কুকুর কামড়ালে কি হয় - যা দ্রুত করবেন

কুকুর কামড়ালে কি হয় - যা দ্রুত করবেন না করলে ঘটতে পারে নানান ধরনের মর্মান্তিক সমস্যা। যে কারণে সঠিক চিকিৎসা নিন এবং দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন, যত দেরি তত সমস্যা।
কুকুর-কামড়ালে-কি-হয়-যা-দ্রুত-করবেন
সূচিপত্র: কুকুর কামড়ালে কি হয় - যা দ্রুত করবেন 

কুকুর কামড়ালে কি হয় - যা দ্রুত করবেন

আমাদের দেশে সাধারণত পোষা কুকুর কামড় দেওয়া থেকে থেকে রাস্তায় এবং যেকোনো জায়গাতে হেঁটে যাওয়ার সময় কুকুরে কামড় দেওয়ার সমস্যাটি অনেক বেশি। পোষা কুকুরের মাঝে মাঝে আমাদের আচর লাগতে পারে তবে পোষা কুকুর আমাদের ওপরের রেগে গিয়ে তেমন কামড় দেয় না।

আমাদের যখন কুকুরে কামড় বা আঁচড় দেয় তখন আমরা অনেক পরিমাণে ঘাবড়ে যাই। এবং অনেক চিন্তা এবং ভীতু হয়ে পড়ি যে আমাদের জলাতঙ্ক হয়ে পড়েছে কিনা। তবে কুকুরে আচর বা কামড় দিলে শুধু জলাতঙ্ক হয় এমনটি নয়। 

কুকুরে আচর বা কামড় দিলে ধনুষ্টাস্কার এর মত অনেক ধরনের ব্যাকটেরিয়া আমাদের শরীরে প্রবেশ করে জেটি থেকে আমাদের আরো অন্যান্য রোগ হতে পারে। যে কারণে আমাদের সর্বপ্রথম কুকুরে কামড়ালে এটির চিকিৎসা করতে হবে এবং অভিজ্ঞ চিকিৎসক এর পরামর্শ নিতে হবে। 

আমাদের কুকুর কামড় দিলে কি হয় এটি ভালোভাবে জেনে তার চিকিৎসা করতে হবে। কুকুর কামড় দিলে সাধারনত জলাতঙ্ক হয় অনেক পরে। যদি আপনি কুকুরে কামড় দিলে সঠিক চিকিৎসা না করেন তবেই আপনার জলাতঙ্ক হবে। 

আপনি যদি সঠিক সময় চিকিৎসা করে নেন তবে কুকুরে কামড় দিলে সেই সময় শুধু আপনার শরীরে কুকুরের শরীর থেকে যে জীবাণু বা ব্যাকটেরিয়া রয়েছে সেটি আপনার শরীরে প্রবেশ করবে। এর জন্যই আপনাকে সর্বপ্রথম কুকুর কামড়ালে কি হয় এটি জানার পর চিকিৎসা করতে হবে। এর জন্য আমরা যা করতে পারি তাহলো:
  • রক্তপাত বন্ধ: কুকুরের কামড় দিলে সর্বপ্রথম আমাদের সেই স্থানের রক্তপাত বন্ধ করতে হবে। এবং আমরা আতঙ্ক না হয়ে সেই স্থানটি ভালোভাবে চেপে ধরে রাখতে হবে।
  • ক্ষতস্থান পরিষ্কার: কামড়ানোর সাথে সাথেই বা আঁচড় দেওয়ার সাথে সাথেই সেই স্থানটি অনেক ভালোভাবে পানি দিয়ে পরিষ্কার করুন। যদি পারা যাই তবে সাবান দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে যেই সাবানের জীবন ধ্বংস হয় এমন ধরনের সাবান দিয়ে দশ মিনিট ধরে সেই স্থানটি ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে।
  • ঢেকে রাখা: ক্ষতস্থান ভালোভাবে গজ অথবা ব্যান্ড এইড দিয়ে ভালোভাবে ঢেকে রাখতে পারেন। এবং কুকুরের যে স্থানে কামড় দিয়েছে সেই স্থানে কোন ধরনের মলম অর্থ বা ক্রিম লাগাবেন না যদিও মলম লাগান তবে সেই স্থান থেকে জীবাণু পরিষ্কার হওয়ার জন্য অনেক ভালো মানের মলম লাগাবেন।
  • জলাতঙ্ক টিকা: দ্রুতই জলাতঙ্কর টিকা দেওয়ার জন্য আপনার পার্শ্ববর্তী স্বাস্থ্য পরামর্শ হাসপাতালে অথবা কোন অভিজ্ঞ চিকিৎসক এর কাছে আপনি পরামর্শ নিন। জলাতঙ্ক দুই ধরনের টিকা রয়েছে তবে আমাদের একটি টিকাই দিতে হবে তবে আমরা কোন টিকাটি দিব সেটি অভিজ্ঞ চিকিৎসক নির্ধারণ করবে। যে কারণে দ্রুতই অভিজ্ঞ চিকিৎসকের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে জলাতঙ্ক এর টিকা দেওয়া উত্তম।
প্রিয় পাঠক আমরা এতক্ষণ কুকুর কামড়ালে কি হয় - যা দ্রুত করবেন এই সম্পর্কে অনেক ভালোভাবে জানলাম। এবং এখন আমরা আরো জানবো কুকুর কামড়ালে কি হয় এবং জলাতঙ্ক বিষয়ে এবং আরো স্বাস্থ্য চিকিৎসা নিয়ে নিচে বিস্তারিত দেওয়া রয়েছে যেগুলো আপনি জানলে আপনার আরো কুকুর কামড়ালে কি হয় এই বিষয়ে আরো বেশি ধারণা পাবেন।

স্বপ্নে কুকুর কামড়ালে কি হয়

স্বপ্নের মাধ্যমে কুকুর দেখলে বা স্বপ্নে কুকুর কামড়ালে কি হয় এটি আমরা অনেকেই জানতে চাই। স্বপ্নে কুকুর কামড়ালে কি হয় এমন বিষয় নিয়ে অনেক ধরনের আলোচনা রয়েছে। তবে স্বপ্নের সঠিক ব্যাখ্যা জানার জন্য আপনাকে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ যারা স্বপ্নের ব্যাখ্যা করে তাদের কাছ থেকে ব্যাখ্যা নেওয়া উচিত। 

সাধারণত স্বপ্নে কুকুর দেখলে এমনটি বোঝা যায় যে আপনার আশেপাশে অনেক ধরনের শত্রু রয়েছে এবং তারা মোটেও আপনার ভালো চায়না। তাই যদি স্বপ্নে কোন কুকুর আপনাকে তাড়া করে এবং তার সাথে কোন লোক থাকে তবে এটি বুঝতে হবে যে সেই লোকটি আপনার ক্ষতি করতে চায়। 
যদি আপনি দেখেন যে আপনার চেনা কোন বা কাছের কোন পরিচিত লোক এর সঙ্গে কুকুর রয়েছে এবং সে আপনাকে তাড়া করছে তবে এমনটি মনে করবেন যে সেই ব্যক্তি আপনার কে অনেক হিংসা করে এবং আপনার মোটেও সে ভালো চায় না। 

এর জন্য স্বপ্নে কুকুর দেখলে অবশ্যই সাবধান এর সঙ্গে থাকবেন এবং সৃষ্টিকর্তার কাছে সাহায্য চাইবেন। এবং আপনাকে যদি বাস্তবে কুকুরের কামড় দেয় তবে তো আপনি ওপরে জানতেই পারলেন কুকুরে কামড়ালে কি হয়। এবং সেই অনুযায়ী আপনি চিকিৎসা করতে পারবেন।

কুকুর কামড়ালে কত দিনের মধ্যে জলাতঙ্ক হয়

কুকুর কামড়ালে কত দিনের মধ্যে জলাতঙ্ক হয় এই বিষয়টি আমাদের অনেক ভালোভাবে জানা উচিত। কেননা আমরা অনেক সময় কুকুরে কামড়ানোর পরে সেটিকে অনেক ভালোভাবে বিবেচনা করি না এবং অবহেলা করে সেটি এড়িয়ে চলি। যে কারণে আমরা জলাতঙ্কর শিকার হই।

আমরা যদি সঠিক সময় সঠিক চিকিৎসক এবং সঠিক ভ্যাকসিন দিতে পারি তবে আমাদের জলতাঙ্ক হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে আসে। এবং আমরা যদি কুকুরে কামড়ানোর পরে কয়েক দিনের ভিতর ভ্যাকসিন না দেই তবে সেটি ১০ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে জলাতঙ্ক এর লক্ষণ গুলো আমাদের শরীরে ফুটে উঠতে শুরু করবে। 

এবং আস্তে আস্তে এটি জলাতঙ্ক এর রূপে পরিণত হবে। এবং এমন দেখা দেয় যে কারো কারো ক্ষেত্রে যদি সে সঠিক চিকিৎসা না নেয় তবে তার এক বছর দুই বছর পরেও জলাতঙ্ক হয়। এবং যদি বেশি জলাতঙ্ক রয়েছে এমন ধরনের কুকুর কামড় দেয়

তবে এটি ১০ থেকে ৯০ দিনের মধ্যেই তার শরীরে জলাতঙ্কর লক্ষণ ফুটে উঠবে যেমন সে প্রথমে পাগলামি করতে পারে অথবা উত্তেজিত হয়ে যেতে পারে অথবা মন খারাপের মতো সমস্যায় ঢুকতে পারে তবে দুটি হতে পারে। এর জন্য সর্বপ্রথম আমাদের কুকুরে কামড়ালে অবশ্যই জলাতঙ্কর ভ্যাকসিন নিতে হবে।

কুকুর কামড়ালে কত দিনের মধ্যে টিকা দিতে হয়

আমাদের সাধারণত কুকুরে কামড় দিলে আমরা অনেক ঘাবড়ে যায় যে কারণে খুব দ্রুতই আমাদের শরীরে কুকুরের যেই ব্যাকটেরিয়া এবং কুকুরের মুখ থেকে লালার যেই জীবাণুগুলো রয়েছে। সেগুলো আমাদের শরীরে দ্রুত ছড়াতে শুরু করে। কারণ কুকুরে কামড় দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা সেটিকে বেশি স্বাভাবিক হিসেবে নেই না। 
কুকুর-কামড়ালে-কত-দিনের-মধ্যে-টিকা-দিতে-হয়-জানুন
কুকুরে যখনই আমাদের কামড় দেবে আমাদের অবশ্যই যে স্থানে কামড় দিবে সেই স্থানেই সেটি ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এবং কুকুরের যদি হাতে কামড় দেয় তবে এই হাতের যে অংশে কামড় দিয়েছে সেই স্থানটি ভালোভাবে উঁচু করে রাখতে হবে। 

খুব দ্রুতই শান্ত হয়ে বসে পড়তে হবে। যে কারণে সেটি আমাদের শরীরে বেশি সংক্রমণ হবে না। এবং কুকুরে কামড় দেওয়ার বা আঁচড় দেওয়ার পরে সেই স্থানে যে ক্ষতটি হবে সেটি ভালোভাবে চিকিৎসা করতে হবে এবং রক্ত প্রবাহ বন্ধ করতে হবে। 

তারপরে আমরা দুই থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে কুকুরে কামড়ালে যে টিকা দিতে হয় জলাতঙ্কের সেই টিকাটি দিতে পারি। অথবা সেই সময়ে আমরা কুকুরের ভ্যাকসিন এর টিকা দিয়ে নিতে পারি। তবে নিজে নিজেই কুকুরে কামড়ালে টিকা দেওয়া উচিত নয়। 

অবশ্যই অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী টিকা দিতে হবে। এবং টিকা দিতে বেশি দেরি না করাই উচিত কেননা আমরা যদি বেশি সময় দেরি করি তবে এটি আমাদের জলাতঙ্ক রোগের রূপ নিবে যদি আমরা দশ দিন পার করে ফেলি তবেই জলাতঙ্ক এর লক্ষণ আমাদের মধ্যে দেখা দেবে তাই দ্রুত চিকিৎসা এবং ভ্যাকসিন নিতে হবে।

কুকুর কামড়ালে কি ভ্যাক্সিন দিতে হয়

কুকুরে কামড়ালে আমাদের অবশ্যই খুব দ্রুত ভ্যাকসিন দিতে হবে এবং অভিজ্ঞ চিকিৎসক এর পরামর্শ নিতে হবে। কুকুরে এবং আরো অন্যান্য যে সকল প্রাণী রয়েছে তারা কামড় দিলে সাধারণত একটি ভ্যাকসিন ব্যবহার করা হয় এবং এই ভ্যাকসিন টি অনেক জনপ্রিয় এবং কুকুরে কামড়ালে সাধারণত হাসপাতাল অথবা যে কোন স্থানে এই ভ্যাকসিন দেওয়ার এ পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। 

তাই আমরা এই ভ্যাকসিনটি দিতে পারি V-R`G এই ভ্যাকসিন টি যদি আমরা দেই তবে আমাদের যে কোন বিষাক্ত প্রাণীতে কামড় দিলে যদি জলাতঙ্কর লক্ষণ থাকে সেই প্রাণীতে তবে আমরা এই ভ্যাকসিনটি দিতে পারি এই ভ্যাকসিনটি সাধারণত দেওয়ার মাধ্যমে জলাতঙ্কর যেই প্রভাব রয়েছে। 
আরো পড়ুন: মানসিক রোগের শারীরিক লক্ষণ  ১০টি জেনে নিন
সেটি আমাদের শরীরে আর হয় না। তাই অভিজ্ঞ চিকিৎসক এর পরামর্শ নিয়ে আপনার শরীরে কয়টা ভ্যাকসিন দেওয়া লাগবে সেটি জেনে এই ভ্যাকসিনটি দিতে পারেন এই ভ্যাকসিনটি আমাদের দেশে সরকারি স্বাস্থ্য হাসপাতালে বিনামূল্যে দেওয়া হয়।

কুকুর কামড়ালে কি কি খাওয়া যাবে না

কুকুরে কামড় দিলে কি কি খাওয়া যাবেনা এটি নিয়ে অনেক সময় আমাদের ভাবতে হয়। তবে কুকুরে কামড়ালে কি কি খাওয়া যাবেনা এমন ধরনের কোন কথা নেই কুকুরে কামড়ালে আমরা যে কোন কিছুই খেতে পারি। কুকুরে কামড়ালে কোন নিষিদ্ধ খাবার নেই বলতে গেলেই চলে। 

তবে আমরা কুকুরে কামড়ালে যেহেতু আমাদের শরীরে অনেক ধরনের ভ্যাকসিন দিতে হয় এবং আমাদের শরীরের জীবাণু আক্রমণ করে থাকে যে কারণে আমাদের স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া উচিত। যে সকল খাদ্য আমাদের স্বাস্থ্যকে উন্নত করবে এই সকল খাদ্য আমরা যদি খাই তবে এটি আমাদের শরীরের জন্য অনেক ভালো হবে। 

যে কারণে আমরা অনেক বেশি পরিমাণে ফল এবং সবজি খেতে পারি। এবং চর্বি থাকে না এমন ধরনের প্রোটিন খাবার খেতে পারি। যেগুলো আমার শরীরকে অনেক বেশি স্বাস্থ্যবান করে তুলবে। আপনার শরীরে যে দুর্বলতা গুলোর রয়েছে কুকুরে কামড় দেওয়ার পরে সেগুলো আস্তে আস্তে সাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করবে।

রেবিস ভ্যাকসিন এর দাম বাংলাদেশে

রেবিস ভ্যাকসিন সাধারণত আমাদের হাসপাতালে ফ্রিতে দিয়ে দেয়। এবং আমরা যদি এটি কিনে দিতে চাই তবে আমরা থেকে ফার্মেসি থেকে কিনেও দিতে পারি। এটি আমরা যদি কিনে দেই তবে প্রত্যেকটি ভ্যাকসিন এর ডোজ এর দাম পড়বে 500 টাকা। 
রেবিস-ভ্যাকসিন-এর-দাম-বাংলাদেশে
এটি সাধারণত স্থান ও সময় হিসাবে দাম পরিবর্তন হতে পারে। যে কারণে অবশ্যই আপনার নিকটবর্তী ফার্মেসি অথবা চিকিৎসা কেন্দ্রতে দাম বিশ্লেষণ করুন। কেননা অনেক সময় এটার দাম কমতে পারে আবার অনেক সময় এটির দাম বাড়িতে পাড়ে। 

ভ্যাকসিন কয়েক ধরনের রয়েছে যে কারণে আপনি যেটি নিবেন সেটি সে অনুযায়ী সেটির দাম হতে পারে। কেননা একেক ধরনের ভ্যাকসিন এর এক এক ধরনের দাম রয়েছে।

আমাদের পরামর্শ

প্রিয় পাঠক ওপরে আমরা কুকুর কামড়ালে কি হয় - যা দ্রুত করবেন সেই বিষয় নিয়ে অনেক ভালোভাবে আলোচনা করেছি। তবে আমরা শুধু ওপরে আপনাকে সাধারণ জ্ঞান দেওয়ার জন্য আর্টিকেল লিখেছি এবং এই বিষয়ে জানিয়েছি। 

এই বিষয়ে আরো ভালোভাবে বিস্তারিত জানার জন্য আপনার অভিজ্ঞ চিকিৎসক এর কাছ থেকে পরামর্শ নিন। এবং সেই অনুযায়ী ওষুধ এবং ভ্যাকসিন দিন। তবে কুকুর অথবা জলাতঙ্ক রোগের ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে দেরি করতে নেই। যে কারণে দ্রুত ভ্যাকসিন দিন সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url