ঘরে বসে অনলাইন জিডি করার নিয়ম | অনলাইন জিডির সম্পূর্ণ গাইড ২০২৫

স্বামীকে ডিভোর্স দেওয়ার নিয়মপ্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলটি আমরা লিখেছি মূলত ঘরে বসে অনলাইন জিডি করার নিয়ম বিষয়কে কেন্দ্র করে। সঙ্গে থাকছে ঘরে বসে অনলাইন জিডি বাতিল করার নিয়ম। সম্পর্কিত অতিরিক্ত তথ্যও, যা পড়লে আপনি পুরো বিষয়টি সহজেই বুঝতে পারবেন, ইন শা আল্লাহ।
ঘরে-বসে-অনলাইন-জিডি-করার-নিয়ম-|-অনলাইন-জিডির-সম্পূর্ণ-গাইড-২০২৫
সূচিপত্র; ঘরে বসে অনলাইন জিডি করার নিয়ম সম্পূর্ণ গাইড  

ঘরে বসে অনলাইন জিডি করার নিয়ম - অনলাইন জিডির সম্পূর্ণ গাইড ২০২৫

আজকের ডিজিটাল যুগে থানায় গিয়ে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার সময় আর নেই। এখন আপনি চাইলে ঘরে বসেই আপনার মোবাইল বা কম্পিউটার ব্যবহার করে অনলাইনে জিডি করতে পারবেন, আর সেটা মাত্র কয়েক মিনিটেই! 

হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন  ঘরে বসে অনলাইন জিডি করার নিয়ম এখন এতটাই সহজ যে, কোনো আইনজীবী ছাড়াই একজন সাধারণ মানুষও নিজের অভিযোগ রেকর্ড করতে পারেন। আপনি যদি ফোন হারিয়ে ফেলেন, পার্স হারিয়ে ফেলেন, কিংবা কোনো হুমকির সম্মুখীন হন তবে সেটা আইনগতভাবে নথিভুক্ত করতে অনলাইন জিডির কোনো বিকল্প নেই।

এই আর্টিকেলে আমরা আপনাকে অনলাইন জিডির সম্পূর্ণ গাইড ২০২৫ অনুযায়ী প্রতিটি ধাপ, প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট, কিভাবে চেক করবেন, কিভাবে বাতিল বা প্রত্যাহার করবেন, সবকিছু একদম স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করবো। 

ফলে, আপনি আর ভয় পাবেন না জিডি করবো কিভাবে?। বরং নিজেই হয়ে উঠবেন সচেতন ও প্রযুক্তিবান্ধব একজন নাগরিক। চলুন, শুরু করা যাক আপনার ডিজিটাল নিরাপত্তার প্রথম ধাপ ঘরে বসে অনলাইন জিডি করার নিয়ম!

ঘরে বসে অনলাইন জিডি করার নিয়ম

বর্তমান যুগে এই প্রেক্ষাপটে আমাদের অনলাইন জিডিএ করার নিয়ম জানা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। কারণ দিন দিন আমাদের চারপাশে যেমন অপরাধের ধরন পরিবর্তন হচ্ছে তেমনি সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া ও ডিজিটাল হচ্ছে । 

এখন ঘন্টার পর ঘন্টা থানায় গিয়ে দাঁড়িয়ে থেকে অপেক্ষা করতে হয় না। নিজে নিজেই অনলাইনে ঘরে বসে জিডি করা যায়। এখন ঘরে বসে অনলাইন জিডি করার নিয়ম এই সিস্টেমটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যেটা একজন সাধারণ মানুষের সহজে বুঝতে পারবেন কিভাবে পুলিশ সার্ভিস পোর্টাল ব্যবহার করে নিজে নিজে জিডি করতে হয়। 

বাংলাদেশ পুলিশের ডিজিটাল জিডি করার ওয়েবসাইট লিংক হচ্ছে https://gd.police.gov.bd এই লিংকে গিয়ে আপনি সহজেই আপনার অভিযোগ জমা দিতে পারবেন খুবই সহজে। তো এই অনলাইন জিডি করার জন্য প্রথমত আপনাকে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র এবং মোবাইল নাম্বার এবং নির্দিষ্ট কিছু তথ্য কাছে রাখতে হবে যেটা দিয়ে আপনি যদি সাবমিট করতে পারবেন। 

এটি শুধু সময় সাশ্রয় করে না বরং অনেক ক্ষেত্রে আপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। তো আজকে আমরা এই আর্টিকেলে ঘরে বসে অনলাইন জিডি করার নিয়ম অনুসরণ করে কিভাবে আপনি পার্স হারানো মোবাইল ফোন চুরি সাইবার হ্যারাসমেন্ট। 

অথবা অনলাইনে কেউ গালাগালি করলে কিংবা আপনার বিরুদ্ধে খারাপ কোন বিষয়ে পোস্ট বা কমেন্ট করলে কিভাবে তার বিষয়ে জিডি বা ডায়েরি করতে পারবেন সে সবকিছু নিয়ে আজকে আমরা নিচে কিছু স্টেপে দেখিয়ে দেবো আপনি সহজে কিভাবে অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসে জিডি করতে পারবেন তো চলুন কথা না বাড়ি আমরা জিডি করার ধাপ গুলো দেখেনি এক নজরেঃ

নিচে ঘরে বসে অনলাইন জিডি করার ধাপগুলো বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হলো –
  • জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ও মোবাইল দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করুন
  • OTP এর মাধ্যমে ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করুন
  • নতুন জিডি বাটনে ক্লিক করুন
  • জিডির ধরন, স্থান, ঘটনার তারিখ ও সময় এবং বিস্তারিত বর্ণনা লিখুন
  • প্রয়োজনে ছবি বা ডকুমেন্ট যুক্ত করুন
  • সাবমিট করুন এবং রেফারেন্স নম্বর সংরক্ষণ করুন
তো পাঠ ক এই ভাবে আপনি ঘরে বসে অনলাইনে জিডি করার নিয়ম মেনে আপনার ন্যায্য অধিকার আদায়ে পুলিশের কাছে অতি সহজে পৌঁছাতে পারবেন। একটি অনলাইন জিডি করার জন্য প্রথমে ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে হয় এবং নতুন করে অনলাইন জিডি করতে হয়। 

তো আমাদের কাছে কোন তথ্য না থাকায় কিংবা কোন ফোন চুরি বা ইত্যাদি কোন তথ্য না থাকায় আমরা নতুন করে গিরি করে দেখাইয়া দিলাম না। জাস্ট আপনাদের স্টেপ গুলো জানালাম যাতে আপনারা অনুসরণ করে আপনাদের কাঙ্খিত সমস্যার সমাধান করতে পারেন।
আমরা যদি আপনাদের দেখানোর সুবিধার্থে যদি নতুন করে জিডি করতাম তাহলে আমাদের পুলিশ এসে ভেরিফাই করত যার ফলে আমরা দুঃখিত নতুন করে কোন জিডি করে দেখাতে পারলাম না এজন্য।

ঘরে বসে অনলাইন জিডি বাতিল করার নিয়ম

আমরা জিডি করার সময় অধিকাংশ মানুষই আমরা তাড়াহুড়ো করে ভুল তথ্য দিয়ে জিডি করে ফেলি । যার কারণে আমাদের পুলিশ ভেরিফাই করতে আসে, আমরা নানান সমস্যার সম্মুখীন হয়। কখনোই আমরা জিডি করার সময় ভুল তথ্য দিয়ে জিডি করবো না। 

তো এরকম অনেক ভুল আমরা করে থাকি যার কারণে পরে জিডি টি বাতিল করার প্রয়োজন পড়ে তো কিভাবে বাতিল করবেন চলুন আমরা জেনে নেই। এই জিডি বাতিল করার নিয়ম জেনে রাখা ও অনেক ভালো কারণ প্রতিটি অনলাইন জিডির একটি ট্রাকিং আইডি বা রেফারেন্স নম্বর থাকে। 
ঘরে-বসে-অনলাইন-জিডি-বাতিল-করার-নিয়ম
আপনি যদি কোন কারনে আপনার করা যদি বাতিল করতে চান তাহলে সেই রেফারেন্স নম্বর ব্যবহার করে থানায় বা অনলাইন পোর্টালে আবেদন করতে পারবেন এবং আপনাকে আবেদন করতে হবে। নিচে আমরা সুন্দর করে অনলাইন যদি বাতিল করার নিয়ম ধাপে ধাপে দেখিয়ে দিলাম।

ঘরে বসে অনলাইন জিডি বাতিল করার নিয়ম হলো:
  • প্রথমে https://gd.police.gov.bd পোর্টালে লগইন করুন
  • আমার জিডি অপশনে যান
  • সংশ্লিষ্ট জিডি নির্বাচন করুন
  • জিডি বাতিল/প্রত্যাহার” অপশন সিলেক্ট করুন
  • একটি কারণ লিখুন কেন বাতিল করতে চান
  • সাবমিট করুন
সাবমিট করা হয়ে গেলে তারপর থানার কর্তৃপক্ষ বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে জিডি বাতিল বা প্রত্যাহার করবেন। এক্ষেত্রে প্রমাণপত্র থাকলে দ্রুত প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়ে যায়। অনলাইনে জিডি বাতিল করার মাধ্যমে আপনি একদিকে যেমন সঠিক তথ্য সংগ্রহ করার সুযোগ পাবেন অন্যদিকে আইনি প্রক্রিয়াকে সাহায্য করতে পারবেন

ঘরে বসে অনলাইন জিডি প্রত্যাহার করার নিয়ম

বর্তমান ডিজিটাল যুগে অনেকেই থানায় না গিয়ে ঘরে বসেই অনলাইন জিডি করে থাকেন। তবে অনেক সময় দেখা যায়, করা জিডিটি আর দরকার নেই কিংবা ভুলবশত কিছু তথ্য দেওয়া হয়েছে, যেটা সংশোধন করে জিডি প্রত্যাহার করতে ইচ্ছুক হন অনেকে। 

তাই ঘরে বসে অনলাইন জিডি প্রত্যাহার করার নিয়ম জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনলাইন জিডি প্রত্যাহার করতে হলে প্রথমে বাংলাদেশ পুলিশের ডিজিটাল জিডি পোর্টাল https://gd.police.gov.bd তে যেতে হবে। 

এরপর নিজের মোবাইল নম্বর ও জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে লগইন করতে হবে। লগইন করার পর “আমার জিডি” নামে একটি অপশন পাওয়া যাবে যেখানে আপনি আপনার পূর্বে করা সকল জিডি দেখতে পাবেন। সেখানে যে জিডিটি প্রত্যাহার করতে চান, সেটির পাশে থাকা “প্রত্যাহার করুন” বা “Cancel GD” অপশনে ক্লিক করতে হবে। 

পরবর্তী ধাপে আপনাকে একটি নির্দিষ্ট কারণ লিখতে হবে যেমন ভুল তথ্য প্রদান, অভিযোগ নিষ্পত্তি হয়ে গেছে, বা ভুলবশত জমা দেওয়া হয়েছে ইত্যাদি। কিছু ক্ষেত্রে তদন্ত কর্মকর্তা বা সংশ্লিষ্ট থানার অনুমোদন প্রয়োজন হতে পারে, বিশেষ করে যদি সেই জিডির ভিত্তিতে তদন্ত বা কোনো অ্যাকশন নেওয়া হয়ে থাকে। 

জিডি প্রত্যাহার করার পর সেটির স্ট্যাটাস “প্রত্যাহারকৃত” বা “Cancelled” হিসেবে দেখাবে। অনলাইন জিডি প্রত্যাহার করার এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ ফ্রি এবং ঘরে বসেই খুব সহজে সম্পন্ন করা যায়, যা নাগরিকদের জন্য একটি দারুণ সুবিধা এবং আইনি সচেতনতার একটি আধুনিক রূপ। 

এই সেকশনে আমরা একদম পুরোপুরি সুন্দর করে সব বিস্তারিত আলোচনা করেছি কিন্তু স্টেপ বাই স্টেপ দেখিয়ে দিইনি তো নিচে আপনাদের সুবিধার্থে ধাপ অনুযায়ী তুলে ধরা হলো কিভাবে আপনি ঘরে বসে অনলাইন জিডি প্রত্যাহার করবেন তার নিয়ম ধাপে ধাপে দেখিয়ে দেওয়া হলো।

অনলাইন জিডি প্রত্যাহারের নিয়মের ধাপ :
  • লগইন করুন পুলিশ ডিজিটাল জিডি পোর্টালে
  • রেফারেন্স নম্বর দিন
  • প্রত্যাহার ফর্ম পূরণ করুন
  • কারণসহ বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিন
  • সংশ্লিষ্ট থানায় অনুমোদনের জন্য অনুরোধ করুন
সাধারণত তদন্ত কর্মকর্তা বা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (OC) বিষয়টি যাচাই করে প্রয়োজনীয় অনুমতি দিলে, সেই জিডি প্রত্যাহার করা হয়। ঘরে বসে অনলাইন জিডি প্রত্যাহার করার নিয়ম জানার মাধ্যমে আপনি আইনি জটিলতা এড়িয়ে চলতে পারবেন, যদি আপনার জিডি প্রয়োজনে না থাকে। তবে ভুল তথ্য দিলে আইনি শাস্তিও হতে পারে এমন ঝুঁকি মাথায় রেখেই আবেদন করা উচিত।

ঘরে বসে অনলাইন জিডি চেক করার নিয়ম

ঘরে বসে অনলাইন জিডি চেক করার নিয়ম জানা প্রতিটি নাগরিকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে যখন আপনি ইতোমধ্যে একটি জিডি করেছেন এবং তার অগ্রগতির খোঁজ রাখতে চান। আগে জিডি করার পর সেটি নিয়ে আপডেট জানার জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় যেতে হতো, 

কিন্তু এখন আপনি ঘরে বসেই বাংলাদেশ পুলিশের অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে আপনার জিডির বর্তমান অবস্থা চেক করতে পারেন। এজন্য প্রথমে যেতে হবে https://gd.police.gov.bd এই অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে। ওখানে গিয়ে “জিডি অনুসন্ধান” বা “Track GD” অপশনে ক্লিক করতে হবে। 

এরপর আপনার মোবাইল নম্বর এবং সেই সঙ্গে প্রাপ্ত রেফারেন্স নম্বরটি সঠিকভাবে ইনপুট দিতে হবে। সঠিক তথ্য দিলে সঙ্গে সঙ্গে আপনার জিডির স্ট্যাটাস স্ক্রিনে প্রদর্শিত হবে। এই স্ট্যাটাসে আপনি দেখতে পারবেন জিডি গ্রহণ করা হয়েছে কিনা, 

কোন থানায় এটি পাঠানো হয়েছে, তদন্তকারী কর্মকর্তা নিযুক্ত হয়েছেন কিনা, এবং কোনো মন্তব্য বা আপডেট দেওয়া হয়েছে কিনা। এছাড়া লগইন করে “আমার জিডি” অপশনেও আপনার করা সমস্ত জিডির তালিকা ও অবস্থান জানতে পারবেন। 

ঘরে বসে অনলাইন জিডি চেক করার এই নিয়মের মাধ্যমে আপনি অনায়াসেই আপনার অভিযোগের অবস্থান জানতে পারবেন এবং প্রয়োজনে পরবর্তী ব্যবস্থা নিতে পারবেন। এটি সাধারণ জনগণের জন্য এক বিশাল সুবিধা, 
যা পুলিশের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতাকে নিশ্চিত করে এবং আইনি সচেতনতা বৃদ্ধি করে। আপনাদের সুবিধার্থে আবারও ধাপে ধাপে দেখিয়ে দিলাম কিভাবে আপনি ঘরে বসে অনলাইন জি ডি চেক করবেন তার নিয়ম।

ঘরে বসে অনলাইন জিডি চেক করার নিয়ম হলো:
  • https://gd.police.gov.bd তে যান
  • জিডি স্ট্যাটাস বা জিডি অনুসন্ধান অপশনে যান
  • আপনার জিডি রেফারেন্স নম্বর ও মোবাইল নম্বর দিন
  • চেক করুন বোতাম ক্লিক করুন
এরপর আপনি আপনার জিডির আপডেট, কবে রিভিউ হয়েছে, কে দেখছেন, কোনো মন্তব্য ইত্যাদি তথ্য পেয়ে যাবেন। এই সহজ প্রক্রিয়ার ফলে অনলাইন জিডি করার পর তা চেক করার ঝামেলা অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে।

থানায় অনলাইন জিডি করার নিয়ম

বর্তমানে প্রযুক্তির অগ্রগতির ফলে থানায় অনলাইন জিডি করার নিয়ম অনেক সহজ ও সাশ্রয়ী হয়েছে। এখন আর থানায় গিয়ে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা না করেও আপনি আপনার নিকটস্থ থানায় অনলাইন মাধ্যমে জিডি করতে পারেন। 

অনলাইন জিডি করতে হলে প্রথমে বাংলাদেশ পুলিশের অফিসিয়াল ডিজিটাল জিডি পোর্টাল https://gd.police.gov.bd তে প্রবেশ করতে হবে। এরপর আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর এবং মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে অথবা পূর্বের অ্যাকাউন্টে লগইন করতে হবে।
থানায়-অনলাইন-জিডি-করার-নিয়ম
লগইন সম্পন্ন হলে “নতুন জিডি করুন” অপশনে ক্লিক করে আপনাকে জিডির ধরন নির্বাচন করতে হবে, যেমন হারানো জিনিসপত্র, হুমকি, পারিবারিক সমস্যাসহ অন্যান্য সাধারণ অভিযোগ। এরপর ঘটনাস্থল বা থানার নাম নির্বাচন করতে হবে, অর্থাৎ আপনি কোন থানায় অভিযোগ পাঠাতে চান সেটি সিলেক্ট করতে হবে। 

ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ যথাযথভাবে লিখে, প্রয়োজনে কোনো প্রমাণ (ছবি বা ডকুমেন্ট) আপলোড করে “সাবমিট” বাটনে ক্লিক করতে হবে। সফলভাবে জমা দেওয়ার পর একটি জিডি রেফারেন্স নম্বর আপনার মোবাইলে ও ইমেইলে চলে আসবে, যা সংরক্ষণ করে রাখা উচিত। 

থানায় অনলাইন জিডি করার নিয়ম অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট থানা কর্তৃপক্ষ আপনার অভিযোগ যাচাই-বাছাই করে গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যান করবে এবং সেই তথ্য অনলাইনে আপনার একাউন্টে আপডেট হিসেবে পাওয়া যাবে। এটি একটি দ্রুত, নিরাপদ ও আধুনিক সেবা যা সাধারণ নাগরিকদের আইনগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়ক।

ধাপগুলো একদম একই
  • ডিজিটাল জিডি পোর্টালে যান
  • থানার নাম লিখে খুঁজুন
  • জিডির ধরন ও তথ্য দিন
  • বিস্তারিত লিখে জমা দিন
থানায় অনলাইন জিডি করার নিয়ম জানলে আপনি কখন কোথায় কাকে জানাবেন, তা আগে থেকেই প্রস্তুত করতে পারবেন। আপনার অভিযোগ যেন ভুল জায়গায় না যায়, তা নিশ্চিত করতে থানার নাম ঠিকঠাকভাবে বেছে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

People also ask

. জিডি করতে কি কি লাগে?

  • একটি সচল মোবাইল নাম্বার
  • জাতীয় পরিচয়পত্র
  • ঘটনার বিবরণ
  • প্রয়োজনে ছবি বা প্রমাণ

. অনলাইনে জিডি করার ধাপগুলো কী কী?

  • পোর্টালে যান
  • রেজিস্ট্রেশন করুন
  • জিডি ফর্ম পূরণ করুন
  • জমা দিন এবং রেফারেন্স নম্বর সংরক্ষণ করুন

. জিডি করতে কত টাকা লাগে?

  • অনলাইন জিডি সম্পূর্ণ ফ্রি, কোনো সরকারি ফি নেই

. থানায় জিডি করা মানে কি?

  • সাধারণ ডায়েরি (GD) মানে কোনো ঘটনা বা আশঙ্কা পুলিশ রেকর্ডে রাখা। এটা কোনো মামলার চেয়ে কম গুরুত্ব পেলেও অনেক সময় আইনি সহায়তা পাওয়ার মূল ভিত্তি হয়।

প্রশ্ন-উত্তর (FAQ)

প্রশ্ন: জিডি কাকে বলে?
উত্তর: জিডি বা General Diary হলো পুলিশের কাছে কোনো ঘটনা বা আশঙ্কার লিখিত রেকর্ড যা আইনগতভাবে ভবিষ্যতে কার্যকর প্রমাণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

প্রশ্ন: অনলাইন জিডি করতে কি থানায় যেতে হয়?
উত্তর: না, আপনি ঘরে বসেই অনলাইন জিডি করতে পারবেন। তবে প্রয়োজনে তদন্তকারী কর্মকর্তা আপনাকে ডেকে পাঠাতে পারেন।

প্রশ্ন: অনলাইন জিডির রেফারেন্স নম্বর কিভাবে পাবো?
উত্তর: জিডি সাবমিট করার পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার মোবাইলে ইমেইলে রেফারেন্স নম্বর চলে যাবে।

প্রশ্ন: অনলাইন জিডি কবে অ্যাপ্রুভ হবে?
উত্তর: সাধারণত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সংশ্লিষ্ট থানা কর্তৃপক্ষ রিভিউ করে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়।

ঘরে বসে অনলাইন জিডি করার নিয়ম শেষ কথা

ঘরে বসে অনলাইন জিডি করার নিয়ম জানলে আপনি আইনের আওতায় থেকে খুব সহজেই নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবেন। আগের মতো থানায় দৌড়াদৌড়ি না করে, এখন প্রযুক্তির ব্যবহার করে ঘরে বসেই এই গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করা যায়। 
এই সুবিধা শুধু সময় বাঁচায় না, বরং মানুষকে সচেতন এবং সাহসী করে তোলে। আপনার তথ্য সঠিকভাবে উপস্থাপন করাই একমাত্র উপায় যাতে আপনার অভিযোগ গুরুত্ব পায় এবং দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া যায়। তাই জিডি করার আগে ও পরে তথ্য যাচাই ও খোঁজখবর নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

লেখকের মন্তব্য

আশা করি, আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনারা ঘরে বসে অনলাইন জিডি করার নিয়ম |  সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পেয়েছেন। যদি এই বিষয়ে আপনাদের কোনো প্রশ্ন থাকে বা মূল্যবান মতামত জানাতে চান, তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আর আর্টিকেলটি শেয়ার করে আপনার আত্মীয়স্বজন ও প্রিয়জনদেরও ঘরে বসে অনলাইন জিডি করার নিয়ম । জানার সুযোগ করে দিন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url