প্যানিক এটাক থেকে মুক্তির উপায় - ১০ টি জানলেই মুক্তি
শরীর কাঁপা কিসের লক্ষণ
প্যানিক এটাক থেকে মুক্তির উপায় - ১০ টি জানলেই মুক্তি প্যানিক অ্যাটাক রোগ থেকে
তাই দ্রুত উপায় এবং কৌশল গুলো জানুন এবং প্যানিক অ্যাটাক থেকে মুক্তির উপায়
গুলো অবলম্বন করুন।
সূচিপত্র; প্যানিক এটাক থেকে মুক্তির উপায়
প্যানিক এটাক থেকে মুক্তির উপায় - ১০ টি জানলেই মুক্ত
প্যানিক অ্যাটাক এমন একটি অবস্থা যেখানে হঠাৎ করে অত্যন্ত ভয় বা আতঙ্ক অনুভব হয়।
এটি সাধারণত খুব তীব্র এবং আকস্মিক হয়। প্যানিক অ্যাটাকের সময় আপনি যদি মনে করেন
আপনি প্যানিক অ্যাটাকের শিকার তাহলে এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। যে আপনি একজন
চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন।
প্যানিক অ্যাটাক সাধারণত চিকিৎসাযোগ্য এবং অনেক সময় থেরাপি পরামর্শ নিতে পারেন।
প্যানিক অ্যাটাক থেকে কিছু মুক্তি পাওয়ার কিছু কার্যক্রম উপায় নিচে দেওয়া হল
তবে মনে রাখবেন যদি যদি ঘন ঘন প্যানিক অ্যাটাক হয়। জীবনযাত্রায় বড় প্রভাব
ফেলে তাহলে ১ জন্য মনোরোগ বিশেষজ্ঞর কাছে যেতে হবে বা থেরাপিস্টর পরামর্শ নিতে
হবে প্যানিক অ্যাটাক থেকে মুক্তির উপায় হল :
- প্যানিক এটাক থেকে মুক্তির উপায় হল দীর্ঘ শ্বাস নিয়ে ৪ সেকেন্ড ধরে রেখে আস্তে আস্তে মুখ দিয়ে শ্বাসটা ছাড়া। ৭ থেকে ৮ বার গভীরভাবে শ্বাস নিয়ে ৪ সেকেন্ডের মতন রেখে দিয়ে আস্তে আস্তে ছাড়তে হবে।
- প্যানিক এটাক থেকে মুক্তির উপায় হল নিজেকে শান্ত রাখা নিজেকে বলুন আমি নিরাপদ আছি। আশেপাশে কেউ থাকলে তাকে বলুন আমাকে সাহায্য করুন। তার কাছ থেকে পানি চান পানি চেয়ে মুখ হাত পায়ে ভালো করে ধুয়ে নিন। তাহলে আপনার কিছুক্ষণের জন্য প্রশান্তি অনুভব হবে।
- প্যানিক এটাক থেকে মুক্তির উপায় একটি নির্দিষ্ট বস্তুর দিকে তাকিয়ে থাকুন যেমন ঘড়ি বল বা জানালার দিকে তাকিয়ে থাকুন। বা প্রিয় মানুষের সাথে কথা বলুন বা ছোট বাচ্চাদের সাথে খেলাধুলা করুন তাতে আপনার মস্তিষ্ক অন্যদিকে নিয়ে যাবে।
- প্যানিক এটাক থেকে মুক্তির উপায় হল রোগীকে প্রতিদিন ৩০ মিনিট করে হাঁটতে হবে বা সাঁতার কাটতে হবে বা ব্যায়াম করতে হবে।
- প্যানিক এটাক থেকে মুক্তির উপায় হল প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ মিনিট মেডিসিন অভ্যাস করতে হবে। তাহলে রোগীর মানসিক চাপ বা প্যানিক অ্যাটাকের সম্ভাবনা কমতে পারে।
- প্যানিক এটাক থেকে মুক্তির উপায় হল হল রোগীকে চা বা কফি তে চিনি কম খাওয়া বা পারলে রোগীকে চিনি ছাড়া চা বা কফি দেওয়া ভালো হবে।
- প্যানিক এটাক থেকে মুক্তির উপায় হল আলকোহল যুক্ত কোমল ড্রিংকস রোগীকে না দেওয়া বা না খাওয়ানো। যেমন মদ বিয়ার ইত্যাদি অ্যালকোহলযুক্ত সব ড্রিংকস রোগীকে না দেওয়া।
- প্যানিক এটাক থেকে মুক্তির উপায় হল রোগীকে প্রতিনিয়ত বা প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘন্টা নিয়মিত ঘুমাতে হবে।
- প্যানিক এটাক থেকে মুক্তির উপায় হল প্রতিনিয়ত রোগীকে পুষ্টিকর খাবার দিতে হবে বা খাওয়াতে হবে যেমন শাক-সবজি, মাছ, মাংস শাকসবজির ভিতরে খাওয়াবে সকল ধরনের সবজি আলু, পটল, লাল, শাক, কুমড়ো, মিষ্টি কদু ইত্যাদি আরও শাকসবজি আছে এগুলো খাওয়াবে রোগীকে আর মাংস মাছ খাওয়াতে হবে রোগীকে।
আরো পড়ুন: মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের ১০টি উপায় জেনে নিন
এগুলো করলেই প্যানিক এটাক থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। যেগুলো অবলম্বন করলে খুব
সহজেই ফেনিক এটা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় পেয়ে যাবেন। তবে আপনি যদি এটাক
সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে চান তবে আমাদের নিচে থেকে জেনে নিতে পারেন সেখানে
আমরা আরো ভালোভাবে বিস্তারিত জানিয়েছি।
প্যানিক এটাক এর লক্ষণ প্যানিক
প্যানিক এটা হল হঠাৎ করে আতঙ্ক ও ভয় কাজ করা সাধারণত কিছুক্ষণ স্থায়ী হয়। যে
কারণে আমরা যখন লক্ষণগুলো জানব আগে থেকেই। তখন আমরা খুব সহজেই এই লক্ষণগুলো
দেখলে বুঝতে পারব যে এগুলো প্যানিক অ্যাটাক এর লক্ষণ।
তাই লক্ষণগুলো আমাদের খুব ভালোভাবে মনে রাখা এবং জানা খুব প্রয়োজন। যেন খুব
সহজে আমরা বুঝতে পারি আমাদের প্যানিক অ্যাটাক হয়েছে শারীরিক ও মানসিক লক্ষণ
থাকে সাধারণত প্যানিক এটাক এর লক্ষণ গুলো দেওয়া হল:-
- কোন ব্যক্তির যখন প্যানিক অ্যাটাক হয় তখন সেই ব্যক্তির বুক ধরফর করে যে কারণে সেই ব্যক্তি ছটফট করতে থাকে।
- যখন কোন ব্যক্তির প্যানিক অ্যাটাক হয় তখন তার শরীর থেকে অনেক পরিমানে ঘাড় বের হতে থাকে। এই ঘামগুলো সাধারণ সময়ের ঘামের থেকে বেশি বের হয় এবং কোন পরিশ্রম ছাড়াই তার শরীর থেকে ঘাম বের হতে থাকে যখন কারো পেনিস অ্যাটাক হয়।
- প্যানিক অ্যাটাকে সময় অনেক ক্ষেত্রে দেখা দেয় শরীর ঝাকুনি দিয়ে ওঠে এবং হাত-পা স্বাভাবিক অবস্থায় থাকা বাদ দিয়ে থরথর করে কাঁপতে শুরু করে। বেশিরভাগ সময় এমন ধরনের ঝাকুনি এই পাথর করে।
- প্যানিক এটাকে সময় সেই ব্যক্তি শ্বাস নিতে অনেক বেশি অসুবিধা হয় এবং ঠিকমতো শ্বাস নিতে পারে না যে কারণে আস্তে আস্তে সেই ব্যক্তির শরীর দুর্বল হতে শুরু করে।
- যে ব্যক্তির প্যানিক অ্যাটাক হয়েছে সেই ব্যক্তির গলা আস্তে আস্তে শুকিয়ে আসে এবং বুকে অনেক বেশি চাপ ধরে থাকে যে কারণে ঠিকমতো নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা হয়।
- প্যানিক অ্যাটাক এর সময় রোগীর বমি হওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয় আবার বমি বমি ভাব এর সমস্যা দেখা দেয় এবং প্যানিক এটাকে সময় রোগীর অনেক বেশি পেট ব্যথার সম্ভাবনা থাকে।
- প্যানিক এটাক রোগীর মাথা ঘোরা হালকা লাগা বা মূর্ছা যাওয়ার মতন অনুভব হয়।
- প্যানিক অ্যাটাকের সময় রোগীর শরীর ঝিনঝিন ঝিন হয়ে যাওয়ার মতন সমস্যা দেখা দেয় এবং শরীরের কোন অংশ কাজ করতে পারে না যে কারণে অবশ হয়ে যাওয়ার মত সমস্যা দেখা দেয়।
- প্যানিক অ্যাটাকের সময় কোন কোন রোগীর অনেক বেশি ঠান্ডা লাগে আবার কোন কোন ব্যক্তির ক্ষেত্রে এর বিপরীত হতে পারে ঠান্ডা এবং গরম দুটোই তীব্রভাবে লাগতে পারে।
- প্যানিক অ্যাটাকের সময় মানসিকভাবে অনেক প্রভাবিত করে আমাদের এই সময় আমাদের মনে হয় যে আমরা হয়তোবা মারা যাবো যে কারণে আমরা অনেক বেশি ভয় পেয়ে থাকি এটি হলো অনেক বড় একটি লক্ষণ।
- প্যানিক এটাক রোগীর বাস্তবতা থেকে বিচ্ছেদ হওয়া বা নিজের শরীর থেকে হারিয়ে যাওয়া যে কারণে রোগে অনেক বেশি ভয় পেয়ে থাকে।
- সাধারণত ১০ থেকে ২০ মিনিট পর্যন্তই থাকে এর পরে শরীর স্বাভাবিক হতে শুরু করে। তবে কারো কারো ক্ষেত্রে এটি দীর্ঘ সময়ই হয়ে থাকে মানসিকভাবে থাকতে পারে ।
প্যানিক এটাক এর ঔষধ
যদি প্যানিক অ্যাটাক খুব ঘন ঘন হয় বা জীবনযাত্রা অনেক প্রভাবিত করে তখন মনোরোগ
বিশেষজ্ঞের পরামর্শে ওষুধ লাগতে পারে। নিজে থেকে কোনো ওষুধ খাওয়া ঠিক না।
প্যানিক অ্যাটাকের চিকিৎসার জন্য সাধারণত বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহার
করা হয়।
এটি সাধারণত থেরাপি এবং ঔষধের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। কিন্তু প্যানিক
অ্যাটাকে জন্য ঔষধ ব্যবহার করা হয় যখন সমস্যা বেশি জটিল প্যানিক অ্যাটাক মেয়াদী
হয়ে থাকে। তবে এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ যে কোন ওষুধ ডাক্তার বা মনোরোগ বিশেষজ্ঞ
পরামর্শ ছাড়া না খাওয়া।
কিন্তু চিকিৎসার কিছু নির্দিষ্ট ওষুধ আছে। ওই ওষুধগুলো শুধু মনোরোগ বিশেষজ্ঞ
দের পরামর্শ নিয়ে খেতে হবে কারণ ভুল ব্যবহার বিপদজনক হতে পারে প্যানিক এটাকের
ঔষধ নাম হল:
- Sertraline ( Zoloft)
- Fluoxetine (Prozac )
- Paroxetine ( Paxil )
এইগুলা ওষুধ বেশি ব্যবহার হয়। প্যানিক অ্যাটাকের ওষুধ এগুলাই ওষুধ কাজ করতে
দুই থেকে চার সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। প্যানিক অ্যাটাক চলাকালীন বা
শুরু হওয়ার আগে একটি ওষুধ ব্যবহার করা হয় ওষুধের নাম হল:
- Benzodiazepines
- Alprazolam (xanax )
- Paroxetine (Paxil)
এই ওষুধগুলো খুব তাড়াতাড়ি কাজ করে কিন্তু এ ওষুধের মাধ্যমে নেশা হওয়ার
সম্ভাবনা আছে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এই ওষুধ ব্যবহার করা ঝুঁকিপূর্ণ হতে
পারে। আমরা চেষ্টা করব চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এই ওষুধগুলো ব্যবহার না করা।
প্যানিক এটাক কেন হয়
কিছু শারীরিক অবস্থা বা মেডিকেল সমস্যা থাইরয়েড সমস্যা হৃদরোগ বা অন্যান্য
শারীরিক সমস্যা প্যানিক অ্যাটাকের কারণ হতে পারে। এটি ভালো করে বুঝতে হল।
আমাদের মানসিক ও শারীরিক ভাবে বিষয় নিয়ে বুঝতে হবে যেমন অতীতে কোন দুর্ঘটনা
বা কোন মর্মান্তিক ঘটনার মুখোমুখি হওয়া।
ভবিষ্যৎ বা ক্যারিয়ার নিয়ে দুশ্চিন্তা করা মস্তিষ্কে সিগন্যাল দেয় তখন আপনার
বডি অনুভব করে আমি মরে যাব বা আমার কোন বিপদ হবে বা অ্যাক্সিডেন্ট হবে। তখন
মস্তিষ্ক ও বডিকে সিগনাল দেয় এর জন্য ঘাম হয় ছটফট করে মানুষ। অস্থির হয়ে
যায়।
আরো পড়ুন: শরীর কাপে কেন - শরীর কাঁপা দূর করার উপায়
মাটিতে বসে পড়ে হাত পা কাপে রোগীর অনেক কষ্ট হয় এর জন্যেই প্যানিক অ্যাটাক
হয়। আমি যখন কোন কিছু নিয়ে বা আপনার মরে যাওয়া নিয়ে অথবা দুশ্চিন্তার মধ্যে
থাকবেন তখন প্যানিক এটা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
প্যানিক ডিজঅর্ডার চিকিৎসা
প্যানিক ডিজঅর্ডার হলো একটি মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা যেখানে ব্যক্তি হঠাৎ করে
অত্যন্ত ভয় বা আতঙ্ক অনুভব করে। এটি সাধারণত খুব তীব্র এবং আকস্মিক হয়। প্যানিক
ডিজঅর্ডারে আক্রান্ত ব্যক্তিরা অপ্রত্যাশিতভাবে প্যানিক অ্যাটাকের শিকার হন
যেখানে তারা শরীরের বিভিন্ন অংশে টানাপোড়েন হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া শ্বাসকষ্ট
এবং বুকে ব্যথা শুরু হয়।
প্যানিক ডিজঅর্ডার চিকিৎসা হল:- প্যানিক ডিজঅর্ডার চিকিৎসা থাকে না তবে এটি
চিকিৎসার যোগ্য একটি সমস্যা শিখায়। কিভাবে আতংক তৈরি হয় নিজ থেকে কিভাবে
মোকাবেলা করতে হয়। ধীরে ধীরে ভয় পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে সাহায্য করে।
প্যানিক ডিজঅর্ডার চিকিৎসা পরামর্শ করে ওষুধ ব্যবহার করতে পারেন প্যানিক
ডিজঅর্ডার চিকিৎসা নিয়মিত ঘুম প্রতিদিন ব্যায়াম করা মাইন্ড ফ্রেশ বা রিলাক্স
করা ।সিগারেট বা অ্যালকোহল যুক্ত খাবার না খাওয়া যেমন সিগারেট এসব না খাওয়া
এইগুলো খাওয়ার মাধ্যমে পানির অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়
যে কোন ধরনের এগুলো থেকে বিরত থাকা।প্যানিক ডিজঅর্ডার চিকিৎসা সাধারণত অনেকদিন
পর্যন্ত হয় তাই ধৈর্য সহকারে নিয়মিত চিকিৎসা করা জরুরি। নিজের মনে ভুল ধারণা
না নিয়ে মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ ওর কাছে পরামর্শ নেওয়া ভালো হবে।
প্যানিক এটাক থেকে কি মৃত্যু হয়
প্যানিক অ্যাটাক সাধারণত জীবনের জন্য বিপজ্জনক নয়। এটি খুবই ভীতিকর হতে পারে।
কিন্তু সাধারণত এটি মৃত্যু জনিত সমস্যা সৃষ্টি করে না। তবে যদি কেউ প্যানিক
অ্যাটাকের সময় অত্যন্ত বেশি আতঙ্কিত হন বা শারীরিক সমস্যা অনুভব করেন তখন এটি
একটি গুরুতর পরিস্থিতি হতে পারে।
যদি কারো প্যানিক অ্যাটাকের পরে গুরুতর শারীরিক সমস্যা বা অসুস্থতা দেখা দেয়।
তাহলে তা চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। সাধারণভাবে প্যানিক অ্যাটাক জীবনের
জন্য বিপজ্জনক নয়। কিন্তু প্যানিকাটাকে সময় কিছু শারীরিক সমস্যা ও মানসিক
সমস্যা দেখা দেয় যেমন:-
- প্যানিক অ্যাটাক হলে সেই অবস্থায় শ্বাস নিতে অনেক বেশি কষ্ট হয়ে থাকে যে কারণে স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নেওয়ার সম্ভব হয় না।
- প্যানিক এটাকে সময় রোগীর প্রচন্ড বুকে ব্যথা অনুভব হয়।
- প্যানিক এটাকে সময় হার্টবিট স্বাভাবিক অবস্থা থেকে হার্ড জোরে জোরে পাম্প করে।
- প্যানিক এটাকে সময় রোগীর বমি বমি ভাব হয় মাথা ঘোরায় রোগী অসুস্থ বোধ করে।
- প্যানিক এটাকে সময় রোগীর সব থেকে বেশি ভয় হয় আমি মরে যাব বা আমি পাগল হয়ে যাব আমার কোন বিপদ হচ্ছে বা আমার কিছু সাথে এক্সিডেন্ট হবে মাথায় এইসব ঘোরে কিন্তু প্যানিক অ্যাটাক শারীরিকভাবে প্রাণঘানি নয়।
এটি মনোরোগের মতন জটিল কারণ হয় না, যদিও অনেকেই সেটা ভাবেন । তবে মনোরোগ বা
অন্য কোন শারীরিক রোগ থাকে তবে সে ব্যক্তির জন্য কিছু ঝুঁকি কিছুটা বেশি হতে
পারে। সন্দেহ হলে বা বুকে ব্যথা উঠলে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে সমস্যা হলে দ্রুত
ডাক্তারের কাছে বা হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
আপনি যদি বারবার প্যানিক অ্যাটাকে মুখোমুখি হন তাহলে আপনাকে জরুরী ডাক্তারের সাথে
পরামর্শ করতে হবে। কিন্তু এইসব দেখে হার্ট এটাক হার্ড এটাক হয়ে মারা যাওয়ার
সম্ভাবনা থাকে কিন্তু প্যানিক এটাকে শারীরিকভাবে প্রাণহানি না।
প্যানিক অ্যাটাক সাধারণত মানুষই সমস্যা ব্রেন কে সব সময় বিপদের সিগন্যাল দেয়।
তখন ব্রেনে মনে করে আমার কোন ক্ষতি হবে বা আমার মৃত্যু হবে অ্যাক্সিডেন্ট হবে এর
জন্যই মানুষ ছটফট করে কিন্তু প্যানিক এটাকে কোন কারো মৃত্যু হয় না।
চিন্তার কিছু নাই প্যানিক অ্যাটাক ভয়ংকর হলেও এটি মৃত্যু কোন কারণ নেই। থেরাপির
মাধ্যমে এটি থেকে আপনি সহজে মুক্তি পেতে পারেন কিন্তু অনেক সময় লাগবে।
আমাদের পরামর্শ
প্রিয় পাঠক এতক্ষণ আমরা আপনাকে জানিয়েছি প্যানিক এটাক থেকে মুক্তির উপায় এবং
প্যানিক অ্যাটাকের লক্ষণ এবং ওষুধ এবং চিকিৎসা সম্পর্কে। আপনি চাইলে এগুলো
অবলম্বন করে আপনার প্যানিকএটা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
তবে এই ওষুধ এবং চিকিৎসাগুলো অবলম্বন করার পূর্বে অবশ্যই অভিজ্ঞ চিকিৎসকের
পরামর্শ নিন। কেননা আমরা শুধুমাত্র এই তথ্যগুলো জ্ঞান অর্জনের জন্য দিয়েছি এই
তথ্যগুলো অবলম্বনের পূর্বে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সুস্থ থাকুন, ভালো
থাকুন।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url