২০ হাজার টাকা দিয়ে স্মার্ট ব্যবসার আইডিয়া সঠিক গাইড লাইন
ব্যাংক লোন পাওয়ার সকল নিয়মপ্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলটি আমরা লিখেছি মূলত ২০ হাজার টাকা দিয়ে
স্মার্ট ব্যবসার আইডিয়া। বিষয়কে কেন্দ্র করে। সঙ্গে থাকছে ২০ টি অনলাইনে ব্যবসার
আইডিয়া জিরো থেকে হিরো। সম্পর্কিত অতিরিক্ত তথ্যও, যা পড়লে আপনি পুরো
বিষয়টি সহজেই বুঝতে পারবেন, ইন শা আল্লাহ।
সূচিপত্র: ২০ হাজার টাকা দিয়ে স্মার্ট ব্যবসার আইডিয়া
২০ হাজার টাকা দিয়ে স্মার্ট ব্যবসার আইডিয়া সঠিক গাইড লাইন
সম্মানিত পাঠক আমাদের মধ্যে অনেকেই ভাবেন যে ১০-২০ হাজার টাকা দিয়ে আদৌ কি
ব্যবসা শুরু করা সম্ভব। এরকম চিন্তা ভাবনা আমাদের প্রায় প্রত্যেক মানুষের মধ্যেই
থাকে। তো এরকম চিন্তা ভাবনা যদি আপনারও হয়ে থাকে তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি
আপনার চিন্তাভাবনায় পাল্টে দিতে পারে।
এই ২০২৫ সাল বর্তমান সময়টা এমন যে বড় কিছু শুরু করতে অনেক বেশি টাকার দরকার
নেই। একটা স্মার্ট ব্যবসা শুরু করতে হলে কম টাকার মধ্যে বিশ হাজার টাকার মধ্যে
শুধু দরকার একটা স্মার্ট ব্যবসার আইডিয়া এবং তার সঠিক গাইড লাইন।
আপনি যদি সঠিক পরিকল্পনা করতে পারেন তাহলে এই বিশ হাজার টাকায় হতে পারে আপনার
স্বপ্ন পূরণের মূলধন। এই ২০ হাজার টাকা দিয়ে কি কি করা সম্ভব তো চলুন আমরা
আর্টিকেল এর মাধ্যমে গল্পের মতো করে বিষয়টুকু ক্লিয়ার করে দিই ,২০ হাজার টাকায়
ব্যবসার আইডিয়া।
ধরুন আপনি একটি ছোট হোম কিচেন শুরু করতে পারেন, প্যাকেটের খাবার, তারপর হোমমেড
পিঠা বা কেক, এসব আজকাল খুবই চাহিদা সম্পন্ন প্রোডাক্ট। আপনার যদি রান্নার প্রতি
আগ্রহ থাকে তাহলে এটা হতে পারে একটি লাভজনক ব্যবসা।
এছাড়াও আপনি চাইলে অনলাইনে ড্রপ শিপিং ব্যবসা শুরু করতে পারেন।২০ হাজার টাকা
দিয়ে স্মার্ট ব্যবসার আইডিয়া । যেখানে নিজের প্রোডাক্ট ছাড়াও অনলাইনে অন্যের
প্রোডাক্ট বিক্রি করে আপনি টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
তারপর আরো রয়েছে, ডিজিটাল মার্কেটিং, আর্টিকেল রাইটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ভিডিও
এডিটিং, এগুলো কাজও কিন্তু ব্যবসার মতোই সকল উপায়। যেখানে আপনি নিজের স্কিলকে
পণ্য হিসেবে বিক্রি করতে পারবেন ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেসগুলোতে যেমন ফাইবার
up work , এগুলো করতে শুধু দরকার একটা ল্যাপটপ অথবা মোবাইল আর ইন্টারনেট
কানেকশন।
আর কিছু ভালো অনলাইন প্রোফাইল। আপনার এই ২০ হাজার টাকার মধ্যে পাঁচ হাজার টাকা
দিয়ে আপনি নিজের ব্র্যান্ডিং করতে পারবেন। যেমন আপনি যখন বিজনেস শুরু করবেন
শুরুর প্রথমে আপনাকে যেগুলো কাজ করতে হবে তার মধ্যে এক নম্বর হচ্ছে ফেসবুক পেজ
তৈরি করতে হবে যার জন্য লাগবে লোগো তারপর ফেসবুক পেজের কভার ফটো।
তারপর কনটেন্ট বানাতে হবে এগুলোতে কিছু টাকা খরচ হতে পারে তারপর বাকি টাকা দিয়ে
আপনি প্রাথমিক যেগুলো প্রোডাক্ট কিনে আপনি সেল করবেন সেগুলো প্রোডাক্ট কিনতে
পারবেন এবং অ্যাড চালিয়ে বিজ্ঞাপন চালিয়ে আপনি যদি প্রচার করতে চান আপনার
প্রোডাক্টের।
তাহলে অনলাইনে মার্কেটিং করতে হবে এগুলো মার্কেটিং করার জন্য ফেসবুক পেজের কভার
ফটো ফেসবুক পেজের পোস্ট এগুলোর জন্য আপনার কিছু টাকা খরচ করতে হবে। এখানে সব থেকে
বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে আপনি কি করতে চান সে বিষয়ে একটি পরিষ্কার ধারণা
থাকতে হবে।
শুধু পণ্য নয় আপনি যদি সার্ভিস ভিত্তিক কিছু করতে চান যেমন, কনসালটেন্সি, তারপর
কোচিং বা অনলাইন টিউশন তাও কিন্তু সম্ভব। আপনি যেটা ভালো পারেন সেটা থেকেই ব্যবসা
শুরু করতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।
২০ টি অনলাইনে ব্যবসার আইডিয়া জিরো থেকে হিরো
আপনি হয়তো অনলাইনে স্মার্ট কিছু ব্যবসার আইডিয়া খুঁজতেছেন এজন্য আজকের এই
আর্টিকেলটি আপনার সামনে এসেছে। এবং আপনি আমার ওয়েবসাইটে ভিজিট করেছেন । অনলাইন
ব্যবসার আইডিয়া নেওয়ার জন্য। আপনি আমার ওয়েবসাইটে ভিজিট করেছেন মানে আপনি সঠিক
তথ্য পাওয়ার একটা ভান্ডারে প্রবেশ করেছেন।
আজকে আমরা এই সেকশনে এমন ২০টি অনলাইন ব্যবসার আইডিয়া আপনাদের মাঝে শেয়ার
করব যে ২০টি অনলাইন ব্যবসার আইডিয়া থেকে আপনি অনেক ভাল একটি আইডিয়া পেয়ে যাবেন
যেগুলো আইডিয়া নিয়ে আপনি বিজনেস স্টার্ট করতে পারবেন। এই আইডিয়াগুলো থেকে আপনি
জিরো থেকে হিরো হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ তো চলুন আমরা নিচে ২০টি ব্যবসার নাম তুলে
ধরেছি এক নজরে দেখে নিনঃ
- ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রিঃ আপনি ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রি করে অনলাইন ব্যবসা মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন যেমন ই- বুক ডিজিটাল আর্ট ডিজাইন টেমপ্লেট ইত্যাদি। আপনি যদি কিছু শেখাতে পারেন সেটা কোর্স আকারে বিক্রি করতে পারবেন।
- অনলাইন কোর্স তৈরিঃ অনলাইন কোর্স তৈরি করে আপনি কোর্স করিয়ে ইনকাম করতে পারবেন অথবা আপনি কোন বিষয়ে এক্সপার্ট হলে সেটাকে ভিডিওর মাধ্যমে শেখাতে পারবেন যেমন গ্রাফিক্স ডিজাইন ইংরেজি শেখানো বা ফ্রিল্যান্সিং গাইড।
- ইউটিউব চ্যানেলঃ ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে ভিডিও বানিয়ে রেগুলার ভিডিও পাবলিশ করে আপনি কনটেন্ট মনিটাইজেশন থেকে ইনকাম করতে পারবেন এবং আপনি কনটেন্ট তৈরি করতে ভালোবাসে ইউটিউবে আপনার জন্য একটি আদর্শ প্লাটফর্ম এটা সময় সাপেক্ষ হলেও ধীরে ধীরে আয়ের উৎস হতে পারে আপনার লাইফে।২০ হাজার টাকায় ব্যবসার আইডিয়া।
- ফেসবুক শপঃ ফেসবুক সব তৈরি করে ইনকাম করুন ছোটখাটো পণ্য বিক্রি করতে চাইলে ফেসবুক পেজ খুলে খুব সহজেই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।
- ফ্রিল্যান্সিংঃ ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করুন যেমন বিভিন্ন অনলাইন লাইন ভিত্তিক কাজ যেমন গ্রাফিক্স ডিজাইন ডিজিটাল মার্কেটিং এসইও অপটিমাইজেশন ইত্যাদি এরকম কাজের উপর স্কিল ডেভেলপ করে আপনি ফাইবার আপ ওয়ার্ক ফ্রিল্যান্সার ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেসগুলোতে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা আয় করতে পারবেন।
- গ্রাফিক ডিজাইন সার্ভিসঃ যারা Photoshop বা Canva নিয়ে কাজ পারেন, তারা ডিজাইন সার্ভিস দিতে পারেন।
- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংঃ অনেক ছোট ব্যবসা আছে যারা নিজের পেইজ চালাতে পারে না। আপনি তাদের হয়ে কাজ করে আয় করতে পারেন।
- এফিলিয়েট মার্কেটিংঃ Amazon, Daraz বা অন্যান্য কোম্পানির প্রোডাক্ট অনলাইনে প্রচার করে কমিশন আয় করা যায়।
- প্রিন্ট অন ডিম্যান্ডঃ T-shirt, মগ, পোস্টার ডিজাইন করে প্রিন্ট অন ডিম্যান্ড সাইটে বিক্রি করতে পারেন।
- ব্লগিংঃ নিজের একটি ওয়েবসাইট খুলে ব্লগ লিখে গুগল অ্যাডসেন্স বা স্পনসরশিপ থেকে আয় করা সম্ভব।
- কনটেন্ট রাইটিং সার্ভিসঃ ভালো লিখতে পারেন? তাহলে ব্লগ, ওয়েবসাইট বা সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য কনটেন্ট লিখে আয় করতে পারবেন।
- রিজিউমে ও কভার লেটার রাইটিংঃ অনেকেই চাকরির জন্য প্রফেশনাল সিভি বানাতে পারেন না, আপনি তাদের সহায়তা করে ইনকাম করতে পারেন।
- অনলাইন টিউশনঃ আপনি যদি পড়াতে পারেন, তাহলে অনলাইন টিউশনও একটি চমৎকার উপায় ইনকামের।
- ফুড ডেলিভারিঃ নিজে রান্না করে ফেসবুকে অর্ডার নিয়ে খাবার ডেলিভারি দিতে পারেন।
- হস্তশিল্প ও হ্যান্ডমেড পণ্যঃ হাতে তৈরি পণ্য যেমন গহনা, মোমবাতি, শোপিস অনলাইনে বিক্রি করতে পারেন।
- স্টক ফটোগ্রাফিঃ আপনার যদি ফটোগ্রাফি ভালো লাগে, তাহলে স্টক ইমেজ সাইটে ছবি আপলোড করে আয় করা সম্ভব।
- ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্টঃ অনেক বিদেশি বা দেশি উদ্যোক্তা আছেন যারা অনলাইন অ্যাসিস্ট্যান্ট খোঁজেন আপনি কাজ নিতে পারেন।
- ট্রান্সলেশন সার্ভিসঃ ভাষাগত দক্ষতা থাকলে অনুবাদের কাজ করেও আয় করা যায়।
- মোবাইল অ্যাপ রিভিউ ও টেস্টিংঃ অনেক কোম্পানি তাদের অ্যাপ রিভিউ করতে দেয় আপনি তা করে ইনকাম করতে পারেন।
- কাস্টমার সার্ভিস রিমোটলিঃ অনলাইন বিজনেসগুলোতে ক্লায়েন্ট হ্যান্ডল করতে লোক দরকার হয় সেখানে কাজ করতে পারেন।২০ টি অনলাইনে ব্যবসার আইডিয়া জিরো থেকে হিরো।
এখানে আমরা যে ২০টি অনলাইন ব্যবসার আইডিয়া ইনক্লুড করে দিয়েছি এখানে উল্লেখ করা
প্রতিটি অনলাইন ব্যবসার আইডিয়া আপনি চাইলে একদম ঘরে বসে মোবাইল অথবা ল্যাপটপ
দিয়ে শুরু করতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।
আপনার যদি একটি নির্দিষ্ট ইস্কিল থাকে এবং সেই স্কিল ব্যবহার করেও আপনি এগুলো
থেকে যে কোন একটি বা একাধিক মাধ্যমে নিজের ক্যারিয়ার করতে পারবেন। মনে রাখবেন
শুরুটা ছোট হলেও ধৈর্য আর নিয়মিত কাজই আপনাকে হিরো বানাবে ইনশাল্লাহ।
কিভাবে আমরা অনলাইন ব্যবসা শুরু করব
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা অনলাইনে ব্যবসা শুরু করতে চাচ্ছেন কিন্তু কনফিউশনে
রয়েছেন দুশ্চিন্তায় রয়েছেন যে কিভাবে আদৌ ব্যবসাটা শুরু করা যায়? সেটা আবার
অনলাইনে কিভাবে সম্ভব? এরকম অনেক কিছু প্রশ্ন মাথায় ঘুরে।
সম্মানিত পাঠক চিন্তার কোন কারণ নেই আজকে আমরা এমন ছয়টি ধাপে ক্লিয়ার করে দিব
কিভাবে আপনারা অনলাইনে ব্যবসা শুরু করবেন। তো বিষয় হচ্ছে আপনি কিন্তু এই সেক্টরে
একা নন অনেকেই এই জায়গায় এসে দুশ্চিন্তায় পড়ে যায়।
তবে যদি ধাপে ধাপে পরিকল্পনা করেন তাহলে অনলাইন ব্যবসা শুরু করাটা একদম
কঠিন কিছুই না।২০ হাজার টাকা দিয়ে স্মার্ট ব্যবসার আইডিয়া । আজকের এই গাইড
লাইনটি একেবারে হাতে-কলমে একটি রোডম্যাপ হয়ে কাজ করবে ইনশাল্লাহ।২০ হাজার টাকায়
ব্যবসার আইডিয়া - তো চলুন আমরা ধাপে ধাপে বিষয়গুলো ক্লিয়ার হই:
ধাপ ১: আপনি কী করতে চান সেটা ভাবুন
প্রথমে আপনি নিজের কাছে একটি প্রশ্ন করুন যে আপনি কোন বিষয়ে দক্ষ বা কোন কাজে
আপনি পারদর্শী? তারপর আপনি কি ভাল রান্না করতে পারেন? অথবা ডিজাইন? লেখালেখি?
ভিডিও বানানো? ইত্যাদি। আপনার আগ্রহ দক্ষতা এবং মার্কেটে চাহিদা এই তিনটা মিলিয়ে
একটা ভালো নিস (Niche) ঠিক করুন।
ধাপ ২: একটি পরিষ্কার ব্যবসায়িক পরিকল্পনা তৈরি করুন
দ্বিতীয়তঃ একটি সাধারণ প্ল্যান তৈরি করুন নিজে নিজেই যেটা আপনি কি বিক্রি করবেন
এবং কেমন অডিয়েন্স কে টার্গেট করবেন কিভাবে বিক্রি করবেন তার প্লাটফর্ম এবং
কিভাবে এটি প্রচার করবেন বলতে গেলে মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি কিভাবে তৈরি করবেন
একটি খাতা বা আপনার ফোনে থাকা google docs এ লিখে রাখুন।
ধাপ ৩: প্রয়োজনীয় টুলস এবং প্ল্যাটফর্ম নির্বাচন
আজকের দিনে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব, ইকমার্স ওয়েবসাইট সবকিছুই আপনার ব্যবসার
হাতিয়ার হতে পারে। আপনি যদি পণ্য বিক্রি করতে চান, তাহলে Facebook Page, WhatsApp
Business, Daraz বা Shopify ব্যবহার করতে পারেন। আবার যদি সার্ভিস দেন (যেমন
ডিজাইন, রাইটিং), তাহলে Fiverr, Upwork ইত্যাদিতে একাউন্ট খুলুন।
ধাপ ৪: ব্র্যান্ডিং এবং কনটেন্ট তৈরি করুন
আপনার ব্যবসার একটি ব্র্যান্ডিং নাম দিন, একটি ব্র্যান্ডিং লোগো তৈরি করুন (Canva
ব্যবহার করতে পারেন), এবং একটি পরিচিতি লেখুন। এরপর কয়েকটি পণ্য বা সার্ভিসের
ছবি, ভিডিও, বা নমুনা কনটেন্ট তৈরি করে আপনার পেজে আপলোড করুন।
ধাপ ৫: শুরু করুন ফ্রিতে প্রচার
আপনি প্রথমে আপনার নিজের বন্ধু-বান্ধব, ফ্যামিলি, লোকাল গ্রুপ – এদের মাধ্যমেই
প্রচার শুরু করতে পারেন। Social media post, short video, reels – এগুলো এখন খুব
দ্রুত মানুষের কাছে পৌঁছে যায়। চাইলে ১০০-৫০০ টাকায় Boost দিয়ে শুরু করতে পারেন।
ধাপ ৬: কাস্টমার সার্ভিস ও ফিডব্যাক সংগ্রহ
প্রথম কাস্টমারকে যেন আপনি আপনার সবচেয়ে আপনজন ভাবেন। ভালোভাবে পরিষেবা দিন, তার
কাছ থেকে রিভিউ নিন এবং ফেসবুক পেইজে সেটা পোস্ট করুন। এই বিশ্বাসযোগ্যতা আপনার
পরবর্তী কাস্টমার আনতে সাহায্য করবে।
জীবনে যদি আপনি সফলতা অর্জন করতে চান তাহলে অবশ্যই ব্যবসা দিয়ে আপনার জীবনযাত্রা
শুরু করতে পারেন। কারণ চাকরি করে কখনো কেউ সফল হয় না ব্যবসা করে সফল হয়।
অনলাইনে ব্যবসা শুরু করা মানে একটা জীবনে এগিয়ে যাওয়ার সফলতার ধাপ।
আপনি যদি সময় দেন এবং আগ্রহ নিয়ে কাজ করার আর প্রতিদিন কিছু না কিছু শিখেন
তাহলে আপনি খুবই দ্রুত বিজনেস প্লাটফর্মে নিজের জায়গায় তৈরি করে নিতে পারবেন
ইনশাআল্লাহ
অনলাইন ব্যবসার সুবিধা ও অসুবিধা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা
আপনি যদি নিজে নিজেই সত্যি একটি ব্যবসা দাঁড় করাতে চান তাহলে অনলাইন ব্যবসায়ী
হতে পারে আপনার জন্য সবচেয়ে সাশ্রয় এবং সহজ আর সময়োপযোগী পথ। তবে একটা বিষয়
আগে থেকেই বলা ভালো সেটি হচ্ছে প্রতিটি ভালো জিনিসের যেমন সুবিধা থাকে তেমন কিছু
সীমাবদ্ধতা থাকে।
তাই আজকে আমরা আর্টিকেলের এই অংশে একদম বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে অনলাইন ব্যবসা
সুবিধা ও অসুবিধা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা শেয়ার করব যা আপনাকে সঠিক সিদ্ধান্ত
নিতে সাহায্য করবে ইনশাল্লাহ।২০ টি অনলাইনে ব্যবসার আইডিয়া জিরো থেকে হিরো। তো
চলুন আমরা জেনে নিয়ে কিভাবে অনলাইন ব্যবসার সুবিধা ও অসুবিধা কোনগুলোঃ
প্রথমে চলুন দেখে নেই সুবিধার দিকগুলো
১. কম বিনিয়োগে এই ব্যবসা শুরু করা যায়
অনলাইন ব্যবসার সবচেয়ে বড় একটি সুবিধা হল আপনি অনেক কম টাকাতেও ব্যবসা শুরু
করতে পারবেন। যেমন একটি ফেসবুক পেজ খুলতে পারবেন এবং কিছু প্রোডাক্ট এর ছবি তুলে
বা নিজের স্কিন লেখা ডিজাইন এডিটিং ইত্যাদি নিয়ে কাজ শুরু করতে পারবেন। তারপর
দোকান ভাড়া কর্মচারী এসবের কোন ঝামেলা নেই।
২. কাজেরও সময়ের স্বাধীনতা
আপনি নিজের ইচ্ছামত সুবিধামতো স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবেন। এবং সকাল বিকেল বেলা
যখনই আপনার সময় মিলবে তখনই আপনি কাজ করতে পারবেন। বিশেষ করে গৃহিণী স্টুডেন্ট বা
পার্ট টাইম চাকরিজীবীদের জন্য এটা খুবই উপকারী।
৩. বড় বাজারে প্রবেশের সুযোগ
অনলাইন ব্যবসা মানেই আপনি শুধু পাড়ার মানুষের জন্য কাজ করছেন না আপনি চাইলে দেশের
একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত বা এমনকি বিদেশেও পণ্য বা সার্ভিস পৌঁছে দিতে
পারেন।২০ হাজার টাকায় ব্যবসার আইডিয়া।
৪. ব্র্যান্ড তৈরি করা সহজ
আজকাল Facebook, Instagram, TikTok বা YouTube-এর মাধ্যমে নিজেকে বা নিজের
ব্যবসাকে ব্র্যান্ড হিসেবে তুলে ধরা খুবই সহজ। সামান্য কিছু কনটেন্ট দিয়েই আপনি
ক্রেতার আস্থা অর্জন করতে পারেন।
এবার চলুন কিছু অসুবিধার কথাও জানি
১. প্রতিযোগিতা অনেক
যেহেতু অনলাইন প্ল্যাটফর্ম সবার জন্য উন্মুক্ত, তাই প্রতিযোগিতা অনেক বেশি। আপনার
মত আরও হাজারো মানুষ একই ধরনের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস দিচ্ছে, সুতরাং নিজেকে আলাদা
করে তুলতে পরিশ্রম ও কৌশল দুটোই লাগবে।
২. বিশ্বাসযোগ্যতা গড়তে সময় লাগে
অনলাইনে কাস্টমার প্রথমেই বিশ্বাস করে না। আপনি নতুন ব্যবসা শুরু করলে অনেকেই
ভাববে, আসলেই পণ্য পাঠাবে তো? এজন্য প্রমাণ, রিভিউ, ভালো কাস্টমার সার্ভিস দরকার।
৩. টেকনিক্যাল সমস্যা হতে পারে
ইন্টারনেট সংযোগ, পেমেন্ট গেটওয়ে, ওয়েবসাইট মেইনটেনেন্স, অ্যাকাউন্ট সাসপেনশন
ইত্যাদি নানা ধরনের টেকনিক্যাল সমস্যা অনলাইন ব্যবসায় দেখা যায়। তাই এই বিষয়গুলোও
মাথায় রাখতে হবে।
৪. ডেলিভারি ও রিটার্ন ঝামেলা
ফিজিক্যাল পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রে কুরিয়ার, ডেলিভারি, এবং রিটার্নের সমস্যা হতে
পারে। বিশেষ করে গ্রাহক পণ্য নিতে দেরি করে বা রিটার্ন দিতে চায়, তখন ব্যবসায়
ক্ষতি হয়।
অনলাইন ব্যবসা শুরু করাটা অনেক সহজ কিন্তু সফলভাবে চালিয়ে যাওয়া একটা কঠিন একটা
বিষয় তবে আপনি যখন এগুলো বিষয়ে ভালোভাবে জানবেন বুঝবেন তখন আপনার কাছে অনেকটা
সহজ মনে হয়ে যাবে।২০ টি অনলাইনে ব্যবসার আইডিয়া জিরো থেকে হিরো।
প্রতিটা কাজে শুরুর দিকে একটু কঠিন মনে হয় সেটা আস্তে আস্তে সহজ হয়ে যায়। আপনি
যদি উপরের সুবিধা গুলো কাজে লাগাতে পারেন এবং অসুবিধা গুলোকে সামলে নিতে পারেন
সামলাতে শিখেন তাহলে খুবই দ্রুত আপনি ব্যবসা থেকে ভালো একটি আয় করতে পারবেন
ইনশাআল্লাহ।
অনলাইন ব্যবসার সেরা ইউনিক প্ল্যান সঠিক গাইডলাইন
এই বর্তমান সময়ে অনেকেই ব্যবসা নিয়ে নিজের জীবনযাত্রা শুরু করেছে তো আপনি যদি
ব্যবসা সেক্টরে এসে ভালো কিছু করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে ইউনিক প্ল্যান করে
ব্যবসা করতে হবে। আপনি যদি ইউনিক ভাবে ব্যবসাটি না শুরু করতে পারেন।
তাহলে কখনোই আপনি এই সেক্টরে টিকতে পারবেন না। আপনাকে এমন কিছু প্ল্যান তৈরি করতে
হবে যে প্ল্যান এর আগে কেউ করে রাখেনি একদম আপনি সর্বপ্রথম এই প্ল্যানটি তৈরি
করেছেন। তো এমন কিছু প্ল্যান তৈরি করার গাইডলাইন এবং ইউনিক প্ল্যান এবং সঠিক গাইড
লাইন।
আজকে আপনাদের দিব ইনশাল্লাহ। তো প্রথমেই মাথায় রাখবেন যে অনলাইন ব্যবসা মানে
শুধু প্রোডাক্ট বিক্রি করা না।২০ হাজার টাকায় ব্যবসার আইডিয়া। এখানে সার্ভিসও
থাকতে পারে। ধরেন আপনি যদি ভালো গ্রাফিক ডিজাইন বা কনটেন্ট লেখার কাজ করেন তাহলে
সেটাই হতে পারে আপনার ব্যবসার মূল ভিত্তি।
আবার আপনি যদি নিজের কোন হ্যান্ড মেড প্রোডাক্ট বানাতে পারেন অথবা কাস্টমার গিফট
বক্স বা হোম বেকার সেগুলো অনলাইনে বিক্রি করেও আয় করতে পারেন এটা হচ্ছে একটি
দুর্দান্ত সেরা ইউনিক প্ল্যান। প্রথমে আপনাকে একটা নির্দিষ্ট নিচ বেছে নিতে হবে।
যেমন ফ্যাশান, ফুড, এডুকেশন, হেলথ, ইত্যাদি। তারপর আপনাকে অডিয়েন্স টার্গেট করতে
হবে যে আপনি প্রোডাক্টগুলো কার জন্য বানাচ্ছেন যেমন তরুণ, তরুণী, বাবা-মা বা
স্টুডেন্ট,। তারপর রয়েছে একটা ব্র্যান্ড ভাবনা তৈরি করা বলতে বোঝায় ইউনিক
নাম।
সুন্দর লোগো, তারপর প্রেজেন্টেশন সুন্দর করা। তারপর যে বিষয়ে রয়েছে সোশ্যাল
মিডিয়া স্ট্রাটেজি গড়তে হবে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ইউটিউব অথবা tiktok এ কাজে
লাগান। তারপর একটা স্মার্ট বিজনেস প্ল্যান বানান নিজে নিজেই যেমন খরচ লাভ
মারকেটিং এসব কিছু নিয়ে পরিকল্পনা তৈরি করে রাখেন।
এখন মেইন কথা হচ্ছে অনলাইন ব্যবসা মানে বসে বসে আয় করা না অনেক পরিশ্রম ধৈর্য আর
সঠিক সিদ্ধান্ত দরকার আপনি যদি সময় দিয়ে এই ব্যবসা গুলোতে মাথা ঘাটে কাজে
লাগাতে পারেন তাহলে অবশ্যই ব্যবসা তে আপনি সফলতা অর্জন করবেন।
কিভাবে গ্রাম থেকে ঘরে বসে অনলাইনে ব্যবসা শুরু করব
অনেকেই মনে করেন যে অনলাইনের ব্যবসা শুধু শহরের মানুষেরাই করতে পারবে এবং গ্রামের
মানুষরা পারবে না অনেক সাধারণ মানুষ আছে তারা এটাই ভেবে থাকে কিন্তু গ্রামে বসেও
কিন্তু আপনি অনলাইনে ঘরে বসে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।
তো কোন চিন্তা নেই আজকে আমি আপনাদের সব কিছু বিষয়ে ক্লিয়ার করে দিব কিভাবে আপনি
গ্রামে থেকে ঘরে বসে অনলাইনে ব্যবসা শুরু করবেন এ সকল বিষয় আজকে আপনাদের
ক্লিয়ার করে দেবো ইনশাআল্লাহ। প্রথমে আপনি আপনার কাছে নিজে নিজেই প্রশ্ন
করুন।
যে আসলে আপনি কি করতে চান? আপনি যদি সেলিং করতে চান তাহলে প্রোডাক্ট কোথা থেকে
আনবেন? নিজের তৈরি কোন জিনিস বিক্রি করবেন নাকি অন্যের পণ্য রিসেল করবেন? ধরুন
আপনি গ্রামের হাতের কাজ হস্তশিল্প, মৌচাক ঘরের মসলা শুকনো খাবার গার্মেন্টস
প্রোডাক্ট।
এসব জিনিস সহজে সংগ্রহ করতে পারেন। সেগুলোকে আপনি অনলাইনে বিক্রির জন্য ফেসবুক
ইনস্টাগ্রাম বা ইন কমার্স সাইট ব্যবহার করতে পারেন। আপনি চাইলে শুধু প্রোডাক্ট
সেল না করে ডিজিটাল সার্ভিস ও দিতে পারেন।
যদি আপনার কিছু স্ক্রিল জানা থাকে যেমন গ্রাফিক্স ডিজাইন,, ভিডিও এডিটিং কন্টেন্ট
রাইটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং বা ওয়েব ডিজাইন, তাহলে ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস করতে
পারেন মার্কেটপ্লেসগুলো যেমন ফাইবার, Upwork, ফ্রিল্যান্সার বা PeoplePerHour,
এগুলো মার্কেট প্লেসে অ্যাকাউন্ট খুলে কাজ পেতে পারেন।২০ হাজার টাকায় ব্যবসার
আইডিয়া।
এগুলো কাজ ঘরে বসেই করা যায় বিভিন্ন দেশের ক্লাইন্টের কাজ। এগুলো কাজ করতে কোন
ইনভেস্টমেন্টের প্রয়োজন পড়ে না শুধু দরকার স্কিল ডেভলপ করা। গ্রামে বসে যারা
শুরু করছেন, তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক হচ্ছে ইন্টারনেট সংযোগ।
আপনি চেষ্টা করুন ভালো একটা মোবাইল নেটওয়ার্ক বা ব্রডব্যান্ড কানেকশন নেওয়ার।
আরেকটা বিষয় খুব গুরুত্বপূর্ণ আপনার ব্যবসার জন্য বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি করা। আপনি
যেটাই বিক্রি বা সার্ভিস দিন না কেন, সেটাকে সুন্দরভাবে ছবি তুলে, ভিডিও বানিয়ে,
রিভিউসহ পোস্ট করুন।
ক্রেতা যেন মনে করে, হ্যাঁ আপনি সত্যিই একজন সিরিয়াস উদ্যোক্তা। আপনি নিজে
বিশ্বাস রাখুন নিজের উপর। অনলাইন ব্যবসা মানেই রাতারাতি ধনী হয়ে যাওয়া নয়। এটা
ধাপে ধাপে শেখা, কাস্টমার বুঝা, সময় দেওয়া আর ধারাবাহিকভাবে কাজ করার একটা
রাস্তা।
২০ হাজার টাকা দিয়ে স্মার্ট ব্যবসার আইডিয়া । আপনি যদি প্রতিদিন একটু করে শেখেন
এবং কাজ করতে থাকেন, তাহলে গ্রাম থেকেই আপনি হয়ে উঠবেন একজন সফল উদ্যোক্তা আর
সেটাই হবে আপনার জীবনের সবচেয়ে বড় গর্ব।
ধরুন, আপনি হ্যান্ডমেড পণ্য তৈরি করছেন বা দুধ-ঘি বিক্রি করছেন। আপনি সেগুলোর ছবি
তুলে ফেসবুক পেজ খুলে পোস্ট করুন, গ্রুপে শেয়ার দিন, হোয়াটসঅ্যাপে পরিচিতদের
পাঠান। ধীরে ধীরে অর্ডার আসবে।
আপনি যদি চান আরও প্রফেশনাল হতে, তাহলে Shopify বা WordPress দিয়ে একটা ছোট
ওয়েবসাইট তৈরি করেও কাজ শুরু করতে পারেন। অনলাইন ব্যবসা এখন এত সহজ হয়ে গেছে যে,
একটু মনোযোগ আর ধৈর্য থাকলেই আপনি গ্রাম থেকে শহরের বড় উদ্যোক্তাদের মতো সফল হতে
পারবেন।
কম টাকায় কোন ধরনের ব্যবসা শুরু করা যায় সঠিক গাইডলাইন
আপনার হাতে যদি খুব বেশি পুঁজি না থাকে, ধরুন ৫ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকার মতো
বাজেট, তবুও চিন্তার কিছু নেই। কারণ আজকের অনলাইন এবং ডিজিটাল যুগে কম টাকায়
লাভজনক অনেক ব্যবসা শুরু করা একদম সম্ভব।
আপনি যদি পরিকল্পনা করে, একটু স্মার্টভাবে এগিয়ে যান, তবে ছোট পুঁজির এই
ব্যবসাগুলোই আপনার ভবিষ্যতের বড় সফলতার পথে নিয়ে যেতে পারে। আপনি প্রথমে ভাবুন,
আপনার আগ্রহ কোন দিকে? আপনি কি ঘরে বসে অনলাইন কিছু করতে চান?
না কি লোকাল মার্কেট বা প্রতিবেশীদের মাঝে কিছু পণ্য বা সার্ভিস দিতে চান? আগ্রহ
ও দক্ষতা অনুযায়ী আপনি সিদ্ধান্ত নিন। যেমন আপনি যদি ঘরে বসে কিছু করতে চান,
তাহলে অনলাইন রিসেলিং (Facebook Page-এর মাধ্যমে), ডিজিটাল প্রোডাক্ট
বিক্রি।
(যেমন ডিজাইন, কন্টেন্ট), কুকিং হোম-ডেলিভারি, প্রিন্টিং আইটেম বা হ্যান্ডিক্রাফট
জাতীয় কাজ করতে পারেন।২০ হাজার টাকায় ব্যবসার আইডিয়া। আর আপনি যদি অফলাইনে কিছু
করতে চান, তাহলে মুদি দোকান না খুলেও ছোট আকারে মোবাইল এক্সেসরিজ বিক্রি।
টেবিল নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এসবের মধ্যে অনেক ব্যবসা আছে যা আপনি মাত্র
৫-১০ হাজার টাকাতেও শুরু করতে পারবেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আপনার
ব্যবসার মডেলটি যেন ছোট হলেও লাভজনক হয়, এবং আপনি যেন সেটার উপর নিয়মিত মনোযোগ
দিতে পারেন।
আজকাল সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্যে আপনি আপনার এই ছোট ব্যবসাকেও অনেক দূর নিয়ে
যেতে পারবেন। শুধু দরকার একটু মনোযোগ, চেষ্টা এবং ধারাবাহিকতা। সঠিক গাইডলাইন
মানে এখানে আপনি একটি ফ্লো মেনে চলবেন বাজার যাচাই > পণ্যের উৎস >কম দামে
সংগ্রহ >প্রোমোশন> কাস্টমার রিভিউ সংগ্রহ> রি-অর্ডার।
এতে আপনার গ্রাহকের আস্থা তৈরি হবে, আর আপনি ধীরে ধীরে ব্যবসার স্কেল বাড়াতে
পারবেন। সুতরাং কম টাকা থাকলেও আপনি ব্যবসার স্বপ্ন দেখা বন্ধ করবেন না। বরং ছোট
পুঁজি দিয়েই শুরু করুন, আগ্রহ আর ধৈর্য নিয়ে।২০ হাজার টাকা দিয়ে স্মার্ট
ব্যবসার আইডিয়া একদিন আপনার ছোট উদ্যোগই বড় সফলতা এনে দেবে।
মাত্র ১০ হাজার টাকা দিয়ে কিভাবে ব্যবসা শুরু করব
আপনার হাতে যদি মাত্র ১০ হাজার টাকা থাকে, তবে বুঝতেই পারছেন বড় কিছু শুরু করা
কঠিন। কিন্তু তাই বলে কি আপনি বসে থাকবেন? না! আপনি যদি একটু বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে
চলেন, তাহলে এই অল্প পুঁজিতেই ব্যবসার যাত্রা শুরু করতে পারবেন।
প্রথমেই আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, আপনি কোন সেক্টরে ব্যবসা করতে চান। ধরুন আপনি
অনলাইনে কিছু করতে চান। তাহলে আপনি ফেসবুক পেজ খুলে শুরু করতে পারেন প্রোডাক্ট
রিসেলিং বা প্রি-অর্ডার বেসড ব্যবসা।
আপনি লোকাল মার্কেট থেকে হ্যান্ড ব্যাগ, কাপড়, কসমেটিকস, কাস্টম গিফট আইটেম
সংগ্রহ করে ফেসবুকে পোস্ট করে বিক্রি করতে পারেন। এতে আপনার কোন স্টক রাখার দরকার
হবে না, প্রোডাক্ট অর্ডার আসার পর কিনে ডেলিভারি দিলেই হবে।
আরেকটা ভালো আইডিয়া হলো – ঘরে বসে হোমমেইড খাবারের অর্ডার নেওয়া। আপনি যদি ভালো
রান্না করতে পারেন, তাহলে দুপুরের অফিস লাঞ্চ, বিকেলের স্ন্যাকস বা কেক, পিঠা
জাতীয় আইটেম নিয়েও অর্ডার নিতে পারেন।
শুধুমাত্র ফেসবুক বা WhatsApp-এ পরিচিতদের মাঝে প্রমোশন করলেই কাজ শুরু হয়ে
যাবে। চাইলে আপনি মোবাইল ফোনের এক্সেসরিজ (চার্জার, হেডফোন, কভার), কসমেটিকস বা
মিনি গার্মেন্টস আইটেম (জামা-কাপড়) কিনে লোকাল মার্কেট বা অনলাইনে বিক্রিও করতে
পারেন।
আপনি চাইলে ১০ হাজার টাকায় কার্ড প্রিন্টিং, টি-শার্ট ডিজাইন, সাবান বা মোমবাতি
তৈরির ব্যবসাও শুরু করতে পারেন এসব সবই আজকাল কম টাকায় ঘরে বসে সম্ভব। সবচেয়ে
বড় কথা, আপনি যেটাই শুরু করুন, সেখানে কাস্টমারের প্রয়োজন, সঠিক দাম।
ডেলিভারির গতি ও বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি করার দিকে নজর দিন। শুরুতে লাভ কম হলেও
মনোবল হারাবেন না। যত বেশি রিভিউ আর সন্তুষ্টি পাবেন, ততই আপনার বিক্রি ও আয়
বাড়বে। এখনকার সময়ে “পুঁজি না থাকায় কিছু শুরু করা যায় না”এই ধারণাটা কিন্তু
পুরনো।
এখন আপনার আইডিয়া, অনলাইন উপস্থিতি, আর কাজের মানই আপনাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে
যাবে।২০ হাজার টাকা দিয়ে স্মার্ট ব্যবসার আইডিয়া । তাই আপনি আজই আপনার ১০ হাজার
টাকা নিয়ে বেছে নিন এমন একটা প্ল্যান।
যেটাতে আপনি ভালো পারেন, ভালোবাসেন সফলতা নিশ্চিতভাবে আপনার দিকে আসবে।২০ হাজার
টাকায় ব্যবসার আইডিয়া।
প্রশ্ন-উত্তর
সেকশন:
প্রশ্ন:
অনলাইন
ব্যবসা
করতে
কি
কোম্পানি
খোলা
জরুরি?
উত্তর:
না, শুরুতে
প্রয়োজন
নেই।
তবে
বড়
পরিসরে
গেলে
ট্রেড
লাইসেন্স
ও
অন্যান্য
কাগজপত্র
লাগতে
পারে।
প্রশ্ন:
কোন
প্ল্যাটফর্মে
প্রথম
ব্যবসা
শুরু
করা
সহজ?
উত্তর:
Facebook Page বা
WhatsApp Business দিয়ে
শুরু
করাই
সবচেয়ে
সহজ
এবং
সাশ্রয়ী।
প্রশ্ন:
গ্রাম
থেকে
কীভাবে
অনলাইন
মার্কেটিং
করব?
উত্তর:
Facebook Boost, YouTube Shorts, WhatsApp গ্রুপ
এবং
স্থানীয়
পেজে
প্রোমোশন
করে
ব্যবসা
বাড়ানো
সম্ভব।
২০ হাজার টাকা দিয়ে স্মার্ট ব্যবসার আইডিয়া সঠিক গাইড লাইন নিয়ে শেষ কথা
এই যুগে বড় ইনভেস্টমেন্ট এর চেয়ে ইউনিক বিজনেস প্ল্যানিং দরকার। ২০ হাজার টাকা
দিয়ে স্মার্ট ব্যবসার আইডিয়া সঠিক গাইড লাইন মেনে চললে আপনি ধীরে ধীরে
স্বাবলম্বী হয়ে উঠতে পারেন। ভুলে যাবেন না – বড় কিছু শুরু হয় ছোট চিন্তা থেকে।
সফল হতে হলে দরকার শুধু নিরবিচারে কাজ করে যাওয়া এবং সময়মতো সঠিক সিদ্ধান্ত
নেওয়া।
লেখকের মন্তব্য
আশা করি, আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনারা ২০ হাজার টাকা দিয়ে স্মার্ট ব্যবসার
আইডিয়া । সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পেয়েছেন। যদি এই বিষয়ে আপনাদের কোনো
প্রশ্ন থাকে বা মূল্যবান মতামত জানাতে চান, তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
আর আর্টিকেলটি শেয়ার করে আপনার আত্মীয়স্বজন ও প্রিয়জনদেরও ২০ হাজার টাকা
দিয়ে স্মার্ট ব্যবসার আইডিয়া । জানার সুযোগ করে দিন। ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url