কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর দুর্বল হয় - চিকিৎসা জানুন

শরীর দুর্বলতা কাটানোর উপায়

• শরীর দুর্বলতা কাটানোর সবথেকে ভালো মাধ্যম হলো ঘুম আমরা যখন সঠিকভাবে নিয়মিত ঘুমাবো তখন আমাদের শরীর দুর্বল হবে না। এর জন্য আমাদের নিয়মিত সাত থেকে আট ঘন্টা ঘুমানো খুবই জরুরী না হলে আমাদের শরীর দুর্বল হয়ে যেতে পারে। একটি সুষ্ঠু ঘুম দেওয়ার মাধ্যমে আমাদের শরীর আসতে আসতে শক্তি উৎপন্ন করতে থাকে। যে কারণে শরীরের দুর্বলতা কাটানোর জন্য ঘুম অনেক জরুরী।
• আমরা যখন ভালো এবং পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করবো তখন আমাদের শরীরের মধ্যে অনেক ধরনের ভিটামিন আইরন এবং আরো অন্যান্য সকল কিছু প্রবেশ করবে। যে কারণে একজন সুস্থ এবং শক্তিশালী হয়ে ওঠার জন্য আমাদের সঠিক এবং সুষ্ঠু স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করতে হবে। যেমন আমরা ফল-সবজি প্রোটিন এবং আরও অন্যান্য যে সকল প্রয়োজনীয় খাদ্য রয়েছে আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য সেই সকল খাদ্য গ্রহণ করতে পারি আমরা।
• আমাদের মানসিক চাপে থাকার কারণে আমাদের অনেক সময় শরীর অনেক বেশি দুর্বল হয়ে পড়ে যে কারণে সর্বপ্রথম আমাদের মনকে এবং আমাদের মস্তিষ্ককে পরিষ্কার করে আমাদের মানসিক চাপ থেকে সরে আসতে হবে। আমরা যখন মানসিক চাপে থাকি তখন আমাদের খাবার খাওয়ার ঠিক থাকে না ঘুমানোর ঠিক থাকে না যে কারণে আমাদের শরীর ঠিকমতো পুষ্টি এবং ঘুম এবং আরো অন্যান্য কিছু না পাওয়ার কারণে দুর্বল হয়ে যায়। যে কারণে শরীরে দুর্বলতা কাটানোর জন্য ঘুম অনেক বেশি জরুরী।
• আমরা যখন নিয়মিত ব্যায়াম করবো তখন আমাদের শরীরের দুর্বলতা আস্তে আস্তে কাটতে শুরু করবে।হঠাৎ করেই প্রথম প্রথম ব্যায়াম করার মাধ্যমে আমাদের শরীর একটু বেশি দুর্বল হয়ে যেতে পারে তবে নিয়মিত করার মাধ্যমে এটি আমাদের শরীরকে অনেক সুস্বাস্থ্যবান। আপনি হাটাহাটি করে ব্যায়াম করতে পারেন, দৌড়িয়ে ব্যায়াম করতে পারেন, আবার সাঁতার কাটার মত ব্যায়াম আপনি করতে পারেন এবং আরো যে সকল ব্যায়াম রয়েছে আপনি সব ব্যায়ামগুলোই করতে পারেন।
• আমরা যখন প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করব তখন আমাদের শরীর অনেক বেশি গঠন করতে সাহায্য করবে যে কারণে আমাদের শরীরের দুর্বলতা গুলো কাটতে শুরু করবে। যেমন আমরা ডিম খেতে পারি যে কোন হাঁস মুরগি রাজহাঁস চিনা হাঁস এই সকল হাঁসের ডিম খেতে পারি অথবা কোয়েল পাখি এর ডিম খেতে পারি এগুলোতে অনেক বেশি প্রোটিন রয়েছে। এবং আমরা মাছ খেতে পারি যে সকল মাছের বেশি প্রোটিন রয়েছে সেই সকল মাছ খাওয়া অনেক ভালো, এবং গরুর মাংস খাসির মাংস ছাগলের মাংসতে অনেক বেশি পরিমাণে প্রোটিন থাকে যে কারণে অল্প অল্প করে সকল ধরনের প্রোটিন খাবার খাওয়া আমাদের জন্য।
• আয়রনের অভাবেও আমাদের শরীরের দুর্বলতা দেখা দেয় যে কারণে আমরা পালং শাক মটরশুটে এবং আরো অন্যান্য যে সকল আয়রন রয়েছে এমন ধরনের খাদ্য গ্রহণ করতে পারি আমরা যখন আয়রন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করব তখন আমাদের শরীরে আয়রন এর অভাব পূরণ হবে যে কারণে আমাদের শরীরে দুর্বলতা কাটতে সাহায্য করবে।
• এবং আমাদের এমন খাবার গ্রহণ করতে হবে যে সকল খাবারের ভিটামিন ডি রয়েছে ভিটামিন ডি এর অভাবে অনেক সময় আমাদের শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে।
• পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করার মাধ্যমে আমাদের শরীরের কার্যকারিতা আরো বেশি বৃদ্ধি পায় যে কারণে পর্যাপ্ত পানি পান করা আমাদের জন্য অনেক বেশি জরুরী।আমরা যখন প্রজাতির পরিমাণে পানি পান করবো তখন আমাদের শরীরের যে ক্লান্তি রয়েছে সেই ক্লান্তি গুলো দূর করতে অনেক ভালোভাবে সাহায্য করে থাকে পানি। যে কারণে শরীর দুর্বল হলে অবশ্যই পানি পান করা উচিত পর্যাপ্ত পরিমাণে।
• অতিরিক্ত পরিমাণে পরিশ্রম করার মাধ্যমে আমাদের শরীর দুর্বল হয়ে যেতে পারে আমরা যখন অতিরিক্ত পরিশ্রম করি তখন আমাদের শরীরের সকল ধরনের শক্তি শেষ হয়ে যেতে থাকে যে কারণে আস্তে আস্তে আমাদের শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে এর জন্য অতিরিক্ত পরিশ্রম করা থেকে বিরত থাকতে হবে। যেমন অনেক বেশি পরিমাণেও যদি আপনি ব্যায়াম করেন তবেও আপনার শরীর উন্নত হওয়ার থেকে অবনত হয়ে যাবে যে কারণে একটি নিয়ম রেখা করে আপনি ব্যায়াম করতে পারেন অথবা পরিশ্রম করতে পারেন।

শরীরের দুর্বলতার লক্ষণ কী কী?

• আমাদের শরীর যখন দুর্বল হয়ে যায় তখন আমাদের পেশীগুলো দুর্বল হয়ে যায় যে কারণে কোন ভারি অথবা কোন জিনিস তোলা অথবা নামানোর ক্ষেত্রে আমাদের শরীরে অসুবিধা সৃষ্টি হয় এবং আমাদের পেশী গুলো হালকাভাবে ব্যথা হয়ে যায়। এবং পেশি গুলো দুর্বলতা অনুভব করে।
• আমাদের শরীর যখন দুর্বল হয়ে যায় তখন আমরা একটু কাজ করতে বা একটু পরিশ্রম করলেই অনেক বেশি বিশ্রাম করতে হয় এবং তারপরেও আমাদের সেই ক্লান্তি দূর হয় না।
• আমাদের শরীর যখন দুর্বল হয়ে যায় তখন আমরা যদি অতিরিক্ত পরিমাণে সময় বসে থাকি তবে বেশিক্ষণ বসে থাকার পরে যদি আমরা হঠাৎ করে দাঁড়িয়ে পড়ি তবে আমাদের মাথা ঘোরার মত সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার অনেক সময় এমনটা দেখা দেয় যে স্বাভাবিকভাবে বসে থাকা বা স্বাভাবিক জীবন যাপনের মাধ্যমে ও মাথা ঘোরার সমস্যা দেখা দেয় এই সমস্যার কারণ হল শরীর দুর্বল।
• আমাদের শরীর যখন দুর্বল হয়ে পড়ে তখন আমরা সঠিকভাবে সঠিক জায়গাতে এবং আমাদের কাজের উপরে মনোযোগ রাখতে পারে না আমাদের মনোযোগের সমস্যা দেখা দেয়।
• আমরা যখন অতিরিক্ত পরিমাণ শরীর দুর্বল এর সমস্যা হয়ে যায় তখন আমাদের শ্বাসকষ্ট এর সমস্যা দেখা দেয়। এবং আমাদের শ্বাস নিতে কষ্ট হয় অথবা জোরে জোরে শ্বাস নেওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
• এবং এর সাথে আমাদের শরীরের যে কোন অংশ বা যেকোন স্থান ব্যথা হতে পারে এবং বমি বমি ভাব পেট ব্যথা এবং হৃদস্পন্দন পরিবর্তন হতে হয়ে যাওয়ার মত সমস্যা দেখা দিবে।

শরীর দুর্বল হলে কি খেতে হয়

আমাদের সর্বপ্রথম কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর দুর্বল হয় এই সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে। কেননা আমরা যখন জানব যে আমাদের কোন ভিটামিনের জন্য আমাদের শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে তখন আমরা সেই সকল খাদ্য গ্রহণ করতে পারবো যে সকল খাদ্য তে সেই ভিটামিন টি রয়েছে। 

• সবজি খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের শরীরের যেই ভিটামিনের অভাব গুলো রয়েছে সেই ভিটামিনের অভাব গুলো অনেক ভালোভাবে পূরণ হতে সাহায্য করে আমরা সবজি হিসেবে কচুশাক খেতে পারি আবার আমরা পালং শাক খেতে পারি মিষ্টি কুমড়াও খেতে পারি আলু গাজর এবং আরো অন্যান্য যে সকল সবজি রয়েছে সে সকল সবজি এর সুপ বানিয়ে আমরা খেতে পারি।
• আমরা যখন বিভিন্ন ধরনের ফল এর রস পান করবো তখন আমাদের শরীরের যে দুর্বলতা রয়েছে সেই দুর্বলতা গুলো দূর হবে। যে কারণে আমরা ডাবের পানিও খেতে পারি।
• এবং অন্যান্য খাবার হিসেবে আমরা সেদ্ধ নরম চাল এবং খিচুড়ি খেতে পারি এবং খিচুড়ির সাথে যদি আমরা সবজি মিশিয়ে খাই তবে এটিতে আরো বেশি উপকারিতা রয়েছে।
• আমরা প্রচুর পরিমাণে ‌এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে পারি এবং তরল জাতীয় যে সকল স্বাস্থ্যকর জুস রয়েছে সে সকল জুস আমরা পান করতে পারি।

শরীর দুর্বল হলে কি কি সমস্যা হয়

ভিটামিন ডি এর অভাবে কোন রোগ হয়

কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর শুকিয়ে যায়

আমাদের শরীরের নানান ধরনের ভিটামিনের অভাবে শরীর শুকিয়ে যেতে পারে কয় ধরনের ভিটামিন যখন আমাদের শরীরে একসাথে অভাব দেখা দেয় তখনই আমাদের শরীর অনেক বেশি পরিমাণে শুকিয়ে যায়। তবে আমরা যদি সঠিক সময় এর সঠিক চিকিৎসা না করি তবে আমাদের শরীর শুকিয়ে গিয়ে নানা ধরনের রোগের সৃষ্টি করতে পারে এর জন্য আমাদের এটি চিকিৎসা করা উচিত। 

কোন ভিটামিনের অভাবে এলার্জি হয়

আমাদের পরামর্শ