, তখন
স্বাভাবিকভাবে আপনার মনে প্রশ্ন জাগে ওয়ার্ডপ্রেস এর সুবিধা কী কী? কেন লক্ষ
লক্ষ মানুষ এটি ব্যবহার করছে, এবং কেন আপনারও এটা শিখে নেওয়া উচিত? ওয়ার্ডপ্রেস
এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এটি ফ্রি এবং ওপেন সোর্স।
অর্থাৎ, আপনি কোনো টাকা খরচ না করেই এটি ডাউনলোড ও ব্যবহার করতে পারবেন। এমনকি
হোস্টিং ও ডোমেইন থাকলে নিজেই নিজের ওয়েবসাইট চালু করতে পারবেন। এরপর আসে
ব্যবহারযোগ্যতার সহজতা।
ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করতে আপনাকে কোনো কোডিং জানার প্রয়োজন নেই। এর ইউজার
ইন্টারফেস এতটাই সহজ ও সরল যে আপনি কয়েক ক্লিকেই থিম পরিবর্তন, কনটেন্ট আপলোড,
ছবি যুক্ত করা, এমনকি নতুন পেজ তৈরি করতে পারবেন।
আরও একটি উল্লেখযোগ্য সুবিধা হলো থিম ও প্লাগইন সুবিধা। ওয়ার্ডপ্রেস এ হাজার
হাজার থিম রয়েছে ফ্রি ও পেইড। থিম দিয়ে আপনি ওয়েবসাইটের ডিজাইন এক ক্লিকেই
পরিবর্তন করতে পারেন। একইভাবে, বিভিন্ন প্লাগইন ব্যবহার করে আপনি চাইলে ওয়েবসাইটে
ফর্ম, SEO অপশন, গ্যালারি, চ্যাটবক্স, ই-কমার্স সিস্টেমসহ নানা ফিচার যুক্ত করতে
পারেন।
SEO ফ্রেন্ডলি হওয়াটাও অন্যতম একটি বড় সুবিধা। গুগল ও অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন
ওয়ার্ডপ্রেস ভিত্তিক সাইটগুলো সহজেই ইনডেক্স করতে পারে। এতে রয়েছে জনপ্রিয় SEO
প্লাগইন যেমন Yoast SEO বা Rank Math, যেগুলোর মাধ্যমে আপনি প্রতিটি পেজ ও
পোস্টের জন্য SEO অপটিমাইজেশন করতে পারবেন সহজেই।
আরো যা যুক্ত হয় তা হলো এর মোবাইল ফ্রেন্ডলিনেস এবং রেসপনসিভ ডিজাইন। আজকের দিনে
প্রায় ৭০% মানুষ মোবাইল থেকে ওয়েবসাইট ব্রাউজ করে, এবং ওয়ার্ডপ্রেসের থিমগুলো
বেশিরভাগই মোবাইল রেসপনসিভ যা সাইটকে সকল ডিভাইসে সুন্দর দেখায়।
ওয়ার্ডপ্রেস এর সুবিধা এর মধ্যে অন্যতম হলো এর বিশাল ইউজার কমিউনিটি এবং
ডকুমেন্টেশন। আপনি যদি কোথাও আটকে যান, সাহায্য পেতে কোনো সমস্যাই হবে
না।ওয়ার্ডপ্রেস কি - ওয়ার্ডপ্রেস এর সুবিধা।
হাজার হাজার ব্লগ, ভিডিও টিউটোরিয়াল, ফেসবুক গ্রুপ সবখানেই ওয়ার্ডপ্রেস ইউজাররা
একে অপরকে সহযোগিতা করছে। সবমিলিয়ে, ওয়ার্ডপ্রেস এর সুবিধা বলতে গেলে একটা লম্বা
তালিকা করা যায়।
কিন্তু সংক্ষেপে বললে, এটি হলো এমন এক ডিজিটাল হাতিয়ার, যা আপনার ওয়েবসাইট তৈরির
স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে পারে সহজে, দ্রুত এবং দক্ষতার সঙ্গে।
ওয়ার্ডপ্রেস শিখে ওয়েবসাইট বানিয়ে আয় করুন
বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আলোচিত এবং সম্ভাবনাময় দক্ষতার একটি হলো ওয়ার্ডপ্রেস।
অনলাইনে আয়ের যতগুলো মাধ্যম রয়েছে, তার মধ্যে সবচেয়ে সহজ, বাস্তবসম্মত এবং
দীর্ঘমেয়াদে কার্যকর হলো ওয়ার্ডপ্রেস শিখে ওয়েবসাইট বানিয়ে আয় করার পথটি।
বিশেষ করে যারা কোডিং না জেনে ডিজিটাল ক্যারিয়ার গড়তে চান, তাদের জন্য WordPress
হতে পারে একটি সোনার খনি। অনেকেই ভাবেন, অনলাইনে আয় করতে হলে হয়তো YouTube করতে
হবে, অথবা Affiliate Marketing শিখতে হবে।
কিন্তু এইসব ক্ষেত্রের চেয়ে ওয়ার্ডপ্রেস শিখে আয় করার সম্ভাবনা অনেক বেশি বাস্তব
এবং নির্ভরযোগ্য। আপনি যদি ওয়েবসাইট তৈরি ও কাস্টমাইজ করতে পারেন, তাহলে বিশ্বের
যেকোনো দেশ থেকে ক্লায়েন্ট পেতে পারেন।
আরো পড়ুন: শপিফাই ড্রপশিপিং কি
কারণ, প্রতিদিন হাজার হাজার ব্যক্তি, কোম্পানি, অনলাইন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নতুন
ওয়েবসাইট বানাতে চায়। আপনি চাইলে প্রথমে নিজের জন্য একটি ওয়েবসাইট বানাতে পারেন।
সেটা হতে পারে ব্লগ, পোর্টফলিও, বা ছোট ই-কমার্স সাইট।
সেখান থেকে আপনি কাজ শিখে আত্মবিশ্বাস অর্জন করতে পারবেন। তারপর Fiverr, Upwork,
Freelancer ইত্যাদি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে প্রোফাইল খুলে প্রজেক্টের জন্য
বিড করা শুরু করতে পারেন।
অনেকে আবার Facebook Marketplace বা LinkedIn ব্যবহার করেও ক্লায়েন্ট সংগ্রহ করে
কাজ করছেন। একজন দক্ষ ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপার হিসেবে আপনি প্রতিটি ওয়েবসাইট তৈরি
করে ৫০ থেকে শুরু করে ৫০০ ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারেন।
বিশেষ করে যদি আপনি থিম কাস্টমাইজেশন, Elementor ডিজাইন, WooCommerce
ইন্টিগ্রেশন, স্পিড অপ্টিমাইজেশন এসব কাজ শিখে ফেলেন, তাহলে আপনার ইনকাম আরও
বহুগুণে বাড়বে। আরো একটি মজার বিষয় হলো,
আপনি চাইলে নিজের তৈরি করা ওয়েবসাইটে Google AdSense ব্যবহার করে প্যাসিভ ইনকাম
করতে পারেন। অনেকেই শুধু ব্লগ লিখে বা রিভিউ ওয়েবসাইট বানিয়ে প্রতি মাসে হাজার
হাজার টাকা আয় করছেন। আপনি চাইলে Affiliate Marketing, Sponsored Content, বা
Digital Product বিক্রির মাধ্যমেও আয় করতে পারবেন।
এই স্কিল একবার শিখে ফেললে সেটা আপনার সারাজীবনের জন্য থেকে যাবে। চাকরির প্রয়োজন
পড়বে না, আর আপনি চাইলে ঘরে বসেই আয় করতে পারবেন। যদি আপনি স্বপ্ন দেখেন
অনলাইন আয়ের, নিজের পায়ে দাঁড়ানোর,
তাহলে আজই শুরু করুন ওয়ার্ডপ্রেস শিখে ওয়েবসাইট বানানো এবং আয় করার যাত্রা। এটা
শুধু একটি স্কিল নয়, এটা হতে পারে আপনার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো একটি
সিদ্ধান্ত।ওয়ার্ডপ্রেস কি - ওয়ার্ডপ্রেস এর সুবিধা।ওয়ার্ডপ্রেস শিখে ওয়েবসাইট
বানিয়ে আয় করুন।
কিভাবে ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করবো
বর্তমান ডিজিটাল যুগে একটি ওয়েবসাইট শুধু অনলাইন উপস্থিতি নয়, বরং এটি একটি
পরিচিতি, একটি পরিচয়, এমনকি একটি ব্যবসার প্ল্যাটফর্ম। অনেকেই জানেন না যে
প্রোগ্রামিং না জেনেও খুব সহজেই একটি প্রফেশনাল ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়।
আর এর সবচেয়ে সহজ উপায় হলো ওয়ার্ডপ্রেস। এখন প্রশ্ন কিভাবে ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে
ওয়েবসাইট তৈরি করবো? প্রথমেই আপনাকে বুঝতে হবে ওয়ার্ডপ্রেসে দুইটি প্ল্যাটফর্ম
রয়েছে: WordPress.com এবং WordPress.org। আপনি যদি একদম ফ্রিতে সিম্পল ব্লগ
বানাতে চান,
আরো পড়ুন: What is Crypto Trading in details
তাহলে WordPress.com ব্যবহার করতে পারেন। তবে যদি প্রফেশনাল ওয়েবসাইট বানিয়ে
নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান এবং ভবিষ্যতে আয়ের পরিকল্পনা থাকে, তাহলে WordPress.org
ব্যবহার করাই বেস্ট।
চলুন জেনে নিই ধাপে ধাপে কিভাবে একটি ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট তৈরি করবেন:
প্রথম ধাপ: ডোমেইন ও হোস্টিং কিনতে হবে
আপনাকে প্রথমে একটি ডোমেইন (যেমন: www.apnarwebsite.com) এবং একটি হোস্টিং
(যেখানে ওয়েবসাইটের ফাইলগুলো থাকবে) কিনতে হবে। আজকাল অনেক বিশ্বস্ত হোস্টিং
কোম্পানি রয়েছে যেমন: Hostinger, Namecheap, Bluehost ইত্যাদি।
দ্বিতীয় ধাপ: হোস্টিংয়ের cPanel থেকে ওয়ার্ডপ্রেস ইনস্টল করা
হোস্টিং কেনার পর আপনি একটি cPanel নামক কন্ট্রোল প্যানেল পাবেন, যেখানে
Softaculous বা এক ক্লিক ইনস্টলার ব্যবহার করে খুব সহজেই ওয়ার্ডপ্রেস ইনস্টল
করতে পারবেন। কোনো কোডিং লাগে না মাত্র কয়েক ক্লিকেই কাজ হয়ে যাবে।
তৃতীয় ধাপ: থিম ইনস্টল ও কাস্টমাইজেশন
ওয়ার্ডপ্রেস ইনস্টল করার পর আপনাকে একটি থিম সিলেক্ট করতে হবে। আপনি চাইলে ফ্রি
থিম ব্যবহার করতে পারেন বা পেইড থিম কিনে আরও আকর্ষণীয় ওয়েবসাইট বানাতে পারেন।
থিম ইনস্টল করার পর Customize অপশন থেকে আপনি নিজের লোগো, মেনু, কালার স্কিম,
ফন্ট ইত্যাদি পরিবর্তন করতে পারবেন।
চতুর্থ ধাপ: পেজ ও কনটেন্ট তৈরি
এখন আপনি প্রয়োজন অনুযায়ী পেজ তৈরি করবেন। যেমন: Home, About Us, Services,
Contact ইত্যাদি। ওয়ার্ডপ্রেসে পেজ তৈরি করা খুবই সহজ এটা অনেকটা Microsoft Word
এ টাইপ করার মত। চাইলে Elementor বা Gutenberg Page Builder ব্যবহার করে আপনি
ড্র্যাগ অ্যান্ড ড্রপ পদ্ধতিতে ডিজাইন করতে পারবেন।
পঞ্চম ধাপ: প্রয়োজনীয় প্লাগইন ইনস্টল
ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করতে গেলে কিছু প্রয়োজনীয় ফিচার দরকার হয়। এজন্য
রয়েছে প্লাগইন। উদাহরণস্বরূপ:
- Yoast SEO (SEO সেটআপের জন্য)
- Contact Form 7 (ফর্ম বানাতে)
- WP Super Cache (ওয়েবসাইট ফাস্ট করতে)
- Elementor (ডিজাইন করতে)
ওয়েবসাইট পাবলিশ ও রক্ষণাবেক্ষণ
সবকিছু শেষ হলে ওয়েবসাইট পাবলিশ করুন এবং নিয়মিত আপডেট ও ব্যাকআপ নিতে ভুলবেন না।
এইভাবে আপনি খুব সহজেই জানতে পারবেন কিভাবে ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি
করবো এবং নিজের বা অন্যের জন্য অসাধারণ ডিজাইনযুক্ত ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন
কোনো কোডিং জ্ঞান ছাড়াই।
সুতরাং, ভয় না পেয়ে একবার চেষ্টা করুন।ওয়ার্ডপ্রেস কি - ওয়ার্ডপ্রেস এর সুবিধা।
একবার ওয়েবসাইট তৈরি করার মজা পেয়ে গেলে আপনি নিজেই চমকে যাবেন নিজের কাজ দেখে।
আর একদিন হয়তো এটিই হতে পারে আপনার অনলাইন ইনকামের বড় মাধ্যম।ওয়ার্ডপ্রেস শিখে
ওয়েবসাইট বানিয়ে আয় করুন।
ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ফ্রি ওয়েবসাইট তৈরি করুন
এই ডিজিটাল যুগে একটা ওয়েবসাইট থাকা যেন নিজের একটা পরিচয়পত্র। আপনি যদি একজন
ছাত্র, ফ্রিল্যান্সার, লেখক, ছোট উদ্যোক্তা, কিংবা নতুন কোনো ব্যবসা শুরু করতে
চান তাহলে প্রথম যে জিনিসটি আপনার দরকার, সেটা হলো একটি ওয়েবসাইট।
কিন্তু অনেকেই ভয়ে থাকেন, ওয়েবসাইট মানেই বুঝি টাকা খরচ, হোস্টিং কেনা, ডোমেইন
কেনা, ডেভেলপার ভাড়া করা এসব জটিলতা। আপনি কি জানেন যে আপনি চাইলে একদম নিজের
হাতে, কোন টাকা না খরচ করেই ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ফ্রি ওয়েবসাইট তৈরি করুন এই
সুযোগটি নিতে পারেন?
হ্যাঁ, একদম বিনামূল্যে ও কোনো প্রোগ্রামিং জ্ঞান ছাড়াই আপনি নিজের একটি ওয়েবসাইট
দাঁড় করাতে পারেন। এজন্য আপনাকে সাহায্য করবে WordPress.com। এটি একটি হোস্টেড
প্ল্যাটফর্ম যেটি নতুনদের জন্য একদম পারফেক্ট।
আপনি চাইলে ঘরে বসেই, শুধু মোবাইল বা কম্পিউটার ব্যবহার করে পুরো ওয়েবসাইট তৈরি
করতে পারবেন। প্রথমেই আপনি যেতে পারেন wordpress.com ওয়েবসাইটে। সেখান থেকে Start
your site অপশন সিলেক্ট করে একটা ফ্রি অ্যাকাউন্ট খুলুন।
এরপর ধাপে ধাপে সাইটের নাম, উদ্দেশ্য, ডিজাইন সবকিছু আপনি নির্বাচন করতে পারবেন।
এই পুরো প্রক্রিয়ায় কোথাও একটাকাও খরচ হয় না। একটা বড় সুবিধা হলো, ওয়ার্ডপ্রেস
দিয়ে ফ্রি ওয়েবসাইট তৈরি করুন এই সিদ্ধান্ত নিলে আপনি কোনো ঝামেলা ছাড়াই
হোস্টিং পাবেন, ওয়েবসাইট থাকবে WordPress-এর নিজস্ব সার্ভারে।
শুধু তাই নয়, আপনি অনেক সুন্দর সুন্দর ফ্রি থিম পাবেন যেগুলো দিয়ে নিজের মতো করে
সাইট সাজিয়ে নিতে পারবেন। আপনার সাইটের ঠিকানা হবে এমন: yourname.wordpress.com
যা একেবারে ফ্রি।
ওয়ার্ডপ্রেস কি - ওয়ার্ডপ্রেস এর সুবিধা। চাইলে পরবর্তীতে আপনি টাকা দিয়ে
কাস্টম ডোমেইন কিনে সেটাও ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া WordPress.com আপনাকে দিবে
একটি সহজ ইউজার ইন্টারফেস। আপনি খুব সহজেই About, Contact, Homeবা Blogপেজ তৈরি
করতে পারবেন।
ছবি, ভিডিও, টেক্সট সবকিছুই খুব সহজে এডিট করা যাবে। তবে মনে রাখতে হবে, ফ্রি
সাইটে কিছু সীমাবদ্ধতা থাকবে যেমন: সাইটের URL-এ wordpress.com থাকবে, কিছু
নির্দিষ্ট থিম ব্যবহার করা যাবে, ও মাঝে মাঝে WordPress নিজের বিজ্ঞাপন দেখাতে
পারে।
তবুও যারা একদম শুরু করছেন, বা যাদের বাজেট কম, তাদের জন্য এটা একটি অসাধারণ
শুরু। তাই দেরি না করে এখনই আপনি ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ফ্রি ওয়েবসাইট তৈরি করুন,
আর নিজের অনলাইন পরিচয় তৈরি করুন খুব সহজে।
একবার ওয়েবসাইট বানিয়ে ফেলতে পারলে আপনি সেটার মাধ্যমে নিজের কাজ, ব্লগ,
প্রোফাইল, পোর্টফোলিও বা ব্যবসা প্রচার করতে পারবেন, তাও একদম নিজ
হাতে।ওয়ার্ডপ্রেস শিখে ওয়েবসাইট বানিয়ে আয় করুন।
ওয়ার্ডপ্রেস শিখতে কতদিন লাগে কিভাবে শিখবো
আজকের দিনে অনলাইন জগতে কাজ করতে চাইলে সবচেয়ে সহজ এবং দরকারি স্কিলগুলোর একটি
হলো ওয়ার্ডপ্রেস। কিন্তু নতুনরা প্রায়ই একটাই প্রশ্ন করেন – ওয়ার্ডপ্রেস শিখতে
কতদিন লাগে কিভাবে শিখবো? এই প্রশ্নটা একেবারে স্বাভাবিক, কারণ আমরা সবাই চাই
বুঝেশুনে সময় ব্যয় করতে।
চলুন তাহলে জানা যাক ওয়ার্ডপ্রেস শেখার সময়, উপায় ও কৌশল সম্পর্কে একদম শুরু
থেকে। প্রথমেই বলি, ওয়ার্ডপ্রেস শেখা আসলে খুব কঠিন কিছু না। আপনি যদি প্রতিদিন
১ থেকে ২ ঘণ্টা করে সময় দেন,
তাহলে মাত্র ১৫ থেকে ৩০ দিনের মধ্যেই আপনি ওয়ার্ডপ্রেসের বেসিক সবকিছু শিখে
ফেলতে পারবেন। তবে এটা নির্ভর করে আপনি কোন পর্যায় পর্যন্ত শিখতে চান। শুধুমাত্র
ওয়েবসাইট তৈরি করা, থিম কাস্টোমাইজেশন ও প্লাগইন ব্যবহার করা শিখতে চাইলে ১৫ দিনই
যথেষ্ট।
কিন্তু আপনি যদি থিম ডেভেলপমেন্ট, কাস্টম প্লাগইন তৈরি বা অ্যাডভান্সড লেভেলের
কাজ শিখতে চান, তাহলে সময় লাগবে ২ থেকে ৩ মাস।
এখন প্রশ্ন হলো – কিভাবে শিখবো?
এই প্রশ্নের সবচেয়ে সহজ উত্তর হলো, আপনি চাইলে ঘরে বসে একদম ফ্রি তেই
ওয়ার্ডপ্রেস শিখে নিতে পারেন। ইউটিউব, ফ্রি কোর্স, ব্লগ, এবং বিভিন্ন ওয়েবসাইটে
এখন হাজার হাজার টিউটোরিয়াল রয়েছে যেখানে বাংলায় এবং ইংরেজিতে সহজ ভাষায় শেখানো
হয়।
আপনি YouTube-এ WordPress tutorial for beginners in Bengali লিখেই সার্চ দিন,
অনেক ভালো গাইড পেয়ে যাবেন। তাছাড়া ফ্রি অনলাইন কোর্সের জন্য coursera.org,
udemy.com, বা freecodecamp.org চমৎকার প্ল্যাটফর্ম।
আর যদি বাংলায় পুরো কোর্স চান, তাহলে shikhbe.shobai, ostad.app – এদেরও ফ্রি ও
পেইড কোর্স পাওয়া যায়। শেখার সময় আপনি প্র্যাকটিস করবেন WordPress.com-এ একটা
ফ্রি ওয়েবসাইট বানিয়ে। এতে শেখার আগ্রহ বাড়বে এবং হাতে-কলমে অভিজ্ঞতা হবে।
এরপর ধীরে ধীরে WordPress.org দিয়ে কাস্টম সাইট বানানো শুরু করুন। চাইলে XAMPP
দিয়ে লোকালহোস্টেও প্র্যাকটিস করতে পারবেন। তবে মনে রাখবেন, শেখার চেয়ে বড় বিষয়
হলো প্র্যাকটিস। আপনি যত বেশি চেষ্টা করবেন, নিজের মতো করে সাইট বানাবেন, ততই
আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়বে।
আর সবচেয়ে ভালো দিক হলো, ওয়ার্ডপ্রেস এমন এক জিনিস যেটা আপনি একবার শিখে ফেললে
সারাজীবনের জন্য রয়ে যাবে, এবং চাইলে এর উপর ভিত্তি করে আয়ও শুরু করতে পারবেন।
তাই আর দেরি নয়, এখনই পরিকল্পনা করুন,
সময় ঠিক করুন, এবং ঠিক যেভাবে জানতে চাচ্ছিলেন ওয়ার্ডপ্রেস শিখতে কতদিন লাগে
কিভাবে শিখবো – সেই অনুযায়ী শুরু করে দিন আজ থেকেই!
কিভাবে ফ্রি ওয়ার্ডপ্রেস কোর্স করবো
ওয়ার্ডপ্রেস শেখা আজকের ডিজিটাল যুগে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং জনপ্রিয় একটি
দক্ষতা। এটি শুধু একটি ওয়েবসাইট তৈরি করার প্ল্যাটফর্ম নয়, বরং একটি শক্তিশালী
হাতিয়ার যা দিয়ে আপনি অনলাইনে নিজের বা অন্যের ব্যবসা, ব্লগ, বা যেকোনো ধরনের
ওয়েবসাইট ডিজাইন ও পরিচালনা করতে পারবেন।
আরো পড়ুন: what is amazon dropshipping business
যদি আপনি নতুন হন এবং ভাবছেন কিভাবে ফ্রি ওয়ার্ডপ্রেস কোর্স করবো, তাহলে এই
লেখাটি আপনার জন্য বিশেষভাবে উপযোগী। এখানে আমি বিস্তারিতভাবে সহজ এবং কার্যকর
উপায় নিয়ে আলোচনা করব যা অনুসরণ করে আপনি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ওয়ার্ডপ্রেস
শিখতে পারবেন।
প্রথমেই বুঝে নেওয়া দরকার, ওয়ার্ডপ্রেস শেখার জন্য অনেক ধরনের রিসোর্স রয়েছে,
কিন্তু সবচেয়ে সহজ এবং জনপ্রিয় মাধ্যম হলো অনলাইন ফ্রি কোর্স। বর্তমানে ইউটিউব
একটি সেরা প্ল্যাটফর্ম যেখানে হাজার হাজার ফ্রি ভিডিও টিউটোরিয়াল পাওয়া
যায়।
ইউটিউবে আপনি বাংলায় ও ইংরেজি উভয় ভাষায় ওয়ার্ডপ্রেস শেখার ভিডিও পাবেন, যা
শুরু থেকে শুরু করে অ্যাডভান্সড লেভেল পর্যন্ত সবকিছু শেখায়। WordPress tutorial
for beginners in Bengali বা বাংলায় ওয়ার্ডপ্রেস শেখা এই ধরনের কীওয়ার্ড দিয়ে
সার্চ করলে অসংখ্য ভালো কোর্স পাওয়া যায়।
এর মাধ্যমে আপনি নিজে নিজে ধাপে ধাপে ভিডিও দেখে ওয়ার্ডপ্রেস কিভাবে কাজ করে
সেটা বুঝতে পারবেন। এর পাশাপাশি, অনলাইন শিক্ষামূলক ওয়েবসাইট যেমন Udemy,
Coursera, freeCodeCamp, এবং Codecademy থেকেও ফ্রি ওয়ার্ডপ্রেস কোর্স করতে
পারেন।
যদিও অনেক ক্ষেত্রে এই সাইটগুলিতে পেইড কোর্স বেশি থাকে, তবুও ফ্রি কোর্সও পাওয়া
যায়। বিশেষ করে Udemy তে মাঝে মাঝে ফ্রি কোর্স অফার করে থাকে যা দিয়ে আপনি
ওয়ার্ডপ্রেসের বেসিক ধারণা নিতে পারবেন। ওয়ার্ডপ্রেস কি - ওয়ার্ডপ্রেস এর
সুবিধা।
এছাড়া বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য শিখবেশোবাই (shikhbeshobai.com), ওস্তাদ
(ostad.app) এর মতো স্থানীয় প্ল্যাটফর্মগুলোতে ভালো মানের ফ্রি ও পেইড কোর্স
পাওয়া যায়। ফ্রি কোর্স করার সময় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো নিয়মিত প্র্যাকটিস
করা। আপনি শুধু ভিডিও দেখে বুঝে যাওয়া নয়,
বরং ওয়ার্ডপ্রেসের ওয়েবসাইট নিজে নিজে বানানো শুরু করুন। WordPress.com এ একটি
ফ্রি সাইট খুলে নিজের শেখা বিষয়গুলো প্রয়োগ করুন। এছাড়া, আপনি চাইলে
লোকালহোস্টে (যেমন XAMPP সফটওয়্যার ব্যবহার করে) ওয়ার্ডপ্রেস ইনস্টল করে
অফলাইনে শেখার প্র্যাকটিস করতে পারেন।
হাতে কাজ না করলে শেখার ধারণা পুরোপুরি মজবুত হয় না। তাই প্রতিদিন সময় বের করে
নতুন কিছু শেখার চেষ্টা করুন এবং সেটি প্রয়োগ করুন। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
হলো, অনলাইন কমিউনিটি ও ফোরামে যুক্ত থাকা।
ফেসবুক গ্রুপ, টেলিগ্রাম চ্যানেল, Reddit এর ওয়ার্ডপ্রেস ফোরাম ইত্যাদি জায়গায়
প্রশ্ন করতে পারেন, অন্যদের সমস্যার সমাধান পড়তে পারেন এবং নিজের সমস্যাও শেয়ার
করতে পারেন। এতে শেখার প্রক্রিয়া অনেক দ্রুত এবং মজার হয়ে ওঠে।
ফ্রি কোর্সের মাধ্যমে শিখতে গেলে ধৈর্য্য ধরাও জরুরি। কিছুদিন পরপর নিজের শেখা
বিষয়গুলো পর্যালোচনা করুন এবং নতুন নতুন টুল ও প্লাগইন শিখুন। প্রয়োজনে YouTube
থেকে আপডেটেড ভিডিও দেখুন, কারণ ওয়ার্ডপ্রেস প্রতিনিয়ত আপডেট হচ্ছে, নতুন নতুন
ফিচার আসছে।
শিখার সঙ্গে সঙ্গে চেষ্টা করুন ছোট ছোট প্রকল্প হাতে নেবার। নিজে নিজে একটি ব্লগ,
পোর্টফোলিও, বা ছোট ব্যবসার ওয়েবসাইট তৈরি করুন। এতে আপনি যেসব বিষয় শিখছেন
সেগুলো বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করতে পারবেন এবং আরও দ্রুত দক্ষতা অর্জন
করবেন।
কিভাবে ফ্রি ওয়ার্ডপ্রেস কোর্স করবো এর জন্য প্রথমে নির্দিষ্ট কয়েকটি বিশ্বস্ত
ফ্রি রিসোর্স নির্বাচন করুন, নিয়মিত ভিডিও দেখুন, নিজে নিজে ওয়েবসাইট বানানোর
চেষ্টা করুন, এবং অনলাইন কমিউনিটির সাহায্য নিন।
সময়ের সঙ্গে আপনার দক্ষতা বাড়বে এবং আপনি একদিন ওয়ার্ডপ্রেস নিয়ে পেশাদার কাজ
শুরু করতে সক্ষম হবেন। আপনি যদি আজই শুরু করেন, তাহলে খুব শীঘ্রই আপনার নিজস্ব
ওয়েবসাইট তৈরি করার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে এবং নতুন দিগন্ত খুলে যাবে আপনার
সামনে।
শুরুতেই একটু সময় ও ধৈর্য ধরুন, আর সফলতার পথে এগিয়ে যান।
ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে কি কি ওয়েবসাইট বানাতে পারবো
আজকের ডিজিটাল যুগে ওয়েবসাইট তৈরি করা একদম প্রয়োজনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ব্যবসা হোক
কিংবা ব্যক্তিগত কাজ, ওয়েবসাইট ছাড়া এখন প্রায় কিছুই সম্পূর্ণ হয় না। আর ওয়েবসাইট
বানানোর জন্য যেটা সবচেয়ে জনপ্রিয় ও শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম, তা হলো ওয়ার্ডপ্রেস।
অনেকেই ভাবেন, ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে কি কি ওয়েবসাইট বানাতে পারবো? আসলে
ওয়ার্ডপ্রেসের ক্ষমতা অনেক বিস্তৃত, তাই আপনি প্রায় যেকোনো ধরনের ওয়েবসাইট
বানাতে পারবেন। প্রথমেই আসুন জেনে নিই, ব্লগ বা ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট বানানোর
ক্ষেত্রে ওয়ার্ডপ্রেসের কোনো তুলনা নেই।
আপনি যদি লেখালেখি পছন্দ করেন কিংবা নিজের মতামত, অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে চান, তাহলে
খুব সহজেই নিজের একটি ব্লগ তৈরি করতে পারবেন। ওয়ার্ডপ্রেসের ফ্রি থিম ও প্লাগইন
ব্যবহার করে আপনি আকর্ষণীয় ডিজাইন ও কার্যকরী ব্লগ বানাতে পারবেন।
আরেকটি বড় ক্ষেত্র হলো ব্যবসায়িক ওয়েবসাইট। আপনি যদি ব্যবসা করেন, ওয়ার্ডপ্রেস
দিয়ে আপনি খুব সুন্দর ও পেশাদার লুকের ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন যেখানে আপনার
পণ্য বা সেবা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য থাকবে, গ্রাহকরা যোগাযোগ করতে পারবে,
এমনকি অনলাইনে অর্ডার বা বুকিংও নেওয়া যাবে। এর জন্য WooCommerce প্লাগইনের মতো
শক্তিশালী টুল ব্যবহার করা যায়। ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করাও ওয়ার্ডপ্রেসের
মাধ্যমে খুব সহজ। WooCommerce প্লাগইনের সাহায্যে আপনি অনলাইনে পণ্য বিক্রি করতে
পারবেন।
পেমেন্ট গেটওয়ে, শিপিং অপশনসহ সবকিছু কাস্টমাইজ করা যাবে। ছোট থেকে বড়, যেকোনো
ব্যবসার জন্য এটি উপযুক্ত। ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে অনলাইন শিক্ষা সাইটও বানানো সম্ভব।
আজকাল অনলাইনে কোর্স করানো খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
LearnDash, LifterLMS এর মতো প্লাগইনের সাহায্যে আপনি কোর্স ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম
তৈরি করতে পারবেন, যেখানে শিক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রেশন করবে, কোর্স করবে, এবং
পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। নিউজ পোর্টাল বা ম্যাগাজিন ওয়েবসাইট বানাতেও
ওয়ার্ডপ্রেসের জুড়ি মেলা ভার।
নিয়মিত কনটেন্ট আপডেট, ক্যাটাগরি সাজানো, ট্যাগ ব্যবস্থাপনা – সবকিছু এখানে খুব
সহজে করা যায়। এর ফলে অনেক বড় বড় নিউজ পোর্টালও ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে।
পোর্টফোলিও ওয়েবসাইটও বানানো যায়, যা ফটোগ্রাফার, ডিজাইনার, ফ্রিল্যান্সার বা
শিল্পীদের জন্য খুব দরকারি।
নিজের কাজগুলো সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে পারলে ক্লায়েন্ট আকৃষ্ট করা অনেক সহজ হয়।
কমিউনিটি ওয়েবসাইট কিংবা ফোরামও তৈরি করা যায় BuddyPress, bbPress প্লাগইনের
মাধ্যমে। যেখানে ব্যবহারকারীরা আলোচনা করতে পারে, বন্ধু তৈরি করতে পারে, গ্রুপ
গঠন করতে পারে।
রেস্তোরাঁ, হোটেল বা ক্যাফের জন্য ওয়েবসাইট বানানোও সম্ভব, যেখানে মেনু,
রিজার্ভেশন, কাস্টমার রিভিউ থাকবে। সংক্ষেপে বলতে গেলে, আপনার কল্পনা ও প্রয়োজন
যাই হোক না কেন, ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে কি কি ওয়েবসাইট বানাতে পারবো এই প্রশ্নের
উত্তর হবে প্রায় সব ধরনের ওয়েবসাইট আপনি বানাতে পারবেন।
এর অসংখ্য থিম ও প্লাগইন রয়েছে যা আপনাকে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ দেয় আপনার ওয়েবসাইটের
ডিজাইন ও ফিচার নিয়ে। তাই ওয়ার্ডপ্রেস শেখা এবং দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করা আজকের
ডিজিটাল জীবনে এক বড় সাফল্যের চাবিকাঠি হতে পারে।
লেখকের মন্তব্য
আশা করি, আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনারা ওয়ার্ডপ্রেস কি - ওয়ার্ডপ্রেস এর
সুবিধা সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পেয়েছেন। যদি এই বিষয়ে আপনাদের কোনো
প্রশ্ন থাকে বা মূল্যবান মতামত জানাতে চান, তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে
জানাবেন।
আর আর্টিকেলটি শেয়ার করে আপনার আত্মীয়স্বজন ও প্রিয়জনদেরও ওয়ার্ডপ্রেস কি -
ওয়ার্ডপ্রেস এর সুবিধা জানার সুযোগ করে দিন। ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url