বিড়াল কামড়ালে কত দিনের মধ্যে টিকা দিতে হয়
বিড়াল কামড়ালে কত দিনের মধ্যে টিকা দিতে হয়
আপনি যদি না জানেন বিড়াল কামড়ালে কত দিনের মধ্যে টিকা দিতে হয়। তাহলে পড়ে সমস্যা হতে পারে। সাধারণভাবে, আপনি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন। সাধারণত:বিড়াল কামড়ানোর পর ২৪-৪৮ ঘণ্টার মধ্যে টিকা দেওয়া হলে ভালো। না হলে কোন সমস্যা হতে পারে। বিড়াল কামড় দিয়ে যা যা করবেন সেগুলো নিচে দেওয়া হল
- বিড়াল আঁচড় দিলে বা কামড়ানোর পর প্রথম ডোজ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নেওয়া উচিত।
- বিড়াল আঁচড় দিলে বা কামড়ানোর এরপর নির্দিষ্ট শিডিউলে আরও কয়েকটি ডোজ দিতে হয় (যেমন Day 0, 3, 7, 14, 28)।
- বিড়াল আঁচড় দিলে বা কামড়ানোর সেই কামড়ের জায়গা ভালোভাবে সাবান ও পানিতে ধুয়ে নিতে হবে।
- বিড়াল কামড়ালে সবচেয়ে জরুরি বিষয় হলো দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে বা ডাক্তারের কাছে যাওয়া। কারণ জলাতঙ্ক একবার হলে প্রায় ১০০% মারাত্মক।
- বিড়াল কামড়ালে প্রথমে সেই জায়গা অবিলম্বে ১০-১৫ মিনিট ধরে সাবান ও পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।
- বিড়াল কামড়ালে অ্যান্টিসেপটিক (যেমন povidone iodine বা spirit) ব্যবহার করুন।দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতাল বা চিকিৎসকের কাছে যান।
রেবিস ভ্যাকসিন এর দাম বাংলাদেশে
অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে রেবিস ভ্যাকসিন এর দাম বাংলাদেশে কত চলুন আমরা ভ্যাকসিনের দাম জেনে নিই আর ভ্যাকসিন মূলত কি কাজ করে তা জেনে নি। বাংলাদেশে রেবিস ভ্যাকসিনের দাম কিছুটা ভিন্ন হতে পারে এটি কোথায় নিচ্ছেন সরকারি হাসপাতালে না বেসরকারি, কোন কোম্পানির ভ্যাকসিন, ও কোন শহরে তার উপর নির্ভর করে।
যদি সরকারি হাসপাতালে যেমন সরকারি মেডিকেল কলেজ বা হাসপাতাল ।বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ফ্রি বা খুব কম খরচে দেওয়া হয়। সরকার অনেক জায়গায় বিনামূল্যে এই টিকা সরবরাহ করে। তবে বেসরকারি হাসপাতাল বা প্রাইভেট চেম্বার প্রতি ডোজের দাম আনুমানিক ৳৫০০ – ১,৫০০ টাকা।
সম্পূর্ণ কোর্সের ৫টি ডোজ মোট খরচ প্রায় ৳২,৫০০ ৭,৫০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। যদি বিড়াল কামড় দেয় তাহলে কি করবে প্রথমে নিকটস্থ সরকারি হাসপাতাল বা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে খোঁজ নিন প্রায়ই সেখানে ফ্রি বা কম খরচে পাওয়া যায়।যদি না পান, তখন বেসরকারি ক্লিনিক বা ফার্মেসিতে কিনে নিতে হবে।
রেবিস ভ্যাকসিন দেওয়ার নিয়ম
- আপনি যদি না যায়েন বিড়াল কামড়ালে কত দিনের মধ্যে টিকা দিতে হয়। কোনো রকম কামড় বা আঁচড় লাগে, বিশেষ করে কুকুর বা বিড়াল থেকে, তখন যত দ্রুত সম্ভব অধ্যাপর্যায়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রথম ডোজ দিতে হবে।
- বিড়াল বা কুকুর যে স্থানে কামড় দিয়েছে সেখানে চিকিৎসক দ্রুত স্থানটি পরিষ্কার করে প্রথম চিকিৎসা শুরু করার পরই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়।
- কুকুর বা বিড়াল কামড়ালে পাঁচটি করে ডোজ দিতে হয় প্রতিটি (১ ml, ইনট্রা-ডার্মাল বা ইনট্রা-মাসকুলার) দিতে হবে।
- যদি কামড় বেশি গভীর বা ঝুঁকিপূর্ণ হয় (যেমন মাথা, মুখ বা গলার কামড়), তখন রেবিস ইমিউনোগ্লোবুলিন (RIG) দেওয়া হয়, প্রথম ডোজের সাথেই।
জলাতঙ্ক রোগের টিকা কত দিনের মধ্যে দিতে হয়
যদি কোনো প্রাণী (যেমন কুকুর, বিড়াল, বাদুড় ইত্যাদি) কামড়ায় বা আঁচড় দেয় । জলাতঙ্ক রোগের টিকা সাধারণত কামড় বা আঁচড়ের পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দেওয়া উচিত। তবে, যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো। বিড়াল কামড়ালে কত দিনের মধ্যে টিকা দিতে হয় । এটা যদি না জানেন তাহলে জলাতঙ্ক হয়। রোগেরকুকুর বা বিড়াল কামড়ালে কয়টি ডোজ নিতে হয় তা নিচে দেওয়া হল
- কুকুর বা বিড়াল কামড়ানোর ১ম ডোজ: আহত হওয়ার দিনই ।
- কুকুর বা বিড়াল কামড়ানোর ২য় ডোজ তৃতীয় দিন দিতে হবে।
- কুকুর বা বিড়াল কামড়ানোর ৩য় ডোজ সপ্তম দিন দিতে হবে।
- কুকুর বা বিড়াল কামড়ানোর ৪র্থ ডোজ ১৪ দিনের দিন দিতে হবে।
- বিড়াল কামড়ালে কত দিনের মধ্যে টিকা দিতে হয় কুকুর বা বিড়াল কামড়ানোর ৫ম ডোজ ২৮ দিনের দিন দিতে হবে।
অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে এত ডোজ কেন দিতে হবে কারণ। রেবিস ভাইরাস মস্তিষ্কে পৌঁছানোর আগে টিকা দিলে রোগ প্রতিরোধ করা যায়। একবার রোগের লক্ষণ দেখা দিলে, চিকিৎসা প্রায় অসম্ভব হয়ে যায়। এর জন্যেই এত গুলার ডোজ দেওয়া জরুরি না দিলে অনেক সমস্যা হতে পারে।
বিড়াল কামড়ালে কয়টি ভ্যাকসিন দিতে হয়
আমাদের অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে বিড়াল কামোর বা আঁচড় দিলে কয়টি ডোজ দেওয়া লাগে বা কয়টি ভ্যাকসিন দেওয়া লাগে। যদি বিড়াল কামড়ায়, তখন রেবিস (Rabies) ভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে, তাই নিচের ধাপে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়:
- বিড়াল আঁচড় বা কামড়ানোর ডোজ দিন ১: প্রথম ডোজ (কামড়ের দিনই বা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব)
- বিড়াল আঁচড় কামড়ানোর ডোজ দিন ৩: দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়।
- বিড়াল আঁচড় বা কামড়ানোর ডোজ দিন ৭: তৃতীয় ডোজ দেওয়া হয়।
- বিড়াল আঁচড় বা কামড়ানোর ডোজ দিন ১৪: চতুর্থ ডোজ দেওয়া হয়।
- বিড়াল আঁচড় বা কামড়ানোর ডোজ দিন ২৮: পঞ্চম ডোজ দেওয়া হয়।
যদি কামড়টি গভীর বা মাথা, মুখ, হাতের দিকে হয়, তখন রেবিস ইমিউনোগ্লোবুলিনও (RIG) দিতে হয়, যা একেবারে প্রথম ডোজের দিন (দিন ১) দেয়া হয়।যদি আপনার শেষ টিটানাস ভ্যাকসিন ১০ বছরের বেশি আগে দেওয়া হয়ে থাকে, তাহলে টিটানাস টক্সয়েড (TT)-ও দিতে হয়।
বিড়াল কামুরবা আঁচড় দিলে কেন এত ডোজ দেয় রেবিস ভাইরাসের ইনকিউবেশন সময় অনেক লম্বা হতে পারে, তাই পূর্ণ ডোজ কোর্স সম্পূর্ণ করা জরুরি। যদি কেউ বিড়াল আঁচড় বা কামোর পেয়েও এই ডোজ দেয়নি সেই ব্যক্তির সমস্যা হতে পারে তাই এত ডোজ দেওয়া হয়।
বিড়াল আঁচড় দিলে করণীয় কি
বিড়াল আঁচড় দিলে সঠিকভাবে এবং দ্রুত প্রাথমিক পদক্ষেপ নেওয়া খুবই জরুরি, যাতে সংক্রমণ বা জটিলতা এড়ানো যায়। তারপরে আঁচড়ের স্থানটি ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন সাবান ও পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালো করে ধুতে হবে। অন্তত ৫–১০ মিনিট ঘষে ঘষে ধুয়ে নিন, যেন জীবাণু বেরিয়ে যায়।
বিটাডিন, সাভলন, বা অন্য কোনো অ্যান্টিসেপ্টিক লোশন বা ক্রিম ব্যবহার করুন। বিটাডিন, সাভলন, বা অন্য কোনো অ্যান্টিসেপ্টিক লোশন বা ক্রিম ব্যবহার করুন। পরিষ্কার গজ বা ব্যান্ডেজ দিয়ে ঢেকে রাখুন। যদি ক্ষত গভীর হয় বা রক্তপাত বেশি হয়, পরিষ্কার কাপড় দিয়ে চাপ দিয়ে রক্ত বন্ধ করুন।
বিড়াল কামড়ালে কত দিনের মধ্যে টিকা দিতে হয় আপনার টিটানাস টিকা ৫–১০ বছরের মধ্যে না নেওয়া থাকে, ডাক্তার দেখিয়ে টিটানাস বুস্টার নেওয়া উচিত। আচড়ের চারপাশে লালভাব, ফোলা, ব্যথা, পুঁজ, বা জ্বর হলে দ্রুত ডাক্তার দেখান। আচড়ের পাশে লিম্ফ নোড ফোলা, দুর্বল লাগা বা কাঁপুনি দেখা দিলে অবহেলা করবেন না।
এটি থেকে যদি বাঁচতে চান তাহলে আপনার বাসার পোষা বিড়ালের নখ ছোট রাখুন প্রতিদিন গোসল করিয়ে দিন। বিড়ালের সাথে খেলার সময় সতর্ক থাকুন। বিড়াল যদি আঁচড় দেয় দ্রুত পরিষ্কার করুন। দ্রুত ধুয়ে ফেলা, অ্যান্টিসেপ্টিক লাগানো, ঢেকে রাখা, পর্যবেক্ষণ করা এবং প্রয়োজনে ডাক্তার দেখানো এটাই মূল।
বাচ্চা বিড়াল কামড়ালে কি ভ্যাকসিন দিতে হয়
আমাদের মধ্যে অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে বাচ্চার বিড়াল কামড় দিলে কিছু হয়। অনেকে এটা এড়িয়ে চলেন যে বাচ্চা বিড়ালে আচর দিলে কোন রকম সমস্যা হয় না। কিন্তু না বাচ্চা বিড়ালের ও নখের ভিতরে অনেক রকম জীবাণু থাকতে পারে এটা এগিয়ে যাওয়ার ঠিক না। চলুন এটা ভালোভাবে আমরা জেনে নিন ।
- অ্যান্টিসেপ্টিক লাগান যেমন বেটাডিন বা স্যালাইন যদি ব্যথা, অতিরিক্ত ফোলা, লালচে ভাব বা জ্বর হয়, ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
- যদি আপনার ইমিউন সিস্টেম দুর্বল হয় যেমন ডায়াবেটিস, কিডনি রোগ, বা কোনো ইমিউনোথেরাপি নিচ্ছেন তখন বেশি সাবধান হতে হবে।
- খুব গভীর আঁচড় বা চোখের আশেপাশে আঁচড় পড়লে অবশ্যই দ্রুত চিকিৎসা নিতে হবে।
বিড়াল কামড়ালে কি হয়
বিড়াল কামড়ালে ক্ষুদ্র আঘাত হতে পারে। প্রথমে, ওই স্থানে ভালো করে ধুয়ে ফেলো। যদি কামড়ে থেকে ব্লিডিং হয়, তাহলে সেটা বন্ধ করতে চেষ্টা করেন। সাধারণত, এটি খুব বেশি সমস্যার কারণ হয় না, তবে যদি কোনও সংক্রমণ বা অ্যালার্জির লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।
বিড়াল কামড়ালে, প্রথমে ওই স্থানটা সাবান ও পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে। এরপর, যদি ব্লিডিং হয়, তাহলে পরিষ্কার গজ দিয়ে চাপ দিয়ে বন্ধ করতে হবে। সাধারণত, এই ধরনের কামড়ে সংক্রমণের ঝুঁকি কম, কিন্তু যদি কামড়ের স্থান লাল হয়ে যায়, ফুলে যায়, বা অনেক ব্যথা হয়, তবে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
এছাড়াও যদি জীবানু ভিতরে ঢুকে যায় তাহলে সে ক্ষতস্থানটা ভালোভাবে সেভ্লন পানি বা ডেটল দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। এছাড়াও, যদি আপনি টিটেনাস ভ্যাকসিন নেওয়া না হয়ে থাকে, তাহলে সেটা নেওয়া ভালো। সাধারণত, সময়মতো দেখভাল বা যত্ন করলেই সমস্যা কমে যায়।
তবে যদি বিড়ালটি জলাতঙ্কে আক্রান্ত হয়, তবে কামড়ের মাধ্যমে এই ভাইরাস মানুষের শরীরে ঢুকে যেতে পারে। যদিও পোষা বা টিকা দেওয়া বিড়ালে এই ঝুঁকি অনেক কম। বিড়ালকে টিকা দেওয়া আছে বলে অবহেলা করা যাবে না ডাক্তারের কাছে পরামর্শ নিতে হবে যে ইনফেকশন হয়েছে কি।
বিড়াল আঁচড় দিলে কি ভ্যাকসিন দিতে হয়
- সঙ্গে সঙ্গে সাবান ও পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন (১৫ মিনিট পর্যন্ত ধুতে বলা হয়)।
- যেখানে বিড়াল আর চোর বা কামড় দিয়েছে সেখানে অ্যান্টিসেপ্টিক লাগান।
- ক্ষত যদি বেশি হয় বা বিড়াল যে জায়গাতে কামড়িয়েছে সেই জায়গাটা যদি ফুলে যায় বা ব্যথা করে দ্রুত ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।
ডাক্তার আপনার ঝুঁকি দেখে ঠিক করবেন ভ্যাকসিন দরকার কি না।
জলাতঙ্ক হলে কত দিনে রোগ প্রকাশিত হয়
আমাদের অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে জলাতঙ্ক রোগ হলে কত দিনে রোগ প্রকাশিত হয় চলুন এটা জেনে নেওয়া যাক জলাতঙ্ক Rabies রোগের লক্ষণ প্রকাশের সময়কে বলা হয় Incubation period। ২০ দিন থেকে ৯০ দিন (প্রায় ১–৩ মাস) সময় লাগে।তবে কিছু ক্ষেত্রে ৫ দিনেও লক্ষণ দেখা দিতে পারে, আবার কখনো এক বছর বা তারও বেশি সময় পরে লক্ষণ দেখা দিতে পারে। যেমন
- কামড়ের জায়গা (মাথা বা ঘাড়ের কাছে কামড়ালে তাড়াতাড়ি হয়) জলাতঙ্ক টি শরীরে ছড়ায়।
- কামড়ানোর জায়গাটা যদি গভীর ক্ষত হয় তাহলে জলাতঙ্ক টি তাড়াতাড়ি শরীরে ছড়িয়ে পড়বে।
- রোগীর যদি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হয় বা ডায়াবেটিস বা অন্যান্য শারীরিক সমস্যা থাকে তাতে জলাতঙ্ক টি শরীরে ছড়াতে পারে।
টিকা দেওয়া জরুরি: কারণ জলাতঙ্কের কোনো চিকিৎসা নেই, লক্ষণ প্রকাশের পর বাঁচার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। তাই কামড়ের পর যত দ্রুত সম্ভব টিকা নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url